alt

সম্পাদকীয়

পাহাড় কাটা কি চলতেই থাকবে

: বৃহস্পতিবার, ০২ নভেম্বর ২০২৩

চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে চলছে পাহাড় কাটা। মিরসরাই উপজেলার করেরহাট এলাকার ঝিলতলি এলাকার অনেক পাহাড়ই কাটা হয়েছে। রাতের বেলায় ঝিলতলি ও করেরহাট রামগড় রোডের বিভিন্ন এলাকার পাহাড়ের মাটি অবৈধভাবে বিক্রি করছে অসাধু চক্র। বসতি স্থাপনের জন্যও কাটা হচ্ছে পাহাড়। এ নিয়ে গত বুধবার সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।

অবৈধভাবে পাহাড় কাটা সাধারণ ঘটনায় পরিণত হয়েছে। কেবল পাহাড়ের মাটিই কাটা হয় না, গাছও কাটা হচ্ছে নির্বিচারে। অনেক স্থানেই পাহাড়ি বনভূমি ধ্বংস করা হয়েছে। ফলে অস্তিত্ব সংকটে পড়েছে সংশ্লিষ্ট এলাকার জীববৈচিত্র্য।

পাহাড় প্রকৃতির বাস্তুতন্ত্রের অপরিহার্য একটি উপাদন। পাহাড় না থাকলে বাস্তুতন্ত্র রক্ষা করে যায় না। এর অস্তিত্ব বিপন্ন হলে প্রকৃতি-পরিবেশ বিপন্ন হবে। যার মন্দ পরিণতি বরণ করতে হবে মানুষকেও। দেশের পাহাড়গুলো অস্তিত্ব সংকটে ভুগছে। অবিবেচক মানুষের আগ্রাসী ভূমিকার কারণে এগুলোর অস্তিত্ব বিলীন হতে চলছে।

মানুষের হঠকারিতার কারণে দেশে অতীতে পাহাড় ধসের মতো দুর্ঘটনা ঘটেছে। প্রসঙ্গক্রমে বলা যায়, ২০১৭ সালের ১২ থেকে ১৩ জুন পার্বত্য তিন জেলাসহ ছয় জেলায় পাহাড় ধসে ১৬৮ জন মারা গিয়েছিল। সেই সময় আহত হয়েছিলেন চার শতাধিক মানুষ।

আমরা বলতে চাই, অবৈধভাবে পাহাড় কাটা এবং সেখানে অপরিকল্পিত ঘরবাড়ি নির্মাণ বন্ধ করতে হবে। পাহাড় কাটার সঙ্গে যারা জড়িত তাদের চিহ্নিত করতে হবে। তাদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে। দুর্বৃত্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করা না গেলে পাহাড়গুলোর অস্তিত্ব রক্ষা করা কঠিন হবে।

মিরসরাইয়ে পাহাড় কাটা ও অবৈধভাবে পাহাড়ি মাটি বিক্রির যে অভিযোগ পাওয়া গেছে তা আমলে নিতে হবে। এর নেপথ্যে কারা রয়েছে সেটা খুঁজে বের করতে হবে। মূল হোতাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া জরুরি। কেবল পাহাড় কাটা শ্রমিকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিলেই চলবে না। পাহাড় কাটা রোধে পরিবেশ অধিদপ্তর মাঝে মাঝে অভিযান চালায়। তবে অভিযোগ আছে যে, অভিযানে প্রায়ই শ্রমিকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হয়, তাদের বিরুদ্ধে মামলা দিয়ে হয়রানি করা হয়। কেউ যেন পাহাড় কাটতে না পারে সেজন্য নিয়মিত মনিটরিংয়ের ব্যবস্থা থাকা জরুরি।

ধর্মীয় অপব্যাখ্যায় শতবর্ষী বটগাছ নিধন : এ কোন সভ্যতা?

বেইলি রোডে আবার আগুন : নিরাপত্তা নিয়ে ভাবার সময় এখনই

লাউয়াছড়া বন : নিঃশব্দ বিপর্যয়ের মুখে

ডেঙ্গু পরিস্থিতি : অবহেলা নয়, দরকার জরুরি উদ্যোগ

ইকোপার্কের করুণ দশা : দায় কার

হাতি শাবকের মৃত্যু ও সাফারি পার্কের দায়ভার

বায়ুদূষণ রোধে চাই টেকসই উদ্যোগ

মেহনতি মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার দিন

চালের দামে অস্বস্তি : সরকারি তথ্য ও বাজারের বাস্তবতার ফারাক

অতিদারিদ্র্যের আশঙ্কা : সমাধান কোথায়?

ডিমলা উপজেলা হাসপাতালের অনিয়ম

রানা প্লাজা ট্র্যাজেডি : ন্যায়বিচার ও ক্ষতিপূরণের অপেক্ষা কবে ফুরাবে

হাইল হাওরের অস্তিত্ব সংকট

সমানাধিকারে আপত্তি কেন?

