alt

সম্পাদকীয়

আর্সেনিক দূষণ মোকাবিলায় কার্যকর ব্যবস্থা নিন

: শনিবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৩

আর্সেনিক দূষণ একটা গুপ্তঘাতক। এ দূষণ এতটাই মারাত্মক যে দীর্ঘদিন আর্সেনিকযুক্ত পানি ব্যবহার করলে মানবদেহে প্রাণঘাতী ক্যান্সারসহ নানা রোগব্যাধি দেখা দিতে পারে।

সাতক্ষীরার ছয়টি উপজেলায় আর্সেনিক দূষণ বেড়েছে। পানিতে সর্বোচ্চ ১৫ শতাংশ আর্সেনিক মানবদেহের জন্য সহনশীল। কিন্তু এ জেলার অধিকাংশ নলকূপে ৬১ শতাংশ আর্সেনিকের উপস্থিতি পাওয়া গেছে।

সাতক্ষীরায় ভূগর্ভস্থ পানিতে অতিমাত্রার আর্সেনিকের সমস্যা আজকের নয় দুই দশকের পুরনো। সাতক্ষীরা সদরে ৩৪ শতাংশ, তালায় ৩৫, দেবহাটায় ৩৪, আশাশুনিতে ৪৫ এবং কালীগঞ্জে ২৮ শতাংশ। হাজার হাজার মানুষ আর্সেনিকের দূষণে আক্রান্ত হয়েছে। গত দেড় বছরে আটজন মারাও গেছে। এসব তথ্য জনস্বাস্থ্য দপ্তরের জরিপ জানিয়েছে। তবে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মাত্রা অনুযায়ী সমীক্ষা করলে আর্সেনিকযুক্ত নলকূপের সংখ্যা আরও বাড়বে বলে বিশেষজ্ঞরা মনে করেন।

২০২২ সালের এক সমীক্ষার তথ্য জানাচ্ছে, দেশের ৫৪ লাখ ৩০ হাজার ৮৮০টি নলকূপ পরীক্ষা করে ৭ লাখ ৫৫ হাজার ৫৪৮টি নলকূপে নির্ধারিত মাত্রার চেয়ে বেশি আর্সেনিক পাওয়া গেছে। শতাংশের হিসাবে যা ১৩ দশমিক ৯১ শতাংশ।

দেশে আর্সেনিক ব্যবস্থাপনায় সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা গড়ে ওঠেনি। তাই এর সঠিক তথ্য ও উপাত্ত পাওয়া যায় না। বিষয়টি নিয়ে রাষ্ট্রের সংশ্লিষ্ট নীতিনির্ধারকরা তেমন গুরুত্ব দেননি। বরাবরই উপেক্ষিত থেকে গেছে। এ কারণে মানবদেহে মারাত্মক সব রোগের জন্ম হচ্ছে বলে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন।

চিকিৎসাবিজ্ঞানীরা বলছেন, ভূগর্ভস্থ পানির আর্সেনিক দূষণ মানবদেহে ক্যানসার, স্ট্রোক, হৃদরোগের মতো মারাত্মক সব রোগ সৃষ্টি করতে পারে। দেশে এসব রোগ আশঙ্কাহারে বাড়ছে। এসব রোগের সঙ্গে আর্সেনিক দূষণের যোগসূত্র আছে কিনা তাও জানে না স্বাস্থ্য বিভাগ। এ বিষয়ে এখনই নজর না দিলে দেশের জনস্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনা মারাত্মক হুমকিতে পড়বে।

তাই আর্সেনিক মোকাবিলায় সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোয় দক্ষ পানি-ভূতত্ত্ববিদের সংখ্যা বাড়াতে হবে। ঝুঁকিপূর্ণ অঞ্চলগুলোর অগভীর নলকূপ ব্যবহারকারীদের যে কোনো পরিকল্পনায় সম্পৃক্ত করতে হবে। সে এলাকার মানুষকে নলকূপের পানির আর্সেনিক নির্ধারণে প্রশিক্ষণ এবং ফিল্টার ব্যবহারে উদ্বুদ্ধ করতে ব্যবস্থা নিতে হবে। পাশাপাশি গণসচেতনতা বাড়াতে কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে।

