alt

opinion » editorial

সড়ক-মহাসড়ক টেকসই হয় না কেন

: বৃহস্পতিবার, ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩

নেত্রকোনার দুর্গাপুর উপজেলার বিরিশিরি-শ্যামগঞ্জ আঞ্চলিক মহাসড়কের প্রায় ছয় কিলোমিটার চলাচলের অনুপোযোগী হয়ে পড়েছে। ভারী যানবাহন চলাচলের কারণে মহাসড়কে তৈরি হয়েছে খানাখন্দ। দীর্ঘদিন ধরে জরাজীর্ণ অবস্থায় থাকলেও তা সংস্কার করা হয়নি। ফলে এই সড়ক দিয়ে চলাচলকারী মানুষের দুর্ভোগ চরমে উঠেছে। এ নিয়ে গত বুধবার সংবাদ-এ সচিত্র প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।

সড়ক-মহাসড়ক চলাচলের অনুপোযোগী হলে কেবল যে মানুষের যাতায়াতে কষ্ট হয় তা নয়। জরাজীর্ণ সড়কের কারণে প্রায়ই দুর্ঘটনা ঘটে, যানবাহন বিকল হয়, তৈরি হয় যানজট। কেবল বিরিশিরি-শ্যামগঞ্জ আঞ্চলিক মহাসড়কই নয়, দেশের আরো অনেক সড়ক-মহাসড়কই রয়েছে বেহাল অবস্থায়। গণমাধ্যমে বিভিন্ন সময় এ নিয়ে খবর প্রকাশিত হয়। সড়ক দুর্ঘটনার অন্যতম একটি কারণ হচ্ছে এর জরাজীর্ণ অবস্থা।

দেশে সড়ক অবকাঠামো উন্নয়নে অনেক অর্থ ব্যয় করা হয়। দুর্ভাগ্যজনক বিষয় হচ্ছে- সড়কগুলো নির্মাণের পর টেকসই হয় না। নির্মাণের পর দেশের অনেক সড়ক-মহাসড়কই মেয়াদ পূর্ণ করতে পারে না। নির্মাণের পর বছর না ঘুরতেই ভেঙে যায়।

সড়ক-মহাসড়ক টেকসই না হওয়ার অন্যতম একটি কারণ হচ্ছে, ভারী যানবাহন চলাচল। দেশের অনেক সড়কই ভারি যানবাহন চলাচলের উপযোগী নয়। তারপরও সেসব সড়ক দিয়ে নিয়মিতই ভারী যানবাহন চলাচল করে। কোন সড়কের ওপর দিয়ে কোন ধরনের এবং কত যানবাহন চলবে, কী পরিমাণ ভার বহন করতে হবে- নির্মাণের সময় এসব বিষয় মাথায় রাখা হয় কিনা সেটা একটা প্রশ্ন।

সড়ক নির্মাণ উপকরণ নিয়েও প্রশ্ন রয়েছে। অভিযোগ রয়েছে, অনেক ঠিকাদারই মানসম্মত উপকরণ ব্যবহার করেন না- কিংবা যে উপকরণ যে মাত্রায় ব্যবহার করার কথা তা করা হয় না।

সড়ক নির্মাণ বা সংস্কার যেমন জরুরি, সড়ক নিয়ে হওয়া অনিয়ম-দুর্নীতি দূর করাও তেমন জরুরি। সড়ক খাত অনিয়ম-দুর্নীতির একটে বড় ক্ষেত্রে পরিণত হয়েছে। সড়ক নির্মাণে নিম্নমানের নির্মাণসামগ্রী, কাজ শেষ হওয়ার আগে বিল প্রদান, টেন্ডার নিয়ে কারসাজি, ঘুষ গ্রহণ ও নজরদারির দুর্বলতা প্রভৃতির অভিযোগ পাওয়া যায়। এর আগে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) প্রতিবেদনে সড়ক ও জনপথ বিভাগের কাজে অনিয়ম-দুর্নীতির চিত্র প্রকাশ পেয়েছে। দুদকের সেই প্রতিবেদনে অনিয়ম-দুর্নীতি দূর করার জন্য ২১ দফা সুপারিশও করা হয়েছিল। সেসব সুপারিশ বাস্তবায়নে সংশ্লিষ্টরা কী করেছে সেটা একটা প্রশ্ন।

