alt

মতামত » সম্পাদকীয়

সমস্যা-সংকটে কৃষকদের পাশে থাকতে হবে

: শুক্রবার, ১০ নভেম্বর ২০২৩

ফসল উৎপাদনে কৃষকদের নানা সমস্যা-সংকটের মুখোমুখি হতে হয়। তাদের সমস্যা-সংকট দূর করার দায়িত্ব সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভাগের। কিন্তু কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা উপজেলার গ্রামগুলোতে তাদের পাওয়াই যাচ্ছে না।

ভেড়ামারা উপজেলার আমন ধানের খেতে বেড়েই চলেছে মাজরা ও লিফ ফোল্ডার পোকার আক্রমণ। কৃষকরা কীটনাশক প্রয়োগ করেও পোকার আক্রমণ থেকে ফসল রক্ষা করতে পারছেন না। আমন ধানের ক্ষতির আশঙ্কা করছেন কৃষকরা। তাদের এ সংকট দূর করার জন্য কৃষি কর্মকর্তাদের পাশে থাকার কথা থাকলেও তারা থাকেননি বলে অভিযোগ উঠেছে। তারা গ্রামে আসেন ঠিকই কিন্তু মাঠে না গিয়ে সার ও কীটনাশকের দোকানে আড্ডা দেন বলে অভিযোগ করেছেন কৃষকরা। কীটনাশক বিক্রেতারাই এখন ভেড়ামারার কৃষকদের পরামর্শদাতা। এ নিয়ে গত বৃহস্পতিবার সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।

আমন ধানের আবাদ অত্যন্ত জরুরি। দেশে চালের চাহিদার উল্লেখযোগ্য একটি জোগান আসে আমন থেকে। আগে কার্তিক মাস এলেই অনেক স্থানে অভাব দেখা দিত। এখন আর সেই দিন নেই, বরং কার্তিক-অগ্রহায়ণে কৃষকদের ঘরে ঘরে এখন দেখা যায় নবান্নের উৎসবের আমেজ। কৃষি খাতে প্রযুক্তির উন্নয়নে ধানের উৎপাদন বেড়েছে। তবে কীটপতঙ্গের আক্রমণ এখনো একটি বড় দুশ্চিন্তার বিষয়।

কৃষক লাভের আশায় ফসল চাষে পুঁজি বিনিয়োগ করেন। মাথার ঘাম পায়ে ফেলে তারা ফসল ফলান। মৌসুম শেষে যদি তারা কাক্সিক্ষত ফসল ঘরে তুলতে না পারেন, তাহলে তাদের লোকসান গুনতে হবে। লাভ তো পরের কথা। অনেকে আবার পুঁজি হারিয়ে পথে বসবেন। পোকার আক্রমণে ভেড়ামারার কৃষকরা শঙ্কায় দিন পার করছেন। এ সময় কৃষি কর্মকর্তারা তাদের পাশে থাকবেন সেটাই স্বাভাবিক। কিন্তু সেটা হচ্ছে না।

কৃষি কর্মকর্তাদের কাছ থেকে প্রাপ্য সেবা থেকে শুধু ভেড়ামারার কৃষকরাই যে বঞ্চিত হচ্ছেন তা নয়। এটা দেশের অন্যান্য স্থানেও কমবেশি ঘটে। অভিযোগ আছে, একশ্রেণীর কৃষি কর্মকর্তা তাদের কর্তব্যকর্মে অবহেলা করেন। তবে ভালো কৃষি কর্মকর্তাও আছেন যারা বিপদে কৃষকের পাশে দাঁড়ান। সঠিক সময়ে কৃষককে সঠিক পরামর্শ ও সহায়তা দেন এমন নজিরও অনেক রয়েছে।

