খাবার অপচয় হচ্ছে বিশ্বজুড়েই। কিন্তু যখন জানা যায় যে, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য এবং রাশিয়ার চেয়ে বেশি অপচয় হয় বাংলাদেশে তখন বিস্মিত হতে হয়, উদ্বেগও দেখা দেয়।
জাতিসংঘের ‘খাবার অপচয় সূচক প্রতিবেদন ২০২৪’ থেকে জানা যাচ্ছে, বাংলাদেশে একজন ব্যক্তি গড়ে বছরে ৮২ কেজি খাবার অপচয় করেন। প্রতিবেদন অনুযায়ী, যুক্তরাষ্ট্রে একজন ব্যক্তি গড়ে বছরে অপচয় করেন ৭৩ কেজি খাবার এবং যুক্তরাজ্যে অপচয়ের পরিমাণ হচ্ছে গড়ে ৭৬ কেজি। রাশিয়ায় অপচয় হয় গড়ে ৩৩ কেজি।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বিশ্বে বছরের প্রতিদিন এক বেলায় যে পরিমাণ খাবার নষ্ট হয়, সেটা দিয়ে অনাহারে থাকা প্রায় ৮০ কোটি মানুষের সবাইকে খাওয়ানো সম্ভব। বাংলাদেশে এমন অনেক মানুষ আছেন যাদেরকে দুবেলা দুমুঠো খাবার জোগাড় করার জন্য কঠোর পরিশ্রম করতে হয়। নিত্যপণ্যের ঊর্ধ্বমুখী দামে তাদের অন্ন সংস্থানের কাজ কঠিন থেকে কঠিনতর হয়েছে।
খাবার অপচয়ের ক্ষতিকর প্রভাব কেবল এটা নয় যে- অনাহারি মানুষরা বঞ্চিত হচ্ছেন। এর প্রভাব অত্যন্ত গভীর। খাদ্য উৎপাদনে পানি, জ্বালানি, সার, কীটনাশক, শ্রমশক্তি অনেক কিছু লাগে। খাবারের অপচয় মানে খাদ্য উৎপাদনের জন্য প্রয়োজনীয় সব উপকরণের অপচয়। যেটা পরিবেশ ও আর্থিক ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়ায়।
প্রশ্ন হচ্ছে, অনেক উন্নত দেশের তুলনায় বাংলাদেশে খাবার অপচয় বেশি হওয়ার কারণ কী আর এ থেকে মুক্তির পথইবা কী।
জাতিসংঘের প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, বাসাবাড়িতেই খাবার অপচয় হয় বেশি। এটাও বিস্ময়কর তথ্য যে রোস্তোরাঁর চেয়ে মানুষের নিজের ঘরেই বেশি খাবার নষ্ট হচ্ছে। সাধারণভাবে ধারণা করা যায় যে, নিজ ঘরে নাগরিকরা খাবার সংরক্ষণে বেশি যতœবান হবেন। কিন্তু গবেষণা দেখাচ্ছে উল্টো চিত্র।
গবেষণা বলছে, দরিদ্র পরিবারে তুলনায় সচ্ছল বা উচ্চবিত্ত পরিবারে খাবার বেশি অপচয় হয়। প্রশ্ন হচ্ছে, সচ্ছল পরিবারে খাবার সংরক্ষণ করবার মতো যথেষ্ট প্রযুক্তি থাকার কথা। আর দেশে উচ্চবিত্ত বা সচ্ছল পরিবারের সংখ্যা কত? কেবল কি এই কারণেই বাংলাদেশের খাবার অপচয়ের পরিমাণ যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের চেয়ে বেশি? এর উত্তর হয়তো গবেষকদের কাছে আছে। বা না থাকলে এ বিষয়ে বিশদ গবেষণা দেশের অভ্যন্তরে হবে বলে আমরা আশা করি।
নীতিনির্ধারকদেরকে খাবারের অপচয় রোধের পথ খুঁজতে হবে। সংশ্লিষ্ট গবেষকদের নিয়ে একটি কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন করা যেতে পারে। মানুষকে খাবার সদ্ব্যবহার ও সংরক্ষণে উদ্বুদ্ধ করতে হবে।
