alt

মতামত » সম্পাদকীয়

সাতক্ষীরা হাসপাতালের ডায়ালাসিস মেশিন সংকট দূর করুন

: রোববার, ২৪ মার্চ ২০২৪

তিন দিন ধরে সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ডায়ালাইসিস মেশিন নষ্ট। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ গত মঙ্গলবার জানিয়ে দিয়েছে বুধবার থেকে সপ্তাহে একবার কিডনি রোগীদের ডায়ালাইসিস করানো হবে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের এমন সিদ্ধান্তে স্বাস্থ্য ঝুঁকির মধ্যে পড়েছেন শতাধিক কিডনি রোগী।

কিডনি রোগে আক্রান্ত রোগীরা ২০০ টাকা ফি দিয়ে ডায়ালাইসিস সেবা পেতেন। প্রাইভেট ক্লিনিকে নিয়ে চিকিৎসা করানোর মতো সামর্থ্য অনেক রোগীরই নেই। দ্রুত ডায়ালাইসিস সেবা চালু করার দাবি জানিয়েছেন রোগীরা। জানা গেছে, সমস্যাটির ব্যাপারে স্থানীয় সংসদ সদস্যরা স্বাস্থ্যমন্ত্রীর সঙ্গে যোগাযোগও করেছেন। স্বাস্থ্যমন্ত্রী সমস্যার সমাধানে আশ্বাস দিয়েছেন।

ডায়ালাইসিস ইউনিট ইনচার্জ জানান, বুধবার থেকে সপ্তাহে দুটির পরিবর্তে একটি ডায়ালাইসিস করানো হচ্ছে। হাসপাতালে মেশিন রয়েছে ১৯টি। এর মধ্যে মাত্র দুটি মেশিন জোড়াতালি চালানো হচ্ছে। দুটি মেশিন দিয়ে এত সংখ্যক রোগীকে দুই-তিনবার ডায়ালাইসিস দেয়া সম্ভব না। তবে নষ্ট মেশিনগুলো মেরামতের চেষ্টা চলছে। সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে জানানো হয়েছে। হাসপাতালে পর্যাপ্ত সংখ্যক ডায়ালাইলিস মেশিন ছিল কিন্তু সেগুলো অদক্ষ ব্যক্তি দ্বারা পরিচালনা করার কারণে খুব দ্রুতই সব মেশিন নষ্ট হয়ে গেছে। এমন তথ্য জানিয়েছেন হাসপাতালের চিকিৎসকরা।

চিকিৎসকদের মতে, কিডনি যদি ৮০ থেকে ৯০ শতাংশ কর্মক্ষমতা হারায় তাহলে শরীরের অতিরিক্ত পানি ও বর্জ্য পদার্থ কিডনির মাধ্যমে শরীর থেকে আর বের করতে পারে না। তখন কিডনি সংযোজন করাতে হয়। কিন্তু সব রোগীর ক্ষেত্রে সম্ভব হয়ে ওঠে না। চিকিৎসকরা তখন রোগীর জীবন বাঁচাতে ডায়ালাইসিস দেন। ডায়ালাইসিসের মাধ্যমে রোগীর রক্ত পরিশোধন করে দূষিত ইউরিয়া, ক্রিয়েটিনিন ও শরীরের অতিরিক্ত পানি বের করে দেয়া হয়। তাই কিডনি রোগীদের ডায়ালাইসিস সেবা কমিয়ে দিলে তারা মৃত্যু ঝুঁকির মধ্যে পড়তে পারেন বলে কিডনি রোগ বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন।

কিন্তু গত তিন দিন ধরে সাতক্ষীরার শতাধিক কিডনি রোগী এ সেবা থেকে বঞ্চিত রয়েছেন। তাদের স্বাস্থ্য ঝুঁকি বাড়ছে। একটি দুটি নয়, ১৯টি মেশিনের মধ্যে ১৭টি মেশিন নষ্ট হয়ে গেছে। আর এসব মেশিন নষ্ট হয়েছে অদক্ষ টেকনেশিয়ান দিয়ে পরিচালনার জন্য, চিকিৎসকরা এ অভিযোগ তুলেছেন। তাই কর্তৃপক্ষ যদি মেশিনের ব্যবস্থা করে তাহলে দক্ষ টেকনেশিয়ান নিয়োগেরও ব্যবস্থা করতে হবে। মেশিন যত ভালোই হোক না কেন, টেকনেশিয়ান দক্ষ না হলে সে মেশিন বেশিদিন টেকসই হয় না। হাসপাতালে আগত রোগীরা যেন কম খরচে ডায়ালাইসিস সেবা পায় সে ব্যাপারে কর্তৃপক্ষ দ্রুত সব ধরনের উদ্যোগ নেবে, এটা আমরা চাই।

