গতকাল শুক্রবার রাতে আগে ব্যাট করে ১৭৪ রান করে চট্টগ্রাম। জবাবে স্রেফ ১০৯ রানে গুটিয়ে যায় নোয়াখালী।
খেলা জিতলেও গভীর অনিশ্চয়তায় পড়ে যাওয়ার কয়েক ঘণ্টা নিয়ে কথা বলেন শেখ মেহেদী, ‘ব্যবস্থাপনা যদি ভালো না থাকে, ক্রিকেটাররা তো একটু আমরা যেহেতু আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার, এই পরিবেশটা তো মূলত এরকম পরিবেশ কোনো ফ্র্যাঞ্চাইজিতে আমি পাইনি। আমার জন্য কঠিন ছিল।’‘পরিস্থিতি যেমনই হোক, খেলার ভেতর ঢুকলে তো সবটুকু প্রচেষ্টা থাকবে খেলা নিয়ে। এরকমই ছিল আমাদের। চেষ্টা ছিল, মাঠে ঢুকলে যেন আমরা সবাই যথাযথ তাড়না দেখাতে পারি।’
চট্টগ্রামের ফ্র্যাঞ্চাইজির মালিকানায় ছিল ‘ট্রায়াঙ্গেল সার্ভিসেস লিমিটেড’। তারাই নিলামে দল সাজায়। খেলা শুরুর আগের দিন সরে যাওয়ায় খেলোয়াড়রা পারিশ্রমিক নিয়ে চিন্তায় পড়ে যান। বিসিবি দায়িত্ব নিলেও নিলামে পাওয়া মূল্য নিয়ে তৈরি হয় দোলাচল। এসব নিয়ে দুশ্চিন্তা থাকায় অস্বস্তি থাকলেও মাঠে নেমে নিজেদের কাজটা পেশাদারিত্ব দিয়ে করতে চেয়েছেন ক্রিকেটাররা, ‘যতই ঝড়-তুফান যাক না কেন, খেলা তো মাঠের ভেতরে। আপনি যখন ২২ গজে ঢুকবেন, মানসিকতা তখন খেলার জন্যই থাকবে।’
‘এটা একটু কঠিন ছিল, তবে যেটা বললাম, দিনশেষে ক্রিকেট খেলা। আমরা তাড়াতাড়ি মানিয়ে নিয়েছি, এটাই গুরুত্বপূর্ণ ছিল। ক্রিকেটার হিসেবে স্বস্তির একটা ব্যাপার থাকে। এটা খেলার ভেতরে (টুর্নামেন্ট চলার সময়) হতে পারত। খেলা শুরুর আগেই সমাধান হওয়ায় ক্রিকেটারদের জন্য ভালো হয়েছে।’
একদিক থেকে অবশ্য ইতিবাচক দিক দেখছেন শেখ মেহেদী। টুর্নামেন্টে দুই-এক ম্যাচ যাওয়ার পর এমন না হয়ে আগেই সব ঝামেলা মিটে যাওয়া ভালো মনে করছেন তিনি, ‘খেলার মাঝপথে এমন একটি দুর্ঘটনা হতে পারতো। খেলা শুরুর আগেই শেষ হয়ে গেছে এটা। সবাই এখন ফ্রেশ আছে। কারও ওপর চাপ নেই, মানসিকভাবে ফ্রি আছে।’
আর্থিক সংকটে একজনও বিদেশি আনতে পারছিল না চট্টগ্রাম। বিসিবি দায়িত্ব নেয়ার পর তড়িঘড়ি নিয়ে আসা হয় পাকিস্তানি মির্জা বেগ আর আফগানিস্তানের মাসুদ গুরবাজকে। দুজনের কেউই পরিচিত মুখ না, মাসুদ রাহমানুল্লাহ গুরবারের ভাই হিসেবে পরিচিতি। মির্জাকে কেউই তেমন চেনেন না। সেই মির্জা ৬৯ বলে ৮০ রানের ইনিংস খেলে ম্যাচসেরা।চট্টগ্রাম অধিনায়ক জানালেন পরের ম্যাচ থেকে আরও দুজন বিদেশি পাওয়ার আশায় আছেন তারা, ‘আশা করি, পরের ম্যাচ থেকে আমরা চারজন বিদেশি নিয়ে খেলতে পারবো। তাহলে দলের ব্যালান্স আরও ভালো হবে। তবে এটা তো আমাদের হাতে নেই। বর্তমানে যারা অফিসিয়াল আছেন, তারা হয়তো সিদ্ধান্ত নিতে পারবে।’