টানা চার মৌসুমে বিপিএল খেলতে এলেন খুশদিল শাহ। খেলে গেছেন ঢাকা প্রিমিয়ার লিগেও। রংপুর রাইডার্সের পাকিস্তানি অলরাউন্ডার হাসিমুখে বললেন, ভালো লাগে বলেই বাংলাদেশে নিয়মিত খেলতে আসেন তিনি।
বিপিএলে নিজের প্রথম দুই মৌসুমে খুশদিল খেলেছেন কুমিল্লায়। গত মৌসুম থেকে বিপিএলে নেই কুমিল্লা। তবে খুশদিল ঠিকই আছেন। আলিঙ্গন করে নিয়েছেন তিনি রংপুরকে।
গত মৌসুমে ১০ ম্যাচ খেলে তার ব্যাটিং গড় ছিল প্রায় ৬০, স্ট্রাইক রেট ছিল ১৭৫.২৯। বল হাতে ওভারপ্রতি মাত্র ৬.০৩ রান দিয়ে উইকেট নিয়েছিলেন ১৭টি। এমন কার্যকর একজন অলরাউন্ডারকে হারাতে চায় কোন দল! এবারও নিলামের আগেই তাকে নিশ্চিত করে নিয়েছে রংপুর। দলের সঙ্গেও যোগও দিয়েছেন তিনি । নতুন মৌসুমের রংপুরের সঙ্গে প্রথম অনুশীলনের ফাঁকে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে খুশদিল বলেন, ভালোবাসার টানেই তিনি খেলতে আসেন এদেশে। ‘বাংলাদেশে ৮-৯ বছর ধরেই আসছি। খুব ভালো লাগছে। যদি ভালো না লাগতো, তাহলে হয়তো আসতাম না।’ ‘আমি এখানে যে দলেই খেলেছি, পারফর্ম করেছি। এটা (বিপিএল) আমার জন্য সৌভাগ্যের। গত বছরও এখানে খেলে ভালো পারফর্ম করেছি বলে পাকিস্তান দলে ফিরতে পেরেছিলাম। আমার চেষ্টা থাকবে এই বছরও ভালো পারফর্ম করতে ও দলকে জেতাতে।’
গত সেপ্টেম্বরে এশিয়া কাপের পর সীমিত ওভারের ক্রিকেটে কোনো ধরনের ম্যাচ খেলেননি খুশদিল। গত অক্টোবর-নভেম্বরে তিনি ব্যস্ত ছিলেন পাকিস্তারে ঘরোয়া প্রথম শ্রেণীর ক্রিকেটের আসর কায়েদ-ই-আজম ট্রফিতে। তবে সেই টুর্নামেন্টেও আগ্রাসী রূপেই দেখা গেছে তাকে। ২৫৭ বলে ২০৬ রানের ইনিংস খেলেছেন, ১৫০ বলে ১৫৯ করেছেন। আরেক ম্যাচে আউট হয়েছেন ১০৯ বলে ৯৫ রান করে।
সেই ফর্মকেই তিনি বয়ে আনতে চান বিপিএলে। টি-টোয়েন্টিতে যদিও তিনি খেলেন মূলত ফিনিশার হিসেবে। দল বিপদে পড়লেই কেবল আগেভাগে ক্রিজে যাওয়ার সুযোগ মেলে তার। কাজটা তাই কঠিন। তবে সেই চ্যালেঞ্জকেই তিনি আপন করে নিয়েছেন।
‘আমি যেখানেই যাই, ক্লাব ক্রিকেট খেলি বা ঘরোয়া ক্রিকেট কিংবা লীগ ক্রিকেট বা আন্তর্জাতিক, আমার একটি লক্ষ্য থাকে, পারফর্ম করা। এবারও পারফর্ম করেছি। ঘরোয়া ক্রিকেটে ডাবল সেঞ্চুরি, দেড়শ, ফিফটি করেছি। বেশ ভালো অবস্থায় আছি। এটাই চেষ্টা থাকে, যেখানেই সুযোগ হোক না কেন, দলের জন্য যেন খেলতে পারি।’
‘যেখানেই খেলতে যাই, নিজের লক্ষ্য থাকে, লক্ষ্য ঠিক করে নেই। যে পজিশনেই আমার সুযোগ হয় আমার পজিশন সাধারণত একটু ঝামেলাপূর্ণ হয়। এজন্য চেষ্টা থাকে, যে দলের হয়েই খেলি, যত দ্রুত সম্ভব যেন মানিয়ে নিতে পারি। সেভাবেই নিজেকে সামনে এগিয়ে নিতে চাই।’
‘আমি স্ট্রাইক রেট কখনও দেখি না। ম্যাচের পরিস্থিতি অনুযায়ী ব্যাট করি। উইকেট অনেক সময় কঠিন থাকে, তখন ৩০-৩৫ বলে ৪০-৫০ রান করেন, তখন সেটাই দলের জন্য সেরা হয়। কখনও আবার ২০০ কিংবা ২২০ রান তাড়া করতে হয়, তখন ওই গতিতেই ছুটতে হয়। তবে আমি স্ট্রাইক রেট দেখি না। ম্যাচের পরিস্থিতি বিবেচনা করি। আমার এখনও জানা নেই, আমার স্ট্রাইক রেট কত বা কেমন।’
অর্থ-বাণিজ্য: নির্বাচনের প্রার্থীদের জন্য শনিবার সব ব্যাংক খোলা থাকবে