alt

মতামত » সম্পাদকীয়

মশার উপদ্রব থেকে নগরবাসীকে মুক্তি দিন

: বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪

মশা শুধু মহানগরী ঢাকার সমস্যা নয়। দেশের অন্যান্য নগরীতেও এর উপদ্রব রয়েছে। খুলনায় মশার যন্ত্রণায় অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছেন নগরবাসী। বর্ষার আগেই সেখানে মশার ঘনত্ব বেড়েছে। মশা নিধনে নগর কর্তৃপক্ষের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। এ নিয়ে গত মঙ্গলবার সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।

জানা গেছে, মশা নিয়ন্ত্রণের জন্য বছরে খুলনা সিটি করপোরেশনের খরচ হয় প্রায় তিন কোটি টাকা। নগর কর্তৃপক্ষ দাবি করছে, মশার বংশবৃদ্ধি রোধে মাসখানেক আগে থেকে ‘ক্রাশ প্রোগ্রাম’ চালানো হচ্ছে। ৩১টি ওয়ার্ডে দুজন করে কর্মচারী মশা নিধনে নিয়মিত কাজ করছেন।

কিন্তু কোনো কোনো ওয়ার্ডের বাসিন্দা অভিযোগ করে বলেন, এক মাসের বেশি সময় এলাকায় মশা নিধনের কোনো কার্যক্রম দেখা যায়নি। নালায় দেওয়া হয়নি কোনো কীটনাশক। ফগার মেশিনের শব্দও শোনা যায় না।

নগর কর্তৃপক্ষ বলছে, নগরের বিভিন্ন এলাকায় নালা নির্মাণ ও সংস্কারকাজ চলছে। যে কারণে পানিপ্রবাহ বন্ধ রয়েছে। এ কারণেও মশার প্রজনন বাড়ছে। তাছাড়া যখন বৃষ্টি থাকে না তখন ডোবা-নর্দমার পানি ঘন হয়ে পানিতে জৈব উপাদান বেড়ে যায়। এ সময় কিউলেক্স মশার প্রজনন ঘটে। এ কারণে মশা বেড়ে যায়। তবে বৃষ্টি হলে মশার উপদ্রব কমে আসবে।

কিউলেক্স মশার প্রজনন হয় মূলত খাল ও নর্দমায়। এজন্য বছরজুড়েই মশা মারার কাজ করতে হবে কর্তৃপক্ষকে। মাঠপর্যায়ে মশা নিধনের দায়িত্বে যারা থাকেন তাদের কাজ নিয়মিত তদারকি করা দরকার। নিয়ম মেনে যথাস্থানে কীটনাশক ছিটানো হচ্ছে কিনা সেটা দেখতে হবে। এজন্য মনিটরিং সেল থাকা দরকার।

মশা মারার ওষুধ কতটা কার্যকর সেই প্রশ্নও রয়েছে। ওষুধ কাজ না করলে বিকল্প ব্যবস্থা নিতে হবে। কিউলেক্স মশার প্রজননস্থল হিসেবে পরিচিত নালা, খাল, জলাশয়, মজা পুকুর থেকে কচুরিপানাসহ অন্যান্য ময়লা পরিষ্কার করতে হবে। নগরীর জলাশয়গুলো যেন পরিচ্ছন্ন থাকে সেজন্য নাগরিকদেরও সচেতন হতে হবে। নগরবাসীর অসচেতনতার কারণে অনেক জলাশয়ে পানিপ্রবাহ রুদ্ধ হয়ে পড়ে। নাগরিকরা সচেতন হলে নগর কর্তৃপক্ষের অনেক কাজই সহজ হয়ে যাবে বলে আমরা মনে করি।

পার্বত্য চুক্তি: পাহাড়ে শান্তি কি ফিরল?

রাজধানী কি অগ্নিকাণ্ডের ঝুঁকি মোকাবিলায় প্রস্তুত?

সেতু নির্মাণের কাজ কবে শেষ হবে

খুলনায় আদালতের সামনে হত্যাকাণ্ড

মীরসরাইয়ে বন রক্ষায় ব্যবস্থা নিন

পুরান ঢাকায় রাসায়নিক ঝুঁকি

মহেশপুরে অনুমোদনহীন করাত কল

বিদ্যালয়ের মাঠ দখলমুক্ত করুন

থমকে আছে সেতু নির্মাণের কাজ

হাকালুকি হাওরে মাছ লুট: প্রশাসন কী করছে

রাঙ্গাবালীর সংরক্ষিত বন ধ্বংসের সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

টিসিবির পণ্য নিয়ে অনিয়ম-দুর্নীতি কাম্য নয়

কক্সবাজারে পাহাড়ের মাটি কাটা বন্ধ করুন

দারিদ্র্যের নতুন ঢেউ

তাজরীনের ১৩ বছরের ক্ষত ভুক্তভোগীর ন্যায়বিচার কোথায়?

