alt

opinion » editorial

ঠাকুরগাঁওয়ের বাস টার্মিনালটি চালু হোক

: শুক্রবার, ০৩ নভেম্বর ২০২৩

দেড় কোটি টাকা ব্যয়ে ঠাকুরগাঁওয়ে বাস টার্মিনাল নির্মাণ করা হয়। এটি উদ্বোধন করা হয় ২০০৩ সালে; কিন্তু প্রায় ২০ বছর হতে চলল তবুও এটি চালু হয়নি। কর্তৃপক্ষের উদাসীনতা ও কোনো এক স্বার্থান্বেষী মহলের চাপে এটি চালু করা হচ্ছে না বলে ভুক্তভোগীরা অভিযোগ করেছে।

শহরের সড়কগুলোতে যানজট ও যাত্রী দুর্ভোগ কমাতে ঠাকুরগাঁও-দিনাজপুর মহাসড়কের পাশে পাঁচ বিঘা জমির উপর বাস টার্মিনালটি নির্মাণ করা হয়। যাত্রীদের বসার ব্যবস্থা, টিকিট কাউন্টার, ক্যানটিনসহ সব ব্যবস্থাই আছে; কিন্তু নেই কোনো যাত্রী। আর যাত্রী না থাকার কারণ পরিবহন কোম্পানিগুলোর বাস এই টার্মিনাল ব্যবহার না করা। টার্মিনালের কিছু দূরে মহাসড়কের বিভিন্ন জায়গায় তারা বাস থামিয়ে যাত্রী ওঠানামা করায়। তারা বাধ্য হয়ে রোদে পুড়ে, বৃষ্টিতে ভিজে ঘণ্টার পর ঘণ্টা রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে থাকে বাসের জন্য।

দীর্ঘ দেড় যুগেরও বেশি সময় ধরে টার্মিনালটি পড়ে থাকায় এর অবকাঠামো নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। ভবনের দরজা-জানালার লোহা চুরি হয়ে যাচ্ছে। দেখভালের অভাবে ময়লা-আবর্জনার স্তূপ জমতে শুরু করেছে। রাত-দিন মাদকসেবীরা এখানে আড্ডা দেয়। বাস টার্মিনালটিতে সব ধরনের সুযোগ-সুবিধা থাকা সত্ত্বেও কেন সেটি এত বছরেও ব্যবহার করা হলো না, সে প্রশ্ন এসে যায়।

খুব তাড়াতাড়ি টার্মিনালটি চালুর ব্যাপারে পদক্ষেপ নেয়া হবে- এমন আশ্বাস শোনা যায় প্রায়ই। একটি দুটি বছর নয়, ২০ বছর ধরে একই কথা শোনানো হচ্ছে ভুক্তভোগী জনসাধারণকে; কিন্তু এভাবে বছরের পর বছর ধরে জনগণকে বোকা বানানোর খেলা চলতে পারে না। পৌরসভার নাগরিকরা বলছেন টার্মিনালটি মোটর মালিক সমিতির নামে ইজারা দেয়া আছে। তাদেরই এটি চালু করার দায়িত্ব। তাহলে তারা এটি চালু কেন করছে না- সেই প্রশ্ন আমরা করতে চাই।

বাস টার্মিনাল নির্মাণ করা হলেও তা ২০ বছর ধরে ব্যবহার করা হচ্ছে না- এমন বিস্ময়কর ঘটনা শুধু ঠাকুরগাঁওয়ে ঘটেছে তা নয়। শহরের ওপর যাত্রীদের চাপ কমাতে, যানজট ও দুর্ঘটনা এড়ানোর জন্য দেশের আরও অনেক শহর ও নগরে বাস টার্মিনাল নির্মাণ করা হয়েছে; কিন্তু সেখানকার বাস টার্মিনালগুলোও অব্যবহৃত অবস্থায় পড়ে থাকায় অবকাঠামো নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। ঠাকুরগাঁওসহ দেশের যেসব বাস টার্মিনাল নির্মাণের পর এখনও চালু হয়নি, সেগুলো চালুর ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নিতে হবে।