গাছে পেরক ঠোকার নিষ্ঠুরতার অবসান হোক

আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি : দায় চাপানোর সংস্কৃতি নয়, ব্যবস্থা নিন

কবর থেকে লাশ তুলে আগুন: কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করুন

বর্জ্য ব্যবস্থাপনার অচলাবস্থা ও নাগরিক দুর্ভোগ

ঈদে মিলাদুন্নবী : মহানবীর আদর্শ অনুসরণ করা জরুরি

নীলফামারীতে শ্রমিকের প্রাণহানি: এই মৃত্যু কি এড়ানো যেত না

বিশ্ববিদ্যালয়ে নির্বাচন: নারী সহপাঠীকে ‘গণধর্ষণের’ হুমকি, নারী প্রার্থীদের সাইবার হয়রানি

নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণার পর কেন এই নৈরাজ্য

খাদ্যবান্ধব কর্মসূচিতে দুর্নীতির অভিযোগ আমলে নিন

নারী ও শিশু নির্যাতনের উদ্বেগজনক চিত্র

ভবদহের জলাবদ্ধতা: শিক্ষা ও জীবনযাত্রার উপর অব্যাহত সংকট

সৈয়দপুরে মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রের দুর্দশা

জমি রেজিস্ট্রিতে ঘুষের বোঝা: সাধারণ মানুষের ভোগান্তি

মবের নামে মানুষ হত্যা : সমাজ কোথায় যাচ্ছে?

‘জুলাই জাতীয় সনদ’ : কেন প্রশ্ন তোলা যাবে না

সুন্দরবন রক্ষায় টেকসই ব্যবস্থা নিন

মামলা, গ্রেপ্তার, জামিন : প্রশ্নবিদ্ধ আইনের শাসন

শিক্ষার্থীদের স্বেচ্ছাশ্রমে সাঁকো নির্মাণ : ঐক্য ও উদ্যমের উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত

বন্যা ও ভাঙন : দ্রুত ব্যবস্থা নিন

অ্যান্টিভেনমের সরবরাহ নিশ্চিত করুন

ভূমি অফিসে ঘুষ বন্ধে দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নিন

জন্ম নিবন্ধনে জটিলতা দূর করা জরুরি

‘সাদা পাথর’ লুটের সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিন

সার বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ আমলে নিন

তরুণদের জন্য আলাদা বুথ! সিদ্ধান্ত কার? কেন?

চিকিৎসক সংকটে জীবননগরের স্বাস্থ্যসেবা ব্যাহত

গণপিটুনির সংস্কৃতি রুখতে হবে এখনই

সাংবাদিক হত্যা-নির্যাতনের ঘটনার বিচার করে দৃষ্টান্ত স্থাপন করুন

ইউনিয়ন পরিষদে নাগরিক সেবায় ভোগান্তির অবসান ঘটান

সড়কে মৃত্যু : দুর্ঘটনা নাকি অব্যবস্থাপনার ফল?

অন্তর্বর্তী সরকারের এক বছর

নির্বাচনের ঘোষণায় স্বস্তি, তবে আছে অনেক চ্যালেঞ্জ

‘জুলাই ঘোষণাপত্র’: কিছু জিজ্ঞাসা

বয়স্ক ভাতা পেতে আর কত অপেক্ষা

ডিএনডি এলাকায় জলাবদ্ধতা নিরসনে কার্যকর ব্যবস্থা নিন

গণঅভ্যুত্থানের এক বছর: প্রত্যাশায় কী প্রাপ্তি

tab

opinion » editorial

সড়ক-মহাসড়ক টেকসই হয় না কেন

বৃহস্পতিবার, ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩

নেত্রকোনার দুর্গাপুর উপজেলার বিরিশিরি-শ্যামগঞ্জ আঞ্চলিক মহাসড়কের প্রায় ছয় কিলোমিটার চলাচলের অনুপোযোগী হয়ে পড়েছে। ভারী যানবাহন চলাচলের কারণে মহাসড়কে তৈরি হয়েছে খানাখন্দ। দীর্ঘদিন ধরে জরাজীর্ণ অবস্থায় থাকলেও তা সংস্কার করা হয়নি। ফলে এই সড়ক দিয়ে চলাচলকারী মানুষের দুর্ভোগ চরমে উঠেছে। এ নিয়ে গত বুধবার সংবাদ-এ সচিত্র প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।

