alt

মতামত » সম্পাদকীয়

তারাকান্দায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ওয়ার্ডসেবা চালু করুন

: রোববার, ০৫ নভেম্বর ২০২৩

ময়মনসিংহের তারাকান্দায় ৫০ শয্যার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স উদ্বোধন করা হয় ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে। এরপর এক বছর আট মাসেরও বেশি সময় পার হয়েছে। কিন্তু স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে শয্যাগুলো চালু করা যায়নি বা হয়নি। অবশ্য আউডোরে রোগীদের স্বাস্থ্যসেবা দেয়া হচ্ছে।

উদ্বোধনের পর এত সময় পার হলেও ইনডোর সেবা কেন দেয়া যাচ্ছে না সেই প্রশ্ন উঠেছে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বলছে, হাসপাতালে প্রয়োজনীয় জনবল নেই। ডাক্তার, নার্স, টেকনিশিয়ান নেই। অন্য পদগুলোতেও লোকবল নিয়োগ দেয়া হয়নি। তাছাড়া জরুরি অনেক চিকিৎসা সরঞ্জামেরও ঘাটতি রয়েছে। এ নিয়ে গণমাধ্যমে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।

সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বলছে, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ডাক্তার ও নার্সসহ ৭৬টি বিভিন্ন পদে জনবল লাগবে। এসব পদের ৪৮টিতে কোনো লোক নেই। লোকবল যাও আছে তাদের অনেকেই নানা কারণে নিয়মিত কর্মক্ষেত্রে যেতে পারেন না। অনেক চলে গেছেন অন্যত্র। জানা গেছে, হাসপাতালে জুনিয়র কনসালট্যান্ট পদে ১০ জনের জন্য আবেদন করা হয়েছিল। এর বিপরীতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর অনুমোদন দিয়েছে চারটি পদ। অনুমোদিত পদে চারজনকে নিয়োগ দেয়া হয়েছিল। তবে তাদের সবাই অন্যত্র চলে গেছেন। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, নার্স প্রয়োজন ২২ জন। তবে ওই হাসপাতালে পদ রয়েছে সাতটি আর নিয়োগ দেয়া হয়েছে পাঁচজনকে। যাদের মধ্যে দুজন রয়েছেন মাতৃত্বকালীন ছুটিতে।

সমস্যা আরও রয়েছে। হাসপাতালে এক্স-রে রুম আছে। তবে নেই এক্স-রে মেশিন। আল্ট্রাসনোগ্রাম মেশিনও নেই। এসব মেশিন কবে সরবরাহ করা হবে সেটা একটা প্রশ্ন। প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম ছাড়া রোগীদের পূর্ণাঙ্গ স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করা দুরূহ।

উপজেলা হাসপাতালে পূর্ণাঙ্গ স্বাস্থ্যসেবা না পাওয়ায় ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে অনেক রোগী ও তাদের স্বজনদের। হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিতে হবে এমন অনেক রোগীকে বিভাগীয় হাসপাতালে বা জেলার অন্য হাসপাতালে যেতে হচ্ছে। পূর্ণাঙ্গ স্বাস্থ্যসেবা চালু থাকলে রোগীদের ভোগান্তি দূর হতো।

সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ আশ্বাস দিয়ে বলেছেন, ওই হাসপাতালে ওয়ার্ডসেবা দেয়ার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়া হবে। আমরা বলতে চাই, কেবল আশ্বাস দিলে হবে না। বাস্তব পদক্ষেপ নিতে হবে। লোকবল নিয়োগ দিয়ে ও প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম সরবরাহ করে হাসপাতালটিতে ওয়ার্ডসেবা দ্রুত চালু করা হচ্ছে এমনটাই আমরা দেখতে চাই।

কৃষকদের পাশে থাকুন

প্রাথমিক শিক্ষায় সংকট

অ্যানথ্রাক্স নিয়ন্ত্রণে ধীরগতি: ঝুঁকিতে মানুষ ও গবাদিপশু

রাজধানীর যানবাহন নিয়ন্ত্রণে ফিরেছে সিগন্যাল বাতি: বাস্তবায়ন জরুরি

দুস্থদের জন্য নিম্নমানের চাল: দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নিন

নিরাপদ সড়কের আকাঙ্ক্ষা ও বাস্তবতা

কটিয়াদীতে বিদ্যুৎ বিল নিয়ে অভিযোগ আমলে নিন

ধানখেতে পোকার আক্রমণ: কৃষকের পাশে দাঁড়ান

কৃষিজমির পাশে ইউক্যালিপটাস: লাভ সাময়িক, ক্ষতি দীর্ঘমেয়াদী

খুলনা বিভাগীয় শিশু হাসপাতাল চালু হতে আর কত অপেক্ষা

সদরপুর স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সের স্বাস্থ্যসেবার মান বাড়াতে ব্যবস্থা নিন

সরকারি জমি দখল: ব্যবস্থা নিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে হবে

রংপুর সিটি করপোরেশনে অটোরিকশার লাইসেন্স প্রসঙ্গে

বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজে অগ্নিকাণ্ড প্রশ্ন অনেক, উত্তর মিলবে কি

দেবীদ্বার কলেজ মাঠ: অবহেলায় হারাতে বসেছে ঐতিহ্য

সিইপিজেডের আগুন: অবহেলা আর দায়িত্বহীনতার নজির

বায়ুদূষণ রোধে কার্যকর পদক্ষেপ নিন

এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা : ফল বিপর্যয় নাকি বাস্তবতা

