alt

সম্পাদকীয়

কুতুবপুর উপ-স্বাস্থ্যকেন্দ্র চালু করুন

: বৃহস্পতিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৩

প্রান্তিক জনপদে স্বাস্থ্যকেন্দ্র থাকলে সাধারণ মানুষের স্বাস্থ্যসেবা পাওয়া অনেক সহজ হয়। গ্রামের হাতুড়ে ডাক্তারদের খপ্পরেও পড়তে হয় না তাদের। দেশে এমন অনেক স্বাস্থ্যকেন্দ্র আছে। কিন্তু সেগুলো নানা সমস্যায় জর্জরিত। কোথাও অবকাঠামোগত সমস্যা তো কোথাও প্রয়োজনীয় সংখ্যক চিকিৎসক নেই। আবার চিকিৎসক থাকলে নেই রোগীদের সেবা দেয়ার জন্য প্রয়োজনীয় ওষুধ ও যন্ত্রপাতি। অনেক এলাকায় প্রয়োজনীয় লোকবলের অভাবে স্বাস্থ্যকেন্দ্র বন্ধ হয়ে গেছে। তখন সেখানকার স্বল্প আয়ের মানুষরা সরকারি চিকিৎসাসেবা পায় না। ফলে চরম দুর্ভোগ নেমে আসে তাদের জীবনে।

প্রসঙ্গক্রমে রংপুরের বদরগঞ্জ উপজেলার কুতুবপুর ইউনিয়ন উপ-স্বাস্থ্যকেন্দ্রের কথা বলা যায়। আশির দশকে উপ-স্বাস্থ্যকেন্দ্রটি প্রতিষ্ঠিত হয়। এত বছরেও সেখানে কখনও কোনো মেডিকেল অফিসার বসেননি। স্বাস্থ্য সহকারীর সেবা নিয়েই খুশি থাকতে হয়েছে এলাকার মানুষকে। কিন্তু উপ-স্বাস্থ্যকেন্দ্রের স্বাস্থ্য সহকারীকে অন্যত্র বদলি করা হয়। এরপর তার শূন্যস্থান আর পূরণ করা হয়নি। বর্তমানে লোকবলের অভাবে স্বাস্থ্যকেন্দ্রটি তালাবদ্ধ রয়েছে। ফলে স্বাস্থ্যসেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন এলাকার বাসিন্দারা।

দেশের মানুষের মাথাপিছু স্বাস্থ্য ব্যয় ৪ হাজার ৫৭৮ টাকা। ২০৩২ সালের মধ্যে রোগীর নিজের পকেট থেকে দেয়া চিকিৎসা খরচ (আউট-অব-পকেট- পেমেন্ট বা ওওপি) ৩২ শতাংশে নামিয়ে আনার লক্ষ্যমাত্রা হাতে নেয় সরকার। কিন্তু মানুষের খরচের বোঝা কমার বদলে আরও বেড়েই চলেছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, বাংলাদেশে চিকিৎসাব্যয় মেটাতে গিয়ে প্রতি বছর ৬২ লাখের বেশি মানুষ দারিদ্র্যসীমার নিচে চলে যাচ্ছে।

চিকিৎসার জন্য গ্রাম থেকে রোগী নিয়ে তাদের স্বজনরা যখন শহরে আসেন, তখন চিকিৎসার সঙ্গে যাতায়াতসহ অন্যান্য আনুষঙ্গিক ব্যয়ও বেড়ে যায়। শহরে থাকার মতো আত্মীয়স্বজন না থাকায় অনেকে ভোগান্তিতে পড়েন। প্রান্তিক জনপদে যেসব স্বাস্থ্যকেন্দ্র গড়ে উঠেছে সেগুলো সুষ্ঠুভাবে চললে, সেসব এলাকার মানুষের সাধারণ অসুখের ক্ষেত্রে ভোগান্তির শিকার হতে হতো না। পাশাপাশি তাদের অর্থেরও সাশ্রয় হতো।

আমরা বলতে চাই, কুতুবপুর ইউনিয়নের উপ-স্বাস্থকেন্দ্রটি চালু করতে হবে। স্থানীয় জনসাধারণকে মানসম্মত চিকিৎসাসেবা দিতে স্বাস্থকেন্দ্রটিতে প্রয়োজনীয় লোকবল নিয়োগ দিতে হবে। আমরা আশা করব, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এ বিষয়ে দ্রুত পদক্ষেপ নেবে।

ধর্মীয় অপব্যাখ্যায় শতবর্ষী বটগাছ নিধন : এ কোন সভ্যতা?

