image

???? ?????? ????????

স্বপ্না, ছোটন, আঁখিদের ফুটবল ছাড়াকে ‘স্বাভাবিক’ বলে উড়িয়ে দিলেন সালাউদ্দিন

সোমবার, ২৯ মে ২০২৩
সংবাদ অনলাইন রিপোর্ট

সাফ জয়ী স্বপ্নার পর কোচ ছোটন এবং আঁখির ফুটবল থেকে অভিমান নিয়ে সরে যাওয়াকে একটি স্বাভাবিক প্রক্রিয়া বলে উড়িয়ে দিলেন বাফুফে সভাপতি কাজী মো. সালাউদ্দিন। তার মতে, ‘একজন যাবেন, একজন আসবেন। এটাই নিয়ময়।’ মেয়েদের চলে যাওয়াকে তিনি নিছক ব্যক্তিগত বিষয় উল্লেখ করে বলেন, ‘মেয়েরা যারা গিয়েছে, তাদের ব্যক্তিগত বিষয় তো আছেই।’

আজ সোমবার বিকেলে এক সভা শেষে সংবাদিকদের প্রশ্নে উত্তরে তিনি এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, ‘ম্যারাডোনা নেই, মেসি আসছেন। আবার মেসি চলে যাবেন। এটাই তো নিয়ম। এটা একটা প্রক্রিয়া।’

নারী ফুটবলের প্রধান কোচ ছোটনের পদত্যাগের বিষয় জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘তিনি (ছোটন) আজই আনুষ্ঠানিকভাবে পদত্যাগ করেছেন। আমরা আগামী বোর্ড সভায় এ বিষয়ে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেবো।’

তিনি আরও বলেন,‘কোচ রিজাইন (পদত্যাগ) করবেন। আরেকজন আসবেন। তিনি আবার রিজাইন করবেন। কিংবা স্যাক হবে। গোটা পৃথিবী এভাবেই তো চলছে’

আজ সোমবার বিকেলে জরুরি সভায় বসেছিল বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের নির্বাহী কমিটি। যেখানে একমাত্র এজেন্ডা ছিল নারী ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগ।

সভার পর বাফুফে সভাপতি কাজী মো. সালাউদ্দিন বলেন, ‘আজ আমরা লিগ শুরুর একটা তারিখ ঠিক করেছি। এই লিগটার অনেক চাহিদা। মেয়েদের, গণমাধ্যমের। সিদ্ধান্ত নিয়েছি লিগটা করবো। ১০ জুন লিগ শুরু হবে। ১২ দিনের লিগ। ফাইনালসহ ১৩টা ম্যাচ। এ সময় করতে না পারলে ফিফা উইন্ডো থাকবে না, বিদেশি খেলোয়াড় পাওয়া যাবে না। এজন্য এ সময়ের মধ্যেই করবো। এই লিগে অংশ নেবে চারটি দল।’

লিগের আয়োজক কে-স্পোর্টসের সঙ্গে আগের দেনা-পাওনা নিয়ে টানাপোড়েন ছিল বাফুফের। বাফুফের মধ্যেই একটা পক্ষ চেয়েছিল কে-স্পোর্টসকে যেন এই দায়িত্ব দেওয়া না হয়।

তবে বাফুফের জরুরি সভায় কে-স্পোর্টসকে মাত্র এক আসরের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। কাজী মো. সালাউদ্দিন বলেন, ‘আমরা আপাতত এক বছরের জন্য পরীক্ষামূলক কে-স্পোর্টসকে অনুমতি দিয়েছি। যদি দেখি লিগটা সফলভাবে হয়েছে তাহলে পাঁচ থেকে দশ বছরের জন্য দরপত্র করে কোনো প্রতিষ্ঠানকে দায়িত্ব দেবো।’

এই লিগের সবকিছুই করবে কে-স্পের্টস। প্রতিষ্ঠানটি বাফুফেকে দেবে ২০ লাখ টাকা। এই টাকা নারী অনূর্ধ্ব-১৭ দলের খেলোয়াড়দের দেওয়ার কথা বলেছেন বাফুফে সভাপতি, ‘আমি বোর্ডকে অনুরোধ করেছি এই টাকা অনূর্ধ্ব-১৭ মেয়েদের দলকে দিতে। কারণ চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর ওই দলকে আমরা আর্থিক সুবিধা দিতে পারিনি।’

সম্প্রতি