আঠারোবাড়ী হাওরের সংকট : দ্রুত সমাধান প্রয়োজন

পাঠ্যবই বিতরণে বিলম্ব : শিক্ষাব্যবস্থার প্রতি আঘাত

কৃষিজমিতে কারখানা: ঝুঁকিতে জনস্বাস্থ্য

ওরস বন্ধ রাখাই কি একমাত্র সমাধান?

জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব থেকে শিশুদের ভবিষ্যৎ সুরক্ষা করুন

নদী তীর সংরক্ষণ প্রকল্পে গাফিলতি

ফসল রক্ষা বাঁধে অনিয়ম কাম্য নয়

রিওভাইরাস: আতঙ্ক নয়, চাই সতর্কতা

শুল্ক-কর এখন বাড়ানো কি জরুরি ছিল

নওগাঁর বর্জ্য পরিশোধনাগার প্রসঙ্গে

সড়ক দুর্ঘটনা : বেপরোয়া গতি আর অব্যবস্থাপনার মাশুল

সংরক্ষিত বনের গাছ রক্ষায় উদাসীনতার অভিযোগ আমলে নিন

চালের দাম বাড়ছে: সংকট আরও বাড়ার আগেই ব্যবস্থা নিন

বারইখালী ও বহরবুনিয়ার মানুষের দুর্ভোগ কবে দূর হবে

রেলক্রসিংয়ে দুর্ঘটনার পুনরাবৃত্তি : সমাধান কোথায়?

সময়ের সমীকরণে বেকারত্বের নতুন চিত্র

বরুড়ায় খালের দুর্দশা

টেকনাফে অপহরণ: স্থানীয় নিরাপত্তা ব্যবস্থার চ্যালেঞ্জ ও সমাধানের প্রয়োজনীয়তা

স্কুল মাঠে মাটি কাটার অভিযোগ

কিশোর গ্যাং : আইনশৃঙ্খলার ব্যর্থতা ও সামাজিক সংকট

বই বিতরণে স্বচ্ছতা প্রয়োজন

পরিবেশ রক্ষায় আইনের যথাযথ প্রয়োগ নিশ্চিত করুন

হাসপাতালের লোকবল সংকট দূর করুন

প্রাথমিক শিক্ষা : উন্নত জাতি গঠনে অপরিহার্য ভিত্তি

খেলার মাঠে কারখানা : পরিবেশ দূষণ ও জনস্বাস্থ্যের বিপদ

শীতের তীব্রতা : বিপন্ন মানুষ এবং সরকারের কর্তব্য

বনে কেন করাতকল

গণপিটুনির দুঃসহ চিত্র

কর্মক্ষেত্রে শ্রমিক নিরাপত্তা

নববর্ষে মানবিক ও সমতার বাংলাদেশ গড়ার অঙ্গীকার

পরিযায়ী পাখি রক্ষায় ব্যবস্থা নিন

প্রবাসী কর্মীদের স্বাস্থ্য সমস্যা : সমন্বিত উদ্যোগ নিতে হবে

অবৈধ ইটভাটার কারণে পরিবেশ ও কৃষির বিপর্যয়

পরিবেশ রক্ষায় প্রতিশ্রুতির বাস্তবায়ন জরুরি

নরসিংদী-মদনগঞ্জ সড়কে ময়লার ভাগাড়

ভরা মৌসুমে বেড়েছে চালের দাম : বাজারে অস্থিরতা, গ্রাহকরা বিপাকে

tab

সম্পাদকীয়

আর্সেনিক দূষণ মোকাবিলায় কার্যকর ব্যবস্থা নিন

শনিবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৩

আর্সেনিক দূষণ একটা গুপ্তঘাতক। এ দূষণ এতটাই মারাত্মক যে দীর্ঘদিন আর্সেনিকযুক্ত পানি ব্যবহার করলে মানবদেহে প্রাণঘাতী ক্যান্সারসহ নানা রোগব্যাধি দেখা দিতে পারে।

