alt

মতামত » সম্পাদকীয়

সাঘাটায় বিএমডিএর সেচ সংযোগে ঘুষ দাবি, তদন্ত করুন

: বৃহস্পতিবার, ০৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

কৃষকরা যাতে অল্প খরচে ফসল আবাদ করতে পারেন তার জন্য বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ ‘বিএমডিএ’ গাইবান্ধার সাঘাটা উপজেলায় একটি গভীর ও একটি এলএলপি নলকূপ স্থাপন করেছে।

বোরো ধান লাগানোর মৌসুম চলছে; কিন্তু নলকূপের সেচপাম্পে বিদ্যুৎ সংযোগ দেয়ার কোনো ব্যবস্থা করছেন না গাইবান্ধায় বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ ‘বিএমডিএর’ এক নির্বাহী প্রকৌশলী। তাকে আর্থিক সুবিধা দেয়া হচ্ছে না বলে সেচ সংযোগ দিতে নানান টালবাহানা করছেন বলে অভিযোগ করেছেন এলাকার কৃষকরা।

ফলে সাঘাটা উপজেলার রামনগর এলাকার ২৫০ বিঘা জমির বোরো আবাদে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে। বিষয়টি তদন্ত করে দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার জন্য কর্তৃপক্ষের কাছে দাবি জানিয়েছেন এলাকার কৃষকরা। এ নিয়ে গত মঙ্গলবার সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।

গত পাঁচ মাস ধরে বিএমডিএর দুটি নলকূপে সেচ সংযোগ দেয়া হচ্ছে না। এ কারণে গত আমন মৌসুমে শত শত বিঘা জমির ধান ও অন্যান্য ফসল নষ্ট হয়ে যায়। এতে কৃষকরা আর্থিকভাবে বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়েন; কিন্তু বোরো মৌসুমে এখনও তারা ধান লাগাতে না পেরে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন।

বৈদ্যুতিক খুঁটিতে ট্রান্সফরমার তোলার জন্য ‘বিএমডিএ’ দপ্তরে ঘুরছেন কিন্তু নির্বাহী প্রকৌশলী ঘুষ ছাড়া পাত্তাই দিচ্ছেন না। ফলে বরেন্দ্র সেচ পাম্পটি বন্ধ রয়েছেÑ এমন অভিযোগ তুলেছেন বরেন্দ্র এলএলপি অপারেটর। কৃষকরা পানির অভাবে ধান রোপণ করতে পারছেন না, বিষয়টি স্বীকারও করেছেন গাইবান্ধা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ; কিন্তু বিএমডিএ কর্মকর্তা ঘুষ চাওয়ার বিষয়টি অস্বীকার করেছেন।

বিএমডিএর প্রকৌশলীর বিরুদ্ধে ঘুষ চাওয়ার যে অভিযোগ উঠেছে, সেটার সুষ্ঠু তদন্ত করতে হবে। কার কারণে কৃষকের বোরো আবাদ বিঘিœত হচ্ছে, সেটা খুঁজে দেখতে হবে। এর পেছনে কারও দায় থাকলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। কৃষকদের কোনো সমস্যা হলে সেটা নিরসনে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের পাশে এসে দাঁড়ানোর কথা; কিন্তু সাঘাটায় সমস্যা নিরসন তো দূরে থাক, উল্টো তাদের সমস্যাকে পুঁজি করে কেউ কেউ নিজেদের পকেট ভারি করার অভিযোগ উঠছে। এটা কাম্য নয়। এর একটা বিহিত হওয়া দরকার বলে আমরা মনে করি।

ঝুঁকিপূর্ণ স্কুল ভবন সংস্কারে দ্রুত পদক্ষেপ দরকার

ডেঙ্গু মোকাবিলায় দায়িত্বহীনতা আর নয়

সার সংকট সমাধানে দ্রুত পদক্ষেপ দরকার

নির্বাচনী সহিংসতা বন্ধে কঠোর পদক্ষেপ প্রয়োজন

প্রান্তিক মানুষের স্বাস্থ্যসেবা যেন অবহেলার শিকার না হয়

প্রাথমিকে সংগীত শিক্ষক নিয়োগ বাতিল : একটি ভুল বার্তা

ঘিওর ভেটেরিনারি হাসপাতালের সংকট দূর করুন

ভূমি অফিসে সেবাপ্রার্থীদের দুর্ভোগ

একটি পাকা সেতুর জন্য অপেক্ষা

নদী থেকে অবৈধ পাথর উত্তোলন বন্ধ করুন

ইছামতী নদীকে রক্ষা করুন

সন্দেহবশত পিটিয়ে হত্যা: দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নিন

জয়দেবপুর রেলক্রসিংয়ে দুর্ভোগের অবসান হোক

বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড কেন থামছে না?

সারের সংকট আর কত

সুন্দরবনে বিষ দিয়ে মাছ শিকার বন্ধ করুন

কক্সবাজার সৈকত রক্ষা করুন

ঐকমত্য কমিশনের উদ্দেশ্য কী?

