alt

মতামত » সম্পাদকীয়

সড়ক নির্মাণ ও সংস্কারে অনিয়ম-দুর্নীতির অবসান ঘটাতে হবে

: সোমবার, ১২ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

দেশের সব উপজেলা ও ইউনিয়ন সড়কের উন্নয়ন-রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি)। তাদের অধীনে থাকা সড়কের অর্ধেকের অবস্থা সারা বছরই থাকে নাজুক। এক হিসাব অনুযায়ী, তাদের অধীনে সড়ক রয়েছে ৩ লাখ ৭২ হাজার ৭৫৪ কিলোমিটার। এর মধ্যে কাঁচা সড়কই বেশি। জানা গেছে, এলজিইডির আওতাধীন সড়কের ৫৮ শতাংশই কাঁচা। বাকি ৪২ শতাংশ সড়ক পাকা। এ নিয়ে গণমাধ্যমে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।

জানা গেছে, প্রয়োজনীয় সংস্কারের অভাবে এলজিইডির প্রায় ২৫ শতাংশ সড়ক চলাচলের অনুপুযুক্ত। যার সিংভাগই গ্রামীণ কাঁচা রাস্তা। সড়ক কেন টেকসই হয় না আর ভাঙাচোরা সড়ক কেন যথাসময়ে সংস্কার করা হয় না সেটা একটা প্রশ্ন। খোদ জনপ্রতিনিধিরাই এই প্রশ্ন করেন। বিষয়টি সংসদেও আলোচিত হয়েছে।

অভিযোগ রয়েছে যে, ঠিকাদাররা নিম্নমানের সামগ্রী দিয়ে সড়ক নির্মাণ করেন। আবার সড়কে যে ওজনের যানবাহন চলার কথা তার চেয়ে অতিরিক্ত ওজনবাহী গাড়ি চলাচল করে। বৃষ্টি বা বন্যা সড়ক নষ্ট হওয়ার আরেকটি কারণ। সড়ক রক্ষণাবেক্ষণেও রয়েছে নানান সমস্যা-সংকট। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বলছে, সড়ক রক্ষাণাবেক্ষণে বরাদ্দ দেয়া হয় প্রয়োজনের চেয়ে ঢের কম। গণমাধ্যমে প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, চলতি অর্থবছরে সড়ক রক্ষণাবেক্ষণে এলজিইডির প্রয়োজন ছিল ২১ হাজার কোটি টাকার বেশি। কিন্তু এর বিপরীতে বরাদ্দ দেয়া হয়েছে ৩ হাজার ২০০ কোটি টাকা।

প্রয়োজনের চেয়ে বরাদ্দ কম দেয়া হলে সড়ক রক্ষণাবেক্ষণ করা দূরূহ হয়ে পড়ে। তবে যে বরাদ্দ দেয়া হয় তার কতটা সদ্ব্যবহার হয় সেই প্রশ্ন রয়েছে। দেশে সড়ক নির্মাণ, সংস্কার বা রক্ষণাবেক্ষণে অনিয়ম-দুর্নীতির ব্যাপক অভিযোগ রয়েছে। সড়ক খাত ভাঙাগড়ার এক দুষ্টুচক্রে আবদ্ধ হয়ে পড়েছে। অনেকেই বিশ্বাস করেন যে, অনিয়ম-দুর্নীতি বন্ধ করা গেলে সড়ক আরও টেকসইভাবে নির্মাণ করা সম্ভব হতো। তখন সড়ক ক্ষতিগ্রস্ত হতো কম আর এর রক্ষণাবেক্ষণে টাকাও লাগত কম।

