alt

মতামত » সম্পাদকীয়

নন্দীগ্রামে নকল কীটনাশক বিক্রি বন্ধ করুন

: মঙ্গলবার, ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৩

মাজরা পোকার আক্রমণ থেকে ফসল রক্ষার জন্য বগুড়ার নন্দীগ্রামের কৃষকরা স্থানীয় বাজার থেকে ‘জেনিকার্ব-২৫ ডপ্লিউপি’ কীটনাশক কিনে খেতে ছড়ান; কিন্তু কীটনাশকে একটি পোকাও মরেনি। কীটনাশকের মান নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। অভিযোগ উঠেছে, নকল কীটনাশক বিক্রি করছেন কিছু অসাধু ব্যবসায়ী।

গাটের টাকা খরচ করে কীটনাশক কিনলেও কৃষক ফসল রক্ষা করতে পারছেন না। শুধু যে বগুড়ার নন্দীগ্রামে ভেজাল কীটনাশকের বাণিজ্য গড়ে উঠেছে তা নয়। দেশের অন্যান্য এলাকায়ও ভেজাল কীটনাশকের বাণিজ্য হয় বলে গণমাধ্যমে খবর প্রকাশিত হয়। নকল কীটনাশকের বিরুদ্ধে প্রশাসন মাঝে মাঝে অভিযান চালিয়ে জেল-জরিমানাও করে থাকে। তবে এটা পুরোপুরি বন্ধ হয়নি।

নন্দীগ্রামের কৃষকরা অনেক দিন ধরে নকল বা ভেজাল কীটনাশক কিনে প্রতারিত হচ্ছেন। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে আমলে নিতে হবে। কোন স্তরে প্রতারণাটা হচ্ছে, সেটা খুঁজে বের করতে হবে। অসাধু চক্রকে চিহ্নিত করে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে হবে।

সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, জেনিকার্ব-২৫ নামের কীটনাশকটি পরীক্ষা করে দেখা হবে। পরীক্ষায় নকল বা ভেজাল প্রমাণিত হলে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে। আমরা আশা করব, আশ্বাস অনুযায়ী দ্রুত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

শুধু কীটনাশকের ক্ষেত্রে নয়, কৃষকরা অন্যান্য ক্ষেত্রেও প্রতারিত হন। প্রায়ই শোনা যায়, পরিপুষ্ট বীজ দেয়ার কথা বলে পোকা খাওয়া বীজ সরবরাহ করা হয়। সারের গুণগতমান থাকে না। ভেজাল সার গছিয়ে দেয়া হয়। এভাবে কৃষকরা প্রতারিত হয়ে থাকেন বারবার।

এমনিতেই কৃষকদের নানা প্রতিকূলতার মধ্যদিয়ে শস্য উৎপাদন করতে হয়। বহু কষ্টে উৎপাদন করা ফসল বিক্রি করে কৃষকরা ন্যায্য দাম পাবেন কিনা সেটা নিয়ে অনিশ্চয়তা থাকে। তার ওপর আবার এরকম নকল বা ভেজাল কীটনাশক কিনে কৃষক যদি প্রতারিত হন, তাহলে তাদের ভোগান্তির আর শেষ থাকবে না।

আমরা বলতে চাই, কৃষকদের এই ভোগান্তির অবসান ঘটাতে হবে। কীটনাশক তো বটেই, বীজ ও সার কেনার ক্ষেত্রেও কৃষক যেন আর প্রতারিত না হন, সেটা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নিশ্চিত করতে হবে।

এক খ্রিস্টান পরিবারের জমি দখলের চেষ্টা: ব্যবস্থা নিন

অবৈধ ইটভাটা: প্রশাসন কী করছে

পথ হারাচ্ছে রেলপথে পণ্যপরিবহন

মেডিকেল টেকনোলজিস্ট ও ফার্মাসিস্টদের আন্দোলন: আলোচনায় সমাধান খুঁজতে হবে

জয়ন্তীপুর ঘাটে সেতু নির্মাণে বিলম্ব কাম্য নয়

শিক্ষকদের আন্দোলন, সরকারের কঠোরতা এবং শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যৎ

রায়গঞ্জের ক্ষতিগ্রস্ত বেইলি ব্রিজ দ্রুত সংস্কার করুন

সওজের জমি দখল : ব্যবস্থা নিন

পার্বত্য চুক্তি: পাহাড়ে শান্তি কি ফিরল?

রাজধানী কি অগ্নিকাণ্ডের ঝুঁকি মোকাবিলায় প্রস্তুত?

সেতু নির্মাণের কাজ কবে শেষ হবে

খুলনায় আদালতের সামনে হত্যাকাণ্ড

মীরসরাইয়ে বন রক্ষায় ব্যবস্থা নিন

পুরান ঢাকায় রাসায়নিক ঝুঁকি

মহেশপুরে অনুমোদনহীন করাত কল

বিদ্যালয়ের মাঠ দখলমুক্ত করুন

থমকে আছে সেতু নির্মাণের কাজ

হাকালুকি হাওরে মাছ লুট: প্রশাসন কী করছে

রাঙ্গাবালীর সংরক্ষিত বন ধ্বংসের সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

টিসিবির পণ্য নিয়ে অনিয়ম-দুর্নীতি কাম্য নয়

কক্সবাজারে পাহাড়ের মাটি কাটা বন্ধ করুন

দারিদ্র্যের নতুন ঢেউ

তাজরীনের ১৩ বছরের ক্ষত ভুক্তভোগীর ন্যায়বিচার কোথায়?

