অস্ট্রেলিয়ার তাসমানিয়ায় বসন্তের শুরুতে হিমশীতল বৃষ্টির সঙ্গে অস্বাভাবিকভাবে নিম্ন তাপমাত্রা স্থানীয়দের অবাক করতে পারে, কিন্তু এমন বৈরি আবহাওয়া নিয়ে মোটেই চিন্তিত নন বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক সাকিব আল হাসান।
বিশ্বকাপের আগে নিউজিল্যান্ডে ত্রিদেশীয় সিরিজের অভিজ্ঞতা যেকোন আবহাওয়া মোকাবিলায় আত্মবিশ্বাসী করে তুলেছে সাকিবকে।
যদিও নিউজিল্যান্ডে ত্রিদেশীয় সিরিজে চার ম্যাচ খেলে সবগুলোতেই হেরেছে বাংলাদেশ। সেখানে মাইনাস ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস খেলে এমন পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য প্রস্তুত টাইগাররা।
ম্যাচের আগে সাকিব বলেছেন, ‘আমি মনে করি আমাদের প্রস্তুতি খুবই ভালো হয়েছে। ছেলেরা সবাই সুস্থ আছে, খেলার জন্য প্রস্তুত। নিউজিল্যান্ডের চারটি ম্যাচের অভিজ্ঞতা আমাদের জন্য খুব সহায়ক হবে, কারণ হোবার্টের আবহাওয়া নিউজিল্যান্ডের মতোই।’
তিনি আরও বলেন, ‘ছেলেরা প্রস্তুত, কালকের ম্যাচ নিয়ে সবাই উত্তেজিত। আশা করছি, আমরা ভালো পারফরমেন্স করতে পারবো।’
সাকিবের মতে, নেদারল্যান্ডসকে হালকাভাবে নেয়া উচিত নয়। কারণ কঠিন গ্রুপ থেকে সুপার টুয়েলভে এসেছে তারা।
তিনি বলেন, ‘তারা যোগ্য দল হিসেবে এখানে এসেছে। তাদেরকে সহজ প্রতিপক্ষ ভাবার কোন কারণ নেই। কে ভালো, কে খারাপ পৃথিবীর কোন দলই এভাবে ভাবে না। সব দল নিজেদের ভালোর জন্য সব চেষ্টাই করে।’
যদিও অধিনায়ক সাকিব আল হাসান দাবি করেছেন, এই বিশ্বকাপে তার দল এমন কিছু করে দেখাবে, যা বাংলাদেশ আগে কখনও করতে পারেনি।
২০০৭ সালে প্রথমবারের মতো টি-২০ বিশ্বকাপ খেলে বাংলাদেশ। ওই আসরে ক্যারিবীয়দের হারিয়ে হইচই ফেলে দেয়া লাল-সবুজ জার্সিধারীরা এই মঞ্চে সুপার টুয়েলভে কখনোই জয়ের মুখ দেখেনি। এমন পরিসংখ্যানে বাংলাদেশকে নিয়ে খুব বেশি প্রত্যাশা করা বেশ কঠিন। তবে টি-২০ বিশ্বকাপের অতীত অভিজ্ঞতা সুখকর না হলেও বাংলাদেশ অধিনায়কের নিজেদের সামর্থ্যের ওপর আস্থা রয়েছে।
রোববার ম্যাচপূর্ব সংবাদ সম্মেলনে অধিনায়ক সাকিব আল হাসান বলেছেন, ‘এটা এমন একটা ফরম্যাট যেখানে আমরা কখনও ভালো করিনি। বিশ্বাস করি এই বিশ্বকাপে আমাদের এমন কিছু করার সামর্থ্য আছে, যেটা এর আগে কোনও বিশ্বকাপে করিনি।’
সাকিব ২০০৭ সাল থেকে সব বিশ্বকাপেই খেলেছেন। তারপরও দলসহ তিনি নিজে ব্যর্থতার বৃত্তই ঘুরপাক খাচ্ছেন। ক্যারিয়ারের শেষলগ্নে এসে সাকিবের জন্য চ্যালেঞ্জের অনেক কিছুই থাকার কথা। কিন্তু তিনি সেসব পাত্তা দিচ্ছেন না, ‘এটাই একটা মজার বিষয় আপনার কথামতো একটা চ্যালেঞ্জ আছে। যদিও আমি কখনও এরকম চিন্তা করিনি যে আমার একটা চ্যালেঞ্জ আছে বা আমার কিছু প্রমাণ করতে হবে। এখানে আমরা একটা বিশ্বকাপ খেলতে এসেছি, এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।’