কুমারভোগের বাসিন্দাদের জলাবদ্ধতা থেকে মুক্তি দিন

বেহাল রাজবাড়ী বিসিক শিল্পনগরী: ব্যবস্থা নিন

শিক্ষক-কর্মচারীদের দাবি: যৌক্তিক পদক্ষেপ নিন

গার্মেন্টস কারখানায় অগ্নিকাণ্ড: প্রশ্নবিদ্ধ নিরাপত্তা ব্যবস্থা

ভিডব্লিউবি কর্মসূচিতে অনিয়ম-দুর্নীতি বন্ধ করুন

টিআরএম প্রকল্পের ক্ষতিপূরণ পেতে আর কত অপেক্ষা

জয়পুরহাটে ডায়রিয়ার প্রকোপ

লুট হওয়া অস্ত্র উদ্ধার করা যাচ্ছে না কেন

টাইফয়েড টিকা: ভালো উদ্যোগ

হামাস-ইসরায়েল চুক্তি: শান্তি প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ সফল হোক

বকুলতলায় স্থগিত শরৎ উৎসব!

সুন্দরগঞ্জে অ্যানথ্রাক্স টিকাদান কার্যক্রমে জনবল সংকট দূর করুন

বনভূমি দখল: ব্যবস্থা নিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করুন

নন্দীগ্রামে বর্জ্য ব্যবস্থাপনার সংকট

জরাজীর্ণ বিদ্যালয়গুলো সংস্কার করুন

কমছেই আলুর দাম, লোকসান বাড়ছে কৃষকের

এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের দাবি কি পূরণ হলো?

সড়ক দুর্ঘটনা রোধে সমন্বিত পদক্ষেপ নিতে হবে

tab

মতামত » সম্পাদকীয়

তারাকান্দায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ওয়ার্ডসেবা চালু করুন

রোববার, ০৫ নভেম্বর ২০২৩

ময়মনসিংহের তারাকান্দায় ৫০ শয্যার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স উদ্বোধন করা হয় ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে। এরপর এক বছর আট মাসেরও বেশি সময় পার হয়েছে। কিন্তু স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে শয্যাগুলো চালু করা যায়নি বা হয়নি। অবশ্য আউডোরে রোগীদের স্বাস্থ্যসেবা দেয়া হচ্ছে।

উদ্বোধনের পর এত সময় পার হলেও ইনডোর সেবা কেন দেয়া যাচ্ছে না সেই প্রশ্ন উঠেছে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বলছে, হাসপাতালে প্রয়োজনীয় জনবল নেই। ডাক্তার, নার্স, টেকনিশিয়ান নেই। অন্য পদগুলোতেও লোকবল নিয়োগ দেয়া হয়নি। তাছাড়া জরুরি অনেক চিকিৎসা সরঞ্জামেরও ঘাটতি রয়েছে। এ নিয়ে গণমাধ্যমে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।

সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বলছে, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ডাক্তার ও নার্সসহ ৭৬টি বিভিন্ন পদে জনবল লাগবে। এসব পদের ৪৮টিতে কোনো লোক নেই। লোকবল যাও আছে তাদের অনেকেই নানা কারণে নিয়মিত কর্মক্ষেত্রে যেতে পারেন না। অনেক চলে গেছেন অন্যত্র। জানা গেছে, হাসপাতালে জুনিয়র কনসালট্যান্ট পদে ১০ জনের জন্য আবেদন করা হয়েছিল। এর বিপরীতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর অনুমোদন দিয়েছে চারটি পদ। অনুমোদিত পদে চারজনকে নিয়োগ দেয়া হয়েছিল। তবে তাদের সবাই অন্যত্র চলে গেছেন। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, নার্স প্রয়োজন ২২ জন। তবে ওই হাসপাতালে পদ রয়েছে সাতটি আর নিয়োগ দেয়া হয়েছে পাঁচজনকে। যাদের মধ্যে দুজন রয়েছেন মাতৃত্বকালীন ছুটিতে।

সমস্যা আরও রয়েছে। হাসপাতালে এক্স-রে রুম আছে। তবে নেই এক্স-রে মেশিন। আল্ট্রাসনোগ্রাম মেশিনও নেই। এসব মেশিন কবে সরবরাহ করা হবে সেটা একটা প্রশ্ন। প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম ছাড়া রোগীদের পূর্ণাঙ্গ স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করা দুরূহ।

উপজেলা হাসপাতালে পূর্ণাঙ্গ স্বাস্থ্যসেবা না পাওয়ায় ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে অনেক রোগী ও তাদের স্বজনদের। হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিতে হবে এমন অনেক রোগীকে বিভাগীয় হাসপাতালে বা জেলার অন্য হাসপাতালে যেতে হচ্ছে। পূর্ণাঙ্গ স্বাস্থ্যসেবা চালু থাকলে রোগীদের ভোগান্তি দূর হতো।

সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ আশ্বাস দিয়ে বলেছেন, ওই হাসপাতালে ওয়ার্ডসেবা দেয়ার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়া হবে। আমরা বলতে চাই, কেবল আশ্বাস দিলে হবে না। বাস্তব পদক্ষেপ নিতে হবে। লোকবল নিয়োগ দিয়ে ও প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম সরবরাহ করে হাসপাতালটিতে ওয়ার্ডসেবা দ্রুত চালু করা হচ্ছে এমনটাই আমরা দেখতে চাই।

back to top