alt

opinion » editorial

এসএসসির ফরম পূরণে অতিরিক্ত ফি আদায় বন্ধে ব্যবস্থা নিন

: বৃহস্পতিবার, ১৬ নভেম্বর ২০২৩

এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফরম পূরণে কত টাকা ফি নেয়া হবে তা শিক্ষা বোর্ড নির্ধারণ করে দেয়। কিন্তু দেশের কোনো কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বোর্ডের নির্ধারিত ফির চেয়ে অতিরিক্ত অর্থ আদায় করে থাকে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে। দীর্ঘ দিন ধরে এ অনিয়ম চলে আসছে।

ঠিক এমনই অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে নোয়াখালীর চাটখিল উপজেলার প্রায় প্রতিটি সরকারি-বেসরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের বিরুদ্ধে। কুমিল্লা শিক্ষা বোর্ডে চলতি বছর বিজ্ঞান বিভাগে ফরম পূরণ ফি ২ হাজার ১৪০ টাকা এবং মানবিক ও ব্যবসা শিক্ষা বিভাগে ২ হাজার ২০ টাকা ফি নির্ধারণ করেছে। কিন্তু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো কোচিংসহ অন্যান্য ফির নামে ৯ থেকে ১০ হাজার টাকা আদায় করছে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে। অতিরিক্ত টাকা কোন খাতে নেয়া হচ্ছে, তার কোনো রশিদও দেয়া হচ্ছে না।

অভিভাবকরা এই অনিয়মের প্রতিকার চেয়ে সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে অভিযোগ করেন। তদন্ত করে ব্যবস্থা নেবে বলে আশ্বাস দিয়েছিল কর্তৃপক্ষ। কিন্তু পরে আর কোনো ব্যবস্থা তারা নেয়নি। এ নিয়ে গত বুধবার সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।

ফরম পূরণের ফি নিয়ে বিদ্যালয়গুলোর এমন অনিয়মে চরম বিপাকে পড়েছে দরিদ্র পরিবারের শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা। ছেলেমেয়েদের ভবিষ্যতের কথা ভেবে তারা ধারদেনা ও এনজিওর কাছ থেকে চড়া সুদে টাকা নিয়ে ফরম পূরণের অতিরিক্ত অর্থ জোগাড় করছেন।

বোর্ড নির্ধারিত ফির চেয়ে বেশি টাকা আদায়ের ঘটনা শুধু চাটখিল উপজেলার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোয় ঘটছে তা নয়। দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের বিদ্যালয়ে এমন অনিয়ম শিক্ষকরা করেন বলে আগেও শোনা গেছে।

কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এসএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফরম পূরণে শিক্ষাবোর্ড ও শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্ধারিত ফির অতিরিক্ত অর্থ যদি আদায় করে, তাহলে সেই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ম্যানেজিং কমিটি বাতিল করা হবে। সেই সঙ্গে প্রতিষ্ঠানপ্রধানদের বিরুদ্ধেও আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে। এমন নির্দেশ জারি করেছিল শিক্ষা মন্ত্রণালয়। কিন্তু সেটা কাগজে-কলমেই রয়ে গেছে। কোথাও কোনো ব্যবস্থা নিতে আজও দেখা যায়নি। দেশে আইন আছে। তবুও সেই আইনকে তোয়াক্কা করে যেসব প্রতিষ্ঠান তারা পার পেয়ে যায় কিভাবে, সেটা একটা প্রশ্ন।

চাটখিলসহ দেশের যেসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে ফরম পূরণে অতিরিক্ত ফি আদায় করছে বলে অভিয়োগ উঠেছে, তা কর্তৃপক্ষকে খতিয়ে দেখতে হবে এবং তাদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নিতে হবে। শিক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকদের জিম্মি করে অতিরিক্ত ফি আদায়ের মতো অনিয়ম অবিলম্বে বন্ধ করতে হবে।

গাছে পেরক ঠোকার নিষ্ঠুরতার অবসান হোক

আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি : দায় চাপানোর সংস্কৃতি নয়, ব্যবস্থা নিন

কবর থেকে লাশ তুলে আগুন: কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করুন

বর্জ্য ব্যবস্থাপনার অচলাবস্থা ও নাগরিক দুর্ভোগ

ঈদে মিলাদুন্নবী : মহানবীর আদর্শ অনুসরণ করা জরুরি

নীলফামারীতে শ্রমিকের প্রাণহানি: এই মৃত্যু কি এড়ানো যেত না

বিশ্ববিদ্যালয়ে নির্বাচন: নারী সহপাঠীকে ‘গণধর্ষণের’ হুমকি, নারী প্রার্থীদের সাইবার হয়রানি

নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণার পর কেন এই নৈরাজ্য

খাদ্যবান্ধব কর্মসূচিতে দুর্নীতির অভিযোগ আমলে নিন

নারী ও শিশু নির্যাতনের উদ্বেগজনক চিত্র

ভবদহের জলাবদ্ধতা: শিক্ষা ও জীবনযাত্রার উপর অব্যাহত সংকট

সৈয়দপুরে মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রের দুর্দশা

জমি রেজিস্ট্রিতে ঘুষের বোঝা: সাধারণ মানুষের ভোগান্তি

মবের নামে মানুষ হত্যা : সমাজ কোথায় যাচ্ছে?

