বিশ্বকাপ ফুটবল বাছাই পর্ব
তারকা খেলোয়াড় নেইমার দ্বিতীয় প্রচেষ্টায় পেনাল্টি থেকে গোল করে ব্রাজিলকে বিশ্বিকাপ ফুটবলের বাছাই পর্বে ইকুয়েডরের বিপক্ষে দারুন এক জয় এনে দিয়েছেন। তার ও রিচার্লিসনের করা গোলের সাহায্যে ব্রাজিল ২-০ গোলে হারিয়েছে ইকুয়েডরকে। এর ফলে ব্রাজিল বাছাই পর্বে জয়ের শতভাগ ধারা এবং তালিকার শীর্ষে স্থান ধরে রাখতে সক্ষম হলো।
প্রথমার্ধের খেলা গোলশূন্যভাবে শেষ হওয়ার পর দ্বিতীয়ার্ধে রিচার্লিসনের গোলে লিড নেয় ব্রাজিল। নেইমারের পাস থেকে বল পেয়ে গোলটি করেন রিচার্লিসন। ম্যাচের শেষ দিকে পেনাল্টি থেকে দ্বিতীয় গোল করে নেইমার দলের জয় নিশ্চিত করেন। ভিএআর দেখে রেফারি পেনাল্টির সিদ্ধান্ত দেন। রেফারি অ্যালেক্সিস হেরেরা প্রথম দিয়েছিলেন ফ্রি কিক। গ্যাব্রিয়েল জেসুসকে অ্যাঞ্জেলো প্রিসিয়াডো ফাউল করলে রেফারি এ সিদ্ধান্ত দেন। পরে ভিএআর দেখে সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করে দেন পেনাল্টি। নেইমারের নেয়া পেনাল্টি সহজেই ফিরিয়ে দেন ইকুয়েডরের গোলরক্ষক আলেকজান্ডার ডোমেনগুয়েজ সহজেই নেইমারের পেনাল্টি শট বাচিয়ে দেন। ইকুয়েডর কাউন্টার অ্যাটাকে যাওয়ার পর রেফারি বাশি বাজিয়ে খেলা বন্ধ করে আবার পেনাল্টি মারার নির্দেশ দেন। নেইমার পেনাল্টি মারার আগেই গোলরক্ষক ডোমেনগুয়েজ সামনে এগিয়ে যাওয়ায় সেটি বাতিল হয়ে যায় এবং পুনরায় পেনাল্টি মারার নির্দেশ দেয়া হয়। দ্বিতীয়বার আর ভুল করেননি নেইমার। এবার তিনি ঠিকই বল জালে পাঠান।
এ ম্যাচ জিতে ৫ ম্যাচ থেকে ১৫ পয়েন্ট সংগ্রহ করেছে ব্রাজিল। তাদের চেয়ে চার পয়েন্ট কম নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে আর্জেন্টিনা। ৯ পয়েন্ট নিয়ে তৃতীয় ইকুয়েডর। ব্রাজিল শুরু থেকেই ম্যাচে প্রাধান্য বজায় রেখে খেলেছে। প্রথম ১৫ মিনিট বল তাদের দখলে ছিল ৭৫ ভাগ সময়। কিন্তু তারা এ সময়ে গোলের কোন সুযোগ সৃষ্টি করতে পারেনি। তারা ২০ মিনিটে প্রথম সুযোগ পায়। নেইমারের ফ্রি কিক থেকে রিচার্লিসনের নেয়া শট পোস্ট ঘেসে বাইরে যায়। এর পর পরই গ্যাব্রিয়েল জেসুসের শট বাচিয়ে দেন গোলরক্ষক ডোমেনগুয়েজ।
ইকুয়েডর চেষ্টা করে শারীরিক শক্তি প্রয়োগ করে খেলতে। আগের তিন ম্যাচে ১৩ গোল করা ইকুয়েডর চেষ্টা করেছিল এ ম্যাচেও শারীরিক শক্তি প্রয়োগ করে প্রতিপক্ষের রক্ষণভাগে আতঙ্ক ছড়াতে। কিন্তু ব্রাজিলের খেলোয়াড়রা ব্যক্তিগত নৈপুন্যে অনেক এগিয়ে থাকায় তাদের পক্ষে সেটা সম্ভব হয়নি। বিরতির তিন মিনিট আগে দানিলোর ক্রস থেকে বল পেয়ে সেটি জালে পাঠিয়েছিলেন জেসুস। কিন্তু অফসাইডের কারণে সেটা বাতিল হয়ে যায়।