আগামীকাল হোবাটে বাংলাদেশ প্রথম ম্যাচ খেলবে। শুরুতে শ্রীলঙ্কাকে পাওয়ার সম্ভাবনা থাকলেও শেষ পর্যন্ত নেদারল্যান্ডই সঙ্গী হয়েছে। সহযোগী সদস্য দেশকে প্রথম ম্যাচে পাওয়ার পর সামাজিক মাধ্যমগুলোতে ভক্তদের মধ্যে স্বস্তির সুবাতাস। তবে এই স্বস্তিকে মিডিয়ার তৈরি হিসেবে দেখছেন সাকিব, ‘আমাদের দলের যে ধরনের চিন্তাভাবনা, কখনও এভাবে প্রস্তুতি নেই না এবং আমার মনেও হয় না পৃথিবীর কোনও দল এভাবে চিন্তা করে। সবসময় চেষ্টা করে দলকে জেতানোর জন্য। আমাদের দলের ভেতর ওরকম কোনও অনুভূতি নাই। সেটা যদি শ্রীলঙ্কা কিংবা ওয়েস্ট ইন্ডিজ আসতো, তাহলেও যে প্রস্তুতি নিতাম, অন্য দলের সঙ্গেও একই প্রস্তুতি নেবো। আপনি যেটা বললেন স্বস্তি কিনা, দেশে ওরকম একটা আলোচনা চলছে। এটা অবশ্যই মিডিয়ার তৈরি করা।’
সাকিব এক্ষেত্রে নেদারল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচটিকে অন্য সব ম্যাচের মতোই দেখছেন, ‘দেখুন এখানে বিশ্বকাপে আমাদের যে পাঁচটা ম্যাচ আছে। এই পাঁচটা ম্যাচের প্রস্তুতি নিয়ে এসেছি। এখানে যার সঙ্গেই খেলি, প্রস্তুতি একই থাকবে। এবং সেটাই থাকা উচিত। সেটা নেদারল্যান্ড, দক্ষিণ আফ্রিকা, ইন্ডিয়া, পাকিস্তান অথবা জিম্বাবুয়ের সঙ্গে একই থাকবে। প্রস্তুতিতে বদল আসবে না, চিন্তাতেও কোনও পরিবর্তন আসবে না। তারা কিন্তু কোয়ালিফাই করেই এসেছে। এই পারসেপশনটা হয়তো আপনারাই তৈরি করেছেন যে নেদারল্যান্ড আসাতে বাংলাদেশ দল স্বস্তিবোধ করছে।’
রোববার, ২৩ অক্টোবর ২০২২
অস্ট্রেলিয়ার তাসমানিয়ায় বসন্তের শুরুতে হিমশীতল বৃষ্টির সঙ্গে অস্বাভাবিকভাবে নিম্ন তাপমাত্রা স্থানীয়দের অবাক করতে পারে, কিন্তু এমন বৈরি আবহাওয়া নিয়ে মোটেই চিন্তিত নন বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক সাকিব আল হাসান।
বিশ্বকাপের আগে নিউজিল্যান্ডে ত্রিদেশীয় সিরিজের অভিজ্ঞতা যেকোন আবহাওয়া মোকাবিলায় আত্মবিশ্বাসী করে তুলেছে সাকিবকে।
যদিও নিউজিল্যান্ডে ত্রিদেশীয় সিরিজে চার ম্যাচ খেলে সবগুলোতেই হেরেছে বাংলাদেশ। সেখানে মাইনাস ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস খেলে এমন পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য প্রস্তুত টাইগাররা।
ম্যাচের আগে সাকিব বলেছেন, ‘আমি মনে করি আমাদের প্রস্তুতি খুবই ভালো হয়েছে। ছেলেরা সবাই সুস্থ আছে, খেলার জন্য প্রস্তুত। নিউজিল্যান্ডের চারটি ম্যাচের অভিজ্ঞতা আমাদের জন্য খুব সহায়ক হবে, কারণ হোবার্টের আবহাওয়া নিউজিল্যান্ডের মতোই।’
তিনি আরও বলেন, ‘ছেলেরা প্রস্তুত, কালকের ম্যাচ নিয়ে সবাই উত্তেজিত। আশা করছি, আমরা ভালো পারফরমেন্স করতে পারবো।’
সাকিবের মতে, নেদারল্যান্ডসকে হালকাভাবে নেয়া উচিত নয়। কারণ কঠিন গ্রুপ থেকে সুপার টুয়েলভে এসেছে তারা।
তিনি বলেন, ‘তারা যোগ্য দল হিসেবে এখানে এসেছে। তাদেরকে সহজ প্রতিপক্ষ ভাবার কোন কারণ নেই। কে ভালো, কে খারাপ পৃথিবীর কোন দলই এভাবে ভাবে না। সব দল নিজেদের ভালোর জন্য সব চেষ্টাই করে।’
