alt

সম্পাদকীয়

রেলক্রসিং হোক সুরক্ষিত

: শনিবার, ১৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

গাজীপুর সিটি করপোরেশনে অবস্থিত দেশীপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়সংলগ্ন রেলক্রসিংটি অরক্ষিত। সেখানে নেই কোনো রেলগেট। অরক্ষিত রেলক্রসিং পেরিয়ে শিক্ষার্থীদের বিদ্যালয়ে যাওয়া-আসা করতে হয়। সেখানে একটি রেলগেট নির্মাণের দাবি তুলেছেন শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা। এ নিয়ে গত বৃহস্পতিবার সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।

শুধু গাজীপুরের এই একটি রেলপথই যে অরক্ষিত তা নয়। দেশজুড়ে এমন অনেক রেলক্রসিংই রয়েছে। দেশের ৮৫ শতাংশ রেলক্রসিংই অরক্ষিত বলে জানা যায়। রেলওয়ের এক হিসাব অনুযায়ী, দেশে রেলক্রসিং আছে ২ হাজার ৫৬১টি। অনুমোদনহীন রেলক্রসিংয় রয়েছে ১ হাজার ৩২১টি।

রেল দুর্ঘটনার বড় একটি কারণ হচ্ছে রেলগেট বা ব্যারিকেডহীন অরক্ষিত ক্রসিং। আবার ক্রসিংয়ের তুলনায় গেটম্যান কম। কোথাও কোথাও হয়তো অরক্ষিত ক্রসিংয়ে দায়সারা গোছের সতর্কবার্তা দেয়া হয়; কিন্তু বিপজ্জনক ক্রসিং পার হওয়ার সময় রেলের গতি কমানো হয় না, হুইসেল পর্যন্ত বাজানো হয় না বলে অভিযোগ রয়েছে। রেলক্রসিংয়ে দুর্ঘটনায় জান-মালের ক্ষয়ক্ষতির কোন দায় রেল কর্তৃপক্ষকে নিতে দেখা যায় না।

রেল খাতের উন্নয়নে সরকার অনেক প্রকল্পই নিয়েছে; কিন্তু এখনো দেশের অনেক রেলক্রসিংরে হতশ্রী দশা। ক্রসিংগুলোকে সুরক্ষিত ও নিরাপদ করতে খুব বেশি অর্থ ব্যয় হওয়ার কথা নয়। তাহলে সেটা করা হচ্ছে না কেন?

আমরা বলতে চাই, গাজীপুরের উক্ত স্থানে রেলগেট নির্মাণের যে দাবি মানুষ তুলেছে তা যৌক্তিক। এ দাবি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ আমলে নেবে এবং সে অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে সেটা আমার দেখতে চাই। এক পরিসংখ্যানে জানা যায়, রেল দুর্ঘটনায় যত প্রাণহানি হয়, তার ৮৯ শতাংশই ঘটে অরক্ষিত লেভেল ক্রসিংয়ে। কখনো বাসের সঙ্গে, কখনো মাইক্রোবাসসহ অন্য যানবাহনের সঙ্গে ট্রেনের সংঘর্ষে এসব প্রাণহানি ঘটে। অথচ এসব ক্রসিং নিরাপদ করার বিষয়টি রেল কর্তৃপক্ষের অগ্রাধিকারে নেইÑ এটা কাম্য নয়।

জননিরাপত্তাকে অগ্রাধিকার দিয়ে রেলক্রসিংয়গুলো সুরক্ষিত করা হচ্ছে সেটা আমরা দেখতে চাই। এক্ষেত্রে কারো কোন অবহেলা-উদাসীনতা কাম্য নয়। শুধু তথাকথিত সতর্কবার্তা জারি করে দায়িত্ব সারলে চলবে না। যেখানে প্রয়োজন সেখানেই রেলগেট বা ব্যারিকেড বসাতে হবে। প্রতিটি রেলগেটে যেন গেটম্যান থাকে সেটা অবশ্যই নিশ্চিত করতে হবে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বড় শহর বা নগরের মধ্যে থাকা রেলক্রসিংয়ে ওভারপাস নির্মাণের বিষয়টি সক্রিয়ভাবে বিবেচনা করবেÑ সেটা আমাদের আশা।

সেতু নির্মাণে গাফিলতি : জনদুর্ভোগের শেষ কোথায়?