‘জুলাই জাতীয় সনদ’ : কেন প্রশ্ন তোলা যাবে না

সুন্দরবন রক্ষায় টেকসই ব্যবস্থা নিন

মামলা, গ্রেপ্তার, জামিন : প্রশ্নবিদ্ধ আইনের শাসন

শিক্ষার্থীদের স্বেচ্ছাশ্রমে সাঁকো নির্মাণ : ঐক্য ও উদ্যমের উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত

বন্যা ও ভাঙন : দ্রুত ব্যবস্থা নিন

অ্যান্টিভেনমের সরবরাহ নিশ্চিত করুন

ভূমি অফিসে ঘুষ বন্ধে দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নিন

জন্ম নিবন্ধনে জটিলতা দূর করা জরুরি

‘সাদা পাথর’ লুটের সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিন

সার বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ আমলে নিন

তরুণদের জন্য আলাদা বুথ! সিদ্ধান্ত কার? কেন?

চিকিৎসক সংকটে জীবননগরের স্বাস্থ্যসেবা ব্যাহত

গণপিটুনির সংস্কৃতি রুখতে হবে এখনই

সাংবাদিক হত্যা-নির্যাতনের ঘটনার বিচার করে দৃষ্টান্ত স্থাপন করুন

ইউনিয়ন পরিষদে নাগরিক সেবায় ভোগান্তির অবসান ঘটান

সড়কে মৃত্যু : দুর্ঘটনা নাকি অব্যবস্থাপনার ফল?

অন্তর্বর্তী সরকারের এক বছর

নির্বাচনের ঘোষণায় স্বস্তি, তবে আছে অনেক চ্যালেঞ্জ

‘জুলাই ঘোষণাপত্র’: কিছু জিজ্ঞাসা

বয়স্ক ভাতা পেতে আর কত অপেক্ষা

ডিএনডি এলাকায় জলাবদ্ধতা নিরসনে কার্যকর ব্যবস্থা নিন

গণঅভ্যুত্থানের এক বছর: প্রত্যাশায় কী প্রাপ্তি

tab

opinion » editorial

এসএসসির ফরম পূরণে অতিরিক্ত ফি আদায় বন্ধে ব্যবস্থা নিন

বৃহস্পতিবার, ১৬ নভেম্বর ২০২৩

এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফরম পূরণে কত টাকা ফি নেয়া হবে তা শিক্ষা বোর্ড নির্ধারণ করে দেয়। কিন্তু দেশের কোনো কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বোর্ডের নির্ধারিত ফির চেয়ে অতিরিক্ত অর্থ আদায় করে থাকে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে। দীর্ঘ দিন ধরে এ অনিয়ম চলে আসছে।

ঠিক এমনই অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে নোয়াখালীর চাটখিল উপজেলার প্রায় প্রতিটি সরকারি-বেসরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের বিরুদ্ধে। কুমিল্লা শিক্ষা বোর্ডে চলতি বছর বিজ্ঞান বিভাগে ফরম পূরণ ফি ২ হাজার ১৪০ টাকা এবং মানবিক ও ব্যবসা শিক্ষা বিভাগে ২ হাজার ২০ টাকা ফি নির্ধারণ করেছে। কিন্তু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো কোচিংসহ অন্যান্য ফির নামে ৯ থেকে ১০ হাজার টাকা আদায় করছে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে। অতিরিক্ত টাকা কোন খাতে নেয়া হচ্ছে, তার কোনো রশিদও দেয়া হচ্ছে না।

অভিভাবকরা এই অনিয়মের প্রতিকার চেয়ে সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে অভিযোগ করেন। তদন্ত করে ব্যবস্থা নেবে বলে আশ্বাস দিয়েছিল কর্তৃপক্ষ। কিন্তু পরে আর কোনো ব্যবস্থা তারা নেয়নি। এ নিয়ে গত বুধবার সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।

ফরম পূরণের ফি নিয়ে বিদ্যালয়গুলোর এমন অনিয়মে চরম বিপাকে পড়েছে দরিদ্র পরিবারের শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা। ছেলেমেয়েদের ভবিষ্যতের কথা ভেবে তারা ধারদেনা ও এনজিওর কাছ থেকে চড়া সুদে টাকা নিয়ে ফরম পূরণের অতিরিক্ত অর্থ জোগাড় করছেন।

বোর্ড নির্ধারিত ফির চেয়ে বেশি টাকা আদায়ের ঘটনা শুধু চাটখিল উপজেলার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোয় ঘটছে তা নয়। দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের বিদ্যালয়ে এমন অনিয়ম শিক্ষকরা করেন বলে আগেও শোনা গেছে।

কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এসএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফরম পূরণে শিক্ষাবোর্ড ও শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্ধারিত ফির অতিরিক্ত অর্থ যদি আদায় করে, তাহলে সেই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ম্যানেজিং কমিটি বাতিল করা হবে। সেই সঙ্গে প্রতিষ্ঠানপ্রধানদের বিরুদ্ধেও আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে। এমন নির্দেশ জারি করেছিল শিক্ষা মন্ত্রণালয়। কিন্তু সেটা কাগজে-কলমেই রয়ে গেছে। কোথাও কোনো ব্যবস্থা নিতে আজও দেখা যায়নি। দেশে আইন আছে। তবুও সেই আইনকে তোয়াক্কা করে যেসব প্রতিষ্ঠান তারা পার পেয়ে যায় কিভাবে, সেটা একটা প্রশ্ন।

চাটখিলসহ দেশের যেসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে ফরম পূরণে অতিরিক্ত ফি আদায় করছে বলে অভিয়োগ উঠেছে, তা কর্তৃপক্ষকে খতিয়ে দেখতে হবে এবং তাদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নিতে হবে। শিক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকদের জিম্মি করে অতিরিক্ত ফি আদায়ের মতো অনিয়ম অবিলম্বে বন্ধ করতে হবে।

back to top