মশা শুধু মহানগরী ঢাকার সমস্যা নয়। দেশের অন্যান্য নগরীতেও এর উপদ্রব রয়েছে। খুলনায় মশার যন্ত্রণায় অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছেন নগরবাসী। বর্ষার আগেই সেখানে মশার ঘনত্ব বেড়েছে। মশা নিধনে নগর কর্তৃপক্ষের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। এ নিয়ে গত মঙ্গলবার সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।
জানা গেছে, মশা নিয়ন্ত্রণের জন্য বছরে খুলনা সিটি করপোরেশনের খরচ হয় প্রায় তিন কোটি টাকা। নগর কর্তৃপক্ষ দাবি করছে, মশার বংশবৃদ্ধি রোধে মাসখানেক আগে থেকে ‘ক্রাশ প্রোগ্রাম’ চালানো হচ্ছে। ৩১টি ওয়ার্ডে দুজন করে কর্মচারী মশা নিধনে নিয়মিত কাজ করছেন।
কিন্তু কোনো কোনো ওয়ার্ডের বাসিন্দা অভিযোগ করে বলেন, এক মাসের বেশি সময় এলাকায় মশা নিধনের কোনো কার্যক্রম দেখা যায়নি। নালায় দেওয়া হয়নি কোনো কীটনাশক। ফগার মেশিনের শব্দও শোনা যায় না।
নগর কর্তৃপক্ষ বলছে, নগরের বিভিন্ন এলাকায় নালা নির্মাণ ও সংস্কারকাজ চলছে। যে কারণে পানিপ্রবাহ বন্ধ রয়েছে। এ কারণেও মশার প্রজনন বাড়ছে। তাছাড়া যখন বৃষ্টি থাকে না তখন ডোবা-নর্দমার পানি ঘন হয়ে পানিতে জৈব উপাদান বেড়ে যায়। এ সময় কিউলেক্স মশার প্রজনন ঘটে। এ কারণে মশা বেড়ে যায়। তবে বৃষ্টি হলে মশার উপদ্রব কমে আসবে।
কিউলেক্স মশার প্রজনন হয় মূলত খাল ও নর্দমায়। এজন্য বছরজুড়েই মশা মারার কাজ করতে হবে কর্তৃপক্ষকে। মাঠপর্যায়ে মশা নিধনের দায়িত্বে যারা থাকেন তাদের কাজ নিয়মিত তদারকি করা দরকার। নিয়ম মেনে যথাস্থানে কীটনাশক ছিটানো হচ্ছে কিনা সেটা দেখতে হবে। এজন্য মনিটরিং সেল থাকা দরকার।
মশা মারার ওষুধ কতটা কার্যকর সেই প্রশ্নও রয়েছে। ওষুধ কাজ না করলে বিকল্প ব্যবস্থা নিতে হবে। কিউলেক্স মশার প্রজননস্থল হিসেবে পরিচিত নালা, খাল, জলাশয়, মজা পুকুর থেকে কচুরিপানাসহ অন্যান্য ময়লা পরিষ্কার করতে হবে। নগরীর জলাশয়গুলো যেন পরিচ্ছন্ন থাকে সেজন্য নাগরিকদেরও সচেতন হতে হবে। নগরবাসীর অসচেতনতার কারণে অনেক জলাশয়ে পানিপ্রবাহ রুদ্ধ হয়ে পড়ে। নাগরিকরা সচেতন হলে নগর কর্তৃপক্ষের অনেক কাজই সহজ হয়ে যাবে বলে আমরা মনে করি।
ইপেপার
জাতীয়
সারাদেশ
আন্তর্জাতিক
নগর-মহানগর
খেলা
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
শিক্ষা
অর্থ-বাণিজ্য
সংস্কৃতি
ক্যাম্পাস
মিডিয়া
অপরাধ ও দুর্নীতি
রাজনীতি
শোক ও স্মরন
প্রবাস
নারীর প্রতি সহিংসতা
বিনোদন
সম্পাদকীয়
উপ-সম্পাদকীয়
মুক্ত আলোচনা
চিঠিপত্র
পাঠকের চিঠি
বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪
মশা শুধু মহানগরী ঢাকার সমস্যা নয়। দেশের অন্যান্য নগরীতেও এর উপদ্রব রয়েছে। খুলনায় মশার যন্ত্রণায় অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছেন নগরবাসী। বর্ষার আগেই সেখানে মশার ঘনত্ব বেড়েছে। মশা নিধনে নগর কর্তৃপক্ষের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। এ নিয়ে গত মঙ্গলবার সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।
জানা গেছে, মশা নিয়ন্ত্রণের জন্য বছরে খুলনা সিটি করপোরেশনের খরচ হয় প্রায় তিন কোটি টাকা। নগর কর্তৃপক্ষ দাবি করছে, মশার বংশবৃদ্ধি রোধে মাসখানেক আগে থেকে ‘ক্রাশ প্রোগ্রাম’ চালানো হচ্ছে। ৩১টি ওয়ার্ডে দুজন করে কর্মচারী মশা নিধনে নিয়মিত কাজ করছেন।
কিন্তু কোনো কোনো ওয়ার্ডের বাসিন্দা অভিযোগ করে বলেন, এক মাসের বেশি সময় এলাকায় মশা নিধনের কোনো কার্যক্রম দেখা যায়নি। নালায় দেওয়া হয়নি কোনো কীটনাশক। ফগার মেশিনের শব্দও শোনা যায় না।
নগর কর্তৃপক্ষ বলছে, নগরের বিভিন্ন এলাকায় নালা নির্মাণ ও সংস্কারকাজ চলছে। যে কারণে পানিপ্রবাহ বন্ধ রয়েছে। এ কারণেও মশার প্রজনন বাড়ছে। তাছাড়া যখন বৃষ্টি থাকে না তখন ডোবা-নর্দমার পানি ঘন হয়ে পানিতে জৈব উপাদান বেড়ে যায়। এ সময় কিউলেক্স মশার প্রজনন ঘটে। এ কারণে মশা বেড়ে যায়। তবে বৃষ্টি হলে মশার উপদ্রব কমে আসবে।
কিউলেক্স মশার প্রজনন হয় মূলত খাল ও নর্দমায়। এজন্য বছরজুড়েই মশা মারার কাজ করতে হবে কর্তৃপক্ষকে। মাঠপর্যায়ে মশা নিধনের দায়িত্বে যারা থাকেন তাদের কাজ নিয়মিত তদারকি করা দরকার। নিয়ম মেনে যথাস্থানে কীটনাশক ছিটানো হচ্ছে কিনা সেটা দেখতে হবে। এজন্য মনিটরিং সেল থাকা দরকার।
মশা মারার ওষুধ কতটা কার্যকর সেই প্রশ্নও রয়েছে। ওষুধ কাজ না করলে বিকল্প ব্যবস্থা নিতে হবে। কিউলেক্স মশার প্রজননস্থল হিসেবে পরিচিত নালা, খাল, জলাশয়, মজা পুকুর থেকে কচুরিপানাসহ অন্যান্য ময়লা পরিষ্কার করতে হবে। নগরীর জলাশয়গুলো যেন পরিচ্ছন্ন থাকে সেজন্য নাগরিকদেরও সচেতন হতে হবে। নগরবাসীর অসচেতনতার কারণে অনেক জলাশয়ে পানিপ্রবাহ রুদ্ধ হয়ে পড়ে। নাগরিকরা সচেতন হলে নগর কর্তৃপক্ষের অনেক কাজই সহজ হয়ে যাবে বলে আমরা মনে করি।