alt

opinion » editorial

প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার বাইরে থাকা জনগোষ্ঠী নিয়ে ভাবতে হবে

: শনিবার, ৩০ মার্চ ২০২৪

সাধারণত ৫ থেকে ২৪ বছরকে প্রাক-প্রাথমিক থেকে শুরু করে উচ্চশিক্ষা গ্রহণের বয়স হিসেবে গণ্য করা হয়। স্বাভাবিকভাবে এই সময়কালে একজন মানুষের পড়াশোনার মধ্যে থাকার কথা। অথচ শিক্ষাকালীন এই বয়সের জনগোষ্ঠীর মধ্যে ২ কোটি ৬২ লাখের বেশি মানুষ গত বছর প্রাতিষ্ঠানিক কোনো লেখাপড়া গ্রহণ করেনি। যা এই বয়সী জনগোষ্ঠীর প্রায় ৪১ শতাংশ। এসব মানুষের অনেকেই ঝরে পড়েছে, আবার অনেকে কখনোই কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যায়নি। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) দেয়া পরিসংখ্যান থেকে জানা গেছে এই তথ্য।

মহামারীর সময়েও এত বেশিসংখ্যক মানুষ প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার বাইরে ছিল না বলে জানা যাচ্ছে। এক হিসাব অনুযায়ী, ২০১৯ সালে দেশে প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার বাইরে থাকার এই হার ছিল ২৯ দশমিক ২৭। দেশে করোনা মহামারীর সময় দেড় বছরেরও বেশি সময়ে বন্ধ ছিল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। সে সময় প্রাক-প্রাথমিক থেকে উচ্চশিক্ষা স্তর পর্যন্ত চার কোটির বেশি শিক্ষার্থী ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে ইউনিসেফের এক তথ্যে জানা যায়।

মহামারীর কারণে দেশের সব খাতই কমবেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তবে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে শিক্ষা খাত। সংক্রমণ পরিস্থিতি যখন কম ভয়াবহ ছিল, এমন কি করোনা যখন নিয়ন্ত্রণে ছিল তখনও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার ব্যাপারে কোন পদক্ষেপ নেয়া হয়নি। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ছাড়া সবই খোলা ছিল। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রটোকল অনুযায়ী পরপর দুই সপ্তাহ শনাক্তের হার ৫ শতাংশের নিচে থাকলে করোনা নিয়ন্ত্রণে আছে বলে ধরে নেয়া হয়। সেই সঙ্গা অনুযায়ী যখন দেশে করোনা নিয়ন্ত্রণে ছিল তখনও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয়া হয়নি। যার খেসারত দিতে হয়েছে শিক্ষার্থীদের।

প্রশ্ন হচ্ছে, মহামারী শেষ হওয়ার পর প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা গ্রহণের চিত্র এত নাজুক কেন। অনেকে বলছেন, মহামারী ও অন্যান্য আর্থসামাজিক কারণে অনেক পরিবারই তাদের সন্তানদের পড়ানোর সামর্থ্য আর আগ্রহ দুটোই হারিয়েছেন। শিক্ষার্থীদের বড় একটি অংশ কাজে নিয়োজিত হয়েছে। কেউবা বাল্যবিয়ের শিকার হয়েছে। ঝরে পড়া শিক্ষার্থীদের ফিরিয়ে আনতে সরকার কিছু পদক্ষেপ নিয়েছে তবে তা যথেষ্ঠ প্রমাণিত হয়নি।

ঝরে পড়া শিক্ষার্থীদের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ফেরানোর জন্য সরকারকে শিক্ষা খাতে আরও বিনিয়োগ করতে হবে। এ-সংক্রান্ত প্রকল্প বাস্তবায়নে সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করতে হবে। পাশাপাশি অনিয়ম-দুর্নীতির লাগাম টানাও জরুরি।

তাপমাত্রা বাড়ার মূল্য

গাছে পেরক ঠোকার নিষ্ঠুরতার অবসান হোক

আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি : দায় চাপানোর সংস্কৃতি নয়, ব্যবস্থা নিন

কবর থেকে লাশ তুলে আগুন: কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করুন

বর্জ্য ব্যবস্থাপনার অচলাবস্থা ও নাগরিক দুর্ভোগ

ঈদে মিলাদুন্নবী : মহানবীর আদর্শ অনুসরণ করা জরুরি

নীলফামারীতে শ্রমিকের প্রাণহানি: এই মৃত্যু কি এড়ানো যেত না

বিশ্ববিদ্যালয়ে নির্বাচন: নারী সহপাঠীকে ‘গণধর্ষণের’ হুমকি, নারী প্রার্থীদের সাইবার হয়রানি

নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণার পর কেন এই নৈরাজ্য

খাদ্যবান্ধব কর্মসূচিতে দুর্নীতির অভিযোগ আমলে নিন

নারী ও শিশু নির্যাতনের উদ্বেগজনক চিত্র

ভবদহের জলাবদ্ধতা: শিক্ষা ও জীবনযাত্রার উপর অব্যাহত সংকট

সৈয়দপুরে মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রের দুর্দশা

জমি রেজিস্ট্রিতে ঘুষের বোঝা: সাধারণ মানুষের ভোগান্তি

মবের নামে মানুষ হত্যা : সমাজ কোথায় যাচ্ছে?