রোববার, ৩১ মার্চ ২০২৪
খাবার অপচয় হচ্ছে বিশ্বজুড়েই। কিন্তু যখন জানা যায় যে, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য এবং রাশিয়ার চেয়ে বেশি অপচয় হয় বাংলাদেশে তখন বিস্মিত হতে হয়, উদ্বেগও দেখা দেয়।
জাতিসংঘের ‘খাবার অপচয় সূচক প্রতিবেদন ২০২৪’ থেকে জানা যাচ্ছে, বাংলাদেশে একজন ব্যক্তি গড়ে বছরে ৮২ কেজি খাবার অপচয় করেন। প্রতিবেদন অনুযায়ী, যুক্তরাষ্ট্রে একজন ব্যক্তি গড়ে বছরে অপচয় করেন ৭৩ কেজি খাবার এবং যুক্তরাজ্যে অপচয়ের পরিমাণ হচ্ছে গড়ে ৭৬ কেজি। রাশিয়ায় অপচয় হয় গড়ে ৩৩ কেজি।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বিশ্বে বছরের প্রতিদিন এক বেলায় যে পরিমাণ খাবার নষ্ট হয়, সেটা দিয়ে অনাহারে থাকা প্রায় ৮০ কোটি মানুষের সবাইকে খাওয়ানো সম্ভব। বাংলাদেশে এমন অনেক মানুষ আছেন যাদেরকে দুবেলা দুমুঠো খাবার জোগাড় করার জন্য কঠোর পরিশ্রম করতে হয়। নিত্যপণ্যের ঊর্ধ্বমুখী দামে তাদের অন্ন সংস্থানের কাজ কঠিন থেকে কঠিনতর হয়েছে।
খাবার অপচয়ের ক্ষতিকর প্রভাব কেবল এটা নয় যে- অনাহারি মানুষরা বঞ্চিত হচ্ছেন। এর প্রভাব অত্যন্ত গভীর। খাদ্য উৎপাদনে পানি, জ্বালানি, সার, কীটনাশক, শ্রমশক্তি অনেক কিছু লাগে। খাবারের অপচয় মানে খাদ্য উৎপাদনের জন্য প্রয়োজনীয় সব উপকরণের অপচয়। যেটা পরিবেশ ও আর্থিক ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়ায়।
প্রশ্ন হচ্ছে, অনেক উন্নত দেশের তুলনায় বাংলাদেশে খাবার অপচয় বেশি হওয়ার কারণ কী আর এ থেকে মুক্তির পথইবা কী।
জাতিসংঘের প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, বাসাবাড়িতেই খাবার অপচয় হয় বেশি। এটাও বিস্ময়কর তথ্য যে রোস্তোরাঁর চেয়ে মানুষের নিজের ঘরেই বেশি খাবার নষ্ট হচ্ছে। সাধারণভাবে ধারণা করা যায় যে, নিজ ঘরে নাগরিকরা খাবার সংরক্ষণে বেশি যতœবান হবেন। কিন্তু গবেষণা দেখাচ্ছে উল্টো চিত্র।
গবেষণা বলছে, দরিদ্র পরিবারে তুলনায় সচ্ছল বা উচ্চবিত্ত পরিবারে খাবার বেশি অপচয় হয়। প্রশ্ন হচ্ছে, সচ্ছল পরিবারে খাবার সংরক্ষণ করবার মতো যথেষ্ট প্রযুক্তি থাকার কথা। আর দেশে উচ্চবিত্ত বা সচ্ছল পরিবারের সংখ্যা কত? কেবল কি এই কারণেই বাংলাদেশের খাবার অপচয়ের পরিমাণ যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের চেয়ে বেশি? এর উত্তর হয়তো গবেষকদের কাছে আছে। বা না থাকলে এ বিষয়ে বিশদ গবেষণা দেশের অভ্যন্তরে হবে বলে আমরা আশা করি।
নীতিনির্ধারকদেরকে খাবারের অপচয় রোধের পথ খুঁজতে হবে। সংশ্লিষ্ট গবেষকদের নিয়ে একটি কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন করা যেতে পারে। মানুষকে খাবার সদ্ব্যবহার ও সংরক্ষণে উদ্বুদ্ধ করতে হবে।