বেইলি রোডে আবার আগুন : নিরাপত্তা নিয়ে ভাবার সময় এখনই

লাউয়াছড়া বন : নিঃশব্দ বিপর্যয়ের মুখে

ডেঙ্গু পরিস্থিতি : অবহেলা নয়, দরকার জরুরি উদ্যোগ

ইকোপার্কের করুণ দশা : দায় কার

হাতি শাবকের মৃত্যু ও সাফারি পার্কের দায়ভার

বায়ুদূষণ রোধে চাই টেকসই উদ্যোগ

মেহনতি মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার দিন

চালের দামে অস্বস্তি : সরকারি তথ্য ও বাজারের বাস্তবতার ফারাক

অতিদারিদ্র্যের আশঙ্কা : সমাধান কোথায়?

ডিমলা উপজেলা হাসপাতালের অনিয়ম

রানা প্লাজা ট্র্যাজেডি : ন্যায়বিচার ও ক্ষতিপূরণের অপেক্ষা কবে ফুরাবে

হাইল হাওরের অস্তিত্ব সংকট

সমানাধিকারে আপত্তি কেন?

লেমুর চুরি : সাফারি পার্কের নিরাপত্তা সংকট

একটি হাসাহাসির ঘটনা, একটি হত্যাকাণ্ড : সমাজের সহিষ্ণুতার অবক্ষয়

চাই সুষ্ঠু বর্জ্য ব্যবস্থাপনা

মানুষ-হাতির সংঘাত : সমাধানের পথ খুঁজতে হবে

স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা সংকট দূর করুন

ফসলি জমি রক্ষায় কঠোর হোন

নিষ্ঠুরতার শিকার হাতি

বিশেষ ক্ষমতা আইন ও নাগরিক অধিকার

হালদায় অবৈধ মাছ শিকার বন্ধ করতে হবে

মশার উপদ্রব : বর্ষার আগেই সাবধান হতে হবে

ফিলিস্তিনে ইসরায়েলের হামলা : মানবতার প্রতি এক অব্যাহত আঘাত

অবৈধ বৈদ্যুতিক ফাঁদে প্রাণহানি : দায় কার?

নদীর বাঁধ ভাঙার দুর্ভোগ : টেকসই সমাধানের জরুরি প্রয়োজন

মোরেলগঞ্জ হাসপাতালে চিকিৎসা সংকট

সমবায় সমিতির নামে প্রতারণা : কঠোর নজরদারি ও আইনি পদক্ষেপ জরুরি

সড়ক দুর্ঘটনা নাকি অবহেলার পরিণতি

ভূমিকম্পের ধ্বংসযজ্ঞ ও আমাদের প্রস্তুতি

বার্ড ফ্লু : আতঙ্ক নয়, চাই সতর্কতা

জাটকা রক্ষার প্রতিশ্রুতি কি শুধুই কাগজে-কলমে?

ভেজাল কীটনাশক বন্ধে ব্যবস্থা নিন

অতিরিক্ত ভাড়া : যাত্রীদের দুর্ভোগ আর কতকাল?

