alt

সম্পাদকীয়

ট্রান্সফরমার ও সেচ পাম্প চুরির প্রতিকার চাই

: রোববার, ০৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

যশোরের কেশবপুরের বিভিন্ন বিল থেকে নয়টি বৈদ্যুতিক ট্রান্সফরমার ও তিনটি সেচ পাম্প চুরি হয়েছে বলে জানা গেছে। বোরো আবাদের মৌসুমে ট্রান্সফরমার ও সেচ পাম্প চুরি হওয়ায় কৃষকরা বিপাকে পড়েছেন। চুরি রোধে তারা রাত জেগে পাহারা দিচ্ছেন। এ নিয়ে গত শুক্রবার সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।

কেশবপুর উপজেলা কৃষি অফিস জানিয়েছে, এবার উপজেলায় ১৪ হাজার ৫শ হেক্টর জমিতে বোরো আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। মধ্য নভেম্বর থেকে চলতি বছরের ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত ৭ হাজার ২৬৬ হেক্টর জমিতে ধানের চারা রোপণ করা হয়েছে। আবাদি জমিতে সেচ দেয়া জরুরি কিন্তু ট্রান্সফরমার ও সেচ পাম্প চুরি হয়ে যাওয়ায় অনেকেই সেচ দিতে পারছেন না।

ট্রান্সফরমার ও সেচ পাম্প চুরির অভিযোগ আগেও পাওয়া গেছে। দেশের অনেক স্থানেই এমন চুরির ঘটনা ঘটে। ২০২২ সালের এক সমীক্ষায় দেখা গেছে দেশের পাঁচটি জেলা ও নয়টি উপজেলায় ৪১৯টি ট্রান্সফরমার চুরি হয়েছে।

ট্রান্সফরমার ও সেচ পাম্প চুরি হলে সেচব্যবস্থা বিঘ্নিত হয়। এ ধরনের চুরি বন্ধে সংশ্লিষ্ট প্রশাসনকেও বেগ পেতে হয়।

দেশের বেশির ভাগ জায়গায় কৃষকদের সমবায় সমিতি নেই। যে কারণে পাম্প অপারেটর বা পাহারাদারও থাকে না। আবাদি জমি অরক্ষিত থাকার কারণে সহজেই ট্রান্সফরমার বা পাম্প চুরি হয়। ট্রান্সফরমারে মূল্যবান তামার কয়েলসহ নানা সরঞ্জাম থাকে। এসব দামি কয়েলের জন্যই ট্রান্সফরমার চুরি বাড়ছে। কোনো কোনো চুরির ঘটনায় থানায় অভিযোগ জানানো হলেও কর্তৃপক্ষ যথাযথ ব্যবস্থা নেয় না বলে অভিযোগ পাওয়া যায়। অপরাধের প্রতিকার করা হয় না বলে দুর্বৃত্তরা আরও বেপরোয়া হয়ে ওঠে।

কারা এই ট্রান্সফরমার বা পাম্প চুরি করেছে, কখন করেছে আর এই চুরি হওয়া ট্রান্সফরমার আর পাম্প যায় কোথায়- সেটার যদি হদিস করা হয়, তাহলে দুর্বৃত্তদের শনাক্ত করা সম্ভব হবে। দুর্বৃত্তদের শনাক্ত করা হলে, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হলে ট্রান্সফরমার ও পাম্প চুরির ঘটনা হয়তো রোধ করা যেতে পারে। কাজেই সংশ্লিষ্ট প্রশাসনকে বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে নিতে হবে। দুর্বৃত্তদের অবশ্যই শনাক্ত করতে হবে। তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে হবে।

ট্রান্সফরমার ও পাম্প চুরি রোধে কৃষকদের ভেতরে সচেতনতা বাড়ানোর উদ্যোগ নিতে হবে। লিফলেট বিতরণ করে ও মাইকিংয়ের মাধ্যমে তাদের সচেতন করা যায়। পাশাপাশি টেকসই খুঁটিতে লোহার শিকল, নাট ওয়েল্ডিং দিয়ে ট্রান্সফরমার মোড়ানোর ব্যবস্থাও করা যায়। পাকা ঘর তুলে পাম্প স্থাপন করা যায় কিনা সেটা ভেবে দেখতে হবে। এছাড়া ফসলের এক মৌসুম শেষ হলে অন্য মৌসুম শুরু পর্যন্ত কৃষকরা পালাক্রমে পাহারা দেয়ার ব্যবস্থা করতে পারে। এসব ব্যবস্থা নেয়া হলে ট্রান্সফরমার ও পাম্প চুরি রোধ করা অনেকাংশে সম্ভব হবে বলে আমরা আশা করতে চাই।

ধর্মীয় অপব্যাখ্যায় শতবর্ষী বটগাছ নিধন : এ কোন সভ্যতা?

