alt

সম্পাদকীয়

খাল ব্যবস্থাপনায় আধুনিকায়ন ঘটাতে হবে

: বৃহস্পতিবার, ০৯ নভেম্বর ২০২৩

টাঙ্গাইল শহরের ২৭টি খালের মধ্যে অস্তিত্ব হারিয়েছে পাঁচটি। বাকি খালগুলোও দখল-ভরাটের কারণে অস্তিত্ব সংকটে ভুগছে। দখলকৃত খালে গড়ে উঠেছে নানা স্থাপনা। ব্যাহত হচ্ছে পানিপ্রবাহ। খালগুলো দখলমুক্ত করে সেখানে স্বাভাবিক পানিপ্রবাহ ফিরিয়ে আনার দাবি জানিয়েছে স্থানীয় মানুষ। এ নিয়ে গত বুধবার সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।

খাল দখল-ভরাটের ঘটনা যে কেবল টাঙ্গাইলেই ঘটছে তা নয়। দেশজুড়েই খাল ও অন্যান্য জলাশয় দখলের মহোৎসব চলছে। যে দেশে নদ-নদী দখল হয়েছে সে দেশে খাল দখল হবে এটাই স্বাভাবিক। নির্বিচারে দখল-দূষণের কারণে দেশের নদ-নদী, খাল-বিল এখন মৃতপ্রায়। অস্তিত্ব সংকটে ভুগছে বহু নদী-খাল। যে যার মতো করে নদী-খালকে ব্যবহার করছে। প্রভাবশালীরা যেমন ভরাট করে খাল-বিল দখল করছে, তেমন সাধারণ মানুষও নাম লিখিয়েছে দখলদারদের খাতায়। গোটা দেশ আক্ষরিক অর্থে নদী-খাল বৈরী দেশে পরিণত হয়েছে। খাল বা জলাশয় রক্ষা করা বা উদ্ধারকাজে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষগুলো কী ভূমিকা রাখে সেটা একটা প্রশ্ন।

খাল রাতারাতি দখল বা ভরাট হয় না। ধীরে ধীরে দখল হয়। দূষণের কবলেও পড়ে আস্তে আস্তে। দীর্ঘ সময় ধরে দখল-দূষণের ঘটনা ঘটে। কিন্তু কর্তৃপক্ষের চোখে তা ধরা পড়ে না। নিয়মিত নজরদারির ব্যবস্থা থাকলে খাল-বিল দখল ও ভরাটের শিকার হতে পারে না। গণমাধ্যমে খবর প্রকাশিত হলে কর্তৃপক্ষ গৎবাঁধা কথা বলে, লোক দেখানো ব্যবস্থা নেয়। একদিক দখলমুক্ত হলে, অন্যদিক দখল হয়ে যায়।

দখল-দূষণের দুষ্টচক্র থেকে খাল-বিল উদ্ধার করতে হবে। টাঙ্গাইলের উল্লিখিত খালগুলো দখলমুক্ত করতে হবে। একবার দখলমুক্ত হওয়ার পর আবারও যাতে সেগুলো দখল হয়ে না যায় সেই ব্যবস্থা নিতে হবে। খাল থেকে দখল উচ্ছেদের পর নিয়মিত মনিটর করা জরুরি। নিয়মিত মনিটরিং থাকলে দখল হলেও শুরুতেই তা বন্ধ করা সহজ হয়। টাঙ্গাইলে যারা খাল দখলের সঙ্গে যুক্ত তাদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে। দখলদারিত্বের টেকসই অবসান ঘটাতে হলে কাজটা এখনই করতে হবে। পাশাপাশি খাল ব্যবস্থাপনায় আধুনিকায়ন ঘটাতে হবে।

ধর্মীয় অপব্যাখ্যায় শতবর্ষী বটগাছ নিধন : এ কোন সভ্যতা?

বেইলি রোডে আবার আগুন : নিরাপত্তা নিয়ে ভাবার সময় এখনই

লাউয়াছড়া বন : নিঃশব্দ বিপর্যয়ের মুখে

ডেঙ্গু পরিস্থিতি : অবহেলা নয়, দরকার জরুরি উদ্যোগ

ইকোপার্কের করুণ দশা : দায় কার

হাতি শাবকের মৃত্যু ও সাফারি পার্কের দায়ভার

বায়ুদূষণ রোধে চাই টেকসই উদ্যোগ

মেহনতি মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার দিন

চালের দামে অস্বস্তি : সরকারি তথ্য ও বাজারের বাস্তবতার ফারাক

অতিদারিদ্র্যের আশঙ্কা : সমাধান কোথায়?

ডিমলা উপজেলা হাসপাতালের অনিয়ম

রানা প্লাজা ট্র্যাজেডি : ন্যায়বিচার ও ক্ষতিপূরণের অপেক্ষা কবে ফুরাবে

হাইল হাওরের অস্তিত্ব সংকট

সমানাধিকারে আপত্তি কেন?