ধর্ষণ, মব ও নৈরাজ্যের বিরুদ্ধে কঠোর বার্তা : শুধু যেন কথার কথা না হয়

নারী নিপীড়নের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ জরুরি

গণরোষের নামে নৃশংসতা : কোথায় সমাধান?

গাছের জীবন রক্ষায় এক ব্যতিক্রমী উদ্যোগ

প্রকাশ্যে ধূমপান, মবের সংস্কৃতি এবং স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার বয়ান

চট্টগ্রামে বর্জ্য ব্যবস্থাপনার সংকট

লামায় শ্রমিক অপহরণ : প্রশ্নবিদ্ধ নিরাপত্তা

রেলওয়ের তেল চুরি ও কর্তৃপক্ষের দায়িত্বহীনতা

মহাসড়কে নিরাপত্তাহীনতা ও পুলিশের দায়িত্বে শৈথিল্য

দেওয়ানগঞ্জ ডাম্পিং স্টেশন প্রকল্প : দায়িত্বহীনতার প্রতিচ্ছবি

রেলপথে নিরাপত্তাহীনতা : চুরি ও অব্যবস্থাপনার দুষ্টচক্র

সবজি সংরক্ষণে হিমাগার : কৃষকদের বাঁচানোর জরুরি পদক্ষেপ

অমর একুশে

বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ রক্ষায় উদাসীনতা কাম্য নয়

আইনশৃঙ্খলার অবনতি : নাগরিক নিরাপত্তা কোথায়?

বাগাতিপাড়ার বিদ্যালয়গুলোর শৌচাগার সংকট দূর করুন

হাসপাতালগুলোতে জনবল সংকট দূর করুন

বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ রক্ষায় উদাসীনতা কাম্য নয়

নতুন পাঠ্যবই বিতরণে ধীরগতি : শিক্ষার্থীদের শিক্ষাজীবন ব্যাহত হচ্ছে

সরকারি জমি রক্ষায় উদাসীনতা কাম্য নয়

সার বিপণনে অনিয়মের অভিযোগ, ব্যবস্থা নিন

জলাবদ্ধতার অভিশাপ : পরিকল্পনাহীন উন্নয়ন ও দুর্ভোগ

সেতুর জন্য আর কত অপেক্ষা

শবে বরাত: আত্মশুদ্ধির এক মহিমান্বিত রাত

অবৈধ ইটভাটার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

শিক্ষার্থীদের পাঠ্যবই সংকট : ব্যর্থতার দায় কার?

মাদারীপুর পৌরসভায় ডাম্পিং স্টেশন কবে হবে

বায়ুদূষণ : আর উপেক্ষা করা যায় না

নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে কাঁকড়া শিকার : সুন্দরবনের জীববৈচিত্র্য হুমকির মুখে

যৌতুকের বলি : বৈশাখীর নির্মম পরিণতি ও আমাদের করণীয়

কেশবপুরে ওএমএস কর্মসূচির সংকট

শিক্ষক সংকট : প্রাথমিক শিক্ষার চ্যালেঞ্জ

নদীভাঙনের শিকার শিক্ষার্থীরা কোথায় যাবে?