অ্যান্টিবায়োটিকের অপব্যবহার বন্ধে কার্যকর ব্যবস্থা নিন

চরাঞ্চলের বিদ্যালয়ে নিয়মিত পাঠদান নিশ্চিত করুন

অসহিষ্ণুতার সংস্কৃতি থামাতে হবে

কাঠ পাচার বন্ধে ব্যবস্থা নিন

ফিরে এল তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা

বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধে জিও ব্যাগ ব্যবহারে অনিয়মের অভিযোগ

দুই দফা ভূমিকম্প: এখনই প্রস্তুতির সময়

অবৈধ ইটভাটার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া জরুরি

গভীর রাতে সাংবাদিককে তুলে নেয়ার প্রকৃত কারণ উদঘাটন করতে হবে

সাময়িকী কবিতা

ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্র ভাড়া দেওয়ার অভিযোগ

স্কুল ফিডিং কর্মসূচিতে অনিয়ম কাম্য নয়

ছবি

শীতজনিত রোগ প্রতিরোধে চাই সচেতনতা

tab

মতামত » সম্পাদকীয়

নন্দীগ্রামে নকল কীটনাশক বিক্রি বন্ধ করুন

মঙ্গলবার, ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৩

মাজরা পোকার আক্রমণ থেকে ফসল রক্ষার জন্য বগুড়ার নন্দীগ্রামের কৃষকরা স্থানীয় বাজার থেকে ‘জেনিকার্ব-২৫ ডপ্লিউপি’ কীটনাশক কিনে খেতে ছড়ান; কিন্তু কীটনাশকে একটি পোকাও মরেনি। কীটনাশকের মান নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। অভিযোগ উঠেছে, নকল কীটনাশক বিক্রি করছেন কিছু অসাধু ব্যবসায়ী।

গাটের টাকা খরচ করে কীটনাশক কিনলেও কৃষক ফসল রক্ষা করতে পারছেন না। শুধু যে বগুড়ার নন্দীগ্রামে ভেজাল কীটনাশকের বাণিজ্য গড়ে উঠেছে তা নয়। দেশের অন্যান্য এলাকায়ও ভেজাল কীটনাশকের বাণিজ্য হয় বলে গণমাধ্যমে খবর প্রকাশিত হয়। নকল কীটনাশকের বিরুদ্ধে প্রশাসন মাঝে মাঝে অভিযান চালিয়ে জেল-জরিমানাও করে থাকে। তবে এটা পুরোপুরি বন্ধ হয়নি।

নন্দীগ্রামের কৃষকরা অনেক দিন ধরে নকল বা ভেজাল কীটনাশক কিনে প্রতারিত হচ্ছেন। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে আমলে নিতে হবে। কোন স্তরে প্রতারণাটা হচ্ছে, সেটা খুঁজে বের করতে হবে। অসাধু চক্রকে চিহ্নিত করে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে হবে।

সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, জেনিকার্ব-২৫ নামের কীটনাশকটি পরীক্ষা করে দেখা হবে। পরীক্ষায় নকল বা ভেজাল প্রমাণিত হলে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে। আমরা আশা করব, আশ্বাস অনুযায়ী দ্রুত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

শুধু কীটনাশকের ক্ষেত্রে নয়, কৃষকরা অন্যান্য ক্ষেত্রেও প্রতারিত হন। প্রায়ই শোনা যায়, পরিপুষ্ট বীজ দেয়ার কথা বলে পোকা খাওয়া বীজ সরবরাহ করা হয়। সারের গুণগতমান থাকে না। ভেজাল সার গছিয়ে দেয়া হয়। এভাবে কৃষকরা প্রতারিত হয়ে থাকেন বারবার।

এমনিতেই কৃষকদের নানা প্রতিকূলতার মধ্যদিয়ে শস্য উৎপাদন করতে হয়। বহু কষ্টে উৎপাদন করা ফসল বিক্রি করে কৃষকরা ন্যায্য দাম পাবেন কিনা সেটা নিয়ে অনিশ্চয়তা থাকে। তার ওপর আবার এরকম নকল বা ভেজাল কীটনাশক কিনে কৃষক যদি প্রতারিত হন, তাহলে তাদের ভোগান্তির আর শেষ থাকবে না।

আমরা বলতে চাই, কৃষকদের এই ভোগান্তির অবসান ঘটাতে হবে। কীটনাশক তো বটেই, বীজ ও সার কেনার ক্ষেত্রেও কৃষক যেন আর প্রতারিত না হন, সেটা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নিশ্চিত করতে হবে।

back to top