alt

মতামত » সম্পাদকীয়

গরমে দুর্বিষহ জনজীবন

: বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪

গরম নিয়ে দুঃসংবাদ দিয়েছে আবহাওয়া অফিস। এপ্রিলের আবহাওয়ার যে দীর্ঘমেয়াদি পূর্বাভাস জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর তাতে মাসের বাকি সময়টাতেও দেশজুড়ে তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকবে। চলমান তাপপ্রবাহে জনজীবিন দুর্বিষহ হয়ে পড়েছে। গত সোমবার চলতি মৌসুমের সবচেয়ে বেশি তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে পটুয়াখালীর খেপুপাড়ায়। সেদিন সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৪০ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

সূর্যের অবস্থানের কারণে বাংলাদেশে এপ্রিলই হচ্ছে বছরের সবচেয়ে উষ্ণতম মাস। এ মাসে কালবৈশাখী ঝড় আর দাবদাহ হওয়া স্বাভাবিক। আবহাওয়ার অতীত রেকর্ড তা-ই বলে।

গরমের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে লোডশেডিং। দিনে যেমন, রাতেও তেমন লোডশেডিং হচ্ছে। বিশেষ করে গ্রামে লোডশেডিং বেড়েছে। বিদ্যুৎ না থাকায় গরমে মানুষের মিলছে না স্বস্তি। গবেষণায় দেখা গেছে, তাপমাত্রা বাড়লে মানুষের কর্মক্ষমতা কমে যায়। গরমের কারণে শ্রমজীবী মানুষকে বেশি দুর্ভোগ পোহাতে হয়। এর আগে বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে, ক্রমবর্ধমান তাপের কারণে প্রতিদিন বিপুল পরিমাণ কর্মঘণ্টার অপচয় হচ্ছে।

চিকিৎসকরা বলছেন, গরমে হিটস্ট্রোকের আশঙ্কা থাকে। অন্যান্য অসুখও হতে পারে। গরমের কারণে শিশু ও বৃদ্ধরা বিপাকে পড়েছেন। শিশু ও প্রবীণদের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় হতে হবে যতœবান। বিশেষজ্ঞরা সুস্থ থাকার জন্য পর্যাপ্ত পানীয় গ্রহণের পরামর্শ দিয়েছেন। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া বাইরে বের না হওয়াই ভালো।

তাপমাত্রা বাড়ছে বিশ্বজুড়েই। অনেক দেশেই গরমের নতুন রেকর্ড হয়েছে। বৈশ্বিক জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব পড়েছে বাংলাদেশেও। এছাড়া দেশে জলাশয় ও বন কমেছে আশঙ্কাজনক হারে। বিশেষ করে রাজধানীতে জলাশয় ও সবুজের পরিমাণ কমেছে। এক তথ্য অনুযায়ী, গত দুই দশকে রাজধানীতে ৭০ ভাগ জলাশয় কমেছে, ইট-কংক্রিটের স্থাপনা বাড়ছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দেশে গরম বেশি অনুভূত হওয়ার বড় একটি কারণ হচ্ছে জলাশয় ও বন কমে যাওয়া।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, প্রতিকূল আবহাওয়াকে মোকাবিলা করতে হলে বনভূমি রক্ষা করতে হবে, বাঁচাতে হবে জলাভূমি। বনভূমির পরিমাণ বাড়ানো না গেলে, জলাশয় রক্ষা করা না গেলে ভবিষ্যতেও মানুষকে তীব্র গরমের মতো প্রতিকূল আবহাওয়ার শিকার হতে হবে। কাজেই এ বিষয়ে সংশ্লিষ্টদের সচেতন হতে হবে, করণীয় নির্ধারণ করতে হবে।

কুমারভোগের বাসিন্দাদের জলাবদ্ধতা থেকে মুক্তি দিন

বেহাল রাজবাড়ী বিসিক শিল্পনগরী: ব্যবস্থা নিন

শিক্ষক-কর্মচারীদের দাবি: যৌক্তিক পদক্ষেপ নিন

গার্মেন্টস কারখানায় অগ্নিকাণ্ড: প্রশ্নবিদ্ধ নিরাপত্তা ব্যবস্থা

ভিডব্লিউবি কর্মসূচিতে অনিয়ম-দুর্নীতি বন্ধ করুন

টিআরএম প্রকল্পের ক্ষতিপূরণ পেতে আর কত অপেক্ষা

জয়পুরহাটে ডায়রিয়ার প্রকোপ

লুট হওয়া অস্ত্র উদ্ধার করা যাচ্ছে না কেন

টাইফয়েড টিকা: ভালো উদ্যোগ

হামাস-ইসরায়েল চুক্তি: শান্তি প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ সফল হোক

বকুলতলায় স্থগিত শরৎ উৎসব!

সুন্দরগঞ্জে অ্যানথ্রাক্স টিকাদান কার্যক্রমে জনবল সংকট দূর করুন

বনভূমি দখল: ব্যবস্থা নিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করুন

নন্দীগ্রামে বর্জ্য ব্যবস্থাপনার সংকট

জরাজীর্ণ বিদ্যালয়গুলো সংস্কার করুন

কমছেই আলুর দাম, লোকসান বাড়ছে কৃষকের

এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের দাবি কি পূরণ হলো?

