alt

মতামত » সম্পাদকীয়

মীরসরাইয়ের বন রক্ষায় সমন্বিত উদ্যোগ নেয়া জরুরি

: সোমবার, ০৮ এপ্রিল ২০২৪

জলবায়ুর বিরূপ প্রভাব ও অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে তোলার কারণে চট্টগ্রামের মীরসরাইয়ে প্রায় ৭০ শতাংশ উপকূলীয় বনাঞ্চল নিশ্চিহ্ন হয়ে গেছে। ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে বিভিন্ন প্রজাতির মূল্যবান গাছ। ফলদ ও ওষুধি গাছও এখন শূন্যের কোটায়। কমে গেছে লবণাক্ততা সহিষ্ণু গাছের সংখ্যা।

বন কাটাও থেমে নেই। দুর্বৃত্তরা প্রকাশ্যে উপকূলীয় বনাঞ্চলের গাছ কেটে নিয়ে যাচ্ছে। এক্ষেত্রে বনবিভাগ কী ভূমিকা পালন করছে সেই প্রশ্ন উঠেছে। দুর্বৃত্তরা বনের গাছ কেটে নিয়ে যাচ্ছে বলে যে অভিযোগ উঠেছে, সেটা আমলে নিতে হবে। অভিযোগের সত্যতা মিললে দুর্বৃত্তদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে বন কর্তৃপক্ষকে।

বনভূমি কমে যাওয়ায় পাখিদের অভয়ারণ্য কমে এসেছে। কমে গেছে বন্যপ্রাণীদের চারণ ও বাসভূমি। খাদ্য ও পানির সংকটের হুমকির মুখে পড়েছে জীববৈচিত্র্য। আগে এখানকার পাহাড়ি ও উপকূলীয় বনে বিভিন্ন প্রজাতির বন মোরগ, হরিণ, বাঘ, হনুমান, শুকর, মহিষ, ছাগল, সাপ, গুঁইসাপ, কচ্ছপ, বনবিড়াল ও বন্য হাতির দেখা যেত। কিন্তু এখন সচরাচর এসব প্রাণী আর দেখা যায় না।

প্রাকৃতিক প্রতিকূলতা মোকাবিলায় বনভূমির পরিমাণ বাড়ানোর জন্য প্রতি বছর বর্ষা মৌসুমে গাছের চারা লাগানোর কথা থাকলেও তা করা হয়নি। জলবায়ুর বিরূপ প্রভাবের কারণে বন বিভাগ সেটা পারছে না বলে জানিয়েছে মীরসরাই উপকূলীয় বন কর্তৃপক্ষ। তারা আরও বলেছে তাদের জনবল সংকট রয়েছে। এক্ষেত্রে বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষ ‘বেজা’র ভূমিকা বড়। কিন্তু তারা কোনো পদক্ষেপ নিচ্ছে না। তাদের শরণাপন্ন হয়েও সহযোগিতা পাওয়া যাচ্ছে না বলে অভিযোগ উঠেছে।

কৃত্রিম বনভূমি গড়ে তোলার কথা থাকলেও সেটা চোখে পড়ার মতো নয়। ফলে ভবিষ্যতে এ অঞ্চলে পরিবেশ বিপর্যয় দেখা দিতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা। উপকূলীয় বন কর্তৃপক্ষ বলছে নতুন কৃত্রিম বনায়ন সৃষ্টিতে ‘বেজা’র ভূমিকা বেশি। আবার ‘বেজা’ও আগ্রহ দেখাচ্ছে না। আমরা বলতে চাই, এভাবে চলতে পারে না। উন্নয়নের দরকার আছে। উন্নয়ন করতে হবে পরিবেশকে রক্ষা করে। পরিবেশ টিকে থাকলে উন্নয়নও টেকসই হবে। এই বিষয়টি মাথায় রেখে সংশ্লিষ্টদের সমন্বয় করে কাজ করতে হবে।

দুমকিতে প্রাণিসম্পদ সেবার সংকট: দ্রুত পদক্ষেপ জরুরি

চুনারুঘাটে প্রশাসনিক শূন্যতা: ব্যবস্থা নিন

এক খ্রিস্টান পরিবারের জমি দখলের চেষ্টা: ব্যবস্থা নিন

অবৈধ ইটভাটা: প্রশাসন কী করছে

পথ হারাচ্ছে রেলপথে পণ্যপরিবহন

মেডিকেল টেকনোলজিস্ট ও ফার্মাসিস্টদের আন্দোলন: আলোচনায় সমাধান খুঁজতে হবে

জয়ন্তীপুর ঘাটে সেতু নির্মাণে বিলম্ব কাম্য নয়

শিক্ষকদের আন্দোলন, সরকারের কঠোরতা এবং শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যৎ

রায়গঞ্জের ক্ষতিগ্রস্ত বেইলি ব্রিজ দ্রুত সংস্কার করুন

সওজের জমি দখল : ব্যবস্থা নিন

পার্বত্য চুক্তি: পাহাড়ে শান্তি কি ফিরল?

রাজধানী কি অগ্নিকাণ্ডের ঝুঁকি মোকাবিলায় প্রস্তুত?

