alt

মতামত » সম্পাদকীয়

ঈদের আনন্দ স্পর্শ করুক সবার জীবন

: সোমবার, ০৮ এপ্রিল ২০২৪

ঈদ মানে উৎসব। দীর্ঘ এক মাস সিয়াম সাধনার পর এসেছে খুশির ঈদ। রমজান মাসে মুসলিম সম্প্রদায়ের ধনী-দরিদ্রনির্বিশেষে সবাই রোজা পালনের মধ্য দিয়ে অন্যের দুঃখ-বেদনার অংশীদার হওয়ার দীক্ষা নেয়। তারপর শাওয়ালের ক্ষীণ দ্বিতীয়ার চাঁদ দেখে শামিল হয় উৎসব-আনন্দে। ঈদুল ফিতর সেই উৎসবের দিন।

প্রতি বছর এভাবে এক মাস রোজা পালনের পর ঈদের আনন্দ সবাই মিলে ভাগ করে নেয়ার শিক্ষাই দেয় ইসলাম। সমাজে ধনী-দরিদ্রের ব্যবধান যেন সীমা ছাড়িয়ে না যায়, সমাজ জীবনে আর্থিক ভারসাম্য বজায় থাকে সেই লক্ষ্যেই জাকাত প্রথার প্রচলন হয়েছে। আর ঈদের আনন্দ সবার সঙ্গে ভাগ করে একত্রে উপভোগ করার জন্য ফিতরা দেয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে।

দরিদ্র জনগোষ্ঠীর প্রতি ধনীদের যে দায়িত্ব ও কর্তব্য তা তারা পালন করেন কিনা সেটা একটা প্রশ্ন। ইসলামে যে সাম্য ও ভ্রাতৃত্ববোধের কথা উচ্চারিত হয়েছে উৎকট ধন বৈষম্য বহাল রেখে তা কখনই বাস্তবায়ন সম্ভব নয়। ধনীদের প্রতি গরিবের যে হক আছে তা শুধু জাকাত-ফিতরা দিয়ে পূরণ করা যায় না। এজন্য প্রয়োজন দরিদ্রবঞ্চিত জনগোষ্ঠীর প্রতি সত্যিকার সহমর্মিতা। কেউ কেউ আরাম-আয়েশে থাকবে, আর কারও কারও ঘরে ক্ষুধাতুর শিশুর কান্নাÑ ইসলামের বিধান তা নয়। সমাজের যারা সচ্ছল ও বিত্তবান মানুষ তারা এ সত্যটি উপলব্ধি করবেন আশা করি।

দেশে অনেক সমস্যা আছে, বৈষম্য আছে তবু জীবনের দিগন্তে খুশির ঈদের চাঁদের আবির্ভাবকে লক্ষ কোটি প্রাণ স্বাগত জানাবে। আজ ঈদের এ আনন্দমুখর দিনটি সবার জীবন স্পর্শ করুক দুঃখের গ্লানি ঘুচিয়ে। সমাজ জীবনের কলুষ অন্যায় হিংসা-দ্বেষমুক্ত হয়ে মানুষ ঈদের আনন্দে একে অন্যের সঙ্গে মিলিত হোক। ঈদ মোবারক বলে পরস্পরকে আলিঙ্গন করুক। এভাবেই ঈদের আনন্দ আসুক সবার জীবনে। অবারিত হোক মানুষে মানুষে সম্প্রীতির ধারা।

ঘরমুখো মানুষ প্রতি বছরই দুর্ভোগের মধ্য দিয়ে ঈদযাত্রা করেন। এবার যেন মানুষের ভোগান্তি না হয় সেজন্য সংশ্লিষ্টদের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে। সড়কে আনফিট গাড়ি যাতে চলাচল করতে না পারে সেটি কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। ঈদযাত্রায় প্রায়ই সড়কে গাড়ি বিকল হতে দেখা যায়, যা যানজট তৈরির বড় কারণ।