লেমুর চুরি : সাফারি পার্কের নিরাপত্তা সংকট

একটি হাসাহাসির ঘটনা, একটি হত্যাকাণ্ড : সমাজের সহিষ্ণুতার অবক্ষয়

চাই সুষ্ঠু বর্জ্য ব্যবস্থাপনা

মানুষ-হাতির সংঘাত : সমাধানের পথ খুঁজতে হবে

স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা সংকট দূর করুন

ফসলি জমি রক্ষায় কঠোর হোন

নিষ্ঠুরতার শিকার হাতি

বিশেষ ক্ষমতা আইন ও নাগরিক অধিকার

হালদায় অবৈধ মাছ শিকার বন্ধ করতে হবে

মশার উপদ্রব : বর্ষার আগেই সাবধান হতে হবে

ফিলিস্তিনে ইসরায়েলের হামলা : মানবতার প্রতি এক অব্যাহত আঘাত

অবৈধ বৈদ্যুতিক ফাঁদে প্রাণহানি : দায় কার?

নদীর বাঁধ ভাঙার দুর্ভোগ : টেকসই সমাধানের জরুরি প্রয়োজন

মোরেলগঞ্জ হাসপাতালে চিকিৎসা সংকট

সমবায় সমিতির নামে প্রতারণা : কঠোর নজরদারি ও আইনি পদক্ষেপ জরুরি

সড়ক দুর্ঘটনা নাকি অবহেলার পরিণতি

ভূমিকম্পের ধ্বংসযজ্ঞ ও আমাদের প্রস্তুতি

বার্ড ফ্লু : আতঙ্ক নয়, চাই সতর্কতা

জাটকা রক্ষার প্রতিশ্রুতি কি শুধুই কাগজে-কলমে?

ভেজাল কীটনাশক বন্ধে ব্যবস্থা নিন

অতিরিক্ত ভাড়া : যাত্রীদের দুর্ভোগ আর কতকাল?

করতোয়া নদীতে রাবার ড্যাম স্থাপনের দাবি

tab

সম্পাদকীয়

খাল ব্যবস্থাপনায় আধুনিকায়ন ঘটাতে হবে

বৃহস্পতিবার, ০৯ নভেম্বর ২০২৩

টাঙ্গাইল শহরের ২৭টি খালের মধ্যে অস্তিত্ব হারিয়েছে পাঁচটি। বাকি খালগুলোও দখল-ভরাটের কারণে অস্তিত্ব সংকটে ভুগছে। দখলকৃত খালে গড়ে উঠেছে নানা স্থাপনা। ব্যাহত হচ্ছে পানিপ্রবাহ। খালগুলো দখলমুক্ত করে সেখানে স্বাভাবিক পানিপ্রবাহ ফিরিয়ে আনার দাবি জানিয়েছে স্থানীয় মানুষ। এ নিয়ে গত বুধবার সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।

খাল দখল-ভরাটের ঘটনা যে কেবল টাঙ্গাইলেই ঘটছে তা নয়। দেশজুড়েই খাল ও অন্যান্য জলাশয় দখলের মহোৎসব চলছে। যে দেশে নদ-নদী দখল হয়েছে সে দেশে খাল দখল হবে এটাই স্বাভাবিক। নির্বিচারে দখল-দূষণের কারণে দেশের নদ-নদী, খাল-বিল এখন মৃতপ্রায়। অস্তিত্ব সংকটে ভুগছে বহু নদী-খাল। যে যার মতো করে নদী-খালকে ব্যবহার করছে। প্রভাবশালীরা যেমন ভরাট করে খাল-বিল দখল করছে, তেমন সাধারণ মানুষও নাম লিখিয়েছে দখলদারদের খাতায়। গোটা দেশ আক্ষরিক অর্থে নদী-খাল বৈরী দেশে পরিণত হয়েছে। খাল বা জলাশয় রক্ষা করা বা উদ্ধারকাজে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষগুলো কী ভূমিকা রাখে সেটা একটা প্রশ্ন।

খাল রাতারাতি দখল বা ভরাট হয় না। ধীরে ধীরে দখল হয়। দূষণের কবলেও পড়ে আস্তে আস্তে। দীর্ঘ সময় ধরে দখল-দূষণের ঘটনা ঘটে। কিন্তু কর্তৃপক্ষের চোখে তা ধরা পড়ে না। নিয়মিত নজরদারির ব্যবস্থা থাকলে খাল-বিল দখল ও ভরাটের শিকার হতে পারে না। গণমাধ্যমে খবর প্রকাশিত হলে কর্তৃপক্ষ গৎবাঁধা কথা বলে, লোক দেখানো ব্যবস্থা নেয়। একদিক দখলমুক্ত হলে, অন্যদিক দখল হয়ে যায়।

দখল-দূষণের দুষ্টচক্র থেকে খাল-বিল উদ্ধার করতে হবে। টাঙ্গাইলের উল্লিখিত খালগুলো দখলমুক্ত করতে হবে। একবার দখলমুক্ত হওয়ার পর আবারও যাতে সেগুলো দখল হয়ে না যায় সেই ব্যবস্থা নিতে হবে। খাল থেকে দখল উচ্ছেদের পর নিয়মিত মনিটর করা জরুরি। নিয়মিত মনিটরিং থাকলে দখল হলেও শুরুতেই তা বন্ধ করা সহজ হয়। টাঙ্গাইলে যারা খাল দখলের সঙ্গে যুক্ত তাদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে। দখলদারিত্বের টেকসই অবসান ঘটাতে হলে কাজটা এখনই করতে হবে। পাশাপাশি খাল ব্যবস্থাপনায় আধুনিকায়ন ঘটাতে হবে।

back to top