alt

সম্পাদকীয়

সরকারি খাল দখলমুক্ত করুন

: বৃহস্পতিবার, ০৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

দখল-দূষণে ধুঁকছে মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগরের ২২টি সরকারি খাল। বর্জ্যে ভরাট হয়ে গেছে অনেক খাল। ফলে পানিপ্রবাহ বন্ধ হয়ে গেছে। বিভিন্ন ব্যক্তি-গোষ্ঠী খাল দখল করে গড়ে তুলেছে নানান স্থাপনা। দখল-দূষণ বন্ধে সংশ্লিষ্ট প্রশাসন কী করছে সেটা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। এ নিয়ে গত মঙ্গলবার সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।

কেবল শ্রীনগরের সরকারি খাল নয়, দেশের আরও অনেক স্থানেই খালসহ বিভিন্ন জলাশয় দখল-দূষণের শিকার হচ্ছে। গণমাধ্যমে এ নিয়ে প্রায়ই প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়।

দেশের নদ-নদী রক্ষা করাই কঠিন হয়ে পড়েছে। দখল-দূষণে ছোট-বড় অনেক নদীর অস্তিত্ব বিপন্ন। যে দেশে নদ-নদীর এমন অবস্থা সে দেশে খাল দখল হবে সেটাই স্বাভাবিক। নির্বিচারে দখল-দূষণের কারণে দেশের বহু নদ-নদী, খাল-বিল এখন ধুঁকছে। যে যার খেয়ালখুশি মতো খাল বা জলাশয় ব্যবহার করছে। কেবল যে প্রভাবশালীরেই ভরাট করে খাল-বিল দখল করছে তা নয়। সাধারণ মানুষও নাম লিখিয়েছে দখলদারদের খাতায়। অনেকে বলছেন, দেশ এখন নদী-খাল বৈরী দেশে পরিণত হয়েছে।

কোনো খাল নিশ্চয়ই রাতারাতি দখল বা ভরাট হয় না। ধীরে ধীরে দখল হয়। দূষণের কবলেও পড়ে আস্তে আস্তে। দীর্ঘ সময় ধরে দখল-দূষণের ঘটনা ঘটে। কিন্তু সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এসব দেখেও দেখে না। খাল বা জলাশয় রক্ষা করা বা উদ্ধারকাজে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষগুলো কী ভূমিকা রাখে সেটা একটা প্রশ্ন।

আমরা মনে করি, নিয়মিত মনিটরিং করা হলে খালবিল দখল ও ভরাটের শিকার হতে পারে না। গণমাধ্যমে খবর প্রকাশিত হলে কর্তৃপক্ষ গৎবাঁধা কথা বলে, লোক দেখানো ব্যবস্থা নেয়। খালবিল একদিক দখলমুক্ত হলে, অন্যদিক দখল হয়ে যায়।

আমরা বলতে চাই, দখল-দূষণের দুষ্টচক্র থেকে দেশের খালবিল উদ্ধার করতে হবে। মুন্সীগঞ্জের সরকারি খালগুলো দখলমুক্ত করতে হবে। সেখানে স্বাভাবিক পানি প্রবাহ ফিরিয়ে আনতে হবে। একবার দখলমুক্ত হওয়ার পর আবারও যাতে সেগুলো দখল হয়ে না যায় সেই ব্যবস্থা নিতে হবে। যারা খাল দখলের সঙ্গে যুক্ত তাদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে। খাল থেকে দখল উচ্ছেদের পর নিয়মিত মনিটর করা জরুরি। নিয়মিত মনিটরিং থাকলে দখল হলেও শুরুতেই তা বন্ধ করা সহজ হয়।

অবৈধ ইটভাটা : আইনের অমান্যতা ও প্রশাসনের নীরবতা

ভবদহের জলাবদ্ধতা ও আত্মঘাতী প্রকল্পের বিপর্যয়

চায়না দুয়ারী জাল : জীববৈচিত্র্যের জন্য হুমকি

চাল সংরক্ষণের সাইলো : অনিয়মের অভিযোগ আমলে নিন

ইরামতি খাল ও রক্তদহ বিলের জলাবদ্ধতা : কৃষকদের দুর্দশার শেষ কোথায়?

