alt

মতামত » সম্পাদকীয়

কৃষিপণ্য সংরক্ষণে হিমাগার স্থাপনে উদ্যোগ নিন

: সোমবার, ০৪ মার্চ ২০২৪

সংরক্ষণের সুব্যবস্থা নেই বলে দেশে প্রতিবছর যে ফল ও কৃষিপণ্য উৎপাদিত হয় তার ৪৪ শতাংশই নষ্ট হয়ে যায়। এতে প্রতিবছর ক্ষতি হচ্ছে ২৬ হাজার ৪০০ কোটি টাকা। ফলে বেশি দামে খাদ্যপণ্য কিনতে হচ্ছে দেশবাসীকে। রাজধানীর আগারগাঁওয়ের বিনিয়োগ ভবনে ‘কোল্ড চেইন ইনভেস্টমেন্ট কনফারেন্স ২০২৪’ শীর্ষক বিনিয়োগ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান বক্তারা।

বাংলাদেশ কোল্ড স্টোরেজ অ্যাসোসিয়শনের তথ্য জানাচ্ছে, দেশে ৪০৩টি হিমাগার রয়েছে। নতুন করে আরও কিছু হিমাগার তৈরি হচ্ছে। তবে অনেক সময় হিমাগার বন্ধ হয়ে যেতেও শোনা যায়। হিমাগারগুলোতে চাহিদামতো অ্যামোনিয়া গ্যাস সরবরাহ করা হয় না ও বিদ্যুৎও থাকে না, তখন এগুলোর কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায়। দেশের হিমাগারগুলোতে বছরে তিন থেকে চার হাজার সিলিন্ডার অ্যামোনিয়া গ্যাসের চাহিদা রয়েছে। আর এই গ্যাস হিমাগারগুলোতে অগ্রাধিকারভিত্তিতে পাবেÑএমন নিয়মই বেঁধে দিয়েছিল শিল্প মন্ত্রণালয়। কিন্তু নানা কারণে এই গ্যাস সরকরাহ বন্ধ থাকে বলে অভিয়োগ আছে।

দেশে কৃষি খাতে যে হারে উন্নতি হয়েছে, সে হারে শস্য সংরক্ষণ ব্যবস্থার উন্নতি হয়নি। সংরক্ষণ করে রাখার মতো যথেষ্ট হিমাগার না থাকার কারণে অপচয় হয় অনেক শস্য। কিছু হিমাগার থাকলেও বিদ্যুৎবিভ্রাট ও পরিমান মতো জায়গার অভাবেও পণ্য সংরক্ষণ করা যায় না। হিমাগার স্থাপনে যে সব বাধা রয়েছে তা নিরসনের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে এগিয়ে আসতে হবে। বাধাগুলো দূর করে হিমাগার স্থাপনের পরিবেশ সৃষ্টি করতে হবে।

প্রতি বছর দেশে বিপুল পরিমাণ খাদ্যপণ্য নষ্ট হচ্ছে। চেইন হিমাগার তৈরি করে যদি তা রক্ষা করা যেত তাহলে প্রতিবছর বিপুল কৃষি পণ্য নষ্ট হওয়া থেকে রক্ষা পাবে। পাশাপাশি দেশের রপ্তানি বৈচিত্র্য বাড়বে বলে মনে করেন অনেকে।

দেশে যেকটি হিমাগার রয়েছে, সেগুলোও যদি সুষ্ঠুভাবে পরিচালনা করা যায় তাহলে চাহিদা কিছুটা মেটানো সম্ভব হতে পারে। এক্ষেত্রে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সুবিধা নিশ্চিত করতে হবে। হিমাগারগুলোর জন্য প্রয়োজনীয় অ্যামোনিয়া গ্যাস সরবরাহ নিশ্চিত হরতে হবে। পাশাপাশি নতুন হিমাগার স্থাপনে সরকারি-বেসরকারি পর্যায়ে প্রচেষ্টা চালাতে হবে।

কারেন্ট পোকা দমনে কৃষককে সহায়তা দিন

আলুর বাজারে নীরব বিপর্যয়

বিদ্যালয়ের মাঠ দখলমুক্ত করুন

টিলায় পাথর লুট : কার্যকর ব্যবস্থা নিন

ঝুঁকিপূর্ণ স্কুল ভবন সংস্কারে দ্রুত পদক্ষেপ দরকার

ডেঙ্গু মোকাবিলায় দায়িত্বহীনতা আর নয়

সার সংকট সমাধানে দ্রুত পদক্ষেপ দরকার

নির্বাচনী সহিংসতা বন্ধে কঠোর পদক্ষেপ প্রয়োজন

প্রান্তিক মানুষের স্বাস্থ্যসেবা যেন অবহেলার শিকার না হয়

প্রাথমিকে সংগীত শিক্ষক নিয়োগ বাতিল : একটি ভুল বার্তা

ঘিওর ভেটেরিনারি হাসপাতালের সংকট দূর করুন

ভূমি অফিসে সেবাপ্রার্থীদের দুর্ভোগ

একটি পাকা সেতুর জন্য অপেক্ষা

নদী থেকে অবৈধ পাথর উত্তোলন বন্ধ করুন

ইছামতী নদীকে রক্ষা করুন

সন্দেহবশত পিটিয়ে হত্যা: দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নিন

জয়দেবপুর রেলক্রসিংয়ে দুর্ভোগের অবসান হোক

বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড কেন থামছে না?

