alt

মতামত » সম্পাদকীয়

কৃষক কেন পাটের ন্যায্য দাম পাচ্ছেন না

: বুধবার, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩

এবারও পাট চাষের খরচ তুলতে পারছেন না রংপুর অঞ্চলের পাঁচ জেলার কৃষকরা। গত বছর এ অঞ্চলের কৃষকরা প্রতি মণ পাট বিক্রি করেছিলেন ৩ হাজার টাকা থেকে ৩ হাজার ৩০০ টাকা দরে। কিন্তু এ বছর প্রতি মণ পাট বিক্রি করতে হচ্ছে ২ হাজার ৬০০ টাকা থেকে ২ হাজার ৯০০ টাকা দরে। কৃষকদের অভিযোগ একটি সিন্ডিকেটের কারসাজিতে পাটের দাম কমে গেছে।

কৃষি বিভাগ বলছে, রংপুরসহ লালমনিরহাট, কুড়িগ্রাম, গাইবান্ধা ও নীলফামারীতে পাট চাষের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৫৩ হাজার ৫৩৭ হেক্টর জমিতে। চাষ হয়েছে ৫২ হাজার ২৫৪ হেক্টর জমিতে। লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে কম আবাদ হলে পাটের সংকট হওয়ার কথা। আর সংকট হলে সাধারণত পণ্যের দাম বাড়ে। কিন্তু রংপুরের পাঁচ জেলায় পাটের দাম বাড়েনি বরং কমেছে। দাম কেন কমল? কারণ কী?

অভিযোগ উঠেছে, কম দরে পাট কেনার জন্য ব্যবসায়ীরা জোট বেঁধেছে। এখন পাটের মৌসুম। বাজারে কৃষকরা পাট আনবেই। একবার বাজারে পণ্য আনলে কৃষকরা সাধারণত দাম কম হলেও তা বিক্রি করেন। আর এই সুযোগটিই নিচ্ছে একশ্রেণীর ব্যবসায়ী।

শুধু রংপুরেই নয়; দেশের অন্যান্য এলাকাতেও কৃষকরা পাটের ন্যায্য দাম পাচ্ছেন না বলে জানা গেছে। ফলে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন কৃষকরা। অনেক ঋণ করে চাষবাস করেন। কম দামে পাট বিক্রি করে কিভাবে ঋণ শোধ দেবেন এ চিন্তায় তারা দিশেহারা।

অনেকে বলছেন, সরকার পাটের দাম নির্ধারণ করে দিলে কৃষকরা ন্যায্যমূল্য পেত। কেউ কেউ মনে করছেন, ধান-চালের মতো সরকার যদি পাটও কিনত তাহলে চাষিরা হয়তো ক্ষতিগ্রস্ত হতো না। তবে কেবল দর বেঁধে দিলে সমস্যার সমাধান হবে কিনা সেটা একটা প্রশ্ন।

আবার এমন কথাও অনেকে বলছেন যে, আবাদ কম হোক বা বেশি হোক- পাট উৎপাদনের পর চাষিরা তা বিক্রির জন্য একসঙ্গে বাজারে হুমড়ি খেয়ে পড়েন। এতে পাটের জোগান বেড়ে যায়। কাজেই তখন পাটের দাম কমে।

এক্ষেত্রে কৃষকরা যদি একটু কৌশলী হন, তাহলে তুলনামূলকভাবে পাটের ভালো দাম পেতে পারেন। একযোগে সবাই পাট বিক্রি না করলে বাজারে চাহিদা-জোগানের ভারসাম্য থাকে। আর এ কাজে কৃষি অধিদপ্তর কৃষকদের সহযোগিতা করতে পারে। তারা এ বিষয়ে চাষিদের স্বচ্ছ ধারণা দিতে পারে, উদ্বুদ্ধ করতে পারে।

