আসন্ন বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লীগ (বিপিএল) সামনে রেখে ধীরে ধীরে টি-টোয়েন্টি মোডে নিজেকে আরও মানিয়ে নিচ্ছেন উইকেটরক্ষক ব্যাটার আকবর আলী। ঘরোয়া ক্রিকেটে নিয়মিত অধিনায়কত্ব করলেও এবারের বিপিএলে রাজশাহী ওয়ারিয়র্সে তাকে দেখা যাবে না নেতৃত্বের ভূমিকায়। দলটির অধিনায়ক হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন নাজমুল হোসেন শান্ত, আর আকবর খেলবেন আপাতত ব্যাটার হিসেবেই।
রোববার,(২১ ডিসেম্বর ২০২৫) মিরপুরের একাডেমি গ্রাউন্ডে রাজশাহীর অনুশীলন শেষে আকবর বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে টানা টি-টোয়েন্টি খেলার কারণে এই ফরম্যাটে তিনি এখন আরও বেশি অভ্যস্ত হয়ে উঠছেন।
‘আসলে যে ফরম্যাটই খেলি না কেন, মনোযোগটা একই থাকে। তবে গত কয়েকদিন আমরা বেশি করে টি-টোয়েন্টি খেলছি, সে কারণে এই ফরম্যাটে নিজেকে এখন আরও স্বচ্ছন্দ লাগছে,’ বলেন তিনি।
বিপিএলের আগে আকবর অংশ নিয়েছেন এনসিএল টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্টে, এরপর খেলেছেন সংযুক্ত আরব আমিরাতে এশিয়া কাপ রাইজিং স্টারস প্রতিযোগিতায়। এনসিএল টি-টোয়েন্টির সর্বশেষ আসরে নয় ম্যাচে ২০৩ রান করে সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহকদের তালিকায় চতুর্থ স্থানে ছিলেন তিনি, যা তার ভালো ছন্দেরই প্রমাণ।
একাদশে সুযোগ পাওয়ার ব্যাপারে আশাবাদী আকবর বলেন, ‘দেখুন, প্রত্যেক খেলোয়াড়ই খেলার প্রত্যাশা রাখে, আমিও রাখি। ইনশাআল্লাহ আমি খেলব, এই আশা তো অবশ্যই আছে, ব্যাটার হিসেবেই।’
তবে একই সঙ্গে তিনি স্পষ্ট করে দিয়েছেন, দল নির্বাচন পুরোপুরি টিম ম্যানেজমেন্টের সিদ্ধান্ত।
‘কে খেলবে আর কে খেলবে না, সেটা পুরোপুরি দলের সিদ্ধান্ত। আমি প্রস্তুত আছি, আর যখনই প্রয়োজন হবে, ইনশাআল্লাহ যে কোনো ভূমিকায় খেলতে আমি তৈরি,’ যোগ করেন আকবর। রাজশাহী ওয়ারিয়র্সের তারকাবহুল স্কোয়াডে উইকেটকিপিংয়ের দায়িত্ব পালনের সম্ভাবনা রয়েছে অভিজ্ঞ মুশফিকুর রহিমের।
বিষয়টি নিয়ে আকবর বলেন, ‘মুশফিক ভাই দলে থাকাটা অবশ্যই বড় আশীর্বাদ। তার কাছ থেকে শেখার অনেক কিছু আছে এবং আমি মনে করি প্রতিটি খেলোয়াড়ই তার কাছ থেকে কিছু না কিছু শিখতে পারে।
আমরাও চেষ্টা করবো যতটা সম্ভব তার অভিজ্ঞতা থেকে নেয়ার।’
বিপিএল শুরু হওয়ার আগে আকবরের এই আত্মবিশ্বাস ও প্রস্তুতি রাজশাহীর জন্য হতে পারে বাড়তি শক্তি। ভূমিকা যাই হোক না কেন, দলকে অবদান রাখতে প্রস্তুত তরুণ এই উইকেটরক্ষক ব্যাটার।
বিপিএলের চূড়ান্ত সময়সূচি
সিলেট পর্ব
২৬ ডিসেম্বর: সিলেট-রাজশাহী, দুপুর ৩টা
নোয়াখালী-চট্টগ্রাম, সন্ধ্যা ৭:৪৫
২৭ ডিসেম্বর: ঢাকা-রাজশাহী, দুপুর ১টা
সিলেট-নোয়াখালী, সন্ধ্যা ৬টা
২৯ ডিসেম্বর: রংপুর-চট্টগ্রাম, দুপুর ১টা
রাজশাহী-নোয়াখালী, সন্ধ্যা ৬টা
৩০ ডিসেম্বর: সিলেট-চট্টগ্রাম, দুপুর ১টা
ঢাকা-রংপুর, সন্ধ্যা ৬টা
১ জানুয়ারি: সিলেট-ঢাকা, দুপুর ১টা
রংপুর-রাজশাহী, সন্ধ্যা ৬টা
২ জানুয়ারি: ঢাকা-চট্টগ্রাম, দুপুর ২টা
সিলেট-রংপুর, সন্ধ্যা ৭টা
চট্টগ্রাম পর্ব
৫ জানুয়ারি: রংপুর-ঢাকা, দুপুর ১টা
চট্টগ্রাম-রাজশাহী, সন্ধ্যা ৬টা
৬ জানুয়ারি: নোয়াখালী-সিলেট, দুপুর ১টা
চট্টগ্রাম-রংপুর, সন্ধ্যা ৬টা
৮ জানুয়ারি: সিলেট-রংপুর, দুপুর ১টা
রাজশাহী-ঢাকা, সন্ধ্যা ৬টা
৯ জানুয়ারি: চট্টগ্রাম-নোয়াখালী, দুপুর ২টা
রাজশাহী-সিলেট, সন্ধ্যা ৭টা
১১ জানুয়ারি: রংপুর-নোয়াখালী, দুপুর ১টা
চট্টগ্রাম-ঢাকা, সন্ধ্যা ৬টা
১২ জানুয়ারি: রাজশাহী-রংপুর, দুপুর ১টা
নোয়াখালী-ঢাকা, সন্ধ্যা ৬টা
ঢাকা পর্ব (চূড়ান্ত পর্ব)
১৫ জানুয়ারি: ঢাকা-নোয়াখালী, দুপুর ১টা
চট্টগ্রাম-সিলেট, সন্ধ্যা ৬টা
১৬ জানুয়ারি: নোয়াখালী-রাজশাহী, দুপুর ২টা
ঢাকা-সিলেট, সন্ধ্যা ৭টা
১৭ জানুয়ারি: রাজশাহী-চট্টগ্রাম, দুপুর ১টা
নোয়াখালী-রংপুর, সন্ধ্যা ৬টা
নক-আউট ও ফাইনাল
১৯ জানুয়ারি: এলিমিনেটর (৩য় স্থান বনাম ৪র্থ স্থান), দুপুর ১টা;
১৯ জানুয়ারি: কোয়ালিফায়ার ১ (১ম স্থান বনাম ২য় স্থান), সন্ধ্যা ৬টা
২১ জানুয়ারি: কোয়ালিফায়ার ২ (১ম কোয়ালিফায়ারে পরাজিত বনাম এলিমিনেটর বিজয়ী), সন্ধ্যা ৬টা
২৩ জানুয়ারি: ফাইনাল (১ম কোয়ালিফায়ার বিজয়ী বনাম ২য় কোয়ালিফায়ার বিজয়ী), সন্ধ্যা ৬টা