alt

সম্পাদকীয়

কুমারখালীর বিল দখলমুক্ত করুন

: রোববার, ১৯ নভেম্বর ২০২৩

দেশে নদ-নদী, খাল-বিল ও জলাশয় দখলের ঘটনা নতুন নয়। ক্ষমতা ও অর্থের জোরে প্রভাবশালীরা এসব অপকর্ম করে। দখল করা জলাশয়ে বাঁধ দিয়ে কেউ মাছ চাষ করে, কেউবা স্থাপনা গড়ে তোলে। অভিযোগ আছে, এসব অপকর্ম চালিয়ে যেতে ইন্ধন জোগায় প্রশাসনের একশ্রেণীর কর্মকর্তা।

কুষ্টিয়ার কুমারখালিতে এমনই একটি চিত্র দেখা গেছে। সেখানে পাশাপাশি আছে বহলবাড়িয়া, চাঁদপুর ও বাঁশআড়া বিল। তিন বিলে রয়েছে সাড়ে চার হাজার বিঘা কৃষিজমি। কৃষকরা আগে এ বিলে বছরে তিনবার ফসল ফলাতেন; কিন্তু প্রশাসনের নাকের ডগায় প্রভাবশালীরা এ বিল দখল করে পুকুর কেটে মাছ চাষ করছেন। কেউ আবার ঘরবাড়িও তুলেছেন। ফলে বিলের পানিপ্রবাহ বন্ধ হয়ে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। এতে কৃষকদের চাষাবাদ ব্যাহত হচ্ছে। প্রশাসনকে জানানো হলেও বিল উদ্ধারে তেমন কোনো ব্যবস্থা নেয়নি কর্তৃপক্ষ।

দেশে জলাধার সংরক্ষণে আইন রয়েছে। আইনে বলা হয়েছে- কেউ যদি জলাশয়, পুকুর, খালবিল, ঝিরি-ঝরনা লেক দখল করে ভরাট করে তাহলে সেটা আইনত দন্ডনীয় অপরাধ। এতে দোষী ব্যক্তির জেল-জরিমানাও হতে পারে। দেশে জলাধার রক্ষার জন্য আইন থাকলেও তা লঙ্ঘন করা হয়। এ আইনের কেউ ধার ধারে না। এর মূল কারণ হলো আইন যথার্থভাবে প্রয়োগ হয় না।

আর আইন না মানার ঘটনা শুধু কুমারখালিতেই ঘটেছে তা নয়, দেশের অন্যান্য জায়গাতেও এমন ঘটনা ঘটে। স্থানীয় প্রভাবশালীরা রাজনৈতিক দলের নাম ভাঙিয়ে ও প্রশাসনের অসাধু কর্মকর্তাদের ম্যানেজ করে সরকারি জলাধার দখল করে। আর এর খেসারত দিতে হয় সাধারণ মানুষকে। কুমারখালিতে তিনটি বিল দখলে নিয়েছে প্রভাবশালীরা। শুধু খালবিল নয়, অসাধু চক্র দেশের নদ-নদীও দখল করে। নদ-নদী, খালবিল দখলের সময় যদি সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা নেয়া হতো তাহলে কুমারখালিতে বিল দখলের দৃশ্য আমাদের দেখতে হতো না।

কৃষি বিভাগ বলছে, কুমারখালির বিল তিনটি দখলমুক্ত করতে পারলে বছরে ১০ হাজার টন খাদ্যশস্য উৎপাদন হবে; যার বাজারমূল্য ৩০ কোটি টাকা। আমরা বলতে চাই, কর্তৃপক্ষকে বিল তিনটি উদ্ধারের যথাযথ ব্যবস্থা নিতে হবে। বিল তিনটি পানিপ্রবাহ ফিরে পেয়েছে এবং কৃষকরা আগের মতোই বছরে তিনটি ফসল ফলাতে পারছেন- এমন দৃশ্যই আমরা দেখতে চাই।

ধর্মীয় অপব্যাখ্যায় শতবর্ষী বটগাছ নিধন : এ কোন সভ্যতা?

বেইলি রোডে আবার আগুন : নিরাপত্তা নিয়ে ভাবার সময় এখনই

লাউয়াছড়া বন : নিঃশব্দ বিপর্যয়ের মুখে

ডেঙ্গু পরিস্থিতি : অবহেলা নয়, দরকার জরুরি উদ্যোগ

ইকোপার্কের করুণ দশা : দায় কার

হাতি শাবকের মৃত্যু ও সাফারি পার্কের দায়ভার

বায়ুদূষণ রোধে চাই টেকসই উদ্যোগ

মেহনতি মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার দিন

চালের দামে অস্বস্তি : সরকারি তথ্য ও বাজারের বাস্তবতার ফারাক

অতিদারিদ্র্যের আশঙ্কা : সমাধান কোথায়?

ডিমলা উপজেলা হাসপাতালের অনিয়ম

রানা প্লাজা ট্র্যাজেডি : ন্যায়বিচার ও ক্ষতিপূরণের অপেক্ষা কবে ফুরাবে

হাইল হাওরের অস্তিত্ব সংকট

সমানাধিকারে আপত্তি কেন?

