alt

opinion » editorial

পাহাড়ে ব্যাংক হামলা কেন

: শনিবার, ০৬ এপ্রিল ২০২৪

১৬ ঘণ্টার ব্যবধানে বান্দরবানের দুটি উপজেলায় তিনটি ব্যাংকে হামলার ঘটনা ঘটেছে। গত মঙ্গলবার রাতে রুমায় সোনালী ব্যাংকে শতাধিক সশস্ত্র দুর্বৃত্ত হামলা চালিয়ে অস্ত্র ও গুলি লুট করেছে। হামলাকারীরা ব্যাংকের শাখা ব্যবস্থাপককে অপহরণ করেছে। বুধবারের হামলায় থানচির দুটি ব্যাংক থেকে টাকা লুট হয়েছে। সেখানেও শতাধিক সশস্ত্র দুর্বৃত্ত হামলায় অংশ নেয়।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, পাহাড়ের সশস্ত্র গোষ্ঠী কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট (কেএনএফ) এই হামলা চালিয়েছে।

কেএনএফ বা বম পার্টির সঙ্গে শান্তি আলোচনা চলছিল। শান্তি প্রতিষ্ঠা কমিটির সঙ্গে কেএনএফের একাধিক ভার্চুয়াল বৈঠক হয়েছে। সেসব বৈঠকের পর অগ্রগতির কথাই জানা গেছে। শান্তি আলোচনার মাঝে কী এমন ঘটল যে তারা ব্যাংকে হামলা চালাল, অস্ত্র-অর্থ লুট ও অপহরণ করলÑএটা একটা প্রশ্ন। ব্যাংকে হামলা চালালে শান্তিপ্রক্রিয়া যে ভেস্তে যেতে পারে সেটা কি তারা জানত না। বাস্তবে হয়েছেও তাই। হামলার ঘটনার পর কেএনএফ-এর সঙ্গে শান্তি আলোচনা স্থগিত করেছে শান্তি কমিটি।

জনমনে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে যে, কেএনএফ কারা, তাদের জন্ম হলো কেন, তারা চায় কী। যতদূর জানা যায়, ২০২২ সালের শুরুর দিকে প্রতিষ্ঠিত এই সশস্ত্র সংগঠন রাঙ্গামাটি ও বান্দরবান জেলার কিছু অংশ নিয়ে ‘কুকি-চিন রাজ্য’ গঠন করতে চায়। তাদের সঙ্গে কোনো কোনো জঙ্গি সংগঠনের যোগাযোগ আছে বলে অভিযোগ রয়েছে। পাহাড়ে নিরাপত্তার দায়িত্বে নিয়োজিত বাহিনীর সঙ্গে তাদের সংঘাত-সংঘর্ষও হয়েছে। এতে হতাহতের ঘটনা ঘটেছে। মাত্র বছর দুয়েক আগে জন্ম নেয়া একটি সংগঠন এত শক্তি কোথায় পেল সেটা একটা প্রশ্ন। তারা শুধু তাদের শক্তিই প্রদর্শন করেনি, দুঃসাহসও দেখিয়েছে। দিন-দুপুরে ব্যাংক লুট করেছে। এবং তাদের একজনকেও এখন পর্যন্ত আটক করা যায়নি।

পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তিচুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছিল ১৯৯৭ সালের ২ ডিসেম্বর। চুক্তি স্বাক্ষরের পর ২৬ বছরেরও বেশি সময় পেরিয়েছে। এত বছর পরও এমন প্রশ্ন ওঠে যে, পাহাড়ে কি শান্তি প্রতিষ্ঠা পেয়েছে। পাহাড়ের বাসিন্দারা অভিযোগ করেন, চুক্তির মূল বিষয়গুলোই বাস্তবায়ন হয়নি। এরকম অভিযোগ যদি থেকে যায় তাহলে সেখানকার মানুষের মনে ক্ষোভ থাকতে পারে। তখন সেই ক্ষোভের সুযোগ নেয় অন্য কেউ।

পাহাড়ে অনেক দল বা গোষ্ঠী তৈরি হয়েছে, সেখানে ভ্রাতৃঘাতী সংঘাত হচ্ছে- এর কারণ কী?

