alt

মতামত » সম্পাদকীয়

সিসা দূষণ মোকাবিলায় ব্যবস্থা নিন

: বৃহস্পতিবার, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩

একটি নীরব ঘাতকের নাম ‘সিসা’। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা সিসাকে জনস্বাস্থ্যের জন্য অন্যতম ক্ষতিকারক রাসায়নিক উপাদান হিসেবে চিহ্নিত করেছে। এটি পানীয় ও শ্বাস-প্রশ্বাসের সঙ্গে মানবশরীরে প্রবেশ করে। তারপর রক্তের সঙ্গে মিশে যকৃত, কিডনি, হাড়সহ শরীরের অন্যান্য অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ আক্রান্ত করে।

আন্তর্জাতিক চিকিৎসা সাময়িকী ‘দ্য ল্যানসেট প্ল্যানেটারি হেলথ জার্নাল’র গবেষণা থেকে জানা গেছে, সিসা দূষণের কারণে বাংলাদেশে প্রতি বছর ১ লাখ ৩৮ হাজারেরও বেশি মানুষ হৃদরোগে আক্রান্ত হচ্ছে। পাশপাশি শিশুদের আইকিউ কমে যাচ্ছে। ‘গ্লোবাল হেলথ বার্ডেন অ্যান্ড কস্ট অব লেড এক্সপোজার ইন চিলড্রেন অ্যান্ড অ্যাডাল্টস : এ হেলথ ইমপ্যাক্ট অ্যান্ড ইকোনমিক মডেলিং অ্যানালাইসিস’ শিরোনামের এই গবেষণাটি করেছেন বিশ্ব ব্যাংকের একদল গবেষক। এ নিয়ে গত বুধবার সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।

গবেষণার প্রতিবেদন অনুযায়ী, সিসা দূষণের কারণে বিশ্বের সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান চতুর্থ। এ দেশের মানুষের মধ্যে প্রতি ডেসিলিটার রক্তে গড়ে প্রায় ৬ দশমিক ৮ মাইক্রোগ্রাম সিসা রয়েছে।

ব্যাটারি ভাঙা শিল্প, সিসাযুক্ত পেইন্ট, অ্যালুমিনিয়ামের হাঁড়ি-পাতিল, সিরামিকের পাত্র, ই-বর্জ্য, খেলনা, সার, মসলা, প্রসাধনী ও চাষ করা মাছের জন্য তৈরি খাবার থেকেই দেশে সিসার দূষণ ঘটে। সিসা যদি মাটির সঙ্গে মেশে- তাহলে শত শত বছর বিদ্যমান থাকবে। আর প্রজন্মের পর প্রজন্ম আক্রান্ত হবে এই সিসা দূষণে।

সীসা দূষণে শুধু পরিবেশ ও স্বাস্থ্যের ক্ষতি হচ্ছে তা নয়- এটি শিক্ষা, সামাজিক স্থিতিশীলতা এবং জলবায়ুবিষয়ক দুর্যোগ মোকাবিলাতেও নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে। তাই সরকারকে সামগ্রিকভাবে জাতীয় পর্যায়ে সিসা দূষণ রোধে পরিকল্পনা গ্রহণ করতে হবে। যে যে কৌশল ও লক্ষ্য নেয়া হবে সেগুলো সমন্বয় করে সম্মিলিতভাবে এর মোকাবিলা করতে হবে।

বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, উৎপাদনশিল্পে নিয়ম এবং সতর্কতা জোরদার করা গেলে সিসা দূষণ অনেকাংশে কমে আসবে। তাই কঠোর নিরাপত্তা বিধির মাধ্যমে সব ধরনের উৎসে সিসা দূষণ সম্পূর্ণরূপে নির্মূল করার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে পরিকল্পনামাফিক টেকসই উদ্যোগ নিতে হবে।

লালমনিরহাটের বিসিক শিল্পনগরীর দুরবস্থা

তৃণমূলে ব্যাহত হচ্ছে স্বাস্থ্যসেবা, ব্যবস্থা নিন

শ্রীপুরের মানুষের দুর্ভোগ লাঘবে ব্যবস্থা নিন

ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে চলছে ক্লাস, পদক্ষেপ জরুরি

শিশু ধর্ষণচেষ্টা: সালিসের নামে প্রহসন কাম্য নয়

বিশুদ্ধ পানির প্রকল্পে দুর্নীতির অভিযোগ আমলে নিন

সুপেয় পানির জন্য মোরেলগঞ্জের মানুষের অপেক্ষার অবসান হবে কবে

কেন একজন নিরপরাধ মানুষকে কিসের আগুনে পুড়ে মরতে হলো

জেলেদের মাঝে বকনা বাছুর বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ সুরাহা করুন