বাসস্টেশন, লঞ্চঘাট ও ফেরিঘাটের সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করতে হবে। সড়কে চাঁদাবাজি বন্ধ করতে হবে। তাছাড়া যেখানে-সেখানে গাড়ি পার্কিং, অসম প্রতিযোগিতা, ওভারটেকিং, অতিরিক্ত যাত্রীবহন, যত্রতত্র যাত্রী ওঠানো-নামানো বন্ধ করতে হবে। তাহলে ঈদযাত্রায় কিছুটা স্বস্তি আসতে পারে, মানুষের ভোগান্তি লাঘব হতে পারে।

শ্রীপুরের মানুষের দুর্ভোগ লাঘবে ব্যবস্থা নিন

ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে চলছে ক্লাস, পদক্ষেপ জরুরি

শিশু ধর্ষণচেষ্টা: সালিসের নামে প্রহসন কাম্য নয়

বিশুদ্ধ পানির প্রকল্পে দুর্নীতির অভিযোগ আমলে নিন

সুপেয় পানির জন্য মোরেলগঞ্জের মানুষের অপেক্ষার অবসান হবে কবে

কেন একজন নিরপরাধ মানুষকে কিসের আগুনে পুড়ে মরতে হলো

জেলেদের মাঝে বকনা বাছুর বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ সুরাহা করুন

রাজধানীতে প্রকাশ্যে হত্যা: আইনশৃঙ্খলা নিয়ে উদ্বেগ

নলবিলা খাল খনন করুন

অগ্নি-নিরাপত্তায় উদাসীনতা কাম্য নয়

কারেন্ট পোকা দমনে কৃষককে সহায়তা দিন

আলুর বাজারে নীরব বিপর্যয়

বিদ্যালয়ের মাঠ দখলমুক্ত করুন

টিলায় পাথর লুট : কার্যকর ব্যবস্থা নিন

ঝুঁকিপূর্ণ স্কুল ভবন সংস্কারে দ্রুত পদক্ষেপ দরকার

ডেঙ্গু মোকাবিলায় দায়িত্বহীনতা আর নয়

সার সংকট সমাধানে দ্রুত পদক্ষেপ দরকার

নির্বাচনী সহিংসতা বন্ধে কঠোর পদক্ষেপ প্রয়োজন

প্রান্তিক মানুষের স্বাস্থ্যসেবা যেন অবহেলার শিকার না হয়

প্রাথমিকে সংগীত শিক্ষক নিয়োগ বাতিল : একটি ভুল বার্তা

ঘিওর ভেটেরিনারি হাসপাতালের সংকট দূর করুন

ভূমি অফিসে সেবাপ্রার্থীদের দুর্ভোগ

একটি পাকা সেতুর জন্য অপেক্ষা

নদী থেকে অবৈধ পাথর উত্তোলন বন্ধ করুন

ইছামতী নদীকে রক্ষা করুন

সন্দেহবশত পিটিয়ে হত্যা: দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নিন

জয়দেবপুর রেলক্রসিংয়ে দুর্ভোগের অবসান হোক

বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড কেন থামছে না?

সারের সংকট আর কত

সুন্দরবনে বিষ দিয়ে মাছ শিকার বন্ধ করুন

কক্সবাজার সৈকত রক্ষা করুন

ঐকমত্য কমিশনের উদ্দেশ্য কী?

সড়ক দখলমুক্ত করা জরুরি

কৃষকদের পাশে থাকুন

প্রাথমিক শিক্ষায় সংকট

অ্যানথ্রাক্স নিয়ন্ত্রণে ধীরগতি: ঝুঁকিতে মানুষ ও গবাদিপশু

tab

মতামত » সম্পাদকীয়

ঈদের আনন্দ স্পর্শ করুক সবার জীবন

সোমবার, ০৮ এপ্রিল ২০২৪

ঈদ মানে উৎসব। দীর্ঘ এক মাস সিয়াম সাধনার পর এসেছে খুশির ঈদ। রমজান মাসে মুসলিম সম্প্রদায়ের ধনী-দরিদ্রনির্বিশেষে সবাই রোজা পালনের মধ্য দিয়ে অন্যের দুঃখ-বেদনার অংশীদার হওয়ার দীক্ষা নেয়। তারপর শাওয়ালের ক্ষীণ দ্বিতীয়ার চাঁদ দেখে শামিল হয় উৎসব-আনন্দে। ঈদুল ফিতর সেই উৎসবের দিন।