ঠাকুরগাঁও অঞ্চলের ভুক্তভোগী যাত্রীদের দুর্ভোগ লাঘবে ও শহরের যানজট নিরসনে মোটর মালিক সমিতিকে বাস টার্মিনালটি চালুর ব্যাপারে সবরকম ব্যবস্থা নিতে হবে। মোটর মালিক সমিতির সদিচ্ছা থাকলে এটি চালু হতে আর বিলম্ব হবে না বলে আমরা বিশ্বাস করি।

তাপমাত্রা বাড়ার মূল্য

গাছে পেরক ঠোকার নিষ্ঠুরতার অবসান হোক

আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি : দায় চাপানোর সংস্কৃতি নয়, ব্যবস্থা নিন

কবর থেকে লাশ তুলে আগুন: কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করুন

বর্জ্য ব্যবস্থাপনার অচলাবস্থা ও নাগরিক দুর্ভোগ

ঈদে মিলাদুন্নবী : মহানবীর আদর্শ অনুসরণ করা জরুরি

নীলফামারীতে শ্রমিকের প্রাণহানি: এই মৃত্যু কি এড়ানো যেত না

বিশ্ববিদ্যালয়ে নির্বাচন: নারী সহপাঠীকে ‘গণধর্ষণের’ হুমকি, নারী প্রার্থীদের সাইবার হয়রানি

নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণার পর কেন এই নৈরাজ্য

খাদ্যবান্ধব কর্মসূচিতে দুর্নীতির অভিযোগ আমলে নিন

নারী ও শিশু নির্যাতনের উদ্বেগজনক চিত্র

ভবদহের জলাবদ্ধতা: শিক্ষা ও জীবনযাত্রার উপর অব্যাহত সংকট

সৈয়দপুরে মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রের দুর্দশা

জমি রেজিস্ট্রিতে ঘুষের বোঝা: সাধারণ মানুষের ভোগান্তি

মবের নামে মানুষ হত্যা : সমাজ কোথায় যাচ্ছে?

‘জুলাই জাতীয় সনদ’ : কেন প্রশ্ন তোলা যাবে না

সুন্দরবন রক্ষায় টেকসই ব্যবস্থা নিন

মামলা, গ্রেপ্তার, জামিন : প্রশ্নবিদ্ধ আইনের শাসন

শিক্ষার্থীদের স্বেচ্ছাশ্রমে সাঁকো নির্মাণ : ঐক্য ও উদ্যমের উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত

বন্যা ও ভাঙন : দ্রুত ব্যবস্থা নিন

অ্যান্টিভেনমের সরবরাহ নিশ্চিত করুন

ভূমি অফিসে ঘুষ বন্ধে দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নিন

জন্ম নিবন্ধনে জটিলতা দূর করা জরুরি

‘সাদা পাথর’ লুটের সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিন

সার বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ আমলে নিন

তরুণদের জন্য আলাদা বুথ! সিদ্ধান্ত কার? কেন?

চিকিৎসক সংকটে জীবননগরের স্বাস্থ্যসেবা ব্যাহত

গণপিটুনির সংস্কৃতি রুখতে হবে এখনই

সাংবাদিক হত্যা-নির্যাতনের ঘটনার বিচার করে দৃষ্টান্ত স্থাপন করুন

ইউনিয়ন পরিষদে নাগরিক সেবায় ভোগান্তির অবসান ঘটান

সড়কে মৃত্যু : দুর্ঘটনা নাকি অব্যবস্থাপনার ফল?

অন্তর্বর্তী সরকারের এক বছর

নির্বাচনের ঘোষণায় স্বস্তি, তবে আছে অনেক চ্যালেঞ্জ

‘জুলাই ঘোষণাপত্র’: কিছু জিজ্ঞাসা

বয়স্ক ভাতা পেতে আর কত অপেক্ষা

ডিএনডি এলাকায় জলাবদ্ধতা নিরসনে কার্যকর ব্যবস্থা নিন

tab

opinion » editorial

ঠাকুরগাঁওয়ের বাস টার্মিনালটি চালু হোক

শুক্রবার, ০৩ নভেম্বর ২০২৩

দেড় কোটি টাকা ব্যয়ে ঠাকুরগাঁওয়ে বাস টার্মিনাল নির্মাণ করা হয়। এটি উদ্বোধন করা হয় ২০০৩ সালে; কিন্তু প্রায় ২০ বছর হতে চলল তবুও এটি চালু হয়নি। কর্তৃপক্ষের উদাসীনতা ও কোনো এক স্বার্থান্বেষী মহলের চাপে এটি চালু করা হচ্ছে না বলে ভুক্তভোগীরা অভিযোগ করেছে।