লেমুর চুরি : সাফারি পার্কের নিরাপত্তা সংকট

একটি হাসাহাসির ঘটনা, একটি হত্যাকাণ্ড : সমাজের সহিষ্ণুতার অবক্ষয়

চাই সুষ্ঠু বর্জ্য ব্যবস্থাপনা

মানুষ-হাতির সংঘাত : সমাধানের পথ খুঁজতে হবে

স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা সংকট দূর করুন

ফসলি জমি রক্ষায় কঠোর হোন

নিষ্ঠুরতার শিকার হাতি

বিশেষ ক্ষমতা আইন ও নাগরিক অধিকার

হালদায় অবৈধ মাছ শিকার বন্ধ করতে হবে

মশার উপদ্রব : বর্ষার আগেই সাবধান হতে হবে

ফিলিস্তিনে ইসরায়েলের হামলা : মানবতার প্রতি এক অব্যাহত আঘাত

অবৈধ বৈদ্যুতিক ফাঁদে প্রাণহানি : দায় কার?

নদীর বাঁধ ভাঙার দুর্ভোগ : টেকসই সমাধানের জরুরি প্রয়োজন

মোরেলগঞ্জ হাসপাতালে চিকিৎসা সংকট

সমবায় সমিতির নামে প্রতারণা : কঠোর নজরদারি ও আইনি পদক্ষেপ জরুরি

সড়ক দুর্ঘটনা নাকি অবহেলার পরিণতি

ভূমিকম্পের ধ্বংসযজ্ঞ ও আমাদের প্রস্তুতি

বার্ড ফ্লু : আতঙ্ক নয়, চাই সতর্কতা

জাটকা রক্ষার প্রতিশ্রুতি কি শুধুই কাগজে-কলমে?

ভেজাল কীটনাশক বন্ধে ব্যবস্থা নিন

অতিরিক্ত ভাড়া : যাত্রীদের দুর্ভোগ আর কতকাল?

করতোয়া নদীতে রাবার ড্যাম স্থাপনের দাবি

tab

সম্পাদকীয়

কুমারখালীর বিল দখলমুক্ত করুন

রোববার, ১৯ নভেম্বর ২০২৩

দেশে নদ-নদী, খাল-বিল ও জলাশয় দখলের ঘটনা নতুন নয়। ক্ষমতা ও অর্থের জোরে প্রভাবশালীরা এসব অপকর্ম করে। দখল করা জলাশয়ে বাঁধ দিয়ে কেউ মাছ চাষ করে, কেউবা স্থাপনা গড়ে তোলে। অভিযোগ আছে, এসব অপকর্ম চালিয়ে যেতে ইন্ধন জোগায় প্রশাসনের একশ্রেণীর কর্মকর্তা।

কুষ্টিয়ার কুমারখালিতে এমনই একটি চিত্র দেখা গেছে। সেখানে পাশাপাশি আছে বহলবাড়িয়া, চাঁদপুর ও বাঁশআড়া বিল। তিন বিলে রয়েছে সাড়ে চার হাজার বিঘা কৃষিজমি। কৃষকরা আগে এ বিলে বছরে তিনবার ফসল ফলাতেন; কিন্তু প্রশাসনের নাকের ডগায় প্রভাবশালীরা এ বিল দখল করে পুকুর কেটে মাছ চাষ করছেন। কেউ আবার ঘরবাড়িও তুলেছেন। ফলে বিলের পানিপ্রবাহ বন্ধ হয়ে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। এতে কৃষকদের চাষাবাদ ব্যাহত হচ্ছে। প্রশাসনকে জানানো হলেও বিল উদ্ধারে তেমন কোনো ব্যবস্থা নেয়নি কর্তৃপক্ষ।

দেশে জলাধার সংরক্ষণে আইন রয়েছে। আইনে বলা হয়েছে- কেউ যদি জলাশয়, পুকুর, খালবিল, ঝিরি-ঝরনা লেক দখল করে ভরাট করে তাহলে সেটা আইনত দন্ডনীয় অপরাধ। এতে দোষী ব্যক্তির জেল-জরিমানাও হতে পারে। দেশে জলাধার রক্ষার জন্য আইন থাকলেও তা লঙ্ঘন করা হয়। এ আইনের কেউ ধার ধারে না। এর মূল কারণ হলো আইন যথার্থভাবে প্রয়োগ হয় না।

আর আইন না মানার ঘটনা শুধু কুমারখালিতেই ঘটেছে তা নয়, দেশের অন্যান্য জায়গাতেও এমন ঘটনা ঘটে। স্থানীয় প্রভাবশালীরা রাজনৈতিক দলের নাম ভাঙিয়ে ও প্রশাসনের অসাধু কর্মকর্তাদের ম্যানেজ করে সরকারি জলাধার দখল করে। আর এর খেসারত দিতে হয় সাধারণ মানুষকে। কুমারখালিতে তিনটি বিল দখলে নিয়েছে প্রভাবশালীরা। শুধু খালবিল নয়, অসাধু চক্র দেশের নদ-নদীও দখল করে। নদ-নদী, খালবিল দখলের সময় যদি সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা নেয়া হতো তাহলে কুমারখালিতে বিল দখলের দৃশ্য আমাদের দেখতে হতো না।

কৃষি বিভাগ বলছে, কুমারখালির বিল তিনটি দখলমুক্ত করতে পারলে বছরে ১০ হাজার টন খাদ্যশস্য উৎপাদন হবে; যার বাজারমূল্য ৩০ কোটি টাকা। আমরা বলতে চাই, কর্তৃপক্ষকে বিল তিনটি উদ্ধারের যথাযথ ব্যবস্থা নিতে হবে। বিল তিনটি পানিপ্রবাহ ফিরে পেয়েছে এবং কৃষকরা আগের মতোই বছরে তিনটি ফসল ফলাতে পারছেন- এমন দৃশ্যই আমরা দেখতে চাই।

back to top