অ্যান্টিবায়োটিকের অপব্যবহার বন্ধে কার্যকর ব্যবস্থা নিন

চরাঞ্চলের বিদ্যালয়ে নিয়মিত পাঠদান নিশ্চিত করুন

অসহিষ্ণুতার সংস্কৃতি থামাতে হবে

কাঠ পাচার বন্ধে ব্যবস্থা নিন

ফিরে এল তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা

বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধে জিও ব্যাগ ব্যবহারে অনিয়মের অভিযোগ

দুই দফা ভূমিকম্প: এখনই প্রস্তুতির সময়

অবৈধ ইটভাটার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া জরুরি

গভীর রাতে সাংবাদিককে তুলে নেয়ার প্রকৃত কারণ উদঘাটন করতে হবে

সাময়িকী কবিতা

ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্র ভাড়া দেওয়ার অভিযোগ

স্কুল ফিডিং কর্মসূচিতে অনিয়ম কাম্য নয়

ছবি

শীতজনিত রোগ প্রতিরোধে চাই সচেতনতা

গাজনার বিলে জলাবদ্ধতা দূর করতে ব্যবস্থা নিন

বাল্যবিয়ে: সংকট এখনো গভীর

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের রায়: সব প্রশ্নের কি মীমাংসা হলো?

কুষ্টিয়ায় গাছ কাটার ‘গোপন টেন্ডার’ নিয়ে বিতর্কের অবসান হোক

ধান কেনায় অনিয়মের অভিযোগ আমলে নিন

লালমনিরহাটের বিসিক শিল্পনগরীর দুরবস্থা

তৃণমূলে ব্যাহত হচ্ছে স্বাস্থ্যসেবা, ব্যবস্থা নিন

শ্রীপুরের মানুষের দুর্ভোগ লাঘবে ব্যবস্থা নিন

tab

মতামত » সম্পাদকীয়

মশার উপদ্রব থেকে নগরবাসীকে মুক্তি দিন

বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪

মশা শুধু মহানগরী ঢাকার সমস্যা নয়। দেশের অন্যান্য নগরীতেও এর উপদ্রব রয়েছে। খুলনায় মশার যন্ত্রণায় অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছেন নগরবাসী। বর্ষার আগেই সেখানে মশার ঘনত্ব বেড়েছে। মশা নিধনে নগর কর্তৃপক্ষের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। এ নিয়ে গত মঙ্গলবার সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।

জানা গেছে, মশা নিয়ন্ত্রণের জন্য বছরে খুলনা সিটি করপোরেশনের খরচ হয় প্রায় তিন কোটি টাকা। নগর কর্তৃপক্ষ দাবি করছে, মশার বংশবৃদ্ধি রোধে মাসখানেক আগে থেকে ‘ক্রাশ প্রোগ্রাম’ চালানো হচ্ছে। ৩১টি ওয়ার্ডে দুজন করে কর্মচারী মশা নিধনে নিয়মিত কাজ করছেন।

কিন্তু কোনো কোনো ওয়ার্ডের বাসিন্দা অভিযোগ করে বলেন, এক মাসের বেশি সময় এলাকায় মশা নিধনের কোনো কার্যক্রম দেখা যায়নি। নালায় দেওয়া হয়নি কোনো কীটনাশক। ফগার মেশিনের শব্দও শোনা যায় না।

নগর কর্তৃপক্ষ বলছে, নগরের বিভিন্ন এলাকায় নালা নির্মাণ ও সংস্কারকাজ চলছে। যে কারণে পানিপ্রবাহ বন্ধ রয়েছে। এ কারণেও মশার প্রজনন বাড়ছে। তাছাড়া যখন বৃষ্টি থাকে না তখন ডোবা-নর্দমার পানি ঘন হয়ে পানিতে জৈব উপাদান বেড়ে যায়। এ সময় কিউলেক্স মশার প্রজনন ঘটে। এ কারণে মশা বেড়ে যায়। তবে বৃষ্টি হলে মশার উপদ্রব কমে আসবে।

কিউলেক্স মশার প্রজনন হয় মূলত খাল ও নর্দমায়। এজন্য বছরজুড়েই মশা মারার কাজ করতে হবে কর্তৃপক্ষকে। মাঠপর্যায়ে মশা নিধনের দায়িত্বে যারা থাকেন তাদের কাজ নিয়মিত তদারকি করা দরকার। নিয়ম মেনে যথাস্থানে কীটনাশক ছিটানো হচ্ছে কিনা সেটা দেখতে হবে। এজন্য মনিটরিং সেল থাকা দরকার।

মশা মারার ওষুধ কতটা কার্যকর সেই প্রশ্নও রয়েছে। ওষুধ কাজ না করলে বিকল্প ব্যবস্থা নিতে হবে। কিউলেক্স মশার প্রজননস্থল হিসেবে পরিচিত নালা, খাল, জলাশয়, মজা পুকুর থেকে কচুরিপানাসহ অন্যান্য ময়লা পরিষ্কার করতে হবে। নগরীর জলাশয়গুলো যেন পরিচ্ছন্ন থাকে সেজন্য নাগরিকদেরও সচেতন হতে হবে। নগরবাসীর অসচেতনতার কারণে অনেক জলাশয়ে পানিপ্রবাহ রুদ্ধ হয়ে পড়ে। নাগরিকরা সচেতন হলে নগর কর্তৃপক্ষের অনেক কাজই সহজ হয়ে যাবে বলে আমরা মনে করি।

back to top