সেতু নির্মাণের কাজ কবে শেষ হবে

খুলনায় আদালতের সামনে হত্যাকাণ্ড

মীরসরাইয়ে বন রক্ষায় ব্যবস্থা নিন

পুরান ঢাকায় রাসায়নিক ঝুঁকি

মহেশপুরে অনুমোদনহীন করাত কল

বিদ্যালয়ের মাঠ দখলমুক্ত করুন

থমকে আছে সেতু নির্মাণের কাজ

হাকালুকি হাওরে মাছ লুট: প্রশাসন কী করছে

রাঙ্গাবালীর সংরক্ষিত বন ধ্বংসের সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

টিসিবির পণ্য নিয়ে অনিয়ম-দুর্নীতি কাম্য নয়

কক্সবাজারে পাহাড়ের মাটি কাটা বন্ধ করুন

দারিদ্র্যের নতুন ঢেউ

তাজরীনের ১৩ বছরের ক্ষত ভুক্তভোগীর ন্যায়বিচার কোথায়?

অ্যান্টিবায়োটিকের অপব্যবহার বন্ধে কার্যকর ব্যবস্থা নিন

চরাঞ্চলের বিদ্যালয়ে নিয়মিত পাঠদান নিশ্চিত করুন

অসহিষ্ণুতার সংস্কৃতি থামাতে হবে

কাঠ পাচার বন্ধে ব্যবস্থা নিন

ফিরে এল তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা

বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধে জিও ব্যাগ ব্যবহারে অনিয়মের অভিযোগ

দুই দফা ভূমিকম্প: এখনই প্রস্তুতির সময়

অবৈধ ইটভাটার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া জরুরি

গভীর রাতে সাংবাদিককে তুলে নেয়ার প্রকৃত কারণ উদঘাটন করতে হবে

সাময়িকী কবিতা

ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্র ভাড়া দেওয়ার অভিযোগ

tab

মতামত » সম্পাদকীয়

মীরসরাইয়ের বন রক্ষায় সমন্বিত উদ্যোগ নেয়া জরুরি

সোমবার, ০৮ এপ্রিল ২০২৪

জলবায়ুর বিরূপ প্রভাব ও অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে তোলার কারণে চট্টগ্রামের মীরসরাইয়ে প্রায় ৭০ শতাংশ উপকূলীয় বনাঞ্চল নিশ্চিহ্ন হয়ে গেছে। ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে বিভিন্ন প্রজাতির মূল্যবান গাছ। ফলদ ও ওষুধি গাছও এখন শূন্যের কোটায়। কমে গেছে লবণাক্ততা সহিষ্ণু গাছের সংখ্যা।

বন কাটাও থেমে নেই। দুর্বৃত্তরা প্রকাশ্যে উপকূলীয় বনাঞ্চলের গাছ কেটে নিয়ে যাচ্ছে। এক্ষেত্রে বনবিভাগ কী ভূমিকা পালন করছে সেই প্রশ্ন উঠেছে। দুর্বৃত্তরা বনের গাছ কেটে নিয়ে যাচ্ছে বলে যে অভিযোগ উঠেছে, সেটা আমলে নিতে হবে। অভিযোগের সত্যতা মিললে দুর্বৃত্তদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে বন কর্তৃপক্ষকে।

বনভূমি কমে যাওয়ায় পাখিদের অভয়ারণ্য কমে এসেছে। কমে গেছে বন্যপ্রাণীদের চারণ ও বাসভূমি। খাদ্য ও পানির সংকটের হুমকির মুখে পড়েছে জীববৈচিত্র্য। আগে এখানকার পাহাড়ি ও উপকূলীয় বনে বিভিন্ন প্রজাতির বন মোরগ, হরিণ, বাঘ, হনুমান, শুকর, মহিষ, ছাগল, সাপ, গুঁইসাপ, কচ্ছপ, বনবিড়াল ও বন্য হাতির দেখা যেত। কিন্তু এখন সচরাচর এসব প্রাণী আর দেখা যায় না।

প্রাকৃতিক প্রতিকূলতা মোকাবিলায় বনভূমির পরিমাণ বাড়ানোর জন্য প্রতি বছর বর্ষা মৌসুমে গাছের চারা লাগানোর কথা থাকলেও তা করা হয়নি। জলবায়ুর বিরূপ প্রভাবের কারণে বন বিভাগ সেটা পারছে না বলে জানিয়েছে মীরসরাই উপকূলীয় বন কর্তৃপক্ষ। তারা আরও বলেছে তাদের জনবল সংকট রয়েছে। এক্ষেত্রে বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষ ‘বেজা’র ভূমিকা বড়। কিন্তু তারা কোনো পদক্ষেপ নিচ্ছে না। তাদের শরণাপন্ন হয়েও সহযোগিতা পাওয়া যাচ্ছে না বলে অভিযোগ উঠেছে।

কৃত্রিম বনভূমি গড়ে তোলার কথা থাকলেও সেটা চোখে পড়ার মতো নয়। ফলে ভবিষ্যতে এ অঞ্চলে পরিবেশ বিপর্যয় দেখা দিতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা। উপকূলীয় বন কর্তৃপক্ষ বলছে নতুন কৃত্রিম বনায়ন সৃষ্টিতে ‘বেজা’র ভূমিকা বেশি। আবার ‘বেজা’ও আগ্রহ দেখাচ্ছে না। আমরা বলতে চাই, এভাবে চলতে পারে না। উন্নয়নের দরকার আছে। উন্নয়ন করতে হবে পরিবেশকে রক্ষা করে। পরিবেশ টিকে থাকলে উন্নয়নও টেকসই হবে। এই বিষয়টি মাথায় রেখে সংশ্লিষ্টদের সমন্বয় করে কাজ করতে হবে।

back to top