মা ইলিশ রক্ষায় নিষেধাজ্ঞা : টেকসই মৎস্যসম্পদ রক্ষার চ্যালেঞ্জ ও বাস্তবতা

জলাবদ্ধতার প্রভাব ও শিক্ষার ধারাবাহিকতা রক্ষা : জরুরি সমাধান প্রয়োজন

ডেঙ্গুর ভয়াবহতা ও প্রয়োজনীয় প্রতিরোধ ব্যবস্থা

ডিএনডি এলাকার জলাবদ্ধতা নিরসনে টেকসই পদক্ষেপ নিন

নিত্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধি : সমাধান কোন পথে

উত্তরা মেইল ট্রেন পুনরায় চালু করুন

হাটবাজারে অবৈধ দখলের অবসান চাই

পশু জবাইয়ে অবকাঠামোর অভাব ও তদারকির ঘাটতি : স্বাস্থ্যঝুঁকিতে মানুষ

খাল রক্ষার সংকট : সমন্বয়হীনতা ও দায়িত্বহীনতা

টাঙ্গাইল পৌরসভার জলাবদ্ধতার সমাধান করুন

সুন্দরবনে বেড়েছে বাঘের সংখ্যা, এ সাফল্য ধরে রাখতে হবে

গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণ : ক্রমবর্ধমান হুমকি

বন্যার্তদের ত্রাণ সহায়তা বাড়ান

চশমা পরা ও মুখপোড়া হনুমান রক্ষায় উদ্যোগ চাই

উন্মুক্ত স্থানে মলমূত্র ত্যাগ বন্ধে সমন্বিত পদক্ষেপ নিতে হবে

বন্যাদুর্গতদের পাশে দাঁড়ান

নির্বাচনের সময়সীমা স্পষ্ট করা দরকার

শূন্যপদে শিক্ষক নিয়োগ দিন

দ্রব্যমূল্যে স্বস্তি নেই

মৌসুমি জলাবদ্ধতা থেকে ছৈয়ালবাড়ী ও মানিক্যপাড়ার বাসিন্দাদের মুক্তি দিন

হাতি যাবে কোথায়, খাবে কী?

হাওরে নিষিদ্ধ জাল দিয়ে মাছ শিকার বন্ধ করুন

বেকারত্ব সমস্যা : সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা থাকা জরুরি

ওএমএসের পণ্য বিক্রিতে অনিয়মের অভিযোগ আমলে নিন

পাহাড়ে আবার গণপিটুনিতে হত্যা

আশুলিয়ায় শ্রমিকের মৃত্যু : তদন্ত সুষ্ঠু করা জরুরি

ধর্মীয় গোষ্ঠীর চাপে সমন্বয় কমিটি বাতিল, একটি মন্দ নজির

কারিগরি শিক্ষার পথে বাধা দূর করুন

মধ্যপ্রাচ্য সংকট : বিশ্বনেতাদের শান্তির পথ খুঁজে বের করতে হবে

বন্যার পানি নামেনি অনেক এলাকায়, দুর্ভোগে মানুষ

রামু হামলার বিচারে আর কত অপেক্ষা

tab

সম্পাদকীয়

সরকারি খাল দখলমুক্ত করুন

বৃহস্পতিবার, ০৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

দখল-দূষণে ধুঁকছে মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগরের ২২টি সরকারি খাল। বর্জ্যে ভরাট হয়ে গেছে অনেক খাল। ফলে পানিপ্রবাহ বন্ধ হয়ে গেছে। বিভিন্ন ব্যক্তি-গোষ্ঠী খাল দখল করে গড়ে তুলেছে নানান স্থাপনা। দখল-দূষণ বন্ধে সংশ্লিষ্ট প্রশাসন কী করছে সেটা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। এ নিয়ে গত মঙ্গলবার সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।

কেবল শ্রীনগরের সরকারি খাল নয়, দেশের আরও অনেক স্থানেই খালসহ বিভিন্ন জলাশয় দখল-দূষণের শিকার হচ্ছে। গণমাধ্যমে এ নিয়ে প্রায়ই প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়।

দেশের নদ-নদী রক্ষা করাই কঠিন হয়ে পড়েছে। দখল-দূষণে ছোট-বড় অনেক নদীর অস্তিত্ব বিপন্ন। যে দেশে নদ-নদীর এমন অবস্থা সে দেশে খাল দখল হবে সেটাই স্বাভাবিক। নির্বিচারে দখল-দূষণের কারণে দেশের বহু নদ-নদী, খাল-বিল এখন ধুঁকছে। যে যার খেয়ালখুশি মতো খাল বা জলাশয় ব্যবহার করছে। কেবল যে প্রভাবশালীরেই ভরাট করে খাল-বিল দখল করছে তা নয়। সাধারণ মানুষও নাম লিখিয়েছে দখলদারদের খাতায়। অনেকে বলছেন, দেশ এখন নদী-খাল বৈরী দেশে পরিণত হয়েছে।

কোনো খাল নিশ্চয়ই রাতারাতি দখল বা ভরাট হয় না। ধীরে ধীরে দখল হয়। দূষণের কবলেও পড়ে আস্তে আস্তে। দীর্ঘ সময় ধরে দখল-দূষণের ঘটনা ঘটে। কিন্তু সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এসব দেখেও দেখে না। খাল বা জলাশয় রক্ষা করা বা উদ্ধারকাজে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষগুলো কী ভূমিকা রাখে সেটা একটা প্রশ্ন।

আমরা মনে করি, নিয়মিত মনিটরিং করা হলে খালবিল দখল ও ভরাটের শিকার হতে পারে না। গণমাধ্যমে খবর প্রকাশিত হলে কর্তৃপক্ষ গৎবাঁধা কথা বলে, লোক দেখানো ব্যবস্থা নেয়। খালবিল একদিক দখলমুক্ত হলে, অন্যদিক দখল হয়ে যায়।

আমরা বলতে চাই, দখল-দূষণের দুষ্টচক্র থেকে দেশের খালবিল উদ্ধার করতে হবে। মুন্সীগঞ্জের সরকারি খালগুলো দখলমুক্ত করতে হবে। সেখানে স্বাভাবিক পানি প্রবাহ ফিরিয়ে আনতে হবে। একবার দখলমুক্ত হওয়ার পর আবারও যাতে সেগুলো দখল হয়ে না যায় সেই ব্যবস্থা নিতে হবে। যারা খাল দখলের সঙ্গে যুক্ত তাদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে। খাল থেকে দখল উচ্ছেদের পর নিয়মিত মনিটর করা জরুরি। নিয়মিত মনিটরিং থাকলে দখল হলেও শুরুতেই তা বন্ধ করা সহজ হয়।

back to top