আমরা আশা করব, সব কৃষি কর্মকর্তা তাদের কাজের প্রতি দায়িত্ববান হবেন। যে কাজের জন্য তাদের নিয়োজিত করা হয়েছে, সে কাজ তারা যথাযথভাবে পালন করবেন। ভেড়ামারার আমন ধান খেতে মাজরা ও লিফ ফোল্ডার পোকার আক্রমণে কৃষকদের ধান নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। কৃষকদের এ সমস্যা-সংকট দূর করার জন্য যে পরামর্শ ও সহায়তার প্রয়োজন তা কৃষি কর্মকর্তারা দেবেন- এটা আমরা আশা করব।

ঘিওর ভেটেরিনারি হাসপাতালের সংকট দূর করুন

ভূমি অফিসে সেবাপ্রার্থীদের দুর্ভোগ

একটি পাকা সেতুর জন্য অপেক্ষা

নদী থেকে অবৈধ পাথর উত্তোলন বন্ধ করুন

ইছামতী নদীকে রক্ষা করুন

সন্দেহবশত পিটিয়ে হত্যা: দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নিন

জয়দেবপুর রেলক্রসিংয়ে দুর্ভোগের অবসান হোক

বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড কেন থামছে না?

সারের সংকট আর কত

সুন্দরবনে বিষ দিয়ে মাছ শিকার বন্ধ করুন

কক্সবাজার সৈকত রক্ষা করুন

ঐকমত্য কমিশনের উদ্দেশ্য কী?

সড়ক দখলমুক্ত করা জরুরি

কৃষকদের পাশে থাকুন

প্রাথমিক শিক্ষায় সংকট

অ্যানথ্রাক্স নিয়ন্ত্রণে ধীরগতি: ঝুঁকিতে মানুষ ও গবাদিপশু

রাজধানীর যানবাহন নিয়ন্ত্রণে ফিরেছে সিগন্যাল বাতি: বাস্তবায়ন জরুরি

দুস্থদের জন্য নিম্নমানের চাল: দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নিন

নিরাপদ সড়কের আকাঙ্ক্ষা ও বাস্তবতা

কটিয়াদীতে বিদ্যুৎ বিল নিয়ে অভিযোগ আমলে নিন

ধানখেতে পোকার আক্রমণ: কৃষকের পাশে দাঁড়ান

কৃষিজমির পাশে ইউক্যালিপটাস: লাভ সাময়িক, ক্ষতি দীর্ঘমেয়াদী

খুলনা বিভাগীয় শিশু হাসপাতাল চালু হতে আর কত অপেক্ষা

সদরপুর স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সের স্বাস্থ্যসেবার মান বাড়াতে ব্যবস্থা নিন

সরকারি জমি দখল: ব্যবস্থা নিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে হবে

রংপুর সিটি করপোরেশনে অটোরিকশার লাইসেন্স প্রসঙ্গে

বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজে অগ্নিকাণ্ড প্রশ্ন অনেক, উত্তর মিলবে কি

দেবীদ্বার কলেজ মাঠ: অবহেলায় হারাতে বসেছে ঐতিহ্য

সিইপিজেডের আগুন: অবহেলা আর দায়িত্বহীনতার নজির

বায়ুদূষণ রোধে কার্যকর পদক্ষেপ নিন

এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা : ফল বিপর্যয় নাকি বাস্তবতা

কুমারভোগের বাসিন্দাদের জলাবদ্ধতা থেকে মুক্তি দিন

বেহাল রাজবাড়ী বিসিক শিল্পনগরী: ব্যবস্থা নিন

শিক্ষক-কর্মচারীদের দাবি: যৌক্তিক পদক্ষেপ নিন

গার্মেন্টস কারখানায় অগ্নিকাণ্ড: প্রশ্নবিদ্ধ নিরাপত্তা ব্যবস্থা

ভিডব্লিউবি কর্মসূচিতে অনিয়ম-দুর্নীতি বন্ধ করুন

tab

মতামত » সম্পাদকীয়

সমস্যা-সংকটে কৃষকদের পাশে থাকতে হবে

শুক্রবার, ১০ নভেম্বর ২০২৩

ফসল উৎপাদনে কৃষকদের নানা সমস্যা-সংকটের মুখোমুখি হতে হয়। তাদের সমস্যা-সংকট দূর করার দায়িত্ব সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভাগের। কিন্তু কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা উপজেলার গ্রামগুলোতে তাদের পাওয়াই যাচ্ছে না।