ঝুঁকিপূর্ণ স্কুল ভবন সংস্কারে দ্রুত পদক্ষেপ দরকার

ডেঙ্গু মোকাবিলায় দায়িত্বহীনতা আর নয়

সার সংকট সমাধানে দ্রুত পদক্ষেপ দরকার

নির্বাচনী সহিংসতা বন্ধে কঠোর পদক্ষেপ প্রয়োজন

প্রান্তিক মানুষের স্বাস্থ্যসেবা যেন অবহেলার শিকার না হয়

প্রাথমিকে সংগীত শিক্ষক নিয়োগ বাতিল : একটি ভুল বার্তা

ঘিওর ভেটেরিনারি হাসপাতালের সংকট দূর করুন

ভূমি অফিসে সেবাপ্রার্থীদের দুর্ভোগ

একটি পাকা সেতুর জন্য অপেক্ষা

নদী থেকে অবৈধ পাথর উত্তোলন বন্ধ করুন

ইছামতী নদীকে রক্ষা করুন

সন্দেহবশত পিটিয়ে হত্যা: দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নিন

জয়দেবপুর রেলক্রসিংয়ে দুর্ভোগের অবসান হোক

বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড কেন থামছে না?

সারের সংকট আর কত

সুন্দরবনে বিষ দিয়ে মাছ শিকার বন্ধ করুন

কক্সবাজার সৈকত রক্ষা করুন

ঐকমত্য কমিশনের উদ্দেশ্য কী?

সড়ক দখলমুক্ত করা জরুরি

কৃষকদের পাশে থাকুন

প্রাথমিক শিক্ষায় সংকট

অ্যানথ্রাক্স নিয়ন্ত্রণে ধীরগতি: ঝুঁকিতে মানুষ ও গবাদিপশু

রাজধানীর যানবাহন নিয়ন্ত্রণে ফিরেছে সিগন্যাল বাতি: বাস্তবায়ন জরুরি

দুস্থদের জন্য নিম্নমানের চাল: দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নিন

নিরাপদ সড়কের আকাঙ্ক্ষা ও বাস্তবতা

কটিয়াদীতে বিদ্যুৎ বিল নিয়ে অভিযোগ আমলে নিন

ধানখেতে পোকার আক্রমণ: কৃষকের পাশে দাঁড়ান

কৃষিজমির পাশে ইউক্যালিপটাস: লাভ সাময়িক, ক্ষতি দীর্ঘমেয়াদী

খুলনা বিভাগীয় শিশু হাসপাতাল চালু হতে আর কত অপেক্ষা

সদরপুর স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সের স্বাস্থ্যসেবার মান বাড়াতে ব্যবস্থা নিন

সরকারি জমি দখল: ব্যবস্থা নিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে হবে

রংপুর সিটি করপোরেশনে অটোরিকশার লাইসেন্স প্রসঙ্গে

বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজে অগ্নিকাণ্ড প্রশ্ন অনেক, উত্তর মিলবে কি

দেবীদ্বার কলেজ মাঠ: অবহেলায় হারাতে বসেছে ঐতিহ্য

সিইপিজেডের আগুন: অবহেলা আর দায়িত্বহীনতার নজির

বায়ুদূষণ রোধে কার্যকর পদক্ষেপ নিন

tab

মতামত » সম্পাদকীয়

সাতক্ষীরা হাসপাতালের ডায়ালাসিস মেশিন সংকট দূর করুন

রোববার, ২৪ মার্চ ২০২৪

তিন দিন ধরে সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ডায়ালাইসিস মেশিন নষ্ট। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ গত মঙ্গলবার জানিয়ে দিয়েছে বুধবার থেকে সপ্তাহে একবার কিডনি রোগীদের ডায়ালাইসিস করানো হবে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের এমন সিদ্ধান্তে স্বাস্থ্য ঝুঁকির মধ্যে পড়েছেন শতাধিক কিডনি রোগী।

