alt

মতামত » সম্পাদকীয়

লঞ্চ চালাতে হবে নিয়ম মেনে

: সোমবার, ১৫ এপ্রিল ২০২৪

রাজধানীর সদরঘাটে গত ১১ এপ্রিল এক লঞ্চের ধাক্কায় অন্য লঞ্চের দড়ি ছিঁড়ে পাঁচ ব্যক্তি প্রাণ হারান। এ ঘটনায় পুলিশ গত ১২ এপ্রিল দুই লঞ্চের পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করে। গত রোববার জিজ্ঞাসাবাদে তারা দায় স্বীকার করেছেন বলে জানিয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। এ দুর্ঘটনার যারা প্রকৃত দায়ী তাদের বিচারের দাবি জানিয়েছেন নিহত ব্যক্তিদের স্বজনরা।

তদন্ত কমিটির প্রধান বলেছেন, ‘নিয়মের তোয়াক্কা না করে লঞ্চ ভেড়াতে গিয়ে উক্ত দুর্ঘটনা ঘটেছে।’

রাজধানীর সদরঘাটে লঞ্চ দুর্ঘটনায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে তড়িৎ ব্যবস্থা নিতে দেখা গেছে। অল্প সময়ের মধ্যে অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার করে জিজ্ঞাসাবাদও করা হয়েছে। যতদূর জানা গেছে, প্রাথমিকভাবে তারা দোষ স্বীকারও করেছেন। এতে বিচার কাজ দ্রুত সম্পন্ন হবে, সেটাই আমরা আশা করব। দুর্ঘটনায় অভিযুক্তরা যেহেতু তাদের অপরাধ স্বীকার করেছেন, সেহেতু তদন্তকাজ সহজ হয়ে যাওয়ারই কথা। এরপর বিচারকার্য প্রভাবমুক্ত হয়েই চলবে সেটা আমরা আশা করব।

অতীতেও অনেক লঞ্চ দুর্ঘটনার করুণ শিকার হয়েছে সাধারণ মানুষ। বেসরকারি সংস্থা কোস্ট বিডির গবেষণা জানাচ্ছে, গত ২০ বছরে দেশের নৌপথে ১২টি বড় দুর্ঘটনা ঘটেছে। এতে মারা গেছেন দেড় হাজারেরও বেশি মানুষ।

২০১৪ সালের ৪ অগাস্ট পদ্মা নদীতে ডুবে যায় পিনাক-৬ নামের একটি লঞ্চ। সে সময় ৪৯ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছিল আর ৫০ জন যাত্রী নিখোঁজ ছিলেন। ২০০৩ সালের ৮ জুলাই এমভি নাসরিন-১ লঞ্চটি চাঁদপুরের মেঘনায় ডুবে যায়। এতে মারা যান সাড়ে ছয়শ মানুষ।

বড় কোনো দুর্ঘটনার পর আলোচনা-সমালোচনা হয়। তখন প্রশাসনকে তৎপর হতে দেখা যায়। লঞ্চের রুটপারমিট বাতিল করা হয়। কখনো-সখনো লঞ্চের কর্মচারীদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে। কিন্তু ধরা ছোঁয়ার বাইরে থেকে গেছেন লঞ্চ মালিকরা। একসময় দেখা যায় রুটপারমিট বাতিল করা লঞ্চের নাম পাল্টিয়ে রংচং মাখিয়ে আবার চালানো শুরু হয়েছে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, শুধু বিচার করে শাস্তি দিলেই দুর্ঘটনা বন্ধ হবে না। নৌপথের চলাচল নিরাপদ করতে তিনটি বিষয় মোকাবিলায় পদক্ষেপ নিতে হবে। দুর্ঘটনার ঝুঁকি কমানো, দুর্ঘটনা মোকাবিলার প্রস্তুতি এবং দুর্ঘটনা-পরবর্তী ব্যবস্থাপনা। দুর্ঘটনার ঝুঁকি কমানোর জন্য উপযুক্ত নৌযান, দক্ষ চালক এবং অনুকূল আবহাওয়ার বিষয়গুলোকে গুরুত্ব দিতে হবে। প্রতিটি নৌযানের ডিজাইন, ধারণ ক্ষমতা, কারিগরি দিক, রুট বিষয়ে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ ‘বিআইডব্লিউটিএ’র অনুমতিপত্র বা ফিটনেস সার্টিফিকেট দেয়ার বিধান কার্যকর করতে হবে।