আবারও অপহরণের ঘটনা : সমাধান কী

সারের কালোবাজারি বন্ধ করতে হবে

tab

সম্পাদকীয়

রেলক্রসিং হোক সুরক্ষিত

শনিবার, ১৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

গাজীপুর সিটি করপোরেশনে অবস্থিত দেশীপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়সংলগ্ন রেলক্রসিংটি অরক্ষিত। সেখানে নেই কোনো রেলগেট। অরক্ষিত রেলক্রসিং পেরিয়ে শিক্ষার্থীদের বিদ্যালয়ে যাওয়া-আসা করতে হয়। সেখানে একটি রেলগেট নির্মাণের দাবি তুলেছেন শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা। এ নিয়ে গত বৃহস্পতিবার সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।

শুধু গাজীপুরের এই একটি রেলপথই যে অরক্ষিত তা নয়। দেশজুড়ে এমন অনেক রেলক্রসিংই রয়েছে। দেশের ৮৫ শতাংশ রেলক্রসিংই অরক্ষিত বলে জানা যায়। রেলওয়ের এক হিসাব অনুযায়ী, দেশে রেলক্রসিং আছে ২ হাজার ৫৬১টি। অনুমোদনহীন রেলক্রসিংয় রয়েছে ১ হাজার ৩২১টি।

রেল দুর্ঘটনার বড় একটি কারণ হচ্ছে রেলগেট বা ব্যারিকেডহীন অরক্ষিত ক্রসিং। আবার ক্রসিংয়ের তুলনায় গেটম্যান কম। কোথাও কোথাও হয়তো অরক্ষিত ক্রসিংয়ে দায়সারা গোছের সতর্কবার্তা দেয়া হয়; কিন্তু বিপজ্জনক ক্রসিং পার হওয়ার সময় রেলের গতি কমানো হয় না, হুইসেল পর্যন্ত বাজানো হয় না বলে অভিযোগ রয়েছে। রেলক্রসিংয়ে দুর্ঘটনায় জান-মালের ক্ষয়ক্ষতির কোন দায় রেল কর্তৃপক্ষকে নিতে দেখা যায় না।

রেল খাতের উন্নয়নে সরকার অনেক প্রকল্পই নিয়েছে; কিন্তু এখনো দেশের অনেক রেলক্রসিংরে হতশ্রী দশা। ক্রসিংগুলোকে সুরক্ষিত ও নিরাপদ করতে খুব বেশি অর্থ ব্যয় হওয়ার কথা নয়। তাহলে সেটা করা হচ্ছে না কেন?

আমরা বলতে চাই, গাজীপুরের উক্ত স্থানে রেলগেট নির্মাণের যে দাবি মানুষ তুলেছে তা যৌক্তিক। এ দাবি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ আমলে নেবে এবং সে অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে সেটা আমার দেখতে চাই। এক পরিসংখ্যানে জানা যায়, রেল দুর্ঘটনায় যত প্রাণহানি হয়, তার ৮৯ শতাংশই ঘটে অরক্ষিত লেভেল ক্রসিংয়ে। কখনো বাসের সঙ্গে, কখনো মাইক্রোবাসসহ অন্য যানবাহনের সঙ্গে ট্রেনের সংঘর্ষে এসব প্রাণহানি ঘটে। অথচ এসব ক্রসিং নিরাপদ করার বিষয়টি রেল কর্তৃপক্ষের অগ্রাধিকারে নেইÑ এটা কাম্য নয়।

জননিরাপত্তাকে অগ্রাধিকার দিয়ে রেলক্রসিংয়গুলো সুরক্ষিত করা হচ্ছে সেটা আমরা দেখতে চাই। এক্ষেত্রে কারো কোন অবহেলা-উদাসীনতা কাম্য নয়। শুধু তথাকথিত সতর্কবার্তা জারি করে দায়িত্ব সারলে চলবে না। যেখানে প্রয়োজন সেখানেই রেলগেট বা ব্যারিকেড বসাতে হবে। প্রতিটি রেলগেটে যেন গেটম্যান থাকে সেটা অবশ্যই নিশ্চিত করতে হবে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বড় শহর বা নগরের মধ্যে থাকা রেলক্রসিংয়ে ওভারপাস নির্মাণের বিষয়টি সক্রিয়ভাবে বিবেচনা করবেÑ সেটা আমাদের আশা।

back to top