কিডনি রোগে আক্রান্ত রোগীরা ২০০ টাকা ফি দিয়ে ডায়ালাইসিস সেবা পেতেন। প্রাইভেট ক্লিনিকে নিয়ে চিকিৎসা করানোর মতো সামর্থ্য অনেক রোগীরই নেই। দ্রুত ডায়ালাইসিস সেবা চালু করার দাবি জানিয়েছেন রোগীরা। জানা গেছে, সমস্যাটির ব্যাপারে স্থানীয় সংসদ সদস্যরা স্বাস্থ্যমন্ত্রীর সঙ্গে যোগাযোগও করেছেন। স্বাস্থ্যমন্ত্রী সমস্যার সমাধানে আশ্বাস দিয়েছেন।

ডায়ালাইসিস ইউনিট ইনচার্জ জানান, বুধবার থেকে সপ্তাহে দুটির পরিবর্তে একটি ডায়ালাইসিস করানো হচ্ছে। হাসপাতালে মেশিন রয়েছে ১৯টি। এর মধ্যে মাত্র দুটি মেশিন জোড়াতালি চালানো হচ্ছে। দুটি মেশিন দিয়ে এত সংখ্যক রোগীকে দুই-তিনবার ডায়ালাইসিস দেয়া সম্ভব না। তবে নষ্ট মেশিনগুলো মেরামতের চেষ্টা চলছে। সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে জানানো হয়েছে। হাসপাতালে পর্যাপ্ত সংখ্যক ডায়ালাইলিস মেশিন ছিল কিন্তু সেগুলো অদক্ষ ব্যক্তি দ্বারা পরিচালনা করার কারণে খুব দ্রুতই সব মেশিন নষ্ট হয়ে গেছে। এমন তথ্য জানিয়েছেন হাসপাতালের চিকিৎসকরা।

চিকিৎসকদের মতে, কিডনি যদি ৮০ থেকে ৯০ শতাংশ কর্মক্ষমতা হারায় তাহলে শরীরের অতিরিক্ত পানি ও বর্জ্য পদার্থ কিডনির মাধ্যমে শরীর থেকে আর বের করতে পারে না। তখন কিডনি সংযোজন করাতে হয়। কিন্তু সব রোগীর ক্ষেত্রে সম্ভব হয়ে ওঠে না। চিকিৎসকরা তখন রোগীর জীবন বাঁচাতে ডায়ালাইসিস দেন। ডায়ালাইসিসের মাধ্যমে রোগীর রক্ত পরিশোধন করে দূষিত ইউরিয়া, ক্রিয়েটিনিন ও শরীরের অতিরিক্ত পানি বের করে দেয়া হয়। তাই কিডনি রোগীদের ডায়ালাইসিস সেবা কমিয়ে দিলে তারা মৃত্যু ঝুঁকির মধ্যে পড়তে পারেন বলে কিডনি রোগ বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন।

কিন্তু গত তিন দিন ধরে সাতক্ষীরার শতাধিক কিডনি রোগী এ সেবা থেকে বঞ্চিত রয়েছেন। তাদের স্বাস্থ্য ঝুঁকি বাড়ছে। একটি দুটি নয়, ১৯টি মেশিনের মধ্যে ১৭টি মেশিন নষ্ট হয়ে গেছে। আর এসব মেশিন নষ্ট হয়েছে অদক্ষ টেকনেশিয়ান দিয়ে পরিচালনার জন্য, চিকিৎসকরা এ অভিযোগ তুলেছেন। তাই কর্তৃপক্ষ যদি মেশিনের ব্যবস্থা করে তাহলে দক্ষ টেকনেশিয়ান নিয়োগেরও ব্যবস্থা করতে হবে। মেশিন যত ভালোই হোক না কেন, টেকনেশিয়ান দক্ষ না হলে সে মেশিন বেশিদিন টেকসই হয় না। হাসপাতালে আগত রোগীরা যেন কম খরচে ডায়ালাইসিস সেবা পায় সে ব্যাপারে কর্তৃপক্ষ দ্রুত সব ধরনের উদ্যোগ নেবে, এটা আমরা চাই।

back to top