সড়ক দখলমুক্ত করা জরুরি

কৃষকদের পাশে থাকুন

প্রাথমিক শিক্ষায় সংকট

অ্যানথ্রাক্স নিয়ন্ত্রণে ধীরগতি: ঝুঁকিতে মানুষ ও গবাদিপশু

রাজধানীর যানবাহন নিয়ন্ত্রণে ফিরেছে সিগন্যাল বাতি: বাস্তবায়ন জরুরি

দুস্থদের জন্য নিম্নমানের চাল: দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নিন

নিরাপদ সড়কের আকাঙ্ক্ষা ও বাস্তবতা

কটিয়াদীতে বিদ্যুৎ বিল নিয়ে অভিযোগ আমলে নিন

ধানখেতে পোকার আক্রমণ: কৃষকের পাশে দাঁড়ান

কৃষিজমির পাশে ইউক্যালিপটাস: লাভ সাময়িক, ক্ষতি দীর্ঘমেয়াদী

খুলনা বিভাগীয় শিশু হাসপাতাল চালু হতে আর কত অপেক্ষা

সদরপুর স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সের স্বাস্থ্যসেবার মান বাড়াতে ব্যবস্থা নিন

সরকারি জমি দখল: ব্যবস্থা নিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে হবে

রংপুর সিটি করপোরেশনে অটোরিকশার লাইসেন্স প্রসঙ্গে

বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজে অগ্নিকাণ্ড প্রশ্ন অনেক, উত্তর মিলবে কি

দেবীদ্বার কলেজ মাঠ: অবহেলায় হারাতে বসেছে ঐতিহ্য

সিইপিজেডের আগুন: অবহেলা আর দায়িত্বহীনতার নজির

বায়ুদূষণ রোধে কার্যকর পদক্ষেপ নিন

tab

মতামত » সম্পাদকীয়

সাঘাটায় বিএমডিএর সেচ সংযোগে ঘুষ দাবি, তদন্ত করুন

বৃহস্পতিবার, ০৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

কৃষকরা যাতে অল্প খরচে ফসল আবাদ করতে পারেন তার জন্য বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ ‘বিএমডিএ’ গাইবান্ধার সাঘাটা উপজেলায় একটি গভীর ও একটি এলএলপি নলকূপ স্থাপন করেছে।

বোরো ধান লাগানোর মৌসুম চলছে; কিন্তু নলকূপের সেচপাম্পে বিদ্যুৎ সংযোগ দেয়ার কোনো ব্যবস্থা করছেন না গাইবান্ধায় বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ ‘বিএমডিএর’ এক নির্বাহী প্রকৌশলী। তাকে আর্থিক সুবিধা দেয়া হচ্ছে না বলে সেচ সংযোগ দিতে নানান টালবাহানা করছেন বলে অভিযোগ করেছেন এলাকার কৃষকরা।

ফলে সাঘাটা উপজেলার রামনগর এলাকার ২৫০ বিঘা জমির বোরো আবাদে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে। বিষয়টি তদন্ত করে দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার জন্য কর্তৃপক্ষের কাছে দাবি জানিয়েছেন এলাকার কৃষকরা। এ নিয়ে গত মঙ্গলবার সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।

গত পাঁচ মাস ধরে বিএমডিএর দুটি নলকূপে সেচ সংযোগ দেয়া হচ্ছে না। এ কারণে গত আমন মৌসুমে শত শত বিঘা জমির ধান ও অন্যান্য ফসল নষ্ট হয়ে যায়। এতে কৃষকরা আর্থিকভাবে বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়েন; কিন্তু বোরো মৌসুমে এখনও তারা ধান লাগাতে না পেরে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন।

বৈদ্যুতিক খুঁটিতে ট্রান্সফরমার তোলার জন্য ‘বিএমডিএ’ দপ্তরে ঘুরছেন কিন্তু নির্বাহী প্রকৌশলী ঘুষ ছাড়া পাত্তাই দিচ্ছেন না। ফলে বরেন্দ্র সেচ পাম্পটি বন্ধ রয়েছেÑ এমন অভিযোগ তুলেছেন বরেন্দ্র এলএলপি অপারেটর। কৃষকরা পানির অভাবে ধান রোপণ করতে পারছেন না, বিষয়টি স্বীকারও করেছেন গাইবান্ধা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ; কিন্তু বিএমডিএ কর্মকর্তা ঘুষ চাওয়ার বিষয়টি অস্বীকার করেছেন।

বিএমডিএর প্রকৌশলীর বিরুদ্ধে ঘুষ চাওয়ার যে অভিযোগ উঠেছে, সেটার সুষ্ঠু তদন্ত করতে হবে। কার কারণে কৃষকের বোরো আবাদ বিঘিœত হচ্ছে, সেটা খুঁজে দেখতে হবে। এর পেছনে কারও দায় থাকলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। কৃষকদের কোনো সমস্যা হলে সেটা নিরসনে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের পাশে এসে দাঁড়ানোর কথা; কিন্তু সাঘাটায় সমস্যা নিরসন তো দূরে থাক, উল্টো তাদের সমস্যাকে পুঁজি করে কেউ কেউ নিজেদের পকেট ভারি করার অভিযোগ উঠছে। এটা কাম্য নয়। এর একটা বিহিত হওয়া দরকার বলে আমরা মনে করি।

back to top