সাতক্ষীরার ছয়টি উপজেলায় আর্সেনিক দূষণ বেড়েছে। পানিতে সর্বোচ্চ ১৫ শতাংশ আর্সেনিক মানবদেহের জন্য সহনশীল। কিন্তু এ জেলার অধিকাংশ নলকূপে ৬১ শতাংশ আর্সেনিকের উপস্থিতি পাওয়া গেছে।

সাতক্ষীরায় ভূগর্ভস্থ পানিতে অতিমাত্রার আর্সেনিকের সমস্যা আজকের নয় দুই দশকের পুরনো। সাতক্ষীরা সদরে ৩৪ শতাংশ, তালায় ৩৫, দেবহাটায় ৩৪, আশাশুনিতে ৪৫ এবং কালীগঞ্জে ২৮ শতাংশ। হাজার হাজার মানুষ আর্সেনিকের দূষণে আক্রান্ত হয়েছে। গত দেড় বছরে আটজন মারাও গেছে। এসব তথ্য জনস্বাস্থ্য দপ্তরের জরিপ জানিয়েছে। তবে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মাত্রা অনুযায়ী সমীক্ষা করলে আর্সেনিকযুক্ত নলকূপের সংখ্যা আরও বাড়বে বলে বিশেষজ্ঞরা মনে করেন।

২০২২ সালের এক সমীক্ষার তথ্য জানাচ্ছে, দেশের ৫৪ লাখ ৩০ হাজার ৮৮০টি নলকূপ পরীক্ষা করে ৭ লাখ ৫৫ হাজার ৫৪৮টি নলকূপে নির্ধারিত মাত্রার চেয়ে বেশি আর্সেনিক পাওয়া গেছে। শতাংশের হিসাবে যা ১৩ দশমিক ৯১ শতাংশ।

দেশে আর্সেনিক ব্যবস্থাপনায় সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা গড়ে ওঠেনি। তাই এর সঠিক তথ্য ও উপাত্ত পাওয়া যায় না। বিষয়টি নিয়ে রাষ্ট্রের সংশ্লিষ্ট নীতিনির্ধারকরা তেমন গুরুত্ব দেননি। বরাবরই উপেক্ষিত থেকে গেছে। এ কারণে মানবদেহে মারাত্মক সব রোগের জন্ম হচ্ছে বলে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন।

চিকিৎসাবিজ্ঞানীরা বলছেন, ভূগর্ভস্থ পানির আর্সেনিক দূষণ মানবদেহে ক্যানসার, স্ট্রোক, হৃদরোগের মতো মারাত্মক সব রোগ সৃষ্টি করতে পারে। দেশে এসব রোগ আশঙ্কাহারে বাড়ছে। এসব রোগের সঙ্গে আর্সেনিক দূষণের যোগসূত্র আছে কিনা তাও জানে না স্বাস্থ্য বিভাগ। এ বিষয়ে এখনই নজর না দিলে দেশের জনস্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনা মারাত্মক হুমকিতে পড়বে।

তাই আর্সেনিক মোকাবিলায় সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোয় দক্ষ পানি-ভূতত্ত্ববিদের সংখ্যা বাড়াতে হবে। ঝুঁকিপূর্ণ অঞ্চলগুলোর অগভীর নলকূপ ব্যবহারকারীদের যে কোনো পরিকল্পনায় সম্পৃক্ত করতে হবে। সে এলাকার মানুষকে নলকূপের পানির আর্সেনিক নির্ধারণে প্রশিক্ষণ এবং ফিল্টার ব্যবহারে উদ্বুদ্ধ করতে ব্যবস্থা নিতে হবে। পাশাপাশি গণসচেতনতা বাড়াতে কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে।

back to top