alt

opinion » editorial

সংরক্ষিত বন রক্ষায় প্রচেষ্টা চালাতে হবে

: মঙ্গলবার, ৩১ অক্টোবর ২০২৩

২০৩০ সালের মধ্যে বিশ্বের ৩০ শতাংশ ভূমি ও জলভাগ সংরক্ষিত হিসেবে রক্ষার লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে। গত বছর কানাডার মন্ট্রিয়লে জাতিসংঘের জীববৈচিত্র্য বিষয়ক সম্মেলনে এ সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।

প্রশ্ন হচ্ছে, বাংলাদেশে সংরক্ষিত বনের হার কত শতাংশ। বিভিন্ন সময় যে হিসাব প্রকাশিত হয় তা থেকে জানা যায় যে, বাংলাদেশে সংরক্ষিত বনের হার ১২ শতাংশ। বিশ্বে সংরক্ষিত বনের হার ১৭ শতাংশ। সংরক্ষিত বনের হিসাবে বাকি বিশ্বের চেয়ে বাংলাদেশ ঢের ঢের দূরে রয়েছে।

বৈশ্বিক মানদন্ড অনুযায়ী আগামী ২০৩০ সালের মধ্যে ৩০ শতাংশ সংরক্ষিত বনের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে হলে এখনো অনেক পথ পারি দিতে হবে। হাতে সময় আছে মাত্র সাত বছর। এই সময়ের মধ্যে লক্ষ্যমাত্রা কতটুকু অর্জিত হবে সেটা নিয়ে ঘোর সংশয় আছে। কারণ বিভিন্ন সময় গণমাধ্যমে সংরক্ষিত বন ধ্বংস বা দখল হওয়া নিয়ে যেসব প্রতিবেদন প্রকাশিত হয় তাতে উদ্বিগ্ন না হয়ে পারা যায় না।

দেশজুড়েই বনভূমি ধ্বংস বা বেদখল হচ্ছে। প্রতিনিয়ত বন উজাড় হচ্ছে। এক হিসাব অনুযায়ী, ২০০১ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশে উজাড় হয়েছে প্রায় ৩ লাখ ৭৮ হাজার একর বনভূমি। বন বিভাগের ২ লাখ ৮৭ হাজার ৪৫২ একর জমি বেদখল হয়ে গেছে। এমনকি গেজেটভুক্ত জমিও দখল হয়েছে। বেদখল জমিতে গড়ে উঠেছে শিল্প-কারখানা, রিসোর্ট, বসতভিটা, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্রভৃতি।

দেশের পরিবেশ রক্ষা করতে হলে বন বাঁচাতে হবে। বন বিভাগের যেসব জমি বেহাত হয়ে গেছে তা উদ্ধার করতে হবে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বনভূমি দখলদারদের পূর্ণাঙ্গ তালিকা করেছে। তালিকা অনুযায়ী বেদখলে থাকা বনভূমি উদ্ধারে দ্রুত উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে- এমনটাই আমরা দেখতে চাই।

বলা হচ্ছে, প্রকৃতি ও মানুষের মধ্যে আন্তঃসম্পর্কের মাধ্যমে কাজ করলে বাংলাদেশে সংরক্ষিত বনের বৈশ্বিক এই ৩০ শতাংশ লক্ষ্যমাত্রা দ্রুত অর্জন সম্ভব হবে। আমরাও মনে করি, প্রকৃতির সঙ্গে মানুষের দৃঢ়বন্ধন তৈরি করতে হবে। এছাড়া বন রক্ষা করার কাজ কঠিন হবে। তবে বন রক্ষায় সবার আগে সরকারকে এগিয়ে আসতে হবে। বনভূমি তদারকির ব্যবস্থা আরও কার্যকর করতে হবে।

গাছে পেরক ঠোকার নিষ্ঠুরতার অবসান হোক

আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি : দায় চাপানোর সংস্কৃতি নয়, ব্যবস্থা নিন

কবর থেকে লাশ তুলে আগুন: কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করুন

বর্জ্য ব্যবস্থাপনার অচলাবস্থা ও নাগরিক দুর্ভোগ

ঈদে মিলাদুন্নবী : মহানবীর আদর্শ অনুসরণ করা জরুরি

নীলফামারীতে শ্রমিকের প্রাণহানি: এই মৃত্যু কি এড়ানো যেত না

বিশ্ববিদ্যালয়ে নির্বাচন: নারী সহপাঠীকে ‘গণধর্ষণের’ হুমকি, নারী প্রার্থীদের সাইবার হয়রানি

নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণার পর কেন এই নৈরাজ্য

খাদ্যবান্ধব কর্মসূচিতে দুর্নীতির অভিযোগ আমলে নিন

নারী ও শিশু নির্যাতনের উদ্বেগজনক চিত্র

ভবদহের জলাবদ্ধতা: শিক্ষা ও জীবনযাত্রার উপর অব্যাহত সংকট

সৈয়দপুরে মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রের দুর্দশা

জমি রেজিস্ট্রিতে ঘুষের বোঝা: সাধারণ মানুষের ভোগান্তি

মবের নামে মানুষ হত্যা : সমাজ কোথায় যাচ্ছে?

