alt

মতামত » সম্পাদকীয়

খাল দখলদারদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে হবে

: সোমবার, ২০ নভেম্বর ২০২৩

পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় খাল দখল করে অবৈধ স্থাপনা নির্মাণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। স্থানীয় বাসিন্দারা বিষয়টি সংশ্লিষ্ট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে অবহিত করেছে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ভূমি নীতিমালা অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশনা দিয়েছে। এরপর স্থাপনার কিছু অংশ ভাঙাও হয়েছে। যার বিরুদ্ধে অভিযোগ উত্থাপিত হয়েছে তিনি অবৈধ দখলের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। এ নিয়ে গতকাল রোববার সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।

খাল বা জলাশয় দখলের খবর গণমাধ্যমে প্রায়ই প্রকাশিত হয়। শুধু পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় নয় বরং দেশের বিভিন্ন স্থানে খাল দখলের ঘটনা ঘটে। দখল-দূষণের কারণে দেশের অনকে খাল ইতোমধ্যে অস্তিত্ব হারিয়েছে, অনেক খাল এখন মৃতপ্রায়। কেবল প্রভাবশালীরাই যে জলাশয় দখল করে তা নয়। বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার মানুষ যখন যেভাবে পারে তখন সেভাবে জলাশয় দখল করছে।

জলাশয় উদ্ধারে স্থানীয় প্রশাসনসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ যথাযথ ভূমিকা রাখে কিনা সেটা একটা প্রশ্ন। কোনো কোনো দখলের বিষয়ে মানুষ সরব হলে, গণমাধ্যমে খবর প্রকাশিত হলে ব্যবস্থা নেওয়া হয়। তবে তা সাধারণত উচ্ছেদের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকে। দখলদারদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হয় না বললেই চলে।

অভিযানে কিছু কিছু খাল দখলমুক্ত করা হলেও দূষণ নিয়ন্ত্রণে পদক্ষেপ নেওয়া হয় না। অনেক খালই ময়লার ভাগাড় হিসেবে ব্যবহৃত হয়। একদিকে উচ্ছেদ হলে অন্যদিক দখল হয়ে যায়। সময়ের ব্যবধানে আবার পুরোনো চেহারায় ফিরে আসে খালগুলো। তখন এগুলোকে আর খাল বলে চিহ্নিত করার কোন উপায় থাকে না।

আমরা মনে করি, নিয়মিত নজরদারির ব্যবস্থা থাকলে খাল বা জলাশয় কোনভাবেই দখল ও ভরাটের শিকার হতে পারে না। কোনোকিছু রাতারাতি দখল বা ভরাট হয়ে যেতে পারে না, তেমনি দূষণের কবলেও পড়তে পারে না। দীর্ঘ সময় ধরে এসব ঘটে থাকে।

আমরা বলতে চাই, দেশের খাল বা জলাশয় রক্ষায় নিয়মিত নজরদারি চালাতে হবে। একবার দখলমুক্ত হওয়ার পর আবারও যাতে পুনর্দখল হয়ে না যায় সেটা নিশ্চিত করা প্রয়োজন। যারা দখলের সঙ্গে যুক্ত তাদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নিতে হবে।

কুমারভোগের বাসিন্দাদের জলাবদ্ধতা থেকে মুক্তি দিন

বেহাল রাজবাড়ী বিসিক শিল্পনগরী: ব্যবস্থা নিন

শিক্ষক-কর্মচারীদের দাবি: যৌক্তিক পদক্ষেপ নিন

গার্মেন্টস কারখানায় অগ্নিকাণ্ড: প্রশ্নবিদ্ধ নিরাপত্তা ব্যবস্থা

ভিডব্লিউবি কর্মসূচিতে অনিয়ম-দুর্নীতি বন্ধ করুন

টিআরএম প্রকল্পের ক্ষতিপূরণ পেতে আর কত অপেক্ষা

জয়পুরহাটে ডায়রিয়ার প্রকোপ

লুট হওয়া অস্ত্র উদ্ধার করা যাচ্ছে না কেন

টাইফয়েড টিকা: ভালো উদ্যোগ

হামাস-ইসরায়েল চুক্তি: শান্তি প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ সফল হোক

বকুলতলায় স্থগিত শরৎ উৎসব!

সুন্দরগঞ্জে অ্যানথ্রাক্স টিকাদান কার্যক্রমে জনবল সংকট দূর করুন

বনভূমি দখল: ব্যবস্থা নিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করুন

নন্দীগ্রামে বর্জ্য ব্যবস্থাপনার সংকট

জরাজীর্ণ বিদ্যালয়গুলো সংস্কার করুন

কমছেই আলুর দাম, লোকসান বাড়ছে কৃষকের

এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের দাবি কি পূরণ হলো?

