নিজেদের মাঠে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে টানা চতুর্থ অ্যাশেজ সিরিজ জিতেছে অস্ট্রেলিয়া। সিরিজের প্রথম দুই টেস্ট ৮ উইকেটের একই ব্যবধানে জয়ের পর, তৃতীয় ম্যাচে ইংল্যান্ডকে ৮২ রানে হারিয়েছে অস্ট্রেলিয়া।
ফলে পাঁচ ম্যাচের সিরিজে ৩-০ ব্যবধানে এগিয়ে সিরিজ জয় নিশ্চিত করেছে অজিরা। নিজেদের মাঠে ২০১৩, ২০১৭ ও ২০২১ সালে সর্বশেষ চার অ্যাশেজ সিরিজ জিতেছিল অস্ট্রেলিয়া।
পার্থে প্রথম টেস্ট শেষ হয়েছিল দু’দিনে। ব্রিসবেনে দ্বিতীয় টেস্ট শেষ হয়েছিল চার দিনে। অ্যাডিলেডের তৃতীয় টেস্টে অবশ্য লড়াই হলো পাঁচ দিন। সবমিলিয়ে দু’টেস্ট বাকি থাকতে ১১ দিনের লড়াইয়েই সিরিজ জিতে নিলো অস্ট্রেলিয়া।
এ নিয়ে টানা পাঁচ সিরিজে অ্যাশেজ নিজেদের দখলে রাখলো অস্ট্রেলিয়া। এর মধ্যে তিনটিতে জয় ও দু’টিতে ড্র করেছে অজিরা। সর্বশেষ ২০১৫ সালে ঘরের মাঠে অ্যাশেজ জিতেছিল ইংল্যান্ড।
অ্যাডিলেড টেস্ট জয়ের মঞ্চ চতুর্থ দিন শেষে তৈরি করে রেখেছিল অস্ট্রেলিয়া। তৃতীয় টেস্ট জিততে ম্যাচের পঞ্চম ও শেষ দিন অস্ট্রেলিয়ার দরকার পড়ে ৪ উইকেট এবং ইংল্যান্ডের প্রয়োজন ছিল ২২৮ রান। অস্ট্রেলিয়ার ছুঁড়ে দেয়া ৪৩৫ রানের জবাবে চতুর্থ দিন শেষে ৬ উইকেটে ২০৭ রান করেছিল ইংল্যান্ড।
রোববার,(২১ ডিসেম্বর ২০২৫) পঞ্চম দিন বাকি ৪ উইকেটে ১৪৫ রান যোগ করে ৩৫২ রানে অলআউট হয় ইংল্যান্ড।
জেমি স্মিথ ২ এবং উইল জ্যাকস ১১ রান নিয়ে পঞ্চম দিনের খেলা শুরু করেন। সপ্তম হাফ-সেঞ্চুরির স্বাদ নেয়া স্মিথকে শিকার করে অস্ট্রেলিয়াকে দিনের প্রথম সাফল্য এনে দেন বাঁহাতি পেসার মিচেল স্টার্ক। ৭টি চার ও ২টি ছক্কায় ৮৩ বলে ৬০ রান করেন স্মিথ। সপ্তম উইকেটে ৯১ রানের জুটি গড়েন স্মিথ ও জ্যাকস। অষ্টম উইকেটে ব্রাইডন কার্স-জ্যাকস ৫২ রানের জুটি গড়ে ইংল্যান্ডের হারের ব্যবধান কমান। হাফ-সেঞ্চুরির সম্ভাবনা জাগিয়ে ৪৭ রানে স্টার্কের বলে আউট হন জ্যাকস।
দলীয় ৩৩৭ রানে জ্যাকস ফেরার পর বেশি দূর যেতে পারেনি ইংল্যান্ড। ৩৫২ রানে অলআউট হয় ইংলিশরা।
৩৯ রানে অপরাজিত থাকেন কার্স। এই ইনিংসে ইংল্যান্ডের হয়ে সর্বোচ্চ ৮৫ রান করেন ওপেনার জ্যাক ক্রলি।
বল হাতে অস্ট্রেলিয়ার স্টার্ক-কামিন্স ও নাথান লিঁও ৩টি করে উইকেট নেন। দুই ইনিংসে যথাক্রমে ১০৬ ও ৭২ রানের সঙ্গে ম্যাচে ৬ উইকেট নিয়ে সেরা খেলোয়াড় হয়েছেন অস্ট্রেলিয়ার উইকেটরক্ষক অ্যালেক্স ক্যারি।
আগামী ২৬ ডিসেম্বর মেলবোর্নে সিরিজের চতুর্থ টেস্ট।