alt

opinion » editorial

রাজনীতি : সংঘাত, সহিংসতা সমাধান নয়, বিপদ বাড়াবে

: সোমবার, ০৬ নভেম্বর ২০২৩

আগামী সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে দেশে সংঘাতময় পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। মানুষ সংঘাত-সংঘর্ষ চায়নি। কোনো ধরনের সংঘাত-সংঘর্ষকে সমর্থন করা চলে না। এতে দেশ বা মানুষের কোনো কল্যাণ হবে না।

২৮ অক্টোবর মহাসমাবেশ পণ্ড হওয়ার পর বিএনপি ও তার সমমনা দলগুলো হরতাল-অবরোধ কর্মসূচি পালন করছে। ফায়ার সার্ভিসের সূত্র অনুযায়ী, বিএনপি-জামায়াতের ডাকা প্রথম দফার তিন দিনের অবরোধে দেশে ৩১টি যানবাহনে আগুন দেয়া হয়েছে। দ্বিতীয় দফার দুই দিনের অবরোধেও যানবাহন পোড়ানো হয়েছে। বাস পোড়ানোর অভিযোগে অনেককে গ্রেপ্তারও করা হয়েছে। বাস যে বা যারাই পোড়াক এর দায় যারা অবরোধ কর্মসূচি দেয় তারা এড়াতে পারে না।

ধ্বংসাত্মক কর্মসূচি দিয়ে বিএনপি কী অর্জন করতে চাচ্ছে সেটা একটা প্রশ্ন। ২০১৩-১৪-১৫ সালে বিএনপি-জামায়াত হরতাল-অবরোধ কর্মসূচি দিয়েছিল। তখন সেই কর্মসূচি সহিংস আকার ধারণ করেছিল। একটা পর্যায়ে গিয়ে তা অকার্যকর হয়েছে। এর মধ্য দিয়ে তারা তখন কী অর্জন করেছিল, এবারও একই পথ অনুসরণ করলে তারা কী অর্জন করবে-জনমনে এসব প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।

বিএনপি বলছে, বর্তমান সরকারের অধীনে নির্বাচন সুষ্ঠু হবে না। দলটি দীর্ঘদিন ধরে নির্দলীয় সরকারের দাবি জানিয়ে আসছে। দাবি আদায়ের লক্ষ্যে আন্দোলন-বিক্ষোভ করেছে, কর্মসূচি দিচ্ছে। কোনো রাজনৈতিক দল কর্মসূচি দিতেই পারে। তবে সেটা যদি সহিংস রূপ ধারণ করে তাহলে জনগণের ভোগান্তিই বাড়ে কেবল। ধ্বংসাত্মক কর্মসূচি দিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর কী লাভ হয় সেটা তারা ভালো বলতে পারবে তবে মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। সাধারণ মানুষকে জিম্মি করে কোনো দলের দাবিদাওয়া আদায় করা কোন ধরনের রাজনীতি সেটা একটা প্রশ্ন।

বিএনপির নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার করছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। সরকার হয়তো ভাবছে, উদ্ভূত পরিস্থিতির উত্তরণ ঘটাতে হলে বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা দিতে হবে, গ্রেপ্তার করতে হবে। তবে টেকসই সমাধান মিলবে কিনা সেটা নিয়ে অনেকেই সন্দিহান। তবে যারা আগুন দিচ্ছে তাদের ছাড় দিতে হবে সেটা কেউ বলছে না। বিশ্বাসযোগ্য, সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে তাদের বিচারের আওতায় আনতে হবে।

সংঘাত, সহিংসতা দেশকে কোথায় নিয়ে যাচ্ছে সেটা দুপক্ষেরই ভেবে দেখা দরকার। আমরা মনে করি, রাজনীতিতে আলোচনার পথ কখনো বন্ধ করা উচিত নয়। আলোচনার পথ খোলা রাখতে হবে।

