alt

মতামত » সম্পাদকীয়

সিলেট ‘ইইডি’ কার্যালয়ের অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ

: বুধবার, ২৭ মার্চ ২০২৪

সিলেট আঞ্চলিক শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর ‘ইইডি’ কার্যালয়ে ১২০টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে অবকাঠামো নির্মাণ ও সংস্কারের নামে অগ্রিম বিল তুলে নিয়ে ‘ভাগ-বাটোয়ারা’ করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

কোন কাজই করা হয়নি কিন্তু শতাধিক শিক্ষা ভবন নির্মাণ ও পুরোনো ভবন সংস্কারের নামে বিল তুলে নিয়েছে ঠিকাদাররা। বিল তুলে নেয়ার পর কোন কোন ঠিকাদার মারাও গেছে। কেউ আবার বিদেশে পাড়ি জমিয়েছে। আর বাকি ঠিকাদাররা কাজ বন্ধ করে দিয়েছে। ঠিকাদারদের এসব অনিয়মের কাজে প্রকৌশলীদের যোগসাজশ রয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

অগ্রিম বিল তুলে নেয়ার কথা স্বীকারও করেছে কিছু ঠিকাদার। তারা বলেছে, সরকার নির্ধারিত দর অনুযায়ী দরপত্র আহ্বান করা হয়েছিল; কিন্তু এখন রড, সিমেন্ট, ইট, সুরকি ও অন্যান্য নির্মাণ সামগ্রীর দাম বেড়ে যাওয়ায় কাজ বন্ধ রাখতে হচ্ছে।

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে অবকাঠামো নির্মাণ ও সংস্কারের কোনো কাজ না করলেও বিল ঠিকই আদায় করে নিয়েছে ঠিকাদাররা। প্রশ্ন হচ্ছে, তাদের কাছ থেকে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ কাজ আদায় করেছিল কিনা। আর কাজ বুঝে না পেয়ে বিল পরিশোধ করার কারণ কী, সেটা আমরা জানতে চাই।

শুধু সিলেটে কাজ না করে ঠিকাদারের বিল তুলে নেয়ার ঘটনা ঘটেছে তা নয়। এরকম নজির দেশের আরও অনেক জায়গাতেও দেখা যায়। সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের ম্যানেজ করে ঠিকাদাররা বিল তুলে হয় লাপাত্তা হন, না হয় কাজ বন্ধ রাখেন। পরে তাদের আর নাগাল পাওয়া যায় না। বিল তুলে নিয়ে কাজ না করার পেছনে ঠিকাদাররা নানা অজুহাত দাঁড় করায়। নির্মাণ সামগ্রীর দাম বেড়ে গেছে, এ কারণে তাদের আর পোষাচ্ছে না। যেমনটি ঘটেছে সিলেটেও। সেখানকার ঠিকাদাররাও নির্মাণ সামগ্রীর দাম বাড়ার অজুহাত তুলে কাজ বন্ধ করে রেখেছে।

কোনো ঠিকাদার যখন প্রকল্পের কাজ নেন, তখন তো পূর্বাপর হিসাব-নিকাশ করেই নেন; কিন্তু কাজ শুরু করে তারা নানা অজুহাত তুলে প্রকল্পের খরচের রেট বাড়ানোর দাবি তোলে। তাদের এ দাবি কতটা গ্রহণযোগ্য সেটা একটা প্রশ্ন।

নির্বাহী প্রকৌশলী ও সহকারী প্রকৌশলীদের সঙ্গে প্রকল্পের কাজের হিসাব নিয়ে আলোচনা করবেন বলে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব তাদের ঢাকায় তলব করেছেন। আমরা আশা করব বিষয়টির একটা সুরাহা হবে।

জয়ন্তীপুর ঘাটে সেতু নির্মাণে বিলম্ব কাম্য নয়

শিক্ষকদের আন্দোলন, সরকারের কঠোরতা এবং শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যৎ

ছবি

সম্পাদক পরিষদের নবনির্বাচিত কার্যনির্বাহী কমিটির প্রথম সভা অনুষ্ঠিত

রায়গঞ্জের ক্ষতিগ্রস্ত বেইলি ব্রিজ দ্রুত সংস্কার করুন

সওজের জমি দখল : ব্যবস্থা নিন

পার্বত্য চুক্তি: পাহাড়ে শান্তি কি ফিরল?

রাজধানী কি অগ্নিকাণ্ডের ঝুঁকি মোকাবিলায় প্রস্তুত?

সেতু নির্মাণের কাজ কবে শেষ হবে

খুলনায় আদালতের সামনে হত্যাকাণ্ড

মীরসরাইয়ে বন রক্ষায় ব্যবস্থা নিন

পুরান ঢাকায় রাসায়নিক ঝুঁকি

মহেশপুরে অনুমোদনহীন করাত কল

বিদ্যালয়ের মাঠ দখলমুক্ত করুন

থমকে আছে সেতু নির্মাণের কাজ

হাকালুকি হাওরে মাছ লুট: প্রশাসন কী করছে

রাঙ্গাবালীর সংরক্ষিত বন ধ্বংসের সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

টিসিবির পণ্য নিয়ে অনিয়ম-দুর্নীতি কাম্য নয়

কক্সবাজারে পাহাড়ের মাটি কাটা বন্ধ করুন

দারিদ্র্যের নতুন ঢেউ

তাজরীনের ১৩ বছরের ক্ষত ভুক্তভোগীর ন্যায়বিচার কোথায়?