লেমুর চুরি : সাফারি পার্কের নিরাপত্তা সংকট

একটি হাসাহাসির ঘটনা, একটি হত্যাকাণ্ড : সমাজের সহিষ্ণুতার অবক্ষয়

চাই সুষ্ঠু বর্জ্য ব্যবস্থাপনা

মানুষ-হাতির সংঘাত : সমাধানের পথ খুঁজতে হবে

স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা সংকট দূর করুন

ফসলি জমি রক্ষায় কঠোর হোন

নিষ্ঠুরতার শিকার হাতি

বিশেষ ক্ষমতা আইন ও নাগরিক অধিকার

হালদায় অবৈধ মাছ শিকার বন্ধ করতে হবে

মশার উপদ্রব : বর্ষার আগেই সাবধান হতে হবে

ফিলিস্তিনে ইসরায়েলের হামলা : মানবতার প্রতি এক অব্যাহত আঘাত

অবৈধ বৈদ্যুতিক ফাঁদে প্রাণহানি : দায় কার?

নদীর বাঁধ ভাঙার দুর্ভোগ : টেকসই সমাধানের জরুরি প্রয়োজন

মোরেলগঞ্জ হাসপাতালে চিকিৎসা সংকট

সমবায় সমিতির নামে প্রতারণা : কঠোর নজরদারি ও আইনি পদক্ষেপ জরুরি

সড়ক দুর্ঘটনা নাকি অবহেলার পরিণতি

ভূমিকম্পের ধ্বংসযজ্ঞ ও আমাদের প্রস্তুতি

বার্ড ফ্লু : আতঙ্ক নয়, চাই সতর্কতা

জাটকা রক্ষার প্রতিশ্রুতি কি শুধুই কাগজে-কলমে?

ভেজাল কীটনাশক বন্ধে ব্যবস্থা নিন

অতিরিক্ত ভাড়া : যাত্রীদের দুর্ভোগ আর কতকাল?

করতোয়া নদীতে রাবার ড্যাম স্থাপনের দাবি

tab

সম্পাদকীয়

পাহাড় কাটা কি চলতেই থাকবে

বৃহস্পতিবার, ০২ নভেম্বর ২০২৩

চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে চলছে পাহাড় কাটা। মিরসরাই উপজেলার করেরহাট এলাকার ঝিলতলি এলাকার অনেক পাহাড়ই কাটা হয়েছে। রাতের বেলায় ঝিলতলি ও করেরহাট রামগড় রোডের বিভিন্ন এলাকার পাহাড়ের মাটি অবৈধভাবে বিক্রি করছে অসাধু চক্র। বসতি স্থাপনের জন্যও কাটা হচ্ছে পাহাড়। এ নিয়ে গত বুধবার সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।

অবৈধভাবে পাহাড় কাটা সাধারণ ঘটনায় পরিণত হয়েছে। কেবল পাহাড়ের মাটিই কাটা হয় না, গাছও কাটা হচ্ছে নির্বিচারে। অনেক স্থানেই পাহাড়ি বনভূমি ধ্বংস করা হয়েছে। ফলে অস্তিত্ব সংকটে পড়েছে সংশ্লিষ্ট এলাকার জীববৈচিত্র্য।

পাহাড় প্রকৃতির বাস্তুতন্ত্রের অপরিহার্য একটি উপাদন। পাহাড় না থাকলে বাস্তুতন্ত্র রক্ষা করে যায় না। এর অস্তিত্ব বিপন্ন হলে প্রকৃতি-পরিবেশ বিপন্ন হবে। যার মন্দ পরিণতি বরণ করতে হবে মানুষকেও। দেশের পাহাড়গুলো অস্তিত্ব সংকটে ভুগছে। অবিবেচক মানুষের আগ্রাসী ভূমিকার কারণে এগুলোর অস্তিত্ব বিলীন হতে চলছে।

মানুষের হঠকারিতার কারণে দেশে অতীতে পাহাড় ধসের মতো দুর্ঘটনা ঘটেছে। প্রসঙ্গক্রমে বলা যায়, ২০১৭ সালের ১২ থেকে ১৩ জুন পার্বত্য তিন জেলাসহ ছয় জেলায় পাহাড় ধসে ১৬৮ জন মারা গিয়েছিল। সেই সময় আহত হয়েছিলেন চার শতাধিক মানুষ।

আমরা বলতে চাই, অবৈধভাবে পাহাড় কাটা এবং সেখানে অপরিকল্পিত ঘরবাড়ি নির্মাণ বন্ধ করতে হবে। পাহাড় কাটার সঙ্গে যারা জড়িত তাদের চিহ্নিত করতে হবে। তাদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে। দুর্বৃত্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করা না গেলে পাহাড়গুলোর অস্তিত্ব রক্ষা করা কঠিন হবে।

মিরসরাইয়ে পাহাড় কাটা ও অবৈধভাবে পাহাড়ি মাটি বিক্রির যে অভিযোগ পাওয়া গেছে তা আমলে নিতে হবে। এর নেপথ্যে কারা রয়েছে সেটা খুঁজে বের করতে হবে। মূল হোতাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া জরুরি। কেবল পাহাড় কাটা শ্রমিকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিলেই চলবে না। পাহাড় কাটা রোধে পরিবেশ অধিদপ্তর মাঝে মাঝে অভিযান চালায়। তবে অভিযোগ আছে যে, অভিযানে প্রায়ই শ্রমিকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হয়, তাদের বিরুদ্ধে মামলা দিয়ে হয়রানি করা হয়। কেউ যেন পাহাড় কাটতে না পারে সেজন্য নিয়মিত মনিটরিংয়ের ব্যবস্থা থাকা জরুরি।

back to top