ইকুয়েডর চেষ্টা করেছিল আচমকা দূরপাল্লার শটে বল জালে পাঠাতে। কিন্তু গোলরক্ষক অ্যালিসনকে পরাস্ত করা তাদের পক্ষে সম্ভব হয়নি। ব্রাজিল ৬৪ মিনিটে করে প্রথম গোল। রিচার্লিসনের কোনাকুনি শটে হাত লাগিয়েও ডোমেনগুয়েজ তা প্রতিহত করতে পারেনি। এর পর একের পর এক আক্রমণ করে যেতে থাকে ব্রাজিল। তবে ডোমেনগুয়েজ বেশ দৃঢ়তার পরিচয় দেন এ সময়ে। এছাড়া ব্যর্থতার পরিচয় দেন জেসুসও। তবে শেষ দিকে ভিএআর নিয়ে ঘটা ঘটনা শিরোনামে জায়গা করে নেয়। চার মিনিট ধরে রিপ্লে দেখে ফ্রি কিকের সিদ্ধান্ত বদলে দেয়া হয় পেনাল্টি। সেটিও মারা হয় দুই বার।
ব্রাজিল মঙ্গলবার তাদের পরবর্তী ম্যাচে খেলবে প্যারাগুয়ের বিপক্ষে। অপর দিকে একই দিন ইকুয়েডর নিজেদের মাঠে খেলবে পেরুর সাথে।
ইপেপার
জাতীয়
সারাদেশ
আন্তর্জাতিক
নগর-মহানগর
খেলা
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
শিক্ষা
অর্থ-বাণিজ্য
সংস্কৃতি
ক্যাম্পাস
মিডিয়া
অপরাধ ও দুর্নীতি
রাজনীতি
শোক ও স্মরন
প্রবাস
নারীর প্রতি সহিংসতা
বিনোদন
সম্পাদকীয়
উপ-সম্পাদকীয়
মুক্ত আলোচনা
চিঠিপত্র
পাঠকের চিঠি
বিশ্বকাপ ফুটবল বাছাই পর্ব
শনিবার, ০৫ জুন ২০২১
তারকা খেলোয়াড় নেইমার দ্বিতীয় প্রচেষ্টায় পেনাল্টি থেকে গোল করে ব্রাজিলকে বিশ্বিকাপ ফুটবলের বাছাই পর্বে ইকুয়েডরের বিপক্ষে দারুন এক জয় এনে দিয়েছেন। তার ও রিচার্লিসনের করা গোলের সাহায্যে ব্রাজিল ২-০ গোলে হারিয়েছে ইকুয়েডরকে। এর ফলে ব্রাজিল বাছাই পর্বে জয়ের শতভাগ ধারা এবং তালিকার শীর্ষে স্থান ধরে রাখতে সক্ষম হলো।
প্রথমার্ধের খেলা গোলশূন্যভাবে শেষ হওয়ার পর দ্বিতীয়ার্ধে রিচার্লিসনের গোলে লিড নেয় ব্রাজিল। নেইমারের পাস থেকে বল পেয়ে গোলটি করেন রিচার্লিসন। ম্যাচের শেষ দিকে পেনাল্টি থেকে দ্বিতীয় গোল করে নেইমার দলের জয় নিশ্চিত করেন। ভিএআর দেখে রেফারি পেনাল্টির সিদ্ধান্ত দেন। রেফারি অ্যালেক্সিস হেরেরা প্রথম দিয়েছিলেন ফ্রি কিক। গ্যাব্রিয়েল জেসুসকে অ্যাঞ্জেলো প্রিসিয়াডো ফাউল করলে রেফারি এ সিদ্ধান্ত দেন। পরে ভিএআর দেখে সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করে দেন পেনাল্টি। নেইমারের