রাজধানীতে প্রকাশ্যে হত্যা: আইনশৃঙ্খলা নিয়ে উদ্বেগ

নলবিলা খাল খনন করুন

অগ্নি-নিরাপত্তায় উদাসীনতা কাম্য নয়

কারেন্ট পোকা দমনে কৃষককে সহায়তা দিন

আলুর বাজারে নীরব বিপর্যয়

বিদ্যালয়ের মাঠ দখলমুক্ত করুন

টিলায় পাথর লুট : কার্যকর ব্যবস্থা নিন

ঝুঁকিপূর্ণ স্কুল ভবন সংস্কারে দ্রুত পদক্ষেপ দরকার

ডেঙ্গু মোকাবিলায় দায়িত্বহীনতা আর নয়

সার সংকট সমাধানে দ্রুত পদক্ষেপ দরকার

নির্বাচনী সহিংসতা বন্ধে কঠোর পদক্ষেপ প্রয়োজন

প্রান্তিক মানুষের স্বাস্থ্যসেবা যেন অবহেলার শিকার না হয়

প্রাথমিকে সংগীত শিক্ষক নিয়োগ বাতিল : একটি ভুল বার্তা

ঘিওর ভেটেরিনারি হাসপাতালের সংকট দূর করুন

ভূমি অফিসে সেবাপ্রার্থীদের দুর্ভোগ

একটি পাকা সেতুর জন্য অপেক্ষা

নদী থেকে অবৈধ পাথর উত্তোলন বন্ধ করুন

ইছামতী নদীকে রক্ষা করুন

সন্দেহবশত পিটিয়ে হত্যা: দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নিন

জয়দেবপুর রেলক্রসিংয়ে দুর্ভোগের অবসান হোক

বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড কেন থামছে না?

সারের সংকট আর কত

সুন্দরবনে বিষ দিয়ে মাছ শিকার বন্ধ করুন

কক্সবাজার সৈকত রক্ষা করুন

ঐকমত্য কমিশনের উদ্দেশ্য কী?

সড়ক দখলমুক্ত করা জরুরি

কৃষকদের পাশে থাকুন

tab

মতামত » সম্পাদকীয়

সিসা দূষণ মোকাবিলায় ব্যবস্থা নিন

বৃহস্পতিবার, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩

একটি নীরব ঘাতকের নাম ‘সিসা’। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা সিসাকে জনস্বাস্থ্যের জন্য অন্যতম ক্ষতিকারক রাসায়নিক উপাদান হিসেবে চিহ্নিত করেছে। এটি পানীয় ও শ্বাস-প্রশ্বাসের সঙ্গে মানবশরীরে প্রবেশ করে। তারপর রক্তের সঙ্গে মিশে যকৃত, কিডনি, হাড়সহ শরীরের অন্যান্য অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ আক্রান্ত করে।

আন্তর্জাতিক চিকিৎসা সাময়িকী ‘দ্য ল্যানসেট প্ল্যানেটারি হেলথ জার্নাল’র গবেষণা থেকে জানা গেছে, সিসা দূষণের কারণে বাংলাদেশে প্রতি বছর ১ লাখ ৩৮ হাজারেরও বেশি মানুষ হৃদরোগে আক্রান্ত হচ্ছে। পাশপাশি শিশুদের আইকিউ কমে যাচ্ছে। ‘গ্লোবাল হেলথ বার্ডেন অ্যান্ড কস্ট অব লেড এক্সপোজার ইন চিলড্রেন অ্যান্ড অ্যাডাল্টস : এ হেলথ ইমপ্যাক্ট অ্যান্ড ইকোনমিক মডেলিং অ্যানালাইসিস’ শিরোনামের এই গবেষণাটি করেছেন বিশ্ব ব্যাংকের একদল গবেষক। এ নিয়ে গত বুধবার সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।

গবেষণার প্রতিবেদন অনুযায়ী, সিসা দূষণের কারণে বিশ্বের সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান চতুর্থ। এ দেশের মানুষের মধ্যে প্রতি ডেসিলিটার রক্তে গড়ে প্রায় ৬ দশমিক ৮ মাইক্রোগ্রাম সিসা রয়েছে।

ব্যাটারি ভাঙা শিল্প, সিসাযুক্ত পেইন্ট, অ্যালুমিনিয়ামের হাঁড়ি-পাতিল, সিরামিকের পাত্র, ই-বর্জ্য, খেলনা, সার, মসলা, প্রসাধনী ও চাষ করা মাছের জন্য তৈরি খাবার থেকেই দেশে সিসার দূষণ ঘটে। সিসা যদি মাটির সঙ্গে মেশে- তাহলে শত শত বছর বিদ্যমান থাকবে। আর প্রজন্মের পর প্রজন্ম আক্রান্ত হবে এই সিসা দূষণে।

সীসা দূষণে শুধু পরিবেশ ও স্বাস্থ্যের ক্ষতি হচ্ছে তা নয়- এটি শিক্ষা, সামাজিক স্থিতিশীলতা এবং জলবায়ুবিষয়ক দুর্যোগ মোকাবিলাতেও নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে। তাই সরকারকে সামগ্রিকভাবে জাতীয় পর্যায়ে সিসা দূষণ রোধে পরিকল্পনা গ্রহণ করতে হবে। যে যে কৌশল ও লক্ষ্য নেয়া হবে সেগুলো সমন্বয় করে সম্মিলিতভাবে এর মোকাবিলা করতে হবে।

বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, উৎপাদনশিল্পে নিয়ম এবং সতর্কতা জোরদার করা গেলে সিসা দূষণ অনেকাংশে কমে আসবে। তাই কঠোর নিরাপত্তা বিধির মাধ্যমে সব ধরনের উৎসে সিসা দূষণ সম্পূর্ণরূপে নির্মূল করার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে পরিকল্পনামাফিক টেকসই উদ্যোগ নিতে হবে।

back to top