জয়ন্তীপুর ঘাটে সেতু নির্মাণে বিলম্ব কাম্য নয়

শিক্ষকদের আন্দোলন, সরকারের কঠোরতা এবং শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যৎ

রায়গঞ্জের ক্ষতিগ্রস্ত বেইলি ব্রিজ দ্রুত সংস্কার করুন

সওজের জমি দখল : ব্যবস্থা নিন

পার্বত্য চুক্তি: পাহাড়ে শান্তি কি ফিরল?

রাজধানী কি অগ্নিকাণ্ডের ঝুঁকি মোকাবিলায় প্রস্তুত?

সেতু নির্মাণের কাজ কবে শেষ হবে

খুলনায় আদালতের সামনে হত্যাকাণ্ড

মীরসরাইয়ে বন রক্ষায় ব্যবস্থা নিন

পুরান ঢাকায় রাসায়নিক ঝুঁকি

মহেশপুরে অনুমোদনহীন করাত কল

বিদ্যালয়ের মাঠ দখলমুক্ত করুন

থমকে আছে সেতু নির্মাণের কাজ

হাকালুকি হাওরে মাছ লুট: প্রশাসন কী করছে

রাঙ্গাবালীর সংরক্ষিত বন ধ্বংসের সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

টিসিবির পণ্য নিয়ে অনিয়ম-দুর্নীতি কাম্য নয়

কক্সবাজারে পাহাড়ের মাটি কাটা বন্ধ করুন

দারিদ্র্যের নতুন ঢেউ

তাজরীনের ১৩ বছরের ক্ষত ভুক্তভোগীর ন্যায়বিচার কোথায়?

অ্যান্টিবায়োটিকের অপব্যবহার বন্ধে কার্যকর ব্যবস্থা নিন

চরাঞ্চলের বিদ্যালয়ে নিয়মিত পাঠদান নিশ্চিত করুন

অসহিষ্ণুতার সংস্কৃতি থামাতে হবে

কাঠ পাচার বন্ধে ব্যবস্থা নিন

ফিরে এল তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা

বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধে জিও ব্যাগ ব্যবহারে অনিয়মের অভিযোগ

দুই দফা ভূমিকম্প: এখনই প্রস্তুতির সময়

অবৈধ ইটভাটার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া জরুরি

গভীর রাতে সাংবাদিককে তুলে নেয়ার প্রকৃত কারণ উদঘাটন করতে হবে

সাময়িকী কবিতা

ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্র ভাড়া দেওয়ার অভিযোগ

স্কুল ফিডিং কর্মসূচিতে অনিয়ম কাম্য নয়

ছবি

শীতজনিত রোগ প্রতিরোধে চাই সচেতনতা

গাজনার বিলে জলাবদ্ধতা দূর করতে ব্যবস্থা নিন

বাল্যবিয়ে: সংকট এখনো গভীর

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের রায়: সব প্রশ্নের কি মীমাংসা হলো?

কুষ্টিয়ায় গাছ কাটার ‘গোপন টেন্ডার’ নিয়ে বিতর্কের অবসান হোক

tab

মতামত » সম্পাদকীয়

লঞ্চ চালাতে হবে নিয়ম মেনে

সোমবার, ১৫ এপ্রিল ২০২৪

রাজধানীর সদরঘাটে গত ১১ এপ্রিল এক লঞ্চের ধাক্কায় অন্য লঞ্চের দড়ি ছিঁড়ে পাঁচ ব্যক্তি প্রাণ হারান। এ ঘটনায় পুলিশ গত ১২ এপ্রিল দুই লঞ্চের পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করে। গত রোববার জিজ্ঞাসাবাদে তারা দায় স্বীকার করেছেন বলে জানিয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। এ দুর্ঘটনার যারা প্রকৃত দায়ী তাদের বিচারের দাবি জানিয়েছেন নিহত ব্যক্তিদের স্বজনরা।