প্রতি বছর এভাবে এক মাস রোজা পালনের পর ঈদের আনন্দ সবাই মিলে ভাগ করে নেয়ার শিক্ষাই দেয় ইসলাম। সমাজে ধনী-দরিদ্রের ব্যবধান যেন সীমা ছাড়িয়ে না যায়, সমাজ জীবনে আর্থিক ভারসাম্য বজায় থাকে সেই লক্ষ্যেই জাকাত প্রথার প্রচলন হয়েছে। আর ঈদের আনন্দ সবার সঙ্গে ভাগ করে একত্রে উপভোগ করার জন্য ফিতরা দেয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে।

দরিদ্র জনগোষ্ঠীর প্রতি ধনীদের যে দায়িত্ব ও কর্তব্য তা তারা পালন করেন কিনা সেটা একটা প্রশ্ন। ইসলামে যে সাম্য ও ভ্রাতৃত্ববোধের কথা উচ্চারিত হয়েছে উৎকট ধন বৈষম্য বহাল রেখে তা কখনই বাস্তবায়ন সম্ভব নয়। ধনীদের প্রতি গরিবের যে হক আছে তা শুধু জাকাত-ফিতরা দিয়ে পূরণ করা যায় না। এজন্য প্রয়োজন দরিদ্রবঞ্চিত জনগোষ্ঠীর প্রতি সত্যিকার সহমর্মিতা। কেউ কেউ আরাম-আয়েশে থাকবে, আর কারও কারও ঘরে ক্ষুধাতুর শিশুর কান্নাÑ ইসলামের বিধান তা নয়। সমাজের যারা সচ্ছল ও বিত্তবান মানুষ তারা এ সত্যটি উপলব্ধি করবেন আশা করি।

দেশে অনেক সমস্যা আছে, বৈষম্য আছে তবু জীবনের দিগন্তে খুশির ঈদের চাঁদের আবির্ভাবকে লক্ষ কোটি প্রাণ স্বাগত জানাবে। আজ ঈদের এ আনন্দমুখর দিনটি সবার জীবন স্পর্শ করুক দুঃখের গ্লানি ঘুচিয়ে। সমাজ জীবনের কলুষ অন্যায় হিংসা-দ্বেষমুক্ত হয়ে মানুষ ঈদের আনন্দে একে অন্যের সঙ্গে মিলিত হোক। ঈদ মোবারক বলে পরস্পরকে আলিঙ্গন করুক। এভাবেই ঈদের আনন্দ আসুক সবার জীবনে। অবারিত হোক মানুষে মানুষে সম্প্রীতির ধারা।

ঘরমুখো মানুষ প্রতি বছরই দুর্ভোগের মধ্য দিয়ে ঈদযাত্রা করেন। এবার যেন মানুষের ভোগান্তি না হয় সেজন্য সংশ্লিষ্টদের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে। সড়কে আনফিট গাড়ি যাতে চলাচল করতে না পারে সেটি কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। ঈদযাত্রায় প্রায়ই সড়কে গাড়ি বিকল হতে দেখা যায়, যা যানজট তৈরির বড় কারণ।

বাসস্টেশন, লঞ্চঘাট ও ফেরিঘাটের সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করতে হবে। সড়কে চাঁদাবাজি বন্ধ করতে হবে। তাছাড়া যেখানে-সেখানে গাড়ি পার্কিং, অসম প্রতিযোগিতা, ওভারটেকিং, অতিরিক্ত যাত্রীবহন, যত্রতত্র যাত্রী ওঠানো-নামানো বন্ধ করতে হবে। তাহলে ঈদযাত্রায় কিছুটা স্বস্তি আসতে পারে, মানুষের ভোগান্তি লাঘব হতে পারে।

back to top