দুই ওপেনার টম লাথাম ও ডেভন কনওয়ের জোড়া সেঞ্চুরিতে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে তৃতীয় ও শেষ টেস্টের প্রথম দিন ৯০ ওভারে ১ উইকেটে ৩৩৪ রান করেছে স্বাগতিক নিউজিল্যান্ড। উদ্বোধনী জুটিতে ৩২৩ রান যোগ করে ইনিংসের ৮৭তম ওভারে প্রথম ব্যাটার হিসেবে ব্যক্তিগত ১৩৭ রানে আউট হন অধিনায়ক লাথাম। ১৭৮ রানে অপরাজিত আছেন কনওয়ে।
বৃহস্পতিবার, (১৮ ডিসেম্বর ২০২৫) মাউন্ট মঙ্গানুইয়ে টস জিতে প্রথমে ব্যাট করে নিউজিল্যান্ড। শুরু থেকেই ওয়েস্ট ইন্ডিজ বোলারদের ওপর আধিপত্য বিস্তার করে খেলতে থাকেন লাথাম ও কনওয়ে। ৩১তম ওভারে দলের রান ১শ’তে নেন তারা।
৪৮তম ওভারে টেস্ট ক্যারিয়ারের ষষ্ঠ সেঞ্চুরির দেখা পান কনওয়ে। ৬৪তম ওভারের টেস্টে ১৫তম শতক পূর্ণ করেন লাথাম। এই নিয়ে ষষ্ঠবার নিউজিল্যান্ডের টেস্ট ইতিহাসে দুই ওপেনারই সেঞ্চুরি করলেন।
জোড়া সেঞ্চুরি পর ইনিংস বড় করেছেন লাথাম-কনওয়ে জুটি। এতে ৮০তম ওভারে ৩শ’ রান পেয়ে যায় নিউজিল্যান্ড।
নিউজিল্যান্ড ইনিংসের ৮৩.২ ওভারে নতুন বল নেয় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ৮৭তম ওভারের চতুর্থ বলে প্রথম সাফল্য পায় ক্যারিবীয়রা। পেসার কেমার রোচের বলে রোস্টন চেজকে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরের পথ ধরেন লাথাম। ১৫টি চার ও ১টি ছক্কায় ২৪৬ বলে ১৩৭ রান করেন লাথাম।
কনওয়ের সাথে উদ্বোধনী জুটিতে ৩২৩ রান তুলে রেকর্ড বইয়ে জায়গা করে নেন লাথাম। নিউজিল্যান্ডের টেস্ট ইতিহাসে উদ্বোধনী জুটিতে লাথাম-কনওয়ের রান দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। ১৯৭২ সালে জর্জটাউনে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে উদ্বোধনী জুটিতে ৩৮৭ রান তুলেছিলেন নিউজিল্যান্ডের দুই ওপেনার গ্লেন টার্নার ও টেরি জার্ভিস। তবে ঘরের মাটিতে উদ্বোধনী জুটিতে এটিই নিউজিল্যান্ডের সর্বোচ্চ রান।
পাশাপাশি টেস্ট ফরম্যাটে উদ্বোধনী জুটিতে নিউজিল্যান্ডের হয়ে সবচেয়ে বেশি রানের রেকর্ডও গড়েছেন লাথাম ও কনওয়ে। ৪৩ ইনিংসে ৪ শতক ও ৭ অর্ধশতকে ১৭২১ রান করেছেন তারা। এতে ভেঙে গেছে জন রাইট ও ব্রুস এডগারের রেকর্ড। ১৯৭৮-৮৬ সাল পর্যন্ত ৫৬ ইনিংসে ১টি সেঞ্চুরি ও ১২টি হাফ-সেঞ্চুরিতে ১৬৫৫ রান করেছেন রাইট-এডগার জুটি।
লাথাম ফেরার পর নাইটওয়াচম্যান জ্যাকব ডাফিকে নিয়ে দিনের খেলা শেষ করেন কনওয়ে। ২৫টি চারে ২৭৯ বলে ১৭৮ রানে অপরাজিত আছেন তিনি। অনবদ্য ৯ রান করেছেন ডাফি। রোচ ৬৩ রানে ১ উইকেট নেন।