করতোয়া নদীতে রাবার ড্যাম স্থাপনের দাবি

tab

সম্পাদকীয়

কুতুবপুর উপ-স্বাস্থ্যকেন্দ্র চালু করুন

বৃহস্পতিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৩

প্রান্তিক জনপদে স্বাস্থ্যকেন্দ্র থাকলে সাধারণ মানুষের স্বাস্থ্যসেবা পাওয়া অনেক সহজ হয়। গ্রামের হাতুড়ে ডাক্তারদের খপ্পরেও পড়তে হয় না তাদের। দেশে এমন অনেক স্বাস্থ্যকেন্দ্র আছে। কিন্তু সেগুলো নানা সমস্যায় জর্জরিত। কোথাও অবকাঠামোগত সমস্যা তো কোথাও প্রয়োজনীয় সংখ্যক চিকিৎসক নেই। আবার চিকিৎসক থাকলে নেই রোগীদের সেবা দেয়ার জন্য প্রয়োজনীয় ওষুধ ও যন্ত্রপাতি। অনেক এলাকায় প্রয়োজনীয় লোকবলের অভাবে স্বাস্থ্যকেন্দ্র বন্ধ হয়ে গেছে। তখন সেখানকার স্বল্প আয়ের মানুষরা সরকারি চিকিৎসাসেবা পায় না। ফলে চরম দুর্ভোগ নেমে আসে তাদের জীবনে।

প্রসঙ্গক্রমে রংপুরের বদরগঞ্জ উপজেলার কুতুবপুর ইউনিয়ন উপ-স্বাস্থ্যকেন্দ্রের কথা বলা যায়। আশির দশকে উপ-স্বাস্থ্যকেন্দ্রটি প্রতিষ্ঠিত হয়। এত বছরেও সেখানে কখনও কোনো মেডিকেল অফিসার বসেননি। স্বাস্থ্য সহকারীর সেবা নিয়েই খুশি থাকতে হয়েছে এলাকার মানুষকে। কিন্তু উপ-স্বাস্থ্যকেন্দ্রের স্বাস্থ্য সহকারীকে অন্যত্র বদলি করা হয়। এরপর তার শূন্যস্থান আর পূরণ করা হয়নি। বর্তমানে লোকবলের অভাবে স্বাস্থ্যকেন্দ্রটি তালাবদ্ধ রয়েছে। ফলে স্বাস্থ্যসেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন এলাকার বাসিন্দারা।

দেশের মানুষের মাথাপিছু স্বাস্থ্য ব্যয় ৪ হাজার ৫৭৮ টাকা। ২০৩২ সালের মধ্যে রোগীর নিজের পকেট থেকে দেয়া চিকিৎসা খরচ (আউট-অব-পকেট- পেমেন্ট বা ওওপি) ৩২ শতাংশে নামিয়ে আনার লক্ষ্যমাত্রা হাতে নেয় সরকার। কিন্তু মানুষের খরচের বোঝা কমার বদলে আরও বেড়েই চলেছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, বাংলাদেশে চিকিৎসাব্যয় মেটাতে গিয়ে প্রতি বছর ৬২ লাখের বেশি মানুষ দারিদ্র্যসীমার নিচে চলে যাচ্ছে।

চিকিৎসার জন্য গ্রাম থেকে রোগী নিয়ে তাদের স্বজনরা যখন শহরে আসেন, তখন চিকিৎসার সঙ্গে যাতায়াতসহ অন্যান্য আনুষঙ্গিক ব্যয়ও বেড়ে যায়। শহরে থাকার মতো আত্মীয়স্বজন না থাকায় অনেকে ভোগান্তিতে পড়েন। প্রান্তিক জনপদে যেসব স্বাস্থ্যকেন্দ্র গড়ে উঠেছে সেগুলো সুষ্ঠুভাবে চললে, সেসব এলাকার মানুষের সাধারণ অসুখের ক্ষেত্রে ভোগান্তির শিকার হতে হতো না। পাশাপাশি তাদের অর্থেরও সাশ্রয় হতো।

আমরা বলতে চাই, কুতুবপুর ইউনিয়নের উপ-স্বাস্থকেন্দ্রটি চালু করতে হবে। স্থানীয় জনসাধারণকে মানসম্মত চিকিৎসাসেবা দিতে স্বাস্থকেন্দ্রটিতে প্রয়োজনীয় লোকবল নিয়োগ দিতে হবে। আমরা আশা করব, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এ বিষয়ে দ্রুত পদক্ষেপ নেবে।

back to top