পাহাড়ে শান্তি প্রতিষ্ঠা না পাওয়ার সমস্যা অত্যন্ত গভীর। এই সমস্যার টেকসই সমাধান করতে হলে পাহাড়ের বাসিন্দাদের আস্থায় নিয়ে কাজ করতে হবে। সেখানকার মানুষের সঙ্গে, তাদের সত্যিকারের প্রতিনিধিত্ব করে এমন কারও সঙ্গে বসে খোলা মনে আলোচনা করে শান্তি ফেরাতে হবে।

পাহাড়ে কেউ শান্তি প্রতিষ্ঠায় অনাগ্রহী কিনা, পাহাড়কে অশান্ত করে রাখার পেছনে কোনো স্বার্থান্বেষী গোষ্ঠীর ভূমিকা আছে কিনা সেটা খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নিতে হবে। নইলে পাহাড়ে সংঘাত-সংঘর্ষ বন্ধ করা যাবে না।

তাপমাত্রা বাড়ার মূল্য

গাছে পেরক ঠোকার নিষ্ঠুরতার অবসান হোক

আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি : দায় চাপানোর সংস্কৃতি নয়, ব্যবস্থা নিন

কবর থেকে লাশ তুলে আগুন: কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করুন

বর্জ্য ব্যবস্থাপনার অচলাবস্থা ও নাগরিক দুর্ভোগ

ঈদে মিলাদুন্নবী : মহানবীর আদর্শ অনুসরণ করা জরুরি

নীলফামারীতে শ্রমিকের প্রাণহানি: এই মৃত্যু কি এড়ানো যেত না

বিশ্ববিদ্যালয়ে নির্বাচন: নারী সহপাঠীকে ‘গণধর্ষণের’ হুমকি, নারী প্রার্থীদের সাইবার হয়রানি

নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণার পর কেন এই নৈরাজ্য

খাদ্যবান্ধব কর্মসূচিতে দুর্নীতির অভিযোগ আমলে নিন

নারী ও শিশু নির্যাতনের উদ্বেগজনক চিত্র

ভবদহের জলাবদ্ধতা: শিক্ষা ও জীবনযাত্রার উপর অব্যাহত সংকট

সৈয়দপুরে মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রের দুর্দশা

জমি রেজিস্ট্রিতে ঘুষের বোঝা: সাধারণ মানুষের ভোগান্তি

মবের নামে মানুষ হত্যা : সমাজ কোথায় যাচ্ছে?

‘জুলাই জাতীয় সনদ’ : কেন প্রশ্ন তোলা যাবে না

সুন্দরবন রক্ষায় টেকসই ব্যবস্থা নিন

মামলা, গ্রেপ্তার, জামিন : প্রশ্নবিদ্ধ আইনের শাসন

শিক্ষার্থীদের স্বেচ্ছাশ্রমে সাঁকো নির্মাণ : ঐক্য ও উদ্যমের উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত

বন্যা ও ভাঙন : দ্রুত ব্যবস্থা নিন

অ্যান্টিভেনমের সরবরাহ নিশ্চিত করুন

ভূমি অফিসে ঘুষ বন্ধে দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নিন

জন্ম নিবন্ধনে জটিলতা দূর করা জরুরি

‘সাদা পাথর’ লুটের সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিন

সার বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ আমলে নিন

তরুণদের জন্য আলাদা বুথ! সিদ্ধান্ত কার? কেন?

চিকিৎসক সংকটে জীবননগরের স্বাস্থ্যসেবা ব্যাহত

গণপিটুনির সংস্কৃতি রুখতে হবে এখনই

সাংবাদিক হত্যা-নির্যাতনের ঘটনার বিচার করে দৃষ্টান্ত স্থাপন করুন

ইউনিয়ন পরিষদে নাগরিক সেবায় ভোগান্তির অবসান ঘটান

সড়কে মৃত্যু : দুর্ঘটনা নাকি অব্যবস্থাপনার ফল?

অন্তর্বর্তী সরকারের এক বছর

নির্বাচনের ঘোষণায় স্বস্তি, তবে আছে অনেক চ্যালেঞ্জ

‘জুলাই ঘোষণাপত্র’: কিছু জিজ্ঞাসা

বয়স্ক ভাতা পেতে আর কত অপেক্ষা

ডিএনডি এলাকায় জলাবদ্ধতা নিরসনে কার্যকর ব্যবস্থা নিন

tab

opinion » editorial

পাহাড়ে ব্যাংক হামলা কেন

শনিবার, ০৬ এপ্রিল ২০২৪

১৬ ঘণ্টার ব্যবধানে বান্দরবানের দুটি উপজেলায় তিনটি ব্যাংকে হামলার ঘটনা ঘটেছে। গত মঙ্গলবার রাতে রুমায় সোনালী ব্যাংকে শতাধিক সশস্ত্র দুর্বৃত্ত হামলা চালিয়ে অস্ত্র ও গুলি লুট করেছে। হামলাকারীরা ব্যাংকের শাখা ব্যবস্থাপককে অপহরণ করেছে। বুধবারের হামলায় থানচির দুটি ব্যাংক থেকে টাকা লুট হয়েছে। সেখানেও শতাধিক সশস্ত্র দুর্বৃত্ত হামলায় অংশ নেয়।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, পাহাড়ের সশস্ত্র গোষ্ঠী কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট (কেএনএফ) এই হামলা চালিয়েছে।

