অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপ
ওপেনার সামির মিনহাসের রেকর্ড সেঞ্চুরিতে অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপের শিরোপা জিতেছে পাকিস্তান যুব দল। রোববার,(২১ ডিসেম্বর ২০২৫) যুব এশিয়া কাপের ফাইনালে পাকিস্তান ১৯১ রানের বড় ব্যবধানে হারায় চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ভারতকে। এর আগে ২০১২ সালে প্রথম ও শেষবার যুব এশিয়া কাপের শিরোপা জিতেছিল পাকিস্তান। ওই আসরের ফাইনাল ম্যাচের স্কোর টাই হওয়ায় ভারতের সঙ্গে শিরোপা ভাগাভাগি করেছিল পাকিস্তান।
দুবাইয়ে আইসিসি একাডেমি মাঠে টস হেরে প্রথমে ব্যাট করতে নামে পাকিস্তান।
মিনহাসের সেঞ্চুরিতে (১৭৭) ৫০ ওভারে ৮ উইকেটে ৩৪৭ রানের বড় সংগ্রহ পায়।
উদ্বোধনী জুটিতে ৩১ রান যোগ হওয়ার পর বিচ্ছিন্ন হন উইকেটরক্ষক হামজা জাহুর, ১৮ রান করে। দ্বিতীয় উইকেটে উসমান খানকে নিয়ে ৯২ রান যোগ করেন মিনহাস। ৩৫ রান করে ফিরেন উসমান। এই জুটিতেই ২৯ বলে হাফ-সেঞ্চুরির দেখা পান মিনহাস।
তৃতীয় উইকেটে আহমেদ হুসেনকে নিয়ে শতরানের জুটি ও ব্যক্তিগত শতরান পূর্ণ করেন মিনহাস, ৭১ বলে । ৩৮তম ওভারে দলীয় ২৬০ রানে আউট হন হুসেন ৫৬ রান করে। দলের রান ৩শ’ পার করে থামেন মিনহাস। ১৭টি চার ও ৯টি ছক্কায় ১১৩ বলে ১৭২ রান করেন তিনি। চলতি আসরে গ্রুপ পর্বে মালয়েশিয়ার বিপক্ষে অপরাজিত ১৭৭ রানের ইনিংস খেলেছিলেন মিনহাস। মালয়েশিয়ার ওয়ানডে স্বীকৃতি না থাকায় ওই ম্যাচটি যুব ওয়ানডের স্বীকৃতি পায়নি।
রেকর্ড ইনিংসে যুব ওয়ানডেতে পাকিস্তানের হয়ে সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত রানের ইনিংসের মালিক হয়েছেন মিনহাস। গত বছরের এশিয়া কাপে ভারতের বিপক্ষে ১৫৯ রানের ইনিংস খেলেছিলেন শাহজাইব খান। এছাড়া অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপের ফাইনালে সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত ইনিংসের রেকর্ডও গড়েছেন সামির। এতে ভেঙে গেছে স্বদেশী সামি আসলামের রেকর্ড। ২০১২ সালের ফাইনালে ১৩৪ রানের ইনিংস খেলেছিলেন আসলাম।
যুব এশিয়া কাপে এটি পাকিস্তানের সর্বোচ্চ রান। এমনকি যুব এশিয়া কাপের ফাইনালেও সর্বোচ্চ দলীয় রান। আগেরটি ছিল ভারতের। ২০১৪ আসরে পাকিস্তানের বিপক্ষে ৮ উইকেটে ৩১৪ রান করেছিল ভারত। বল হাতে দিপেশ দেবান্দ্রন ৩ উইকেট নেন।
৩৪৮ রানের টার্গেটে ব্যাটিংয়ে নেমে প্রথম দুই ওভারে ৩২ রান তোলার পর পাকিস্তানের তিন পেসারের তোপে ৮২ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে খাদের কিনারায় পড়ে যায় ভারত। পেসার আলি রাজা, মোহাম্মদ সায়েম ও আব্দুল সুবহান ২টি করে উইকেট নেন।
শেষ পর্যন্ত ২৬.২ ওভারে ১৫৬ রানে অলআউট হয় ভারত। দশ নম্বরে ব্যাট হাতে নেমে সর্বোচ্চ ৩৬ রান করেন দিপেশ। এছাড়া ওপেনার বৈভব সূর্যবংশী ১০ বলে ২৬ ও খিলান প্যাটেল ১৯ রান করেন।
৪২ রানে ৪ উইকেট নিয়ে পাকিস্তানের সফল বোলার ছিলেন রাজা। ২টি করে উইকেট নেন সায়েম ও সুবহান। ম্যাচ ও সিরিজসেরা হন মিনহাস। পুরো আসরে ৪৭১ রান করেছেন তিনি।
এই আসরে ‘বি’ গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়ে সেমিফাইনালে উঠে বাংলাদেশ। গ্রুপ পর্বে তিন ম্যাচের তিনটিতেই জিতেছিল জুনিয়র টাইগাররা। এরপর সেমিতে পাকিস্তানের কাছে ৮ উইকেটে হেরে টুর্নামেন্ট থেকে বিদায় নেয় গত দুই আসরের (২০২৩, ২০২৪) চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ।