দখল-দূষণে ধুঁকছে মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগরের ২২টি সরকারি খাল। বর্জ্যে ভরাট হয়ে গেছে অনেক খাল। ফলে পানিপ্রবাহ বন্ধ হয়ে গেছে। বিভিন্ন ব্যক্তি-গোষ্ঠী খাল দখল করে গড়ে তুলেছে নানান স্থাপনা। দখল-দূষণ বন্ধে সংশ্লিষ্ট প্রশাসন কী করছে সেটা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। এ নিয়ে গত মঙ্গলবার সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।
কেবল শ্রীনগরের সরকারি খাল নয়, দেশের আরও অনেক স্থানেই খালসহ বিভিন্ন জলাশয় দখল-দূষণের শিকার হচ্ছে। গণমাধ্যমে এ নিয়ে প্রায়ই প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়।
দেশের নদ-নদী রক্ষা করাই কঠিন হয়ে পড়েছে। দখল-দূষণে ছোট-বড় অনেক নদীর অস্তিত্ব বিপন্ন। যে দেশে নদ-নদীর এমন অবস্থা সে দেশে খাল দখল হবে সেটাই স্বাভাবিক। নির্বিচারে দখল-দূষণের কারণে দেশের বহু নদ-নদী, খাল-বিল এখন ধুঁকছে। যে যার খেয়ালখুশি মতো খাল বা জলাশয় ব্যবহার করছে। কেবল যে প্রভাবশালীরেই ভরাট করে খাল-বিল দখল করছে তা নয়। সাধারণ মানুষও নাম লিখিয়েছে দখলদারদের খাতায়। অনেকে বলছেন, দেশ এখন নদী-খাল বৈরী দেশে পরিণত হয়েছে।
কোনো খাল নিশ্চয়ই রাতারাতি দখল বা ভরাট হয় না। ধীরে ধীরে দখল হয়। দূষণের কবলেও পড়ে আস্তে আস্তে। দীর্ঘ সময় ধরে দখল-দূষণের ঘটনা ঘটে। কিন্তু সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এসব দেখেও দেখে না। খাল বা জলাশয় রক্ষা করা বা উদ্ধারকাজে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষগুলো কী ভূমিকা রাখে সেটা একটা প্রশ্ন।
আমরা মনে করি, নিয়মিত মনিটরিং করা হলে খালবিল দখল ও ভরাটের শিকার হতে পারে না। গণমাধ্যমে খবর প্রকাশিত হলে কর্তৃপক্ষ গৎবাঁধা কথা বলে, লোক দেখানো ব্যবস্থা নেয়। খালবিল একদিক দখলমুক্ত হলে, অন্যদিক দখল হয়ে যায়।
আমরা বলতে চাই, দখল-দূষণের দুষ্টচক্র থেকে দেশের খালবিল উদ্ধার করতে হবে। মুন্সীগঞ্জের সরকারি খালগুলো দখলমুক্ত করতে হবে। সেখানে স্বাভাবিক পানি প্রবাহ ফিরিয়ে আনতে হবে। একবার দখলমুক্ত হওয়ার পর আবারও যাতে সেগুলো দখল হয়ে না যায় সেই ব্যবস্থা নিতে হবে। যারা খাল দখলের সঙ্গে যুক্ত তাদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে। খাল থেকে দখল উচ্ছেদের পর নিয়মিত মনিটর করা জরুরি। নিয়মিত মনিটরিং থাকলে দখল হলেও শুরুতেই তা বন্ধ করা সহজ হয়।
বৃহস্পতিবার, ০৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৪
দখল-দূষণে ধুঁকছে মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগরের ২২টি সরকারি খাল। বর্জ্যে ভরাট হয়ে গেছে অনেক খাল। ফলে পানিপ্রবাহ বন্ধ হয়ে গেছে। বিভিন্ন ব্যক্তি-গোষ্ঠী খাল দখল করে গড়ে তুলেছে নানান স্থাপনা। দখল-দূষণ বন্ধে সংশ্লিষ্ট প্রশাসন কী করছে সেটা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। এ নিয়ে গত মঙ্গলবার সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।
কেবল শ্রীনগরের সরকারি খাল নয়, দেশের আরও অনেক স্থানেই খালসহ বিভিন্ন জলাশয় দখল-দূষণের শিকার হচ্ছে। গণমাধ্যমে এ নিয়ে প্রায়ই প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়।
দেশের নদ-নদী রক্ষা করাই কঠিন হয়ে পড়েছে। দখল-দূষণে ছোট-বড় অনেক নদীর অস্তিত্ব বিপন্ন। যে দেশে নদ-নদীর এমন অবস্থা সে দেশে খাল দখল হবে সেটাই স্বাভাবিক। নির্বিচারে দখল-দূষণের কারণে দেশের বহু নদ-নদী, খাল-বিল এখন ধুঁকছে। যে যার খেয়ালখুশি মতো খাল বা জলাশয় ব্যবহার করছে। কেবল যে প্রভাবশালীরেই ভরাট করে খাল-বিল দখল করছে তা নয়। সাধারণ মানুষও নাম লিখিয়েছে দখলদারদের খাতায়। অনেকে বলছেন, দেশ এখন নদী-খাল বৈরী দেশে পরিণত হয়েছে।
কোনো খাল নিশ্চয়ই রাতারাতি দখল বা ভরাট হয় না। ধীরে ধীরে দখল হয়। দূষণের কবলেও পড়ে আস্তে আস্তে। দীর্ঘ সময় ধরে দখল-দূষণের ঘটনা ঘটে। কিন্তু সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এসব দেখেও দেখে না। খাল বা জলাশয় রক্ষা করা বা উদ্ধারকাজে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষগুলো কী ভূমিকা রাখে সেটা একটা প্রশ্ন।
আমরা মনে করি, নিয়মিত মনিটরিং করা হলে খালবিল দখল ও ভরাটের শিকার হতে পারে না। গণমাধ্যমে খবর প্রকাশিত হলে কর্তৃপক্ষ গৎবাঁধা কথা বলে, লোক দেখানো ব্যবস্থা নেয়। খালবিল একদিক দখলমুক্ত হলে, অন্যদিক দখল হয়ে যায়।
আমরা বলতে চাই, দখল-দূষণের দুষ্টচক্র থেকে দেশের খালবিল উদ্ধার করতে হবে। মুন্সীগঞ্জের সরকারি খালগুলো দখলমুক্ত করতে হবে। সেখানে স্বাভাবিক পানি প্রবাহ ফিরিয়ে আনতে হবে। একবার দখলমুক্ত হওয়ার পর আবারও যাতে সেগুলো দখল হয়ে না যায় সেই ব্যবস্থা নিতে হবে। যারা খাল দখলের সঙ্গে যুক্ত তাদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে। খাল থেকে দখল উচ্ছেদের পর নিয়মিত মনিটর করা জরুরি। নিয়মিত মনিটরিং থাকলে দখল হলেও শুরুতেই তা বন্ধ করা সহজ হয়।