বেইলি রোডে আবার আগুন : নিরাপত্তা নিয়ে ভাবার সময় এখনই

লাউয়াছড়া বন : নিঃশব্দ বিপর্যয়ের মুখে

ডেঙ্গু পরিস্থিতি : অবহেলা নয়, দরকার জরুরি উদ্যোগ

ইকোপার্কের করুণ দশা : দায় কার

হাতি শাবকের মৃত্যু ও সাফারি পার্কের দায়ভার

বায়ুদূষণ রোধে চাই টেকসই উদ্যোগ

মেহনতি মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার দিন

চালের দামে অস্বস্তি : সরকারি তথ্য ও বাজারের বাস্তবতার ফারাক

অতিদারিদ্র্যের আশঙ্কা : সমাধান কোথায়?

ডিমলা উপজেলা হাসপাতালের অনিয়ম

রানা প্লাজা ট্র্যাজেডি : ন্যায়বিচার ও ক্ষতিপূরণের অপেক্ষা কবে ফুরাবে

হাইল হাওরের অস্তিত্ব সংকট

সমানাধিকারে আপত্তি কেন?

লেমুর চুরি : সাফারি পার্কের নিরাপত্তা সংকট

একটি হাসাহাসির ঘটনা, একটি হত্যাকাণ্ড : সমাজের সহিষ্ণুতার অবক্ষয়

চাই সুষ্ঠু বর্জ্য ব্যবস্থাপনা

মানুষ-হাতির সংঘাত : সমাধানের পথ খুঁজতে হবে

স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা সংকট দূর করুন

ফসলি জমি রক্ষায় কঠোর হোন

নিষ্ঠুরতার শিকার হাতি

বিশেষ ক্ষমতা আইন ও নাগরিক অধিকার

হালদায় অবৈধ মাছ শিকার বন্ধ করতে হবে

মশার উপদ্রব : বর্ষার আগেই সাবধান হতে হবে

ফিলিস্তিনে ইসরায়েলের হামলা : মানবতার প্রতি এক অব্যাহত আঘাত

অবৈধ বৈদ্যুতিক ফাঁদে প্রাণহানি : দায় কার?

নদীর বাঁধ ভাঙার দুর্ভোগ : টেকসই সমাধানের জরুরি প্রয়োজন

মোরেলগঞ্জ হাসপাতালে চিকিৎসা সংকট

সমবায় সমিতির নামে প্রতারণা : কঠোর নজরদারি ও আইনি পদক্ষেপ জরুরি

সড়ক দুর্ঘটনা নাকি অবহেলার পরিণতি

ভূমিকম্পের ধ্বংসযজ্ঞ ও আমাদের প্রস্তুতি

বার্ড ফ্লু : আতঙ্ক নয়, চাই সতর্কতা

জাটকা রক্ষার প্রতিশ্রুতি কি শুধুই কাগজে-কলমে?

ভেজাল কীটনাশক বন্ধে ব্যবস্থা নিন

অতিরিক্ত ভাড়া : যাত্রীদের দুর্ভোগ আর কতকাল?