যদিও অধিনায়ক সাকিব আল হাসান দাবি করেছেন, এই বিশ্বকাপে তার দল এমন কিছু করে দেখাবে, যা বাংলাদেশ আগে কখনও করতে পারেনি।
২০০৭ সালে প্রথমবারের মতো টি-২০ বিশ্বকাপ খেলে বাংলাদেশ। ওই আসরে ক্যারিবীয়দের হারিয়ে হইচই ফেলে দেয়া লাল-সবুজ জার্সিধারীরা এই মঞ্চে সুপার টুয়েলভে কখনোই জয়ের মুখ দেখেনি। এমন পরিসংখ্যানে বাংলাদেশকে নিয়ে খুব বেশি প্রত্যাশা করা বেশ কঠিন। তবে টি-২০ বিশ্বকাপের অতীত অভিজ্ঞতা সুখকর না হলেও বাংলাদেশ অধিনায়কের নিজেদের সামর্থ্যের ওপর আস্থা রয়েছে।
রোববার ম্যাচপূর্ব সংবাদ সম্মেলনে অধিনায়ক সাকিব আল হাসান বলেছেন, ‘এটা এমন একটা ফরম্যাট যেখানে আমরা কখনও ভালো করিনি। বিশ্বাস করি এই বিশ্বকাপে আমাদের এমন কিছু করার সামর্থ্য আছে, যেটা এর আগে কোনও বিশ্বকাপে করিনি।’
সাকিব ২০০৭ সাল থেকে সব বিশ্বকাপেই খেলেছেন। তারপরও দলসহ তিনি নিজে ব্যর্থতার বৃত্তই ঘুরপাক খাচ্ছেন। ক্যারিয়ারের শেষলগ্নে এসে সাকিবের জন্য চ্যালেঞ্জের অনেক কিছুই থাকার কথা। কিন্তু তিনি সেসব পাত্তা দিচ্ছেন না, ‘এটাই একটা মজার বিষয় আপনার কথামতো একটা চ্যালেঞ্জ আছে। যদিও আমি কখনও এরকম চিন্তা করিনি যে আমার একটা চ্যালেঞ্জ আছে বা আমার কিছু প্রমাণ করতে হবে। এখানে আমরা একটা বিশ্বকাপ খেলতে এসেছি, এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।’
আগামীকাল হোবাটে বাংলাদেশ প্রথম ম্যাচ খেলবে। শুরুতে শ্রীলঙ্কাকে পাওয়ার সম্ভাবনা থাকলেও শেষ পর্যন্ত নেদারল্যান্ডই সঙ্গী হয়েছে। সহযোগী সদস্য দেশকে প্রথম ম্যাচে পাওয়ার পর সামাজিক মাধ্যমগুলোতে ভক্তদের মধ্যে স্বস্তির সুবাতাস। তবে এই স্বস্তিকে মিডিয়ার তৈরি হিসেবে দেখছেন সাকিব, ‘আমাদের দলের যে ধরনের চিন্তাভাবনা, কখনও এভাবে প্রস্তুতি নেই না এবং আমার মনেও হয় না পৃথিবীর কোনও দল এভাবে চিন্তা করে। সবসময় চেষ্টা করে দলকে জেতানোর জন্য। আমাদের দলের ভেতর ওরকম কোনও অনুভূতি নাই। সেটা যদি শ্রীলঙ্কা কিংবা ওয়েস্ট ইন্ডিজ আসতো, তাহলেও যে প্রস্তুতি নিতাম, অন্য দলের সঙ্গেও একই প্রস্তুতি নেবো। আপনি যেটা বললেন স্বস্তি কিনা, দেশে ওরকম একটা আলোচনা চলছে। এটা অবশ্যই মিডিয়ার তৈরি করা।’
সাকিব এক্ষেত্রে নেদারল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচটিকে অন্য সব ম্যাচের মতোই দেখছেন, ‘দেখুন এখানে বিশ্বকাপে আমাদের যে পাঁচটা ম্যাচ আছে। এই পাঁচটা ম্যাচের প্রস্তুতি নিয়ে এসেছি। এখানে যার সঙ্গেই খেলি, প্রস্তুতি একই থাকবে। এবং সেটাই থাকা উচিত। সেটা নেদারল্যান্ড, দক্ষিণ আফ্রিকা, ইন্ডিয়া, পাকিস্তান অথবা জিম্বাবুয়ের সঙ্গে একই থাকবে। প্রস্তুতিতে বদল আসবে না, চিন্তাতেও কোনও পরিবর্তন আসবে না। তারা কিন্তু কোয়ালিফাই করেই এসেছে। এই পারসেপশনটা হয়তো আপনারাই তৈরি করেছেন যে নেদারল্যান্ড আসাতে বাংলাদেশ দল স্বস্তিবোধ করছে।’