image

বিতর্কমুক্ত বিপিএল হবে এবার, সংক্ষিপ্ত উদ্বোধনী অনুষ্ঠান

মঙ্গলবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৫
ক্রীড়া বার্তা পরিবেশক

আগামী শুক্রবার থেকে সিলেটে শুরু হচ্ছে বিপিএলের দ্বাদশ আসর। টুর্নামেন্ট শুরুর সম্ভাব্য সময়েও বদল আনা হয়েছে দফায় দফায়। আরও অনেক সিদ্ধান্তই বদলে গেছে গত কিছুদিনে বারবার। সোমবার মওলানা ভাসানী হকি স্টেডিয়ামে বিএসজেএ মিডিয়া ক্রিকেট টুর্নামেন্টের ফাইনাল শেষে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিলের সদস্যসচিব ইফতেখার রহমান মিঠু বলেন, ‘দেশের পরিস্থিতির কারণে ঘণ্টায় ঘণ্টায় পরিকল্পনা বদলাতে হচ্ছে আমাদের। ২৬ তারিখে ম্যাচের দিন ছোট করে করবো। কারণ বাংলাদেশ দল তো (বিশ্বকাপ খেলতে) চলে যাচ্ছে জানুয়ারির শেষে। সুতরাং সূচিতে হাত দেয়ার কোনো সুযোগই নাই। ২৬ তারিখেই আমরা ছোট করে অনুষ্ঠান করবো। ওই দিন শুক্রবার, সুতরাং অনুষ্ঠান ২টা ১৫ তে শুরু করতে হচ্ছে, সেজন্য খেলাটা তিনটার সময় করে দেয়া হয়েছে।’ প্রথম ম্যাচের আগে ও দুই ম্যাচের মাঝের সময়টায় সেই উদ্বোধনী আয়োজন হবে। ছোট পরিসরের আয়োজনে কী কী থাকবে, তা জানালেন গর্ভনিং কাউন্সিলের সদস্যসচিব।

দুই ম্যাচের মাঝে আঞ্চলিক সব গান নিয়ে একটা অনুষ্ঠান হবে মাঠেই। মাঠেই মঞ্চ করে হবে।’

‘প্রথম আয়োজনটি ১৫ মিনিটের মতো হবে। কারণ আমাদের সময় নেই। অন্তত আধ ঘণ্টা দিতে হয় দলগুলিকে গা গরম করতে। আড়াইটার মধ্যে আমাদের শেষ করতে হবে। জুমার নামাজের পরে ২টা ১৫-তে শুরু করে ১৫ মিনিটের মধ্যে এটা শেষ করা হবে। পরে দুই খেলার মাঝখানে যে সময়টা আছে, সেখানে ৪৫ মিনিটের ওই ছোট অনুষ্ঠানটা করবো।’

নানা কারণে কলঙ্কিত গত আসরের পর এবার বিতর্কমুক্ত বিপিএল আয়োজনের চেষ্টার কথা বারবার বলছেন বিসিবি কর্তারা। এটির অংশ হিসেবেই ফিক্সিংয়ের থাবা থেকে টুর্নামেন্টকে দূরে রাখতে নানা পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে। ইফতেখার জানান, কোনো ফাঁক এখানে তারা রাখতে চাচ্ছেন না।

‘অ্যালেক্স মার্শাল বলে দিয়েছে, এই ব্যাপারে আমাদের জিরো টলারেন্স এবং তার গাইডলাইন অনুযায়ী আমাদের চলতে হবে। এই দুই-তিন দিন আগেও দলের মালিকপক্ষদের সঙ্গে বসেছিলেন। আমাদের যে পিএমও (প্লেয়ার্স অ্যান্ড ম্যাচ অফিসিয়ালস) অ্যাকসেস, এটাকে ছোট করে আনা হয়েছে। ২৫টা করে চেক করার পরে ২৫টা করে অ্যাক্রিডিটেশন কার্ড দেয়া হচ্ছে।’

‘অ্যান্টি করাপশন বলেন, আর ইন্টেগ্রিটি ইউনিট বলেন, তারা কিন্তু সত্যিই কঠিন পরিস্থিতি তৈরি করবে এবং তাদের নির্দেশনা হচ্ছে এরকম। পাশাপাশি আপনারা জানেন যে, আমরা আইসিসি থেকেও অ্যান্টি করাপশন ম্যানেজারদের আনছি। আমাদের ইউনিটও থাকবে, আইসিসির অ্যান্টি করাপশন ইউনিটও থাকবে। এছাড়াও কালকে সিআইডির সঙ্গে কালকে একটা বড় মিটিং হয়েছে, একটা এমওইউ (মেমোরেন্ডাম অব আন্ডারস্ট্যান্ডিং) হচ্ছে, সিআইডির লোকজনও থাকবে।’

আইসিসি ও বিসিবির দুর্নীতি দমন কর্তারা থাকার পরও সিআইডির কাজ কী, সেটি ব্যাখ্যা করলেন ইফতেখার।

‘খেলা’ : আরও খবর

সম্প্রতি