আমরা এখনো আশা করব, সব পক্ষের শুভ বুদ্ধির উদয় হবে। দেশে দ্বিদলীয় মেরুকরণের হানাহানিতে যে সংকট দেখা দিয়েছে আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে তার টেকসই সমাধান হবে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেলে যে বিপদ হবে তা কারও জন্য সুখকর হবে না।

তাপমাত্রা বাড়ার মূল্য

গাছে পেরক ঠোকার নিষ্ঠুরতার অবসান হোক

আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি : দায় চাপানোর সংস্কৃতি নয়, ব্যবস্থা নিন

কবর থেকে লাশ তুলে আগুন: কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করুন

বর্জ্য ব্যবস্থাপনার অচলাবস্থা ও নাগরিক দুর্ভোগ

ঈদে মিলাদুন্নবী : মহানবীর আদর্শ অনুসরণ করা জরুরি

নীলফামারীতে শ্রমিকের প্রাণহানি: এই মৃত্যু কি এড়ানো যেত না

বিশ্ববিদ্যালয়ে নির্বাচন: নারী সহপাঠীকে ‘গণধর্ষণের’ হুমকি, নারী প্রার্থীদের সাইবার হয়রানি

নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণার পর কেন এই নৈরাজ্য

খাদ্যবান্ধব কর্মসূচিতে দুর্নীতির অভিযোগ আমলে নিন

নারী ও শিশু নির্যাতনের উদ্বেগজনক চিত্র

ভবদহের জলাবদ্ধতা: শিক্ষা ও জীবনযাত্রার উপর অব্যাহত সংকট

সৈয়দপুরে মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রের দুর্দশা

জমি রেজিস্ট্রিতে ঘুষের বোঝা: সাধারণ মানুষের ভোগান্তি

মবের নামে মানুষ হত্যা : সমাজ কোথায় যাচ্ছে?

‘জুলাই জাতীয় সনদ’ : কেন প্রশ্ন তোলা যাবে না

সুন্দরবন রক্ষায় টেকসই ব্যবস্থা নিন

মামলা, গ্রেপ্তার, জামিন : প্রশ্নবিদ্ধ আইনের শাসন

শিক্ষার্থীদের স্বেচ্ছাশ্রমে সাঁকো নির্মাণ : ঐক্য ও উদ্যমের উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত

বন্যা ও ভাঙন : দ্রুত ব্যবস্থা নিন

অ্যান্টিভেনমের সরবরাহ নিশ্চিত করুন

ভূমি অফিসে ঘুষ বন্ধে দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নিন

জন্ম নিবন্ধনে জটিলতা দূর করা জরুরি

‘সাদা পাথর’ লুটের সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিন

সার বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ আমলে নিন

তরুণদের জন্য আলাদা বুথ! সিদ্ধান্ত কার? কেন?

চিকিৎসক সংকটে জীবননগরের স্বাস্থ্যসেবা ব্যাহত

গণপিটুনির সংস্কৃতি রুখতে হবে এখনই

সাংবাদিক হত্যা-নির্যাতনের ঘটনার বিচার করে দৃষ্টান্ত স্থাপন করুন

ইউনিয়ন পরিষদে নাগরিক সেবায় ভোগান্তির অবসান ঘটান

সড়কে মৃত্যু : দুর্ঘটনা নাকি অব্যবস্থাপনার ফল?

অন্তর্বর্তী সরকারের এক বছর

নির্বাচনের ঘোষণায় স্বস্তি, তবে আছে অনেক চ্যালেঞ্জ

‘জুলাই ঘোষণাপত্র’: কিছু জিজ্ঞাসা

বয়স্ক ভাতা পেতে আর কত অপেক্ষা

ডিএনডি এলাকায় জলাবদ্ধতা নিরসনে কার্যকর ব্যবস্থা নিন

tab

opinion » editorial

রাজনীতি : সংঘাত, সহিংসতা সমাধান নয়, বিপদ বাড়াবে

সোমবার, ০৬ নভেম্বর ২০২৩

আগামী সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে দেশে সংঘাতময় পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। মানুষ সংঘাত-সংঘর্ষ চায়নি। কোনো ধরনের সংঘাত-সংঘর্ষকে সমর্থন করা চলে না। এতে দেশ বা মানুষের কোনো কল্যাণ হবে না।