পাটের দাম কমার পেছনে কি শুধু সিন্ডিকেটই দায়ী নাকি এর পেছনে অন্য আরও কারণ আছে সেটা খুঁজে দেখতে হবে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, পাটের অভ্যন্তরীণ চাহিদা কমেছে। রপ্তানিও আশানুরূপ নয়। একযুগ আগেও যেখানে বছরে প্রায় ২ হাজার কোটি টাকার কাঁচা পাট রপ্তানি হয়েছে, সেখানে গত অর্থবছরে রপ্তানির পরিমাণ দাঁড়িয়েছে মাত্র সাড়ে ৬০০ কোটি টাকায়। দেশে পলিথিন ও প্লাস্টিক বস্তার ব্যবহার বেড়েছে। কৃষককে পাটের ন্যায্য মজুরি দিতে হলে এসব সমস্যারও সমাধান করতে হবে।

অবৈধ ইটভাটার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া জরুরি

গভীর রাতে সাংবাদিককে তুলে নেয়ার প্রকৃত কারণ উদঘাটন করতে হবে

সাময়িকী কবিতা

ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্র ভাড়া দেওয়ার অভিযোগ

স্কুল ফিডিং কর্মসূচিতে অনিয়ম কাম্য নয়

ছবি

শীতজনিত রোগ প্রতিরোধে চাই সচেতনতা

গাজনার বিলে জলাবদ্ধতা দূর করতে ব্যবস্থা নিন

বাল্যবিয়ে: সংকট এখনো গভীর

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের রায়: সব প্রশ্নের কি মীমাংসা হলো?

কুষ্টিয়ায় গাছ কাটার ‘গোপন টেন্ডার’ নিয়ে বিতর্কের অবসান হোক

ধান কেনায় অনিয়মের অভিযোগ আমলে নিন

লালমনিরহাটের বিসিক শিল্পনগরীর দুরবস্থা

তৃণমূলে ব্যাহত হচ্ছে স্বাস্থ্যসেবা, ব্যবস্থা নিন

শ্রীপুরের মানুষের দুর্ভোগ লাঘবে ব্যবস্থা নিন

ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে চলছে ক্লাস, পদক্ষেপ জরুরি

শিশু ধর্ষণচেষ্টা: সালিসের নামে প্রহসন কাম্য নয়

বিশুদ্ধ পানির প্রকল্পে দুর্নীতির অভিযোগ আমলে নিন

সুপেয় পানির জন্য মোরেলগঞ্জের মানুষের অপেক্ষার অবসান হবে কবে

কেন একজন নিরপরাধ মানুষকে কিসের আগুনে পুড়ে মরতে হলো

জেলেদের মাঝে বকনা বাছুর বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ সুরাহা করুন

রাজধানীতে প্রকাশ্যে হত্যা: আইনশৃঙ্খলা নিয়ে উদ্বেগ

নলবিলা খাল খনন করুন

অগ্নি-নিরাপত্তায় উদাসীনতা কাম্য নয়

কারেন্ট পোকা দমনে কৃষককে সহায়তা দিন

আলুর বাজারে নীরব বিপর্যয়

বিদ্যালয়ের মাঠ দখলমুক্ত করুন

টিলায় পাথর লুট : কার্যকর ব্যবস্থা নিন

ঝুঁকিপূর্ণ স্কুল ভবন সংস্কারে দ্রুত পদক্ষেপ দরকার

ডেঙ্গু মোকাবিলায় দায়িত্বহীনতা আর নয়

সার সংকট সমাধানে দ্রুত পদক্ষেপ দরকার

নির্বাচনী সহিংসতা বন্ধে কঠোর পদক্ষেপ প্রয়োজন

প্রান্তিক মানুষের স্বাস্থ্যসেবা যেন অবহেলার শিকার না হয়

প্রাথমিকে সংগীত শিক্ষক নিয়োগ বাতিল : একটি ভুল বার্তা

ঘিওর ভেটেরিনারি হাসপাতালের সংকট দূর করুন

ভূমি অফিসে সেবাপ্রার্থীদের দুর্ভোগ

একটি পাকা সেতুর জন্য অপেক্ষা

tab

মতামত » সম্পাদকীয়

কৃষক কেন পাটের ন্যায্য দাম পাচ্ছেন না

বুধবার, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩

এবারও পাট চাষের খরচ তুলতে পারছেন না রংপুর অঞ্চলের পাঁচ জেলার কৃষকরা। গত বছর এ অঞ্চলের কৃষকরা প্রতি মণ পাট বিক্রি করেছিলেন ৩ হাজার টাকা থেকে ৩ হাজার ৩০০ টাকা দরে। কিন্তু এ বছর প্রতি মণ পাট বিক্রি করতে হচ্ছে ২ হাজার ৬০০ টাকা থেকে ২ হাজার ৯০০ টাকা দরে। কৃষকদের অভিযোগ একটি সিন্ডিকেটের কারসাজিতে পাটের দাম কমে গেছে।