সড়ক-মহাসড়ক চলাচলের অনুপোযোগী হলে কেবল যে মানুষের যাতায়াতে কষ্ট হয় তা নয়। জরাজীর্ণ সড়কের কারণে প্রায়ই দুর্ঘটনা ঘটে, যানবাহন বিকল হয়, তৈরি হয় যানজট। কেবল বিরিশিরি-শ্যামগঞ্জ আঞ্চলিক মহাসড়কই নয়, দেশের আরো অনেক সড়ক-মহাসড়কই রয়েছে বেহাল অবস্থায়। গণমাধ্যমে বিভিন্ন সময় এ নিয়ে খবর প্রকাশিত হয়। সড়ক দুর্ঘটনার অন্যতম একটি কারণ হচ্ছে এর জরাজীর্ণ অবস্থা।

দেশে সড়ক অবকাঠামো উন্নয়নে অনেক অর্থ ব্যয় করা হয়। দুর্ভাগ্যজনক বিষয় হচ্ছে- সড়কগুলো নির্মাণের পর টেকসই হয় না। নির্মাণের পর দেশের অনেক সড়ক-মহাসড়কই মেয়াদ পূর্ণ করতে পারে না। নির্মাণের পর বছর না ঘুরতেই ভেঙে যায়।

সড়ক-মহাসড়ক টেকসই না হওয়ার অন্যতম একটি কারণ হচ্ছে, ভারী যানবাহন চলাচল। দেশের অনেক সড়কই ভারি যানবাহন চলাচলের উপযোগী নয়। তারপরও সেসব সড়ক দিয়ে নিয়মিতই ভারী যানবাহন চলাচল করে। কোন সড়কের ওপর দিয়ে কোন ধরনের এবং কত যানবাহন চলবে, কী পরিমাণ ভার বহন করতে হবে- নির্মাণের সময় এসব বিষয় মাথায় রাখা হয় কিনা সেটা একটা প্রশ্ন।

সড়ক নির্মাণ উপকরণ নিয়েও প্রশ্ন রয়েছে। অভিযোগ রয়েছে, অনেক ঠিকাদারই মানসম্মত উপকরণ ব্যবহার করেন না- কিংবা যে উপকরণ যে মাত্রায় ব্যবহার করার কথা তা করা হয় না।

সড়ক নির্মাণ বা সংস্কার যেমন জরুরি, সড়ক নিয়ে হওয়া অনিয়ম-দুর্নীতি দূর করাও তেমন জরুরি। সড়ক খাত অনিয়ম-দুর্নীতির একটে বড় ক্ষেত্রে পরিণত হয়েছে। সড়ক নির্মাণে নিম্নমানের নির্মাণসামগ্রী, কাজ শেষ হওয়ার আগে বিল প্রদান, টেন্ডার নিয়ে কারসাজি, ঘুষ গ্রহণ ও নজরদারির দুর্বলতা প্রভৃতির অভিযোগ পাওয়া যায়। এর আগে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) প্রতিবেদনে সড়ক ও জনপথ বিভাগের কাজে অনিয়ম-দুর্নীতির চিত্র প্রকাশ পেয়েছে। দুদকের সেই প্রতিবেদনে অনিয়ম-দুর্নীতি দূর করার জন্য ২১ দফা সুপারিশও করা হয়েছিল। সেসব সুপারিশ বাস্তবায়নে সংশ্লিষ্টরা কী করেছে সেটা একটা প্রশ্ন।

back to top