সড়ক দুর্ঘটনা রোধে সমন্বিত পদক্ষেপ নিতে হবে

কন্যাশিশু নিপীড়নের উদ্বেগজনক চিত্র

ট্রাম্পের পরিকল্পনা একটি সম্ভাবনাময় সূচনা, কিন্তু পথ এখনও দীর্ঘ

বিজয়া দশমী: সম্প্রীতি রক্ষার অঙ্গীকার

প্লাস্টিক দূষণের শিকার সুন্দরবন: চাই জনসচেতনতা

খাগড়াছড়িতে সহিংসতা কি এড়ানো যেত না

এক প্রবীণের আর্তনাদ: সমাজ কি শুনবে?

সাঁওতালদের বিদ্যালয় ও খেলার মাঠ রক্ষা করুন

সারের কৃত্রিম সংকট ও কৃষকদের দুর্ভোগ

কুড়িগ্রামে সার ও বীজ সংকট দূর করুন

খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির চাল পাচার: প্রশাসনের তৎপরতা ও প্রত্যাশা

অ্যান্টিভেনম সংকট দূর করুন

বিলাসবহুল গাড়ি কেনার ‘অতিআগ্রহ’ নিয়ে প্রশ্ন, উত্তর কি মিলবে?

তাপমাত্রা বাড়ার মূল্য

গাছে পেরক ঠোকার নিষ্ঠুরতার অবসান হোক

আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি : দায় চাপানোর সংস্কৃতি নয়, ব্যবস্থা নিন

কবর থেকে লাশ তুলে আগুন: কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করুন

বর্জ্য ব্যবস্থাপনার অচলাবস্থা ও নাগরিক দুর্ভোগ

ঈদে মিলাদুন্নবী : মহানবীর আদর্শ অনুসরণ করা জরুরি

tab

মতামত » সম্পাদকীয়

খাল দখলদারদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে হবে

সোমবার, ২০ নভেম্বর ২০২৩

পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় খাল দখল করে অবৈধ স্থাপনা নির্মাণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। স্থানীয় বাসিন্দারা বিষয়টি সংশ্লিষ্ট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে অবহিত করেছে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ভূমি নীতিমালা অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশনা দিয়েছে। এরপর স্থাপনার কিছু অংশ ভাঙাও হয়েছে। যার বিরুদ্ধে অভিযোগ উত্থাপিত হয়েছে তিনি অবৈধ দখলের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। এ নিয়ে গতকাল রোববার সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।

খাল বা জলাশয় দখলের খবর গণমাধ্যমে প্রায়ই প্রকাশিত হয়। শুধু পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় নয় বরং দেশের বিভিন্ন স্থানে খাল দখলের ঘটনা ঘটে। দখল-দূষণের কারণে দেশের অনকে খাল ইতোমধ্যে অস্তিত্ব হারিয়েছে, অনেক খাল এখন মৃতপ্রায়। কেবল প্রভাবশালীরাই যে জলাশয় দখল করে তা নয়। বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার মানুষ যখন যেভাবে পারে তখন সেভাবে জলাশয় দখল করছে।

জলাশয় উদ্ধারে স্থানীয় প্রশাসনসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ যথাযথ ভূমিকা রাখে কিনা সেটা একটা প্রশ্ন। কোনো কোনো দখলের বিষয়ে মানুষ সরব হলে, গণমাধ্যমে খবর প্রকাশিত হলে ব্যবস্থা নেওয়া হয়। তবে তা সাধারণত উচ্ছেদের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকে। দখলদারদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হয় না বললেই চলে।

অভিযানে কিছু কিছু খাল দখলমুক্ত করা হলেও দূষণ নিয়ন্ত্রণে পদক্ষেপ নেওয়া হয় না। অনেক খালই ময়লার ভাগাড় হিসেবে ব্যবহৃত হয়। একদিকে উচ্ছেদ হলে অন্যদিক দখল হয়ে যায়। সময়ের ব্যবধানে আবার পুরোনো চেহারায় ফিরে আসে খালগুলো। তখন এগুলোকে আর খাল বলে চিহ্নিত করার কোন উপায় থাকে না।

আমরা মনে করি, নিয়মিত নজরদারির ব্যবস্থা থাকলে খাল বা জলাশয় কোনভাবেই দখল ও ভরাটের শিকার হতে পারে না। কোনোকিছু রাতারাতি দখল বা ভরাট হয়ে যেতে পারে না, তেমনি দূষণের কবলেও পড়তে পারে না। দীর্ঘ সময় ধরে এসব ঘটে থাকে।

আমরা বলতে চাই, দেশের খাল বা জলাশয় রক্ষায় নিয়মিত নজরদারি চালাতে হবে। একবার দখলমুক্ত হওয়ার পর আবারও যাতে পুনর্দখল হয়ে না যায় সেটা নিশ্চিত করা প্রয়োজন। যারা দখলের সঙ্গে যুক্ত তাদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নিতে হবে।

back to top