কৃষি বিভাগ বলছে, রংপুরসহ লালমনিরহাট, কুড়িগ্রাম, গাইবান্ধা ও নীলফামারীতে পাট চাষের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৫৩ হাজার ৫৩৭ হেক্টর জমিতে। চাষ হয়েছে ৫২ হাজার ২৫৪ হেক্টর জমিতে। লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে কম আবাদ হলে পাটের সংকট হওয়ার কথা। আর সংকট হলে সাধারণত পণ্যের দাম বাড়ে। কিন্তু রংপুরের পাঁচ জেলায় পাটের দাম বাড়েনি বরং কমেছে। দাম কেন কমল? কারণ কী?

অভিযোগ উঠেছে, কম দরে পাট কেনার জন্য ব্যবসায়ীরা জোট বেঁধেছে। এখন পাটের মৌসুম। বাজারে কৃষকরা পাট আনবেই। একবার বাজারে পণ্য আনলে কৃষকরা সাধারণত দাম কম হলেও তা বিক্রি করেন। আর এই সুযোগটিই নিচ্ছে একশ্রেণীর ব্যবসায়ী।

শুধু রংপুরেই নয়; দেশের অন্যান্য এলাকাতেও কৃষকরা পাটের ন্যায্য দাম পাচ্ছেন না বলে জানা গেছে। ফলে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন কৃষকরা। অনেক ঋণ করে চাষবাস করেন। কম দামে পাট বিক্রি করে কিভাবে ঋণ শোধ দেবেন এ চিন্তায় তারা দিশেহারা।

অনেকে বলছেন, সরকার পাটের দাম নির্ধারণ করে দিলে কৃষকরা ন্যায্যমূল্য পেত। কেউ কেউ মনে করছেন, ধান-চালের মতো সরকার যদি পাটও কিনত তাহলে চাষিরা হয়তো ক্ষতিগ্রস্ত হতো না। তবে কেবল দর বেঁধে দিলে সমস্যার সমাধান হবে কিনা সেটা একটা প্রশ্ন।

আবার এমন কথাও অনেকে বলছেন যে, আবাদ কম হোক বা বেশি হোক- পাট উৎপাদনের পর চাষিরা তা বিক্রির জন্য একসঙ্গে বাজারে হুমড়ি খেয়ে পড়েন। এতে পাটের জোগান বেড়ে যায়। কাজেই তখন পাটের দাম কমে।

এক্ষেত্রে কৃষকরা যদি একটু কৌশলী হন, তাহলে তুলনামূলকভাবে পাটের ভালো দাম পেতে পারেন। একযোগে সবাই পাট বিক্রি না করলে বাজারে চাহিদা-জোগানের ভারসাম্য থাকে। আর এ কাজে কৃষি অধিদপ্তর কৃষকদের সহযোগিতা করতে পারে। তারা এ বিষয়ে চাষিদের স্বচ্ছ ধারণা দিতে পারে, উদ্বুদ্ধ করতে পারে।

পাটের দাম কমার পেছনে কি শুধু সিন্ডিকেটই দায়ী নাকি এর পেছনে অন্য আরও কারণ আছে সেটা খুঁজে দেখতে হবে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, পাটের অভ্যন্তরীণ চাহিদা কমেছে। রপ্তানিও আশানুরূপ নয়। একযুগ আগেও যেখানে বছরে প্রায় ২ হাজার কোটি টাকার কাঁচা পাট রপ্তানি হয়েছে, সেখানে গত অর্থবছরে রপ্তানির পরিমাণ দাঁড়িয়েছে মাত্র সাড়ে ৬০০ কোটি টাকায়। দেশে পলিথিন ও প্লাস্টিক বস্তার ব্যবহার বেড়েছে। কৃষককে পাটের ন্যায্য মজুরি দিতে হলে এসব সমস্যারও সমাধান করতে হবে।

back to top