কেএনএফ বা বম পার্টির সঙ্গে শান্তি আলোচনা চলছিল। শান্তি প্রতিষ্ঠা কমিটির সঙ্গে কেএনএফের একাধিক ভার্চুয়াল বৈঠক হয়েছে। সেসব বৈঠকের পর অগ্রগতির কথাই জানা গেছে। শান্তি আলোচনার মাঝে কী এমন ঘটল যে তারা ব্যাংকে হামলা চালাল, অস্ত্র-অর্থ লুট ও অপহরণ করলÑএটা একটা প্রশ্ন। ব্যাংকে হামলা চালালে শান্তিপ্রক্রিয়া যে ভেস্তে যেতে পারে সেটা কি তারা জানত না। বাস্তবে হয়েছেও তাই। হামলার ঘটনার পর কেএনএফ-এর সঙ্গে শান্তি আলোচনা স্থগিত করেছে শান্তি কমিটি।

জনমনে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে যে, কেএনএফ কারা, তাদের জন্ম হলো কেন, তারা চায় কী। যতদূর জানা যায়, ২০২২ সালের শুরুর দিকে প্রতিষ্ঠিত এই সশস্ত্র সংগঠন রাঙ্গামাটি ও বান্দরবান জেলার কিছু অংশ নিয়ে ‘কুকি-চিন রাজ্য’ গঠন করতে চায়। তাদের সঙ্গে কোনো কোনো জঙ্গি সংগঠনের যোগাযোগ আছে বলে অভিযোগ রয়েছে। পাহাড়ে নিরাপত্তার দায়িত্বে নিয়োজিত বাহিনীর সঙ্গে তাদের সংঘাত-সংঘর্ষও হয়েছে। এতে হতাহতের ঘটনা ঘটেছে। মাত্র বছর দুয়েক আগে জন্ম নেয়া একটি সংগঠন এত শক্তি কোথায় পেল সেটা একটা প্রশ্ন। তারা শুধু তাদের শক্তিই প্রদর্শন করেনি, দুঃসাহসও দেখিয়েছে। দিন-দুপুরে ব্যাংক লুট করেছে। এবং তাদের একজনকেও এখন পর্যন্ত আটক করা যায়নি।

পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তিচুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছিল ১৯৯৭ সালের ২ ডিসেম্বর। চুক্তি স্বাক্ষরের পর ২৬ বছরেরও বেশি সময় পেরিয়েছে। এত বছর পরও এমন প্রশ্ন ওঠে যে, পাহাড়ে কি শান্তি প্রতিষ্ঠা পেয়েছে। পাহাড়ের বাসিন্দারা অভিযোগ করেন, চুক্তির মূল বিষয়গুলোই বাস্তবায়ন হয়নি। এরকম অভিযোগ যদি থেকে যায় তাহলে সেখানকার মানুষের মনে ক্ষোভ থাকতে পারে। তখন সেই ক্ষোভের সুযোগ নেয় অন্য কেউ।

পাহাড়ে অনেক দল বা গোষ্ঠী তৈরি হয়েছে, সেখানে ভ্রাতৃঘাতী সংঘাত হচ্ছে- এর কারণ কী?

পাহাড়ে শান্তি প্রতিষ্ঠা না পাওয়ার সমস্যা অত্যন্ত গভীর। এই সমস্যার টেকসই সমাধান করতে হলে পাহাড়ের বাসিন্দাদের আস্থায় নিয়ে কাজ করতে হবে। সেখানকার মানুষের সঙ্গে, তাদের সত্যিকারের প্রতিনিধিত্ব করে এমন কারও সঙ্গে বসে খোলা মনে আলোচনা করে শান্তি ফেরাতে হবে।

পাহাড়ে কেউ শান্তি প্রতিষ্ঠায় অনাগ্রহী কিনা, পাহাড়কে অশান্ত করে রাখার পেছনে কোনো স্বার্থান্বেষী গোষ্ঠীর ভূমিকা আছে কিনা সেটা খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নিতে হবে। নইলে পাহাড়ে সংঘাত-সংঘর্ষ বন্ধ করা যাবে না।

back to top