alt

সম্পাদকীয়





























  • download

ট্রেনে কাটা পড়ে মৃত্যু রোধে চাই সচেতনতা

: রোববার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩

পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের রাজশাহী বিভাগের ছয় জেলায় ট্রেনে কাটা পড়ে চলতি বছর এ পর্যন্ত মারা গেছেন ৮৩ জন। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ট্রেনে কাটা পড়ে মৃত্যুর ঘটনার অনেকগুলোই ঘটে অসতর্কতা বা অসাবধানতার কারণে। অনেকেই ট্রেন আসবার সময় দ্রুত রেললাইন পার হওয়ার চেষ্টা করেন। এতে করে তারা দুর্ঘটনার শিকার হন। এ নিয়ে গত শনিবার সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।

কেবল রাজশাহীতেই নয় দেশের অনেক স্থানেই ট্রেনে কাটা পড়ে হতাহতের ঘটনা ঘটে। এমন দুর্ঘটনা তদন্ত করতে গিয়ে দেখা যায়, অনেক ক্ষেত্রে দুর্ঘটনাকবলিত ব্যক্তি অসচেতনভাবে রেলপথ দিয়ে হাঁটছিলেন বা ঝুঁকি নিয়ে রেলপথ অতিক্রম করছিলেন। গণমাধ্যমে প্রায়ই এ ধরনের খবর প্রকাশিত হয়। এমনও জানা যায় যে, কানে এয়ারফোন দিয়ে বা মোবাইল ফোনে কথা বলতে বলতে রেলপথ দিয়ে চলার সময় অনেকে দুর্ঘটনার শিকার হয়েছেন।

রেলে কাটা পড়ে কেউ হতাহত হলে রেল কর্তৃপক্ষ কখনোই তার দায়দায়িত্ব নেয় না। এ ধরনের ঘটনায় কেউ হতাহত হলে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ কাউকে ক্ষতিপূরণও দেয় না। দেশে কতজন রেলে কাটা পড়ে হতাহত হচ্ছে সেই হিসাবটি পর্যন্ত রেল কর্তৃপক্ষ রাখে না।

ট্রেনে কাটা পড়ে হতাহত হওয়ার ঘটনা উদ্বেগজনক। এটা থেকে নিজেদের রক্ষা করতে নাগরিকদের সচেতন হওয়ার বিকল্প নেই। তবে নাগরিকদের রেলক্রসিং পার হওয়া সম্পর্কে প্রশিক্ষণ দেয়া যেতে পারে। স্কুল বা কমিউনিটি এক্ষেত্রে দায়িত্ব নিতে পারে। রেল কর্তৃপক্ষ বা রেল পুলিশকেও এই কাজে যুক্ত কারা যেতে পারে। যেসব এলাকায় দুর্ঘটনা বেশি ঘটে সেসব এলাকায় সচেতনতামূলক ক্যাম্পেইন করা যায়।

রেলক্রসিং পার হওয়া বা রেলপথে হাঁটার প্রশ্নে শিশু ও প্রাপ্তবয়স্ক অনেক মানুষের মধ্যেও অসচেতনতা দেখা যায়। কাজেই রেলপথে কোন অনাকাক্সিক্ষত দুর্ঘটনার হাত থেকে রক্ষা পেতে সচেতন হওয়ার প্রয়োজন অস্বীকার করা যায় না।

মানুষের চলাচল বেশি এমন স্থানে ওভারপাস নির্মাণ করার বিষয়টি সক্রিয়ভাবে বিবেচনা করা যেতে পারে। অন্তত ঝুঁকিপূর্ণ বা অরক্ষিত রেলক্রসিংগুলোতে ওভারপাস থাকলে অনেক দুর্ঘটনাই হয়তো এড়ানো যাবে। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ভেবে দেখবে বলে আমরা আশা করতে চাই।

নারীর ডাকে ‘মৈত্রী যাত্রা’

খাদ্যে ভেজাল : আইন আছে, প্রয়োগ কোথায়?

চুয়াত্তর পেরিয়ে পঁচাত্তরে সংবাদ: প্রতিজ্ঞায় অবিচল পথচলা

দখলে অস্তিত্ব সংকটে বন

এই যুদ্ধবিরতি হোক স্থায়ী শান্তির সূচনা

তাপপ্রবাহে চাই সতর্কতা, সচেতনতা ও সুরক্ষা পরিকল্পনা

যুদ্ধ নয়, শান্তি চাই

ধর্মীয় অপব্যাখ্যায় শতবর্ষী বটগাছ নিধন : এ কোন সভ্যতা?

বেইলি রোডে আবার আগুন : নিরাপত্তা নিয়ে ভাবার সময় এখনই

লাউয়াছড়া বন : নিঃশব্দ বিপর্যয়ের মুখে

ডেঙ্গু পরিস্থিতি : অবহেলা নয়, দরকার জরুরি উদ্যোগ

ইকোপার্কের করুণ দশা : দায় কার

হাতি শাবকের মৃত্যু ও সাফারি পার্কের দায়ভার

বায়ুদূষণ রোধে চাই টেকসই উদ্যোগ

মেহনতি মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার দিন

চালের দামে অস্বস্তি : সরকারি তথ্য ও বাজারের বাস্তবতার ফারাক

অতিদারিদ্র্যের আশঙ্কা : সমাধান কোথায়?