ভেড়ামারা উপজেলার আমন ধানের খেতে বেড়েই চলেছে মাজরা ও লিফ ফোল্ডার পোকার আক্রমণ। কৃষকরা কীটনাশক প্রয়োগ করেও পোকার আক্রমণ থেকে ফসল রক্ষা করতে পারছেন না। আমন ধানের ক্ষতির আশঙ্কা করছেন কৃষকরা। তাদের এ সংকট দূর করার জন্য কৃষি কর্মকর্তাদের পাশে থাকার কথা থাকলেও তারা থাকেননি বলে অভিযোগ উঠেছে। তারা গ্রামে আসেন ঠিকই কিন্তু মাঠে না গিয়ে সার ও কীটনাশকের দোকানে আড্ডা দেন বলে অভিযোগ করেছেন কৃষকরা। কীটনাশক বিক্রেতারাই এখন ভেড়ামারার কৃষকদের পরামর্শদাতা। এ নিয়ে গত বৃহস্পতিবার সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।

আমন ধানের আবাদ অত্যন্ত জরুরি। দেশে চালের চাহিদার উল্লেখযোগ্য একটি জোগান আসে আমন থেকে। আগে কার্তিক মাস এলেই অনেক স্থানে অভাব দেখা দিত। এখন আর সেই দিন নেই, বরং কার্তিক-অগ্রহায়ণে কৃষকদের ঘরে ঘরে এখন দেখা যায় নবান্নের উৎসবের আমেজ। কৃষি খাতে প্রযুক্তির উন্নয়নে ধানের উৎপাদন বেড়েছে। তবে কীটপতঙ্গের আক্রমণ এখনো একটি বড় দুশ্চিন্তার বিষয়।

কৃষক লাভের আশায় ফসল চাষে পুঁজি বিনিয়োগ করেন। মাথার ঘাম পায়ে ফেলে তারা ফসল ফলান। মৌসুম শেষে যদি তারা কাক্সিক্ষত ফসল ঘরে তুলতে না পারেন, তাহলে তাদের লোকসান গুনতে হবে। লাভ তো পরের কথা। অনেকে আবার পুঁজি হারিয়ে পথে বসবেন। পোকার আক্রমণে ভেড়ামারার কৃষকরা শঙ্কায় দিন পার করছেন। এ সময় কৃষি কর্মকর্তারা তাদের পাশে থাকবেন সেটাই স্বাভাবিক। কিন্তু সেটা হচ্ছে না।

কৃষি কর্মকর্তাদের কাছ থেকে প্রাপ্য সেবা থেকে শুধু ভেড়ামারার কৃষকরাই যে বঞ্চিত হচ্ছেন তা নয়। এটা দেশের অন্যান্য স্থানেও কমবেশি ঘটে। অভিযোগ আছে, একশ্রেণীর কৃষি কর্মকর্তা তাদের কর্তব্যকর্মে অবহেলা করেন। তবে ভালো কৃষি কর্মকর্তাও আছেন যারা বিপদে কৃষকের পাশে দাঁড়ান। সঠিক সময়ে কৃষককে সঠিক পরামর্শ ও সহায়তা দেন এমন নজিরও অনেক রয়েছে।

আমরা আশা করব, সব কৃষি কর্মকর্তা তাদের কাজের প্রতি দায়িত্ববান হবেন। যে কাজের জন্য তাদের নিয়োজিত করা হয়েছে, সে কাজ তারা যথাযথভাবে পালন করবেন। ভেড়ামারার আমন ধান খেতে মাজরা ও লিফ ফোল্ডার পোকার আক্রমণে কৃষকদের ধান নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। কৃষকদের এ সমস্যা-সংকট দূর করার জন্য যে পরামর্শ ও সহায়তার প্রয়োজন তা কৃষি কর্মকর্তারা দেবেন- এটা আমরা আশা করব।

back to top