‘জুলাই জাতীয় সনদ’ : কেন প্রশ্ন তোলা যাবে না

সুন্দরবন রক্ষায় টেকসই ব্যবস্থা নিন

মামলা, গ্রেপ্তার, জামিন : প্রশ্নবিদ্ধ আইনের শাসন

শিক্ষার্থীদের স্বেচ্ছাশ্রমে সাঁকো নির্মাণ : ঐক্য ও উদ্যমের উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত

বন্যা ও ভাঙন : দ্রুত ব্যবস্থা নিন

অ্যান্টিভেনমের সরবরাহ নিশ্চিত করুন

ভূমি অফিসে ঘুষ বন্ধে দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নিন

জন্ম নিবন্ধনে জটিলতা দূর করা জরুরি

‘সাদা পাথর’ লুটের সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিন

সার বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ আমলে নিন

তরুণদের জন্য আলাদা বুথ! সিদ্ধান্ত কার? কেন?

চিকিৎসক সংকটে জীবননগরের স্বাস্থ্যসেবা ব্যাহত

গণপিটুনির সংস্কৃতি রুখতে হবে এখনই

সাংবাদিক হত্যা-নির্যাতনের ঘটনার বিচার করে দৃষ্টান্ত স্থাপন করুন

ইউনিয়ন পরিষদে নাগরিক সেবায় ভোগান্তির অবসান ঘটান

সড়কে মৃত্যু : দুর্ঘটনা নাকি অব্যবস্থাপনার ফল?

অন্তর্বর্তী সরকারের এক বছর

নির্বাচনের ঘোষণায় স্বস্তি, তবে আছে অনেক চ্যালেঞ্জ

‘জুলাই ঘোষণাপত্র’: কিছু জিজ্ঞাসা

বয়স্ক ভাতা পেতে আর কত অপেক্ষা

ডিএনডি এলাকায় জলাবদ্ধতা নিরসনে কার্যকর ব্যবস্থা নিন

tab

opinion » editorial

প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার বাইরে থাকা জনগোষ্ঠী নিয়ে ভাবতে হবে

শনিবার, ৩০ মার্চ ২০২৪

সাধারণত ৫ থেকে ২৪ বছরকে প্রাক-প্রাথমিক থেকে শুরু করে উচ্চশিক্ষা গ্রহণের বয়স হিসেবে গণ্য করা হয়। স্বাভাবিকভাবে এই সময়কালে একজন মানুষের পড়াশোনার মধ্যে থাকার কথা। অথচ শিক্ষাকালীন এই বয়সের জনগোষ্ঠীর মধ্যে ২ কোটি ৬২ লাখের বেশি মানুষ গত বছর প্রাতিষ্ঠানিক কোনো লেখাপড়া গ্রহণ করেনি। যা এই বয়সী জনগোষ্ঠীর প্রায় ৪১ শতাংশ। এসব মানুষের অনেকেই ঝরে পড়েছে, আবার অনেকে কখনোই কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যায়নি। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) দেয়া পরিসংখ্যান থেকে জানা গেছে এই তথ্য।

মহামারীর সময়েও এত বেশিসংখ্যক মানুষ প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার বাইরে ছিল না বলে জানা যাচ্ছে। এক হিসাব অনুযায়ী, ২০১৯ সালে দেশে প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার বাইরে থাকার এই হার ছিল ২৯ দশমিক ২৭। দেশে করোনা মহামারীর সময় দেড় বছরেরও বেশি সময়ে বন্ধ ছিল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। সে সময় প্রাক-প্রাথমিক থেকে উচ্চশিক্ষা স্তর পর্যন্ত চার কোটির বেশি শিক্ষার্থী ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে ইউনিসেফের এক তথ্যে জানা যায়।

মহামারীর কারণে দেশের সব খাতই কমবেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তবে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে শিক্ষা খাত। সংক্রমণ পরিস্থিতি যখন কম ভয়াবহ ছিল, এমন কি করোনা যখন নিয়ন্ত্রণে ছিল তখনও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার ব্যাপারে কোন পদক্ষেপ নেয়া হয়নি। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ছাড়া সবই খোলা ছিল। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রটোকল অনুযায়ী পরপর দুই সপ্তাহ শনাক্তের হার ৫ শতাংশের নিচে থাকলে করোনা নিয়ন্ত্রণে আছে বলে ধরে নেয়া হয়। সেই সঙ্গা অনুযায়ী যখন দেশে করোনা নিয়ন্ত্রণে ছিল তখনও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয়া হয়নি। যার খেসারত দিতে হয়েছে শিক্ষার্থীদের।

প্রশ্ন হচ্ছে, মহামারী শেষ হওয়ার পর প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা গ্রহণের চিত্র এত নাজুক কেন। অনেকে বলছেন, মহামারী ও অন্যান্য আর্থসামাজিক কারণে অনেক পরিবারই তাদের সন্তানদের পড়ানোর সামর্থ্য আর আগ্রহ দুটোই হারিয়েছেন। শিক্ষার্থীদের বড় একটি অংশ কাজে নিয়োজিত হয়েছে। কেউবা বাল্যবিয়ের শিকার হয়েছে। ঝরে পড়া শিক্ষার্থীদের ফিরিয়ে আনতে সরকার কিছু পদক্ষেপ নিয়েছে তবে তা যথেষ্ঠ প্রমাণিত হয়নি।

ঝরে পড়া শিক্ষার্থীদের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ফেরানোর জন্য সরকারকে শিক্ষা খাতে আরও বিনিয়োগ করতে হবে। এ-সংক্রান্ত প্রকল্প বাস্তবায়নে সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করতে হবে। পাশাপাশি অনিয়ম-দুর্নীতির লাগাম টানাও জরুরি।

back to top