‘জুলাই জাতীয় সনদ’ : কেন প্রশ্ন তোলা যাবে না

সুন্দরবন রক্ষায় টেকসই ব্যবস্থা নিন

মামলা, গ্রেপ্তার, জামিন : প্রশ্নবিদ্ধ আইনের শাসন

শিক্ষার্থীদের স্বেচ্ছাশ্রমে সাঁকো নির্মাণ : ঐক্য ও উদ্যমের উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত

বন্যা ও ভাঙন : দ্রুত ব্যবস্থা নিন

অ্যান্টিভেনমের সরবরাহ নিশ্চিত করুন

ভূমি অফিসে ঘুষ বন্ধে দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নিন

জন্ম নিবন্ধনে জটিলতা দূর করা জরুরি

‘সাদা পাথর’ লুটের সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিন

সার বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ আমলে নিন

তরুণদের জন্য আলাদা বুথ! সিদ্ধান্ত কার? কেন?

চিকিৎসক সংকটে জীবননগরের স্বাস্থ্যসেবা ব্যাহত

গণপিটুনির সংস্কৃতি রুখতে হবে এখনই

সাংবাদিক হত্যা-নির্যাতনের ঘটনার বিচার করে দৃষ্টান্ত স্থাপন করুন

ইউনিয়ন পরিষদে নাগরিক সেবায় ভোগান্তির অবসান ঘটান

সড়কে মৃত্যু : দুর্ঘটনা নাকি অব্যবস্থাপনার ফল?

অন্তর্বর্তী সরকারের এক বছর

নির্বাচনের ঘোষণায় স্বস্তি, তবে আছে অনেক চ্যালেঞ্জ

‘জুলাই ঘোষণাপত্র’: কিছু জিজ্ঞাসা

বয়স্ক ভাতা পেতে আর কত অপেক্ষা

ডিএনডি এলাকায় জলাবদ্ধতা নিরসনে কার্যকর ব্যবস্থা নিন

গণঅভ্যুত্থানের এক বছর: প্রত্যাশায় কী প্রাপ্তি

tab

opinion » editorial

সংরক্ষিত বন রক্ষায় প্রচেষ্টা চালাতে হবে

মঙ্গলবার, ৩১ অক্টোবর ২০২৩

২০৩০ সালের মধ্যে বিশ্বের ৩০ শতাংশ ভূমি ও জলভাগ সংরক্ষিত হিসেবে রক্ষার লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে। গত বছর কানাডার মন্ট্রিয়লে জাতিসংঘের জীববৈচিত্র্য বিষয়ক সম্মেলনে এ সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।

প্রশ্ন হচ্ছে, বাংলাদেশে সংরক্ষিত বনের হার কত শতাংশ। বিভিন্ন সময় যে হিসাব প্রকাশিত হয় তা থেকে জানা যায় যে, বাংলাদেশে সংরক্ষিত বনের হার ১২ শতাংশ। বিশ্বে সংরক্ষিত বনের হার ১৭ শতাংশ। সংরক্ষিত বনের হিসাবে বাকি বিশ্বের চেয়ে বাংলাদেশ ঢের ঢের দূরে রয়েছে।

বৈশ্বিক মানদন্ড অনুযায়ী আগামী ২০৩০ সালের মধ্যে ৩০ শতাংশ সংরক্ষিত বনের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে হলে এখনো অনেক পথ পারি দিতে হবে। হাতে সময় আছে মাত্র সাত বছর। এই সময়ের মধ্যে লক্ষ্যমাত্রা কতটুকু অর্জিত হবে সেটা নিয়ে ঘোর সংশয় আছে। কারণ বিভিন্ন সময় গণমাধ্যমে সংরক্ষিত বন ধ্বংস বা দখল হওয়া নিয়ে যেসব প্রতিবেদন প্রকাশিত হয় তাতে উদ্বিগ্ন না হয়ে পারা যায় না।

দেশজুড়েই বনভূমি ধ্বংস বা বেদখল হচ্ছে। প্রতিনিয়ত বন উজাড় হচ্ছে। এক হিসাব অনুযায়ী, ২০০১ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশে উজাড় হয়েছে প্রায় ৩ লাখ ৭৮ হাজার একর বনভূমি। বন বিভাগের ২ লাখ ৮৭ হাজার ৪৫২ একর জমি বেদখল হয়ে গেছে। এমনকি গেজেটভুক্ত জমিও দখল হয়েছে। বেদখল জমিতে গড়ে উঠেছে শিল্প-কারখানা, রিসোর্ট, বসতভিটা, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্রভৃতি।

দেশের পরিবেশ রক্ষা করতে হলে বন বাঁচাতে হবে। বন বিভাগের যেসব জমি বেহাত হয়ে গেছে তা উদ্ধার করতে হবে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বনভূমি দখলদারদের পূর্ণাঙ্গ তালিকা করেছে। তালিকা অনুযায়ী বেদখলে থাকা বনভূমি উদ্ধারে দ্রুত উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে- এমনটাই আমরা দেখতে চাই।

বলা হচ্ছে, প্রকৃতি ও মানুষের মধ্যে আন্তঃসম্পর্কের মাধ্যমে কাজ করলে বাংলাদেশে সংরক্ষিত বনের বৈশ্বিক এই ৩০ শতাংশ লক্ষ্যমাত্রা দ্রুত অর্জন সম্ভব হবে। আমরাও মনে করি, প্রকৃতির সঙ্গে মানুষের দৃঢ়বন্ধন তৈরি করতে হবে। এছাড়া বন রক্ষা করার কাজ কঠিন হবে। তবে বন রক্ষায় সবার আগে সরকারকে এগিয়ে আসতে হবে। বনভূমি তদারকির ব্যবস্থা আরও কার্যকর করতে হবে।

back to top