করতোয়া নদীতে রাবার ড্যাম স্থাপনের দাবি

tab

সম্পাদকীয়

ট্রান্সফরমার ও সেচ পাম্প চুরির প্রতিকার চাই

রোববার, ০৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

যশোরের কেশবপুরের বিভিন্ন বিল থেকে নয়টি বৈদ্যুতিক ট্রান্সফরমার ও তিনটি সেচ পাম্প চুরি হয়েছে বলে জানা গেছে। বোরো আবাদের মৌসুমে ট্রান্সফরমার ও সেচ পাম্প চুরি হওয়ায় কৃষকরা বিপাকে পড়েছেন। চুরি রোধে তারা রাত জেগে পাহারা দিচ্ছেন। এ নিয়ে গত শুক্রবার সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।

কেশবপুর উপজেলা কৃষি অফিস জানিয়েছে, এবার উপজেলায় ১৪ হাজার ৫শ হেক্টর জমিতে বোরো আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। মধ্য নভেম্বর থেকে চলতি বছরের ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত ৭ হাজার ২৬৬ হেক্টর জমিতে ধানের চারা রোপণ করা হয়েছে। আবাদি জমিতে সেচ দেয়া জরুরি কিন্তু ট্রান্সফরমার ও সেচ পাম্প চুরি হয়ে যাওয়ায় অনেকেই সেচ দিতে পারছেন না।

ট্রান্সফরমার ও সেচ পাম্প চুরির অভিযোগ আগেও পাওয়া গেছে। দেশের অনেক স্থানেই এমন চুরির ঘটনা ঘটে। ২০২২ সালের এক সমীক্ষায় দেখা গেছে দেশের পাঁচটি জেলা ও নয়টি উপজেলায় ৪১৯টি ট্রান্সফরমার চুরি হয়েছে।

ট্রান্সফরমার ও সেচ পাম্প চুরি হলে সেচব্যবস্থা বিঘ্নিত হয়। এ ধরনের চুরি বন্ধে সংশ্লিষ্ট প্রশাসনকেও বেগ পেতে হয়।

দেশের বেশির ভাগ জায়গায় কৃষকদের সমবায় সমিতি নেই। যে কারণে পাম্প অপারেটর বা পাহারাদারও থাকে না। আবাদি জমি অরক্ষিত থাকার কারণে সহজেই ট্রান্সফরমার বা পাম্প চুরি হয়। ট্রান্সফরমারে মূল্যবান তামার কয়েলসহ নানা সরঞ্জাম থাকে। এসব দামি কয়েলের জন্যই ট্রান্সফরমার চুরি বাড়ছে। কোনো কোনো চুরির ঘটনায় থানায় অভিযোগ জানানো হলেও কর্তৃপক্ষ যথাযথ ব্যবস্থা নেয় না বলে অভিযোগ পাওয়া যায়। অপরাধের প্রতিকার করা হয় না বলে দুর্বৃত্তরা আরও বেপরোয়া হয়ে ওঠে।

কারা এই ট্রান্সফরমার বা পাম্প চুরি করেছে, কখন করেছে আর এই চুরি হওয়া ট্রান্সফরমার আর পাম্প যায় কোথায়- সেটার যদি হদিস করা হয়, তাহলে দুর্বৃত্তদের শনাক্ত করা সম্ভব হবে। দুর্বৃত্তদের শনাক্ত করা হলে, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হলে ট্রান্সফরমার ও পাম্প চুরির ঘটনা হয়তো রোধ করা যেতে পারে। কাজেই সংশ্লিষ্ট প্রশাসনকে বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে নিতে হবে। দুর্বৃত্তদের অবশ্যই শনাক্ত করতে হবে। তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে হবে।

ট্রান্সফরমার ও পাম্প চুরি রোধে কৃষকদের ভেতরে সচেতনতা বাড়ানোর উদ্যোগ নিতে হবে। লিফলেট বিতরণ করে ও মাইকিংয়ের মাধ্যমে তাদের সচেতন করা যায়। পাশাপাশি টেকসই খুঁটিতে লোহার শিকল, নাট ওয়েল্ডিং দিয়ে ট্রান্সফরমার মোড়ানোর ব্যবস্থাও করা যায়। পাকা ঘর তুলে পাম্প স্থাপন করা যায় কিনা সেটা ভেবে দেখতে হবে। এছাড়া ফসলের এক মৌসুম শেষ হলে অন্য মৌসুম শুরু পর্যন্ত কৃষকরা পালাক্রমে পাহারা দেয়ার ব্যবস্থা করতে পারে। এসব ব্যবস্থা নেয়া হলে ট্রান্সফরমার ও পাম্প চুরি রোধ করা অনেকাংশে সম্ভব হবে বলে আমরা আশা করতে চাই।

back to top