তদন্ত কমিটির প্রধান বলেছেন, ‘নিয়মের তোয়াক্কা না করে লঞ্চ ভেড়াতে গিয়ে উক্ত দুর্ঘটনা ঘটেছে।’

রাজধানীর সদরঘাটে লঞ্চ দুর্ঘটনায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে তড়িৎ ব্যবস্থা নিতে দেখা গেছে। অল্প সময়ের মধ্যে অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার করে জিজ্ঞাসাবাদও করা হয়েছে। যতদূর জানা গেছে, প্রাথমিকভাবে তারা দোষ স্বীকারও করেছেন। এতে বিচার কাজ দ্রুত সম্পন্ন হবে, সেটাই আমরা আশা করব। দুর্ঘটনায় অভিযুক্তরা যেহেতু তাদের অপরাধ স্বীকার করেছেন, সেহেতু তদন্তকাজ সহজ হয়ে যাওয়ারই কথা। এরপর বিচারকার্য প্রভাবমুক্ত হয়েই চলবে সেটা আমরা আশা করব।

অতীতেও অনেক লঞ্চ দুর্ঘটনার করুণ শিকার হয়েছে সাধারণ মানুষ। বেসরকারি সংস্থা কোস্ট বিডির গবেষণা জানাচ্ছে, গত ২০ বছরে দেশের নৌপথে ১২টি বড় দুর্ঘটনা ঘটেছে। এতে মারা গেছেন দেড় হাজারেরও বেশি মানুষ।

২০১৪ সালের ৪ অগাস্ট পদ্মা নদীতে ডুবে যায় পিনাক-৬ নামের একটি লঞ্চ। সে সময় ৪৯ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছিল আর ৫০ জন যাত্রী নিখোঁজ ছিলেন। ২০০৩ সালের ৮ জুলাই এমভি নাসরিন-১ লঞ্চটি চাঁদপুরের মেঘনায় ডুবে যায়। এতে মারা যান সাড়ে ছয়শ মানুষ।

বড় কোনো দুর্ঘটনার পর আলোচনা-সমালোচনা হয়। তখন প্রশাসনকে তৎপর হতে দেখা যায়। লঞ্চের রুটপারমিট বাতিল করা হয়। কখনো-সখনো লঞ্চের কর্মচারীদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে। কিন্তু ধরা ছোঁয়ার বাইরে থেকে গেছেন লঞ্চ মালিকরা। একসময় দেখা যায় রুটপারমিট বাতিল করা লঞ্চের নাম পাল্টিয়ে রংচং মাখিয়ে আবার চালানো শুরু হয়েছে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, শুধু বিচার করে শাস্তি দিলেই দুর্ঘটনা বন্ধ হবে না। নৌপথের চলাচল নিরাপদ করতে তিনটি বিষয় মোকাবিলায় পদক্ষেপ নিতে হবে। দুর্ঘটনার ঝুঁকি কমানো, দুর্ঘটনা মোকাবিলার প্রস্তুতি এবং দুর্ঘটনা-পরবর্তী ব্যবস্থাপনা। দুর্ঘটনার ঝুঁকি কমানোর জন্য উপযুক্ত নৌযান, দক্ষ চালক এবং অনুকূল আবহাওয়ার বিষয়গুলোকে গুরুত্ব দিতে হবে। প্রতিটি নৌযানের ডিজাইন, ধারণ ক্ষমতা, কারিগরি দিক, রুট বিষয়ে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ ‘বিআইডব্লিউটিএ’র অনুমতিপত্র বা ফিটনেস সার্টিফিকেট দেয়ার বিধান কার্যকর করতে হবে।

back to top