image
চট্টগ্রামকে ১০২ রানে অলআউট করার পর প্যাভিলিয়নে ফেরার পথে ফাহিমের শুকরিয়া আদায়

জয় দিয়ে বিপিএল শুরু রংপুরের

ফাহিম আশরাফের ৫ উইকেট

সোমবার, ২৯ ডিসেম্বর ২০২৫
ক্রীড়া বার্তা পরিবেশক

পাকিস্তানের পেসার ফাহিম আশরাফের বোলিং নৈপুণ্যে বিপিএলের দ্বাদশ আসর জয় দিয়ে শুরু করলো রংপুর রাইডার্স। সোমবার,(২৯ ডিসেম্বর ২০২৫) নিজেদের প্রথম ম্যাচে রংপুর ৭ উইকেটে হারিয়েছে চট্টগ্রাম রয়্যালসকে। গত আসরে ফরচুন বরিশালের শিরোপা জয়ে বড় অবদান রাখা ফাহিম আশরাফ এবার নতুন দলের হয়ে শুরু করলেন পুরোনো রূপেই। এবারের বিপিএলে ৫ উইকেট শিকারি প্রথম বোলার তিনি। মোস্তাফিজুর রহমান, আলিস আল ইসলাম ও সুফিয়ান মুকিমও ছিলেন উজ্জ্বল। ফাহিম ১৭ রানে ৫ উইকেট নেন।

সিলেট স্টেডিয়ামে টস হেরে প্রথমে ব্যাটিং পাওয়া চট্টগ্রাম ৩ রানে ওপেনার এডাম রসিংটনকে (১ রান) হারায় । এরপর ৪২ রানের জুটি গড়েন আরেক ওপেনার মোহাম্মদ নাঈম ও মির্জা বেগ। পঞ্চম ওভারে নাঈমকে শিকার করে জুটি ভাঙেন রংপুরের পেসার মোস্তাফিজুর রহমান। ৭ চার ও ১ ছক্কায় ২০ বলে ৩৯ রান করেন নাঈম।

৪৫ রানে নাঈম ফেরার পর, নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারায় চট্টগ্রাম। চট্টগ্রামের মিডল অর্ডারে ধস নামান রংপুরের ফাহিম। এতে ১৭.৫ ওভারে ১০২ রানে গুটিয়ে যায় চট্টগ্রাম। চট্টগ্রামের হয়ে মাত্র তিন ব্যাটার দুই অঙ্কের কোটা পার করেন। নাঈমের সর্বোচ্চ ৩৯ রানের পর মির্জা ২০ ও আবু হায়দার ১৩ রান করেন। ৩.৫ ওভার বল করে ১৭ রানে ৫ উইকেট নেন ফাহিম। স্বীকৃত টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারে চতুর্থবারের মতো ইনিংসে ৫ উইকেট নিলেন তিনি। এছাড়া মোস্তাফিজ ১৯ রানে ২টি উইকেট নেন।

জবাব দিতে নেমে উড়ন্ত সূচনা করে রংপুর। ১২ ওভারে ৯১ রান তুলে ফেলেন দুই ওপেনার ডেভিড মালান ও লিটন দাস। ১৩তম ওভারের প্রথম বলে রংপুরের উদ্বোধনী জুটি ভাঙেন চট্টগ্রামের পেসার মুকিদুল ইসলাম। ৪টি চার ও ২টি ছক্কায় ৩১ বলে ৪৭ রান করেন লিটন। নতুন ব্যাটার হিসেবে ক্রিজে এসে ১ রানে আউট হন তাওহিদ হৃদয়।

দলের জয় থেকে ২ রান দূরে থাকতে আউট হন মালান। তার আগে ৪৫ বলে টি-টোয়েন্টিতে ক্যারিয়ারে ৭৩তম হাফ-সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন তিনি। ৫টি চার ও ২টি ছক্কায় ৪৮ বলে ৫১ রান করেন মালান। এরপর ১৫তম ওভারের শেষ বলে ছক্কা মেরে রংপুরের জয় নিশ্চিত করেন খুশদিল শাহ। ৪ বলে ৬ রানে খুশদিল ও মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ ১ রানে অপরাজিত থাকেন। চট্টগ্রামের মুুকিদুল ২টি উইকেট নেন।

সংক্ষিপ্ত স্কোর: চট্টগ্রাম রয়্যালস ১৭.৫ ওভারে ১০২ (নাঈম ৩৯, মির্জা ২০, আবু হায়দার ১৩; নাহিদ ১/৩৩, ফাহিম ৩.৫-০-১৭-৫, আলিস ১/১৭, মোস্তাফিজ ২/১৯, মুকিম ১/১২)।

রংপুর রাইডার্স ১৫ ওভারে ১০৭/৩ (মালান ৫১, লিটন ৪৭; জয় ১/৩০, মুকিদুল ২/৫)। ম্যাচসেরা: ফাহিম আশরাফ।

আমার যা আছে, সেটুকুই করার চেষ্টা করি: ফাহিম

ম্যান অব দ্য ম্যাচ ৩১ বছল বয়সী ক্রিকেটার ফাহিম আশরাফ ম্যাচ শেষে বলেন, বাড়তি কিছুর চেষ্টা করেননি তিনি।

‘আমার পরিকল্পনা স্রেফ সিম্পল। আমাদের দলীয় পরিকল্পনা কন্ডিশন বুঝে সেভাবেই বল করা। আমরা সেটিই করেছি।’

‘যেটি বললাম, আমাদের পরিকল্পনা ছিল সিম্পল। আমার বোলিংয়ের পরিকল্পনাও সিম্পল। আমার যা আছে, সেটুকুই করার চেষ্টা করি। আজকেও তা করেছি।’

শক্তি-সামর্থ্য আর অভিজ্ঞতার দিক থেকে এবারের বিপিএলে রংপুর রাইডার্সের ধারে কাছে নেই কোনো দল। গত বিপিএলে ফরচুন বরিশালের শিরোপা জয়ে বড় অবদান রাখা ক্রিকেটার নতুন দলে এসেও খুব খুশি। ‘এটা আমাদের জন্য ভালো যে অনেক অভিজ্ঞ ক্রিকেটার আছে আমাদের। মাহমুদউল্লাহ, মালান, আরও অনেকে আছে। এটা আমাদের জন্য দারুণ।’

‘খেলা’ : আরও খবর

সম্প্রতি