সারের সংকট আর কত

সুন্দরবনে বিষ দিয়ে মাছ শিকার বন্ধ করুন

কক্সবাজার সৈকত রক্ষা করুন

ঐকমত্য কমিশনের উদ্দেশ্য কী?

সড়ক দখলমুক্ত করা জরুরি

কৃষকদের পাশে থাকুন

প্রাথমিক শিক্ষায় সংকট

অ্যানথ্রাক্স নিয়ন্ত্রণে ধীরগতি: ঝুঁকিতে মানুষ ও গবাদিপশু

রাজধানীর যানবাহন নিয়ন্ত্রণে ফিরেছে সিগন্যাল বাতি: বাস্তবায়ন জরুরি

দুস্থদের জন্য নিম্নমানের চাল: দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নিন

নিরাপদ সড়কের আকাঙ্ক্ষা ও বাস্তবতা

কটিয়াদীতে বিদ্যুৎ বিল নিয়ে অভিযোগ আমলে নিন

ধানখেতে পোকার আক্রমণ: কৃষকের পাশে দাঁড়ান

কৃষিজমির পাশে ইউক্যালিপটাস: লাভ সাময়িক, ক্ষতি দীর্ঘমেয়াদী

খুলনা বিভাগীয় শিশু হাসপাতাল চালু হতে আর কত অপেক্ষা

সদরপুর স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সের স্বাস্থ্যসেবার মান বাড়াতে ব্যবস্থা নিন

সরকারি জমি দখল: ব্যবস্থা নিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে হবে

রংপুর সিটি করপোরেশনে অটোরিকশার লাইসেন্স প্রসঙ্গে

tab

মতামত » সম্পাদকীয়

কৃষিপণ্য সংরক্ষণে হিমাগার স্থাপনে উদ্যোগ নিন

সোমবার, ০৪ মার্চ ২০২৪

সংরক্ষণের সুব্যবস্থা নেই বলে দেশে প্রতিবছর যে ফল ও কৃষিপণ্য উৎপাদিত হয় তার ৪৪ শতাংশই নষ্ট হয়ে যায়। এতে প্রতিবছর ক্ষতি হচ্ছে ২৬ হাজার ৪০০ কোটি টাকা। ফলে বেশি দামে খাদ্যপণ্য কিনতে হচ্ছে দেশবাসীকে। রাজধানীর আগারগাঁওয়ের বিনিয়োগ ভবনে ‘কোল্ড চেইন ইনভেস্টমেন্ট কনফারেন্স ২০২৪’ শীর্ষক বিনিয়োগ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান বক্তারা।

বাংলাদেশ কোল্ড স্টোরেজ অ্যাসোসিয়শনের তথ্য জানাচ্ছে, দেশে ৪০৩টি হিমাগার রয়েছে। নতুন করে আরও কিছু হিমাগার তৈরি হচ্ছে। তবে অনেক সময় হিমাগার বন্ধ হয়ে যেতেও শোনা যায়। হিমাগারগুলোতে চাহিদামতো অ্যামোনিয়া গ্যাস সরবরাহ করা হয় না ও বিদ্যুৎও থাকে না, তখন এগুলোর কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায়। দেশের হিমাগারগুলোতে বছরে তিন থেকে চার হাজার সিলিন্ডার অ্যামোনিয়া গ্যাসের চাহিদা রয়েছে। আর এই গ্যাস হিমাগারগুলোতে অগ্রাধিকারভিত্তিতে পাবেÑএমন নিয়মই বেঁধে দিয়েছিল শিল্প মন্ত্রণালয়। কিন্তু নানা কারণে এই গ্যাস সরকরাহ বন্ধ থাকে বলে অভিয়োগ আছে।

দেশে কৃষি খাতে যে হারে উন্নতি হয়েছে, সে হারে শস্য সংরক্ষণ ব্যবস্থার উন্নতি হয়নি। সংরক্ষণ করে রাখার মতো যথেষ্ট হিমাগার না থাকার কারণে অপচয় হয় অনেক শস্য। কিছু হিমাগার থাকলেও বিদ্যুৎবিভ্রাট ও পরিমান মতো জায়গার অভাবেও পণ্য সংরক্ষণ করা যায় না। হিমাগার স্থাপনে যে সব বাধা রয়েছে তা নিরসনের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে এগিয়ে আসতে হবে। বাধাগুলো দূর করে হিমাগার স্থাপনের পরিবেশ সৃষ্টি করতে হবে।

প্রতি বছর দেশে বিপুল পরিমাণ খাদ্যপণ্য নষ্ট হচ্ছে। চেইন হিমাগার তৈরি করে যদি তা রক্ষা করা যেত তাহলে প্রতিবছর বিপুল কৃষি পণ্য নষ্ট হওয়া থেকে রক্ষা পাবে। পাশাপাশি দেশের রপ্তানি বৈচিত্র্য বাড়বে বলে মনে করেন অনেকে।

দেশে যেকটি হিমাগার রয়েছে, সেগুলোও যদি সুষ্ঠুভাবে পরিচালনা করা যায় তাহলে চাহিদা কিছুটা মেটানো সম্ভব হতে পারে। এক্ষেত্রে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সুবিধা নিশ্চিত করতে হবে। হিমাগারগুলোর জন্য প্রয়োজনীয় অ্যামোনিয়া গ্যাস সরবরাহ নিশ্চিত হরতে হবে। পাশাপাশি নতুন হিমাগার স্থাপনে সরকারি-বেসরকারি পর্যায়ে প্রচেষ্টা চালাতে হবে।

back to top