আমরা বলতে চাই, দেশের সড়কগুলোকে চলাচল উপযোগী করে তৈরি করতে হবে এবং সেগুলো নিয়মিত রক্ষণাবেক্ষণ করতে হবে। এজন্য প্রয়োজনীয় অর্থ বরাদ্দ দেয়া যেমন জরুরি, তার চেয়ে বেশি জরুরি হচ্ছে বরাদ্দকৃত অর্থের সদ্ব্যবহার করা। সড়ক নির্মাণ থেকে শুরু করে মনিটরিং পর্যন্ত প্রতিটি স্তরে অনিয়ম-দুর্নীতির কঠোরভাবে দূর করা। তাহলে দেশের সড়ক ব্যবস্থার বেহাল দশা হয়তো দূর হবে।

এক খ্রিস্টান পরিবারের জমি দখলের চেষ্টা: ব্যবস্থা নিন

অবৈধ ইটভাটা: প্রশাসন কী করছে

পথ হারাচ্ছে রেলপথে পণ্যপরিবহন

মেডিকেল টেকনোলজিস্ট ও ফার্মাসিস্টদের আন্দোলন: আলোচনায় সমাধান খুঁজতে হবে

জয়ন্তীপুর ঘাটে সেতু নির্মাণে বিলম্ব কাম্য নয়

শিক্ষকদের আন্দোলন, সরকারের কঠোরতা এবং শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যৎ

রায়গঞ্জের ক্ষতিগ্রস্ত বেইলি ব্রিজ দ্রুত সংস্কার করুন

সওজের জমি দখল : ব্যবস্থা নিন

পার্বত্য চুক্তি: পাহাড়ে শান্তি কি ফিরল?

রাজধানী কি অগ্নিকাণ্ডের ঝুঁকি মোকাবিলায় প্রস্তুত?

সেতু নির্মাণের কাজ কবে শেষ হবে

খুলনায় আদালতের সামনে হত্যাকাণ্ড

মীরসরাইয়ে বন রক্ষায় ব্যবস্থা নিন

পুরান ঢাকায় রাসায়নিক ঝুঁকি

মহেশপুরে অনুমোদনহীন করাত কল

বিদ্যালয়ের মাঠ দখলমুক্ত করুন

থমকে আছে সেতু নির্মাণের কাজ

হাকালুকি হাওরে মাছ লুট: প্রশাসন কী করছে

রাঙ্গাবালীর সংরক্ষিত বন ধ্বংসের সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

টিসিবির পণ্য নিয়ে অনিয়ম-দুর্নীতি কাম্য নয়

কক্সবাজারে পাহাড়ের মাটি কাটা বন্ধ করুন

দারিদ্র্যের নতুন ঢেউ

তাজরীনের ১৩ বছরের ক্ষত ভুক্তভোগীর ন্যায়বিচার কোথায়?

অ্যান্টিবায়োটিকের অপব্যবহার বন্ধে কার্যকর ব্যবস্থা নিন

চরাঞ্চলের বিদ্যালয়ে নিয়মিত পাঠদান নিশ্চিত করুন

অসহিষ্ণুতার সংস্কৃতি থামাতে হবে

কাঠ পাচার বন্ধে ব্যবস্থা নিন

ফিরে এল তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা

বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধে জিও ব্যাগ ব্যবহারে অনিয়মের অভিযোগ

দুই দফা ভূমিকম্প: এখনই প্রস্তুতির সময়

অবৈধ ইটভাটার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া জরুরি

গভীর রাতে সাংবাদিককে তুলে নেয়ার প্রকৃত কারণ উদঘাটন করতে হবে

সাময়িকী কবিতা

ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্র ভাড়া দেওয়ার অভিযোগ

স্কুল ফিডিং কর্মসূচিতে অনিয়ম কাম্য নয়

ছবি

শীতজনিত রোগ প্রতিরোধে চাই সচেতনতা

tab

মতামত » সম্পাদকীয়

সড়ক নির্মাণ ও সংস্কারে অনিয়ম-দুর্নীতির অবসান ঘটাতে হবে

সোমবার, ১২ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

দেশের সব উপজেলা ও ইউনিয়ন সড়কের উন্নয়ন-রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি)। তাদের অধীনে থাকা সড়কের অর্ধেকের অবস্থা সারা বছরই থাকে নাজুক। এক হিসাব অনুযায়ী, তাদের অধীনে সড়ক রয়েছে ৩ লাখ ৭২ হাজার ৭৫৪ কিলোমিটার। এর মধ্যে কাঁচা সড়কই বেশি। জানা গেছে, এলজিইডির আওতাধীন সড়কের ৫৮ শতাংশই কাঁচা। বাকি ৪২ শতাংশ সড়ক পাকা। এ নিয়ে গণমাধ্যমে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।