শহরের সড়কগুলোতে যানজট ও যাত্রী দুর্ভোগ কমাতে ঠাকুরগাঁও-দিনাজপুর মহাসড়কের পাশে পাঁচ বিঘা জমির উপর বাস টার্মিনালটি নির্মাণ করা হয়। যাত্রীদের বসার ব্যবস্থা, টিকিট কাউন্টার, ক্যানটিনসহ সব ব্যবস্থাই আছে; কিন্তু নেই কোনো যাত্রী। আর যাত্রী না থাকার কারণ পরিবহন কোম্পানিগুলোর বাস এই টার্মিনাল ব্যবহার না করা। টার্মিনালের কিছু দূরে মহাসড়কের বিভিন্ন জায়গায় তারা বাস থামিয়ে যাত্রী ওঠানামা করায়। তারা বাধ্য হয়ে রোদে পুড়ে, বৃষ্টিতে ভিজে ঘণ্টার পর ঘণ্টা রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে থাকে বাসের জন্য।

দীর্ঘ দেড় যুগেরও বেশি সময় ধরে টার্মিনালটি পড়ে থাকায় এর অবকাঠামো নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। ভবনের দরজা-জানালার লোহা চুরি হয়ে যাচ্ছে। দেখভালের অভাবে ময়লা-আবর্জনার স্তূপ জমতে শুরু করেছে। রাত-দিন মাদকসেবীরা এখানে আড্ডা দেয়। বাস টার্মিনালটিতে সব ধরনের সুযোগ-সুবিধা থাকা সত্ত্বেও কেন সেটি এত বছরেও ব্যবহার করা হলো না, সে প্রশ্ন এসে যায়।

খুব তাড়াতাড়ি টার্মিনালটি চালুর ব্যাপারে পদক্ষেপ নেয়া হবে- এমন আশ্বাস শোনা যায় প্রায়ই। একটি দুটি বছর নয়, ২০ বছর ধরে একই কথা শোনানো হচ্ছে ভুক্তভোগী জনসাধারণকে; কিন্তু এভাবে বছরের পর বছর ধরে জনগণকে বোকা বানানোর খেলা চলতে পারে না। পৌরসভার নাগরিকরা বলছেন টার্মিনালটি মোটর মালিক সমিতির নামে ইজারা দেয়া আছে। তাদেরই এটি চালু করার দায়িত্ব। তাহলে তারা এটি চালু কেন করছে না- সেই প্রশ্ন আমরা করতে চাই।

বাস টার্মিনাল নির্মাণ করা হলেও তা ২০ বছর ধরে ব্যবহার করা হচ্ছে না- এমন বিস্ময়কর ঘটনা শুধু ঠাকুরগাঁওয়ে ঘটেছে তা নয়। শহরের ওপর যাত্রীদের চাপ কমাতে, যানজট ও দুর্ঘটনা এড়ানোর জন্য দেশের আরও অনেক শহর ও নগরে বাস টার্মিনাল নির্মাণ করা হয়েছে; কিন্তু সেখানকার বাস টার্মিনালগুলোও অব্যবহৃত অবস্থায় পড়ে থাকায় অবকাঠামো নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। ঠাকুরগাঁওসহ দেশের যেসব বাস টার্মিনাল নির্মাণের পর এখনও চালু হয়নি, সেগুলো চালুর ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নিতে হবে।

ঠাকুরগাঁও অঞ্চলের ভুক্তভোগী যাত্রীদের দুর্ভোগ লাঘবে ও শহরের যানজট নিরসনে মোটর মালিক সমিতিকে বাস টার্মিনালটি চালুর ব্যাপারে সবরকম ব্যবস্থা নিতে হবে। মোটর মালিক সমিতির সদিচ্ছা থাকলে এটি চালু হতে আর বিলম্ব হবে না বলে আমরা বিশ্বাস করি।

back to top