alt

মতামত » সম্পাদকীয়

ভৈরব নদে সেতু নির্মাণে অনিয়মের অভিযোগ আমলে নিন

: বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪

যশোরে ভৈরব নদের ওপর পাঁচটি সেতু নির্মাণ করা হচ্ছে। এর মধ্যে চারটি নির্মাণ করছে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) এবং বাকি একটি নির্মাণ করছে সড়ক ও জনপথ বিভাগ। অভিযোগ উঠেছে, এসব সেতু নির্মাণের ক্ষেত্রে নীতিমালা মানা হচ্ছে না। ভৈরব নদ খনন নিয়ে অনিয়মের কথাও জানা গেছে। এসব অভিযোগ করেছে ভৈরব নদ সংস্কার আন্দোলন কমিটি নামক একটি সংগঠন। এ নিয়ে গত সোমবার সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।

ভৈরব নদের নাব্য সংকট অনেক আগেই প্রকট আকার ধারণ করেছে। এর বড় একটি কারণ হচ্ছে, নদের ওপর তৈরি করা অপরিকল্পিত ব্রিজ ও কালভার্ট। দখল-দূষণ তো আছেই। নদী খননে প্রকল্প নেয়া হলেও এর কাজ নিয়ে রয়েছে অনেক অভিযোগ। খনন করে মাটি নদেই ফেলা হচ্ছে। আবার এখন শোনা যাচ্ছে, নীতিমালা না মেনে একাধিক সেতু তৈরি করা হচ্ছে নদের উপর।

শুধু ভৈরব নয়, দেশের অনেক নদীতেই ব্রিজ-কালভার্ট নির্মাণে নানারকম অসঙ্গতি দেখা যাচ্ছে। নদ-নদীর উপর নির্মিত অনেক সেতুর উচ্চতা কম। যে কারণে বর্ষা মৌসুমে সেতুর নিচ দিয়ে নৌযান চলাচল বাধাগ্রস্ত হয়। সেতু নির্মাণ করার সময় নদ-নদীর পানির প্রবাহ, বন্যা ও পানি ব্যবস্থাপনা, পরিবেশগত বিষয় প্রভৃতি বিবেচনায় নিতে হয়। সেটা অনেক ক্ষেত্রেই মানা হয় না।

এর আগে বিআইডব্লিউটিএ দেশের ৯৯টি সেতুর ওপর জরিপ চালিয়েছে। তাতে দেখা গেছে, এসব সেতুর মধ্যে ৮৫টিরই উচ্চতা প্রয়োজনের তুলনায় কম। নৌপথের বাধা দূর করতে সরকার কম উচ্চতার বেশ কিছু সেতু ভেঙে ফেলার উদ্যোগ নিয়েছে। তাবে কম উচ্চতার সেতু নির্মাণের অপসংস্কৃতির অবসান ঘটানো যায়নি।

প্রশ্ন হচ্ছে, কম উচ্চাতার সেতু বানালে কার লাভ হয় আর কার ক্ষতি হয়। যারা কম উচ্চতার সেতু বানায় তারা কি জানে না যে, অপরিকল্পিত স্থাপনার কারণে নদীর দখল-দূষণ বাড়ে, নৌপথ অকার্যকর হয়ে পড়ে। কম উচ্চতার সেতু বানালে তা আবার ভাঙতে হতে পারে। এর ফলে রাষ্ট্রের অর্থের অপচয় হয়।

আমরা বলতে চাই, কম উচ্চতার সেতু তৈরির অপসংস্কৃতি কঠোরভাবে বন্ধ করতে হবে। নীতিমালা মেনে সেতু তৈরি করতে হবে। নিতে হবে প্রয়োজনীয় অনুমোদন। সেতু নির্মাণে যারা নিয়মের ব্যতয় ঘটাবে তাদের চিহ্নিত করে দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নিতে হবে।

ইছামতী নদীকে রক্ষা করুন

সন্দেহবশত পিটিয়ে হত্যা: দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নিন

জয়দেবপুর রেলক্রসিংয়ে দুর্ভোগের অবসান হোক

বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড কেন থামছে না?

সারের সংকট আর কত

সুন্দরবনে বিষ দিয়ে মাছ শিকার বন্ধ করুন

কক্সবাজার সৈকত রক্ষা করুন

ঐকমত্য কমিশনের উদ্দেশ্য কী?

সড়ক দখলমুক্ত করা জরুরি

কৃষকদের পাশে থাকুন

প্রাথমিক শিক্ষায় সংকট

অ্যানথ্রাক্স নিয়ন্ত্রণে ধীরগতি: ঝুঁকিতে মানুষ ও গবাদিপশু

রাজধানীর যানবাহন নিয়ন্ত্রণে ফিরেছে সিগন্যাল বাতি: বাস্তবায়ন জরুরি

দুস্থদের জন্য নিম্নমানের চাল: দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নিন

নিরাপদ সড়কের আকাঙ্ক্ষা ও বাস্তবতা

কটিয়াদীতে বিদ্যুৎ বিল নিয়ে অভিযোগ আমলে নিন

ধানখেতে পোকার আক্রমণ: কৃষকের পাশে দাঁড়ান

কৃষিজমির পাশে ইউক্যালিপটাস: লাভ সাময়িক, ক্ষতি দীর্ঘমেয়াদী

খুলনা বিভাগীয় শিশু হাসপাতাল চালু হতে আর কত অপেক্ষা

সদরপুর স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সের স্বাস্থ্যসেবার মান বাড়াতে ব্যবস্থা নিন

