পিএসজির হয়ে অবিশ্বাস্য এক মৌসুম কাটিয়ে এবং দলকে ট্রেবল জিতিয়ে ২০২৫ সেরা ফুটবলারের স্বীকৃতি আগেই দুই মঞ্চে পেয়েছেন উসমান দেম্বেলে। এবার পেলেন আরেকটি। ব্যালন ডি’অর ও ফিফার বর্ষসেরা পুরুষ ফুটবলারের পুরস্কার জয়ের পর, এবার তিনি জিতলেন গ্লোব সকার অ্যাওয়ার্ডে বর্ষসেরা পুরুষ ফুটবলারের স্বীকৃতি।
গতকাল রোববার দুবাইয়ে এক অনুষ্ঠানে ফরাসি উইঙ্গারের হাতে বছরের সেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কার তুলে দেয়া হয়। স্বদেশি ফরোয়ার্ড রেয়াল মাদ্রিদের কিলিয়ান এমবাপ্পে, ক্লাব সতীর্থ পর্তুগিজ মিডফিল্ডার ভিতিনিয়া, বার্সেলোনার দুই ফরোয়ার্ড ব্রাজিলের রাফিনিয়া ও স্পেনের লামিনে ইয়ামালকে হারিয়ে পুরস্কারটি জয় করেন তিনি।
এর আগে সর্বশেষ ২০১৭ সালে ক্রিস্তিয়ানো রোনালদো একই বছরে ব্যালন ডি’অর, দ্য বেস্ট ফিফা মেন্স প্লেয়ার অ্যাওয়ার্ড ও গ্লোব সকার অ্যাওয়ার্ড জিতেছিলেন। সাত বছর পর মহাতারকার ব্যক্তিগত সাফল্যের পুনরাবৃত্তি করলেন দেম্বেলে।
ক্যারিয়ারের সাফল্যে ভরা অধ্যায়টা উপভোগ করছেন ২৮ বছর বয়সী ফরোয়ার্ড। তবে আরেকটি সেরার পুরস্কার হাতে নিয়ে আগের মতোই বলেন, তার কাছে সবার ওপরে দল। ‘এসব ব্যক্তিগত ট্রফি জিততে পেরে আমি খুশি। তবে আমি সব সময় বলি, সবার আগে দল এবং আমি আমার পরিবারের সবাইকে এবং এখানে উপস্থিত আমার দুই বন্ধু মুস্তাফা দিয়াতা ও দায়ত উপামেকানোকে ধন্যবাদ জানাতে চাই।’
‘২০২৫ সালের প্রতিটি মুহূর্ত আমি উপভোগ করছি। বাস্তবিক অর্থেই আমি ব্যক্তিগত পর্যায়ের সব ট্রফিই জিতেছি এবং জীবনের সেরা সময় কাটাচ্ছি।’
পিএসজির প্রথম চ্যাম্পিয়ন্স লীগ ট্রফি জয়ের আসরে ৮টিসহ সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে ৩৫ গোল করেন দেম্বেলে, ৫৩ ম্যাচ খেলে। এছাড়া সরাসরি গোলে সহায়তা করেন ১৬টিতে।
গত মৌসুমে ক্লাবের হয়ে তিনি আরও জেতেন লীগ আঁ ও ফরাসি কাপ। এছাড়া এক ম্যাচের শিরোপা লড়াই ফরাসি সুপার কাপেও জয়সূচক একমাত্র গোলটি করেন সাবেক বার্সেলোনা ফরোয়ার্ড।
দেম্বেলে ও পিএসজির সাফল্যময় যাত্রা চলছে নতুন মৌসুমেও; গত আগস্টে উয়েফা সুপার কাপ ও কিছুদিন আগে ফিফা ইন্টারকন্টিনেন্টাল কাপ জিতে, মোট ছয়টি ট্রফি নিয়ে বছর শেষ করেছে প্যারিসের দলটি।
রোনালদোর অবসরের আগে হাজার গোলের ইচ্ছা পুনর্ব্যক্ত
পর্তুগালের অধিনায়ক ক্রিস্তিয়ানো রোনালদো অবসরের আগে ক্যারিয়ারে ১,০০০ গোল করার লক্ষ্যের কথা আবারও জানিয়েছেন। আল নাসর-এর ফরোয়ার্ড রোনালদো গত শনিবার আল অখদুদের বিপক্ষে ৩-০ গোলের জয়ে নিজের ক্যারিয়ারের ৯৫৬তম গোলটি করেন। পর্তুগালের হয়ে ২২৩ ম্যাচে ১৪১ গোল করে তিনি আন্তর্জাতিক ফুটবলে সর্বোচ্চ গোলদাতার রেকর্ড ধরে রেখেছেন।
৪০ বছর বয়সী এই তারকার আল নাসর-এর সঙ্গে চুক্তির মেয়াদ এখনও দুই বছর বাকি রয়েছে। তিনি ২০২৬ বিশ্বকাপে পর্তুগালকে নেতৃত্ব দেবেন। এখানেই থামার কোনো ইচ্ছা তার নেই বলে আবারও স্পষ্ট করেছেন রোনালদো।
গতকাল রোববার দুবাইয়ে গ্লোব সকার অ্যাওয়ার্ডসে ‘মধ্য প্রাচ্যের সেরা খেলোয়াড়’ নির্বাচিত হওয়ার পর রোনালদো বলেন, ‘খেলা চালিয়ে যাওয়া কঠিন, কিন্তু আমি অনুপ্রাণিত। আমার আবেগ এখনও প্রবল এবং আমি চালিয়ে যেতে চাই।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমার আবেগ খুবই প্রবল এবং আমি খেলা চালিয়ে যেতে চাই। আমি কোথায় খেলি, সেটা বড় বিষয় নয়, মধ্যপ্রাচ্য হোক বা ইউরোপ। আমি সবসময় ফুটবল খেলতে উপভোগ করি এবং এগিয়ে যেতে চাই। তোমরা জানো আমার লক্ষ্য কী। আমি শিরোপা জিততে চাই এবং সেই সংখ্যায় (১,০০০ গোল) পৌঁছাতে চাই, যা তোমরা সবাই জানো। ইনজুরি না হলে আমি নিশ্চিতভাবেই সেখানে পৌঁছাবো।’
আল অখদুদের বিপক্ষে গোল করার মাধ্যমে রোনালদো টানা তৃতীয় বছর এবং ক্যারিয়ারে ১৪তম বারের মতো এক ক্যালেন্ডার বছরে ৪০ গোলের মাইলফলক স্পর্শ করেন। চলতি মৌসুমে সৌদি পেশাদার লীগে এখন পর্যন্ত ১০ ম্যাচে তিনি ১২ গোল করেছেন, যা জুভেন্টাসে থাকার সময়ের ব্যক্তিগত রেকর্ডের সমান।