অ্যান্টিবায়োটিকের অপব্যবহার বন্ধে কার্যকর ব্যবস্থা নিন

চরাঞ্চলের বিদ্যালয়ে নিয়মিত পাঠদান নিশ্চিত করুন

অসহিষ্ণুতার সংস্কৃতি থামাতে হবে

কাঠ পাচার বন্ধে ব্যবস্থা নিন

ফিরে এল তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা

বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধে জিও ব্যাগ ব্যবহারে অনিয়মের অভিযোগ

দুই দফা ভূমিকম্প: এখনই প্রস্তুতির সময়

অবৈধ ইটভাটার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া জরুরি

গভীর রাতে সাংবাদিককে তুলে নেয়ার প্রকৃত কারণ উদঘাটন করতে হবে

সাময়িকী কবিতা

ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্র ভাড়া দেওয়ার অভিযোগ

স্কুল ফিডিং কর্মসূচিতে অনিয়ম কাম্য নয়

ছবি

শীতজনিত রোগ প্রতিরোধে চাই সচেতনতা

গাজনার বিলে জলাবদ্ধতা দূর করতে ব্যবস্থা নিন

বাল্যবিয়ে: সংকট এখনো গভীর

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের রায়: সব প্রশ্নের কি মীমাংসা হলো?

tab

মতামত » সম্পাদকীয়

সিলেট ‘ইইডি’ কার্যালয়ের অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ

বুধবার, ২৭ মার্চ ২০২৪

সিলেট আঞ্চলিক শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর ‘ইইডি’ কার্যালয়ে ১২০টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে অবকাঠামো নির্মাণ ও সংস্কারের নামে অগ্রিম বিল তুলে নিয়ে ‘ভাগ-বাটোয়ারা’ করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

কোন কাজই করা হয়নি কিন্তু শতাধিক শিক্ষা ভবন নির্মাণ ও পুরোনো ভবন সংস্কারের নামে বিল তুলে নিয়েছে ঠিকাদাররা। বিল তুলে নেয়ার পর কোন কোন ঠিকাদার মারাও গেছে। কেউ আবার বিদেশে পাড়ি জমিয়েছে। আর বাকি ঠিকাদাররা কাজ বন্ধ করে দিয়েছে। ঠিকাদারদের এসব অনিয়মের কাজে প্রকৌশলীদের যোগসাজশ রয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

অগ্রিম বিল তুলে নেয়ার কথা স্বীকারও করেছে কিছু ঠিকাদার। তারা বলেছে, সরকার নির্ধারিত দর অনুযায়ী দরপত্র আহ্বান করা হয়েছিল; কিন্তু এখন রড, সিমেন্ট, ইট, সুরকি ও অন্যান্য নির্মাণ সামগ্রীর দাম বেড়ে যাওয়ায় কাজ বন্ধ রাখতে হচ্ছে।

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে অবকাঠামো নির্মাণ ও সংস্কারের কোনো কাজ না করলেও বিল ঠিকই আদায় করে নিয়েছে ঠিকাদাররা। প্রশ্ন হচ্ছে, তাদের কাছ থেকে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ কাজ আদায় করেছিল কিনা। আর কাজ বুঝে না পেয়ে বিল পরিশোধ করার কারণ কী, সেটা আমরা জানতে চাই।

শুধু সিলেটে কাজ না করে ঠিকাদারের বিল তুলে নেয়ার ঘটনা ঘটেছে তা নয়। এরকম নজির দেশের আরও অনেক জায়গাতেও দেখা যায়। সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের ম্যানেজ করে ঠিকাদাররা বিল তুলে হয় লাপাত্তা হন, না হয় কাজ বন্ধ রাখেন। পরে তাদের আর নাগাল পাওয়া যায় না। বিল তুলে নিয়ে কাজ না করার পেছনে ঠিকাদাররা নানা অজুহাত দাঁড় করায়। নির্মাণ সামগ্রীর দাম বেড়ে গেছে, এ কারণে তাদের আর পোষাচ্ছে না। যেমনটি ঘটেছে সিলেটেও। সেখানকার ঠিকাদাররাও নির্মাণ সামগ্রীর দাম বাড়ার অজুহাত তুলে কাজ বন্ধ করে রেখেছে।

কোনো ঠিকাদার যখন প্রকল্পের কাজ নেন, তখন তো পূর্বাপর হিসাব-নিকাশ করেই নেন; কিন্তু কাজ শুরু করে তারা নানা অজুহাত তুলে প্রকল্পের খরচের রেট বাড়ানোর দাবি তোলে। তাদের এ দাবি কতটা গ্রহণযোগ্য সেটা একটা প্রশ্ন।

নির্বাহী প্রকৌশলী ও সহকারী প্রকৌশলীদের সঙ্গে প্রকল্পের কাজের হিসাব নিয়ে আলোচনা করবেন বলে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব তাদের ঢাকায় তলব করেছেন। আমরা আশা করব বিষয়টির একটা সুরাহা হবে।

back to top