সরকারি জমি দখল: ব্যবস্থা নিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে হবে

রংপুর সিটি করপোরেশনে অটোরিকশার লাইসেন্স প্রসঙ্গে

বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজে অগ্নিকাণ্ড প্রশ্ন অনেক, উত্তর মিলবে কি

দেবীদ্বার কলেজ মাঠ: অবহেলায় হারাতে বসেছে ঐতিহ্য

সিইপিজেডের আগুন: অবহেলা আর দায়িত্বহীনতার নজির

বায়ুদূষণ রোধে কার্যকর পদক্ষেপ নিন

এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা : ফল বিপর্যয় নাকি বাস্তবতা

কুমারভোগের বাসিন্দাদের জলাবদ্ধতা থেকে মুক্তি দিন

বেহাল রাজবাড়ী বিসিক শিল্পনগরী: ব্যবস্থা নিন

শিক্ষক-কর্মচারীদের দাবি: যৌক্তিক পদক্ষেপ নিন

গার্মেন্টস কারখানায় অগ্নিকাণ্ড: প্রশ্নবিদ্ধ নিরাপত্তা ব্যবস্থা

ভিডব্লিউবি কর্মসূচিতে অনিয়ম-দুর্নীতি বন্ধ করুন

টিআরএম প্রকল্পের ক্ষতিপূরণ পেতে আর কত অপেক্ষা

জয়পুরহাটে ডায়রিয়ার প্রকোপ

লুট হওয়া অস্ত্র উদ্ধার করা যাচ্ছে না কেন

টাইফয়েড টিকা: ভালো উদ্যোগ

tab

মতামত » সম্পাদকীয়

ভৈরব নদে সেতু নির্মাণে অনিয়মের অভিযোগ আমলে নিন

বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪

যশোরে ভৈরব নদের ওপর পাঁচটি সেতু নির্মাণ করা হচ্ছে। এর মধ্যে চারটি নির্মাণ করছে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) এবং বাকি একটি নির্মাণ করছে সড়ক ও জনপথ বিভাগ। অভিযোগ উঠেছে, এসব সেতু নির্মাণের ক্ষেত্রে নীতিমালা মানা হচ্ছে না। ভৈরব নদ খনন নিয়ে অনিয়মের কথাও জানা গেছে। এসব অভিযোগ করেছে ভৈরব নদ সংস্কার আন্দোলন কমিটি নামক একটি সংগঠন। এ নিয়ে গত সোমবার সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।

ভৈরব নদের নাব্য সংকট অনেক আগেই প্রকট আকার ধারণ করেছে। এর বড় একটি কারণ হচ্ছে, নদের ওপর তৈরি করা অপরিকল্পিত ব্রিজ ও কালভার্ট। দখল-দূষণ তো আছেই। নদী খননে প্রকল্প নেয়া হলেও এর কাজ নিয়ে রয়েছে অনেক অভিযোগ। খনন করে মাটি নদেই ফেলা হচ্ছে। আবার এখন শোনা যাচ্ছে, নীতিমালা না মেনে একাধিক সেতু তৈরি করা হচ্ছে নদের উপর।

শুধু ভৈরব নয়, দেশের অনেক নদীতেই ব্রিজ-কালভার্ট নির্মাণে নানারকম অসঙ্গতি দেখা যাচ্ছে। নদ-নদীর উপর নির্মিত অনেক সেতুর উচ্চতা কম। যে কারণে বর্ষা মৌসুমে সেতুর নিচ দিয়ে নৌযান চলাচল বাধাগ্রস্ত হয়। সেতু নির্মাণ করার সময় নদ-নদীর পানির প্রবাহ, বন্যা ও পানি ব্যবস্থাপনা, পরিবেশগত বিষয় প্রভৃতি বিবেচনায় নিতে হয়। সেটা অনেক ক্ষেত্রেই মানা হয় না।

এর আগে বিআইডব্লিউটিএ দেশের ৯৯টি সেতুর ওপর জরিপ চালিয়েছে। তাতে দেখা গেছে, এসব সেতুর মধ্যে ৮৫টিরই উচ্চতা প্রয়োজনের তুলনায় কম। নৌপথের বাধা দূর করতে সরকার কম উচ্চতার বেশ কিছু সেতু ভেঙে ফেলার উদ্যোগ নিয়েছে। তাবে কম উচ্চতার সেতু নির্মাণের অপসংস্কৃতির অবসান ঘটানো যায়নি।

প্রশ্ন হচ্ছে, কম উচ্চাতার সেতু বানালে কার লাভ হয় আর কার ক্ষতি হয়। যারা কম উচ্চতার সেতু বানায় তারা কি জানে না যে, অপরিকল্পিত স্থাপনার কারণে নদীর দখল-দূষণ বাড়ে, নৌপথ অকার্যকর হয়ে পড়ে। কম উচ্চতার সেতু বানালে তা আবার ভাঙতে হতে পারে। এর ফলে রাষ্ট্রের অর্থের অপচয় হয়।

আমরা বলতে চাই, কম উচ্চতার সেতু তৈরির অপসংস্কৃতি কঠোরভাবে বন্ধ করতে হবে। নীতিমালা মেনে সেতু তৈরি করতে হবে। নিতে হবে প্রয়োজনীয় অনুমোদন। সেতু নির্মাণে যারা নিয়মের ব্যতয় ঘটাবে তাদের চিহ্নিত করে দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নিতে হবে।

back to top