সড়ক দুর্ঘটনা রোধে সমন্বিত পদক্ষেপ নিতে হবে

কন্যাশিশু নিপীড়নের উদ্বেগজনক চিত্র

ট্রাম্পের পরিকল্পনা একটি সম্ভাবনাময় সূচনা, কিন্তু পথ এখনও দীর্ঘ

বিজয়া দশমী: সম্প্রীতি রক্ষার অঙ্গীকার

প্লাস্টিক দূষণের শিকার সুন্দরবন: চাই জনসচেতনতা

খাগড়াছড়িতে সহিংসতা কি এড়ানো যেত না

এক প্রবীণের আর্তনাদ: সমাজ কি শুনবে?

সাঁওতালদের বিদ্যালয় ও খেলার মাঠ রক্ষা করুন

সারের কৃত্রিম সংকট ও কৃষকদের দুর্ভোগ

কুড়িগ্রামে সার ও বীজ সংকট দূর করুন

খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির চাল পাচার: প্রশাসনের তৎপরতা ও প্রত্যাশা

অ্যান্টিভেনম সংকট দূর করুন

বিলাসবহুল গাড়ি কেনার ‘অতিআগ্রহ’ নিয়ে প্রশ্ন, উত্তর কি মিলবে?

তাপমাত্রা বাড়ার মূল্য

গাছে পেরক ঠোকার নিষ্ঠুরতার অবসান হোক

আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি : দায় চাপানোর সংস্কৃতি নয়, ব্যবস্থা নিন

কবর থেকে লাশ তুলে আগুন: কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করুন

বর্জ্য ব্যবস্থাপনার অচলাবস্থা ও নাগরিক দুর্ভোগ

ঈদে মিলাদুন্নবী : মহানবীর আদর্শ অনুসরণ করা জরুরি

tab

মতামত » সম্পাদকীয়

গরমে দুর্বিষহ জনজীবন

বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪

গরম নিয়ে দুঃসংবাদ দিয়েছে আবহাওয়া অফিস। এপ্রিলের আবহাওয়ার যে দীর্ঘমেয়াদি পূর্বাভাস জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর তাতে মাসের বাকি সময়টাতেও দেশজুড়ে তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকবে। চলমান তাপপ্রবাহে জনজীবিন দুর্বিষহ হয়ে পড়েছে। গত সোমবার চলতি মৌসুমের সবচেয়ে বেশি তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে পটুয়াখালীর খেপুপাড়ায়। সেদিন সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৪০ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

সূর্যের অবস্থানের কারণে বাংলাদেশে এপ্রিলই হচ্ছে বছরের সবচেয়ে উষ্ণতম মাস। এ মাসে কালবৈশাখী ঝড় আর দাবদাহ হওয়া স্বাভাবিক। আবহাওয়ার অতীত রেকর্ড তা-ই বলে।

গরমের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে লোডশেডিং। দিনে যেমন, রাতেও তেমন লোডশেডিং হচ্ছে। বিশেষ করে গ্রামে লোডশেডিং বেড়েছে। বিদ্যুৎ না থাকায় গরমে মানুষের মিলছে না স্বস্তি। গবেষণায় দেখা গেছে, তাপমাত্রা বাড়লে মানুষের কর্মক্ষমতা কমে যায়। গরমের কারণে শ্রমজীবী মানুষকে বেশি দুর্ভোগ পোহাতে হয়। এর আগে বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে, ক্রমবর্ধমান তাপের কারণে প্রতিদিন বিপুল পরিমাণ কর্মঘণ্টার অপচয় হচ্ছে।

চিকিৎসকরা বলছেন, গরমে হিটস্ট্রোকের আশঙ্কা থাকে। অন্যান্য অসুখও হতে পারে। গরমের কারণে শিশু ও বৃদ্ধরা বিপাকে পড়েছেন। শিশু ও প্রবীণদের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় হতে হবে যতœবান। বিশেষজ্ঞরা সুস্থ থাকার জন্য পর্যাপ্ত পানীয় গ্রহণের পরামর্শ দিয়েছেন। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া বাইরে বের না হওয়াই ভালো।

তাপমাত্রা বাড়ছে বিশ্বজুড়েই। অনেক দেশেই গরমের নতুন রেকর্ড হয়েছে। বৈশ্বিক জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব পড়েছে বাংলাদেশেও। এছাড়া দেশে জলাশয় ও বন কমেছে আশঙ্কাজনক হারে। বিশেষ করে রাজধানীতে জলাশয় ও সবুজের পরিমাণ কমেছে। এক তথ্য অনুযায়ী, গত দুই দশকে রাজধানীতে ৭০ ভাগ জলাশয় কমেছে, ইট-কংক্রিটের স্থাপনা বাড়ছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দেশে গরম বেশি অনুভূত হওয়ার বড় একটি কারণ হচ্ছে জলাশয় ও বন কমে যাওয়া।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, প্রতিকূল আবহাওয়াকে মোকাবিলা করতে হলে বনভূমি রক্ষা করতে হবে, বাঁচাতে হবে জলাভূমি। বনভূমির পরিমাণ বাড়ানো না গেলে, জলাশয় রক্ষা করা না গেলে ভবিষ্যতেও মানুষকে তীব্র গরমের মতো প্রতিকূল আবহাওয়ার শিকার হতে হবে। কাজেই এ বিষয়ে সংশ্লিষ্টদের সচেতন হতে হবে, করণীয় নির্ধারণ করতে হবে।

back to top