নেয়া পেনাল্টি সহজেই ফিরিয়ে দেন ইকুয়েডরের গোলরক্ষক আলেকজান্ডার ডোমেনগুয়েজ সহজেই নেইমারের পেনাল্টি শট বাচিয়ে দেন। ইকুয়েডর কাউন্টার অ্যাটাকে যাওয়ার পর রেফারি বাশি বাজিয়ে খেলা বন্ধ করে আবার পেনাল্টি মারার নির্দেশ দেন। নেইমার পেনাল্টি মারার আগেই গোলরক্ষক ডোমেনগুয়েজ সামনে এগিয়ে যাওয়ায় সেটি বাতিল হয়ে যায় এবং পুনরায় পেনাল্টি মারার নির্দেশ দেয়া হয়। দ্বিতীয়বার আর ভুল করেননি নেইমার। এবার তিনি ঠিকই বল জালে পাঠান।
এ ম্যাচ জিতে ৫ ম্যাচ থেকে ১৫ পয়েন্ট সংগ্রহ করেছে ব্রাজিল। তাদের চেয়ে চার পয়েন্ট কম নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে আর্জেন্টিনা। ৯ পয়েন্ট নিয়ে তৃতীয় ইকুয়েডর। ব্রাজিল শুরু থেকেই ম্যাচে প্রাধান্য বজায় রেখে খেলেছে। প্রথম ১৫ মিনিট বল তাদের দখলে ছিল ৭৫ ভাগ সময়। কিন্তু তারা এ সময়ে গোলের কোন সুযোগ সৃষ্টি করতে পারেনি। তারা ২০ মিনিটে প্রথম সুযোগ পায়। নেইমারের ফ্রি কিক থেকে রিচার্লিসনের নেয়া শট পোস্ট ঘেসে বাইরে যায়। এর পর পরই গ্যাব্রিয়েল জেসুসের শট বাচিয়ে দেন গোলরক্ষক ডোমেনগুয়েজ।
ইকুয়েডর চেষ্টা করে শারীরিক শক্তি প্রয়োগ করে খেলতে। আগের তিন ম্যাচে ১৩ গোল করা ইকুয়েডর চেষ্টা করেছিল এ ম্যাচেও শারীরিক শক্তি প্রয়োগ করে প্রতিপক্ষের রক্ষণভাগে আতঙ্ক ছড়াতে। কিন্তু ব্রাজিলের খেলোয়াড়রা ব্যক্তিগত নৈপুন্যে অনেক এগিয়ে থাকায় তাদের পক্ষে সেটা সম্ভব হয়নি। বিরতির তিন মিনিট আগে দানিলোর ক্রস থেকে বল পেয়ে সেটি জালে পাঠিয়েছিলেন জেসুস। কিন্তু অফসাইডের কারণে সেটা বাতিল হয়ে যায়।
ইকুয়েডর চেষ্টা করেছিল আচমকা দূরপাল্লার শটে বল জালে পাঠাতে। কিন্তু গোলরক্ষক অ্যালিসনকে পরাস্ত করা তাদের পক্ষে সম্ভব হয়নি। ব্রাজিল ৬৪ মিনিটে করে প্রথম গোল। রিচার্লিসনের কোনাকুনি শটে হাত লাগিয়েও ডোমেনগুয়েজ তা প্রতিহত করতে পারেনি। এর পর একের পর এক আক্রমণ করে যেতে থাকে ব্রাজিল। তবে ডোমেনগুয়েজ বেশ দৃঢ়তার পরিচয় দেন এ সময়ে। এছাড়া ব্যর্থতার পরিচয় দেন জেসুসও। তবে শেষ দিকে ভিএআর নিয়ে ঘটা ঘটনা শিরোনামে জায়গা করে নেয়। চার মিনিট ধরে রিপ্লে দেখে ফ্রি কিকের সিদ্ধান্ত বদলে দেয়া হয় পেনাল্টি। সেটিও মারা হয় দুই বার।
ব্রাজিল মঙ্গলবার তাদের পরবর্তী ম্যাচে খেলবে প্যারাগুয়ের বিপক্ষে। অপর দিকে একই দিন ইকুয়েডর নিজেদের মাঠে খেলবে পেরুর সাথে।