জানা গেছে, প্রয়োজনীয় সংস্কারের অভাবে এলজিইডির প্রায় ২৫ শতাংশ সড়ক চলাচলের অনুপুযুক্ত। যার সিংভাগই গ্রামীণ কাঁচা রাস্তা। সড়ক কেন টেকসই হয় না আর ভাঙাচোরা সড়ক কেন যথাসময়ে সংস্কার করা হয় না সেটা একটা প্রশ্ন। খোদ জনপ্রতিনিধিরাই এই প্রশ্ন করেন। বিষয়টি সংসদেও আলোচিত হয়েছে।

অভিযোগ রয়েছে যে, ঠিকাদাররা নিম্নমানের সামগ্রী দিয়ে সড়ক নির্মাণ করেন। আবার সড়কে যে ওজনের যানবাহন চলার কথা তার চেয়ে অতিরিক্ত ওজনবাহী গাড়ি চলাচল করে। বৃষ্টি বা বন্যা সড়ক নষ্ট হওয়ার আরেকটি কারণ। সড়ক রক্ষণাবেক্ষণেও রয়েছে নানান সমস্যা-সংকট। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বলছে, সড়ক রক্ষাণাবেক্ষণে বরাদ্দ দেয়া হয় প্রয়োজনের চেয়ে ঢের কম। গণমাধ্যমে প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, চলতি অর্থবছরে সড়ক রক্ষণাবেক্ষণে এলজিইডির প্রয়োজন ছিল ২১ হাজার কোটি টাকার বেশি। কিন্তু এর বিপরীতে বরাদ্দ দেয়া হয়েছে ৩ হাজার ২০০ কোটি টাকা।

প্রয়োজনের চেয়ে বরাদ্দ কম দেয়া হলে সড়ক রক্ষণাবেক্ষণ করা দূরূহ হয়ে পড়ে। তবে যে বরাদ্দ দেয়া হয় তার কতটা সদ্ব্যবহার হয় সেই প্রশ্ন রয়েছে। দেশে সড়ক নির্মাণ, সংস্কার বা রক্ষণাবেক্ষণে অনিয়ম-দুর্নীতির ব্যাপক অভিযোগ রয়েছে। সড়ক খাত ভাঙাগড়ার এক দুষ্টুচক্রে আবদ্ধ হয়ে পড়েছে। অনেকেই বিশ্বাস করেন যে, অনিয়ম-দুর্নীতি বন্ধ করা গেলে সড়ক আরও টেকসইভাবে নির্মাণ করা সম্ভব হতো। তখন সড়ক ক্ষতিগ্রস্ত হতো কম আর এর রক্ষণাবেক্ষণে টাকাও লাগত কম।

আমরা বলতে চাই, দেশের সড়কগুলোকে চলাচল উপযোগী করে তৈরি করতে হবে এবং সেগুলো নিয়মিত রক্ষণাবেক্ষণ করতে হবে। এজন্য প্রয়োজনীয় অর্থ বরাদ্দ দেয়া যেমন জরুরি, তার চেয়ে বেশি জরুরি হচ্ছে বরাদ্দকৃত অর্থের সদ্ব্যবহার করা। সড়ক নির্মাণ থেকে শুরু করে মনিটরিং পর্যন্ত প্রতিটি স্তরে অনিয়ম-দুর্নীতির কঠোরভাবে দূর করা। তাহলে দেশের সড়ক ব্যবস্থার বেহাল দশা হয়তো দূর হবে।

back to top