২৮ অক্টোবর মহাসমাবেশ পণ্ড হওয়ার পর বিএনপি ও তার সমমনা দলগুলো হরতাল-অবরোধ কর্মসূচি পালন করছে। ফায়ার সার্ভিসের সূত্র অনুযায়ী, বিএনপি-জামায়াতের ডাকা প্রথম দফার তিন দিনের অবরোধে দেশে ৩১টি যানবাহনে আগুন দেয়া হয়েছে। দ্বিতীয় দফার দুই দিনের অবরোধেও যানবাহন পোড়ানো হয়েছে। বাস পোড়ানোর অভিযোগে অনেককে গ্রেপ্তারও করা হয়েছে। বাস যে বা যারাই পোড়াক এর দায় যারা অবরোধ কর্মসূচি দেয় তারা এড়াতে পারে না।

ধ্বংসাত্মক কর্মসূচি দিয়ে বিএনপি কী অর্জন করতে চাচ্ছে সেটা একটা প্রশ্ন। ২০১৩-১৪-১৫ সালে বিএনপি-জামায়াত হরতাল-অবরোধ কর্মসূচি দিয়েছিল। তখন সেই কর্মসূচি সহিংস আকার ধারণ করেছিল। একটা পর্যায়ে গিয়ে তা অকার্যকর হয়েছে। এর মধ্য দিয়ে তারা তখন কী অর্জন করেছিল, এবারও একই পথ অনুসরণ করলে তারা কী অর্জন করবে-জনমনে এসব প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।

বিএনপি বলছে, বর্তমান সরকারের অধীনে নির্বাচন সুষ্ঠু হবে না। দলটি দীর্ঘদিন ধরে নির্দলীয় সরকারের দাবি জানিয়ে আসছে। দাবি আদায়ের লক্ষ্যে আন্দোলন-বিক্ষোভ করেছে, কর্মসূচি দিচ্ছে। কোনো রাজনৈতিক দল কর্মসূচি দিতেই পারে। তবে সেটা যদি সহিংস রূপ ধারণ করে তাহলে জনগণের ভোগান্তিই বাড়ে কেবল। ধ্বংসাত্মক কর্মসূচি দিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর কী লাভ হয় সেটা তারা ভালো বলতে পারবে তবে মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। সাধারণ মানুষকে জিম্মি করে কোনো দলের দাবিদাওয়া আদায় করা কোন ধরনের রাজনীতি সেটা একটা প্রশ্ন।

বিএনপির নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার করছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। সরকার হয়তো ভাবছে, উদ্ভূত পরিস্থিতির উত্তরণ ঘটাতে হলে বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা দিতে হবে, গ্রেপ্তার করতে হবে। তবে টেকসই সমাধান মিলবে কিনা সেটা নিয়ে অনেকেই সন্দিহান। তবে যারা আগুন দিচ্ছে তাদের ছাড় দিতে হবে সেটা কেউ বলছে না। বিশ্বাসযোগ্য, সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে তাদের বিচারের আওতায় আনতে হবে।

সংঘাত, সহিংসতা দেশকে কোথায় নিয়ে যাচ্ছে সেটা দুপক্ষেরই ভেবে দেখা দরকার। আমরা মনে করি, রাজনীতিতে আলোচনার পথ কখনো বন্ধ করা উচিত নয়। আলোচনার পথ খোলা রাখতে হবে।

আমরা এখনো আশা করব, সব পক্ষের শুভ বুদ্ধির উদয় হবে। দেশে দ্বিদলীয় মেরুকরণের হানাহানিতে যে সংকট দেখা দিয়েছে আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে তার টেকসই সমাধান হবে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেলে যে বিপদ হবে তা কারও জন্য সুখকর হবে না।

back to top