ডিমলা উপজেলা হাসপাতালের অনিয়ম

রানা প্লাজা ট্র্যাজেডি : ন্যায়বিচার ও ক্ষতিপূরণের অপেক্ষা কবে ফুরাবে

হাইল হাওরের অস্তিত্ব সংকট

সমানাধিকারে আপত্তি কেন?

লেমুর চুরি : সাফারি পার্কের নিরাপত্তা সংকট

একটি হাসাহাসির ঘটনা, একটি হত্যাকাণ্ড : সমাজের সহিষ্ণুতার অবক্ষয়

চাই সুষ্ঠু বর্জ্য ব্যবস্থাপনা

মানুষ-হাতির সংঘাত : সমাধানের পথ খুঁজতে হবে

স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা সংকট দূর করুন

ফসলি জমি রক্ষায় কঠোর হোন

নিষ্ঠুরতার শিকার হাতি

বিশেষ ক্ষমতা আইন ও নাগরিক অধিকার

হালদায় অবৈধ মাছ শিকার বন্ধ করতে হবে

মশার উপদ্রব : বর্ষার আগেই সাবধান হতে হবে

ফিলিস্তিনে ইসরায়েলের হামলা : মানবতার প্রতি এক অব্যাহত আঘাত

অবৈধ বৈদ্যুতিক ফাঁদে প্রাণহানি : দায় কার?

নদীর বাঁধ ভাঙার দুর্ভোগ : টেকসই সমাধানের জরুরি প্রয়োজন

মোরেলগঞ্জ হাসপাতালে চিকিৎসা সংকট

সমবায় সমিতির নামে প্রতারণা : কঠোর নজরদারি ও আইনি পদক্ষেপ জরুরি

tab

সম্পাদকীয়

ট্রেনে কাটা পড়ে মৃত্যু রোধে চাই সচেতনতা

  • download

রোববার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩

পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের রাজশাহী বিভাগের ছয় জেলায় ট্রেনে কাটা পড়ে চলতি বছর এ পর্যন্ত মারা গেছেন ৮৩ জন। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ট্রেনে কাটা পড়ে মৃত্যুর ঘটনার অনেকগুলোই ঘটে অসতর্কতা বা অসাবধানতার কারণে। অনেকেই ট্রেন আসবার সময় দ্রুত রেললাইন পার হওয়ার চেষ্টা করেন। এতে করে তারা দুর্ঘটনার শিকার হন। এ নিয়ে গত শনিবার সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।

কেবল রাজশাহীতেই নয় দেশের অনেক স্থানেই ট্রেনে কাটা পড়ে হতাহতের ঘটনা ঘটে। এমন দুর্ঘটনা তদন্ত করতে গিয়ে দেখা যায়, অনেক ক্ষেত্রে দুর্ঘটনাকবলিত ব্যক্তি অসচেতনভাবে রেলপথ দিয়ে হাঁটছিলেন বা ঝুঁকি নিয়ে রেলপথ অতিক্রম করছিলেন। গণমাধ্যমে প্রায়ই এ ধরনের খবর প্রকাশিত হয়। এমনও জানা যায় যে, কানে এয়ারফোন দিয়ে বা মোবাইল ফোনে কথা বলতে বলতে রেলপথ দিয়ে চলার সময় অনেকে দুর্ঘটনার শিকার হয়েছেন।

রেলে কাটা পড়ে কেউ হতাহত হলে রেল কর্তৃপক্ষ কখনোই তার দায়দায়িত্ব নেয় না। এ ধরনের ঘটনায় কেউ হতাহত হলে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ কাউকে ক্ষতিপূরণও দেয় না। দেশে কতজন রেলে কাটা পড়ে হতাহত হচ্ছে সেই হিসাবটি পর্যন্ত রেল কর্তৃপক্ষ রাখে না।

ট্রেনে কাটা পড়ে হতাহত হওয়ার ঘটনা উদ্বেগজনক। এটা থেকে নিজেদের রক্ষা করতে নাগরিকদের সচেতন হওয়ার বিকল্প নেই। তবে নাগরিকদের রেলক্রসিং পার হওয়া সম্পর্কে প্রশিক্ষণ দেয়া যেতে পারে। স্কুল বা কমিউনিটি এক্ষেত্রে দায়িত্ব নিতে পারে। রেল কর্তৃপক্ষ বা রেল পুলিশকেও এই কাজে যুক্ত কারা যেতে পারে। যেসব এলাকায় দুর্ঘটনা বেশি ঘটে সেসব এলাকায় সচেতনতামূলক ক্যাম্পেইন করা যায়।

রেলক্রসিং পার হওয়া বা রেলপথে হাঁটার প্রশ্নে শিশু ও প্রাপ্তবয়স্ক অনেক মানুষের মধ্যেও অসচেতনতা দেখা যায়। কাজেই রেলপথে কোন অনাকাক্সিক্ষত দুর্ঘটনার হাত থেকে রক্ষা পেতে সচেতন হওয়ার প্রয়োজন অস্বীকার করা যায় না।

মানুষের চলাচল বেশি এমন স্থানে ওভারপাস নির্মাণ করার বিষয়টি সক্রিয়ভাবে বিবেচনা করা যেতে পারে। অন্তত ঝুঁকিপূর্ণ বা অরক্ষিত রেলক্রসিংগুলোতে ওভারপাস থাকলে অনেক দুর্ঘটনাই হয়তো এড়ানো যাবে। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ভেবে দেখবে বলে আমরা আশা করতে চাই।

back to top