কাতার বিশ্বকাপের ১৬ রাউন্ডের খেলা নিশ্চিত করেছে ইংল্যান্ড। রোববার (৪ ডিসেম্বর) তারা সেনেগালের মুখোমুখি হবে। ইংল্যান্ড পুরো পথ যেতে পারলে ফাইনালে যাওয়ার পথে কোয়ার্টার ফাইনালে ফ্রান্স এবং সেমিফাইনালে পর্তুগাল বা স্পেনের মুখোমুখি হতে পারে। গ্যারেথ সাউথগেটের ইংল্যান্ড সেটা করতে পারে কিনা ব্রাজিল বা আর্জেন্টিনার বিপক্ষে একটি ফাইনাল অপেক্ষা করছে।

রোববার প্রথম ম্যাচে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন ফ্রান্স মুখোমুখি হবে ও পোল্যান্ড (রাত ৯টায়)। দ্বিতীয় ম্যাচে ইংল্যান্ড লড়বে সেনেগালের বিপক্ষে রাত ১টায় ।

২০২২ বিশ্বকাপের গ্রুপ পর্ব সম্পূর্ণ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ইংল্যান্ডসহ প্রতিটি দলের জন্য ফাইনালে যাওয়ার পথগুলি এখন পর্যন্ত যতটা পরিষ্কার ছিল।

চূড়ান্ত ১৬টি দল শিখেছে যে তারা যে ড্রতে আছে এবং তারা পরবর্তী রাউন্ডে কার মুখোমুখি হবে, কিছু দল স্বাভাবিকভাবেই অন্যদের তুলনায় বেশি সুবিধাজনক ড্র অর্জন করেছে।

২০১৮ সালের ফাইনাল এবং ইউরো ২০২০ ফাইনালের জন্য ইংল্যান্ডের অনুকূল পথের জন্য অনেক কিছু তৈরি করা হয়েছিল, কিন্তু জিনিসগুলো সম্ভবত এবারের মতো সহজ হবে না। স্পোর্টসমেল ইংল্যান্ডের সম্ভাব্য এবং বিশ্বকাপের ফাইনালে যাওয়ার সম্ভাব্য পথ দেখেছে যদি তারা ৬০ বছরের মধ্যে প্রথমবারের মতো জুলেস রিমেট ট্রফি জিততে চায় তবে তাদের জয় করতে হবে।

গত মঙ্গলবার ইংল্যান্ডের শেষ ১৬ ম্যাচ নিশ্চিত হয়েছিল যখন গ্রুপ এ এবং বি শেষ হয়েছিল, সেনেগালের বিপক্ষে প্রথমবারের মতো কার্ডেটাই হয়েছিল।

সেনেগাল আগের দিন গ্রুপ এ-তে দ্বিতীয় হয়েছিল, ইকুয়েডরের বিরুদ্ধে সংকীর্ণ ২-১ ব্যবধানে জয় নিশ্চিত করেছে এবং আফ্রিকান দলই অপেক্ষা করছিল যে তারা কে খেলবে তা দেখার জন্য।

ওয়েলসের বিপক্ষে মার্কাস রাশফোর্ডের একটি জোড়া এবং ফিল ফোডেনের একটি স্ট্রাইক নিশ্চিত করেছে যে ইংল্যান্ড গ্রুপ বি শীর্ষে রয়েছে এবং টাই সেট করেছে।

সেনেগালকে হারাতে পারলে ইংল্যান্ড আবারও বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালে নিজেদের খুঁজে পাবে এবং সেখানে তারা ফ্রান্স বা পোল্যান্ডের মুখোমুখি হবে।

অনেকেই বিশ্বাস করেছিলেন যে গ্যারেথ সাউথগেটের দল টুর্নামেন্ট শুরু হওয়ার আগে ফ্রান্সের সঙ্গে দেখা করবে এবং মনে হচ্ছে জিনিসগুলি সেভাবেই শেষ হবে।

তারা তাদের চূড়ান্ত গ্রুপ খেলায় তিউনিসিয়ার কাছে হেরেছে কিন্তু শীর্ষস্থানটি সুরক্ষিত ছিল এবং ম্যানেজার দিদিয়ের ডেসচ্যাম্পস পরিবর্তনগুলো করেছিলেন।

তবে তারা দেখতে একটি ভাল তেলযুক্ত মেশিন এবং কাতারে তাদের পরাজিত করা ইংল্যান্ডের জন্য একটি বিশাল কাজ হবে।

ইংল্যান্ড যদি টুর্নামেন্টের কোয়ার্টার ফাইনালে সেনেগাল এবং ফ্রান্স উভয়কেই হারাতে পারে, তাহলে সেমিফাইনালে তারা সম্ভবত স্পেন বা পর্তুগালের মুখোমুখি হবে, যা হবে টানা একটি বড় টুর্নামেন্টে তাদের তৃতীয় সেমিফাইনাল।

মরক্কো এবং সুইজারল্যান্ডের বিরুদ্ধে যথাক্রমে তাদের শেষ ১৬ টাই জয়ের জন্য উভয়ই ফেভারিট এবং শেষ আটে তারা কিছুটা ডার্বিতে মুখোমুখি হবে।

উভয় পক্ষই থ্রি লায়নদের জন্য একটি কঠিন কাজ প্রমাণ করবে, কিন্তু আপনি যদি সেরা হতে চান তবে আপনাকে সেরাটিকে হারাতে হবে।