alt

মতামত » সম্পাদকীয়

মধুপুর বন রক্ষায় ব্যবস্থা নিন

: শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪

প্রাকৃতিকভাবেই একটি বন গড়ে ওঠে। আর সেই বনের প্রাকৃতিক ভারসাম্য রক্ষার জন্য থাকে গাছপালা ও অসংখ্য জলাশয়। জন্ম নেয় নানা প্রজাতির প্রাণিকুল। সেসব প্রাণিকুলের টিকে থাকার বনে যথেষ্ট গাছপালা ও জলাশয় থাকা অপরিহার্য। এ নিয়ম বেঁধে দিয়েছে প্রকৃতি। এ নিয়মের ব্যত্যয় ঘটলে প্রকৃতিও বেপরোয়া হয়ে ওঠে। তখন বনের জীববৈচিত্র্যের টিকে থাকা কঠিন হয়ে পড়বে।

টাঙ্গাইলের মধুপুর শালবনে চৌরাবাইদ, মুনারবাইদ, গুইলমারি, জিকুশি, শইলমারি, দিগলাকোনাসহ অনেক জায়গায় জলাশয় ছিল। বনের ভেতর প্রাকৃতিকভাবে গড়ে ওঠা জলাশয়গুলো ভূমিখেকোরা ভরাট করে কৃষিকাজ করছে। ফলে বন্যপ্রাণীরা পানি সংকটে ভুগছে। গাছপালা কেটে ফেলার দরুন বনের খাদ্যবৈচিত্র্যও কমে গেছে। চলমান তাপমাত্রা বৃদ্ধিতে বনের পরিবেশ বিপন্ন হচ্ছে। তাই পানি ও খাদ্য না পেয়ে চরম কষ্ট পোহাতে হচ্ছে তাদের। কর্তৃপক্ষের কাছে মধুপুর বন ও জলাশয়গুলো উদ্ধার করে প্রাকৃতিক পরিবেশ ফিরিয়ে আনার জন্য দাবি জানিয়েছেন পরিবেশবিদরা।

বনে পরিবেশসম্মত শাল, সেগুন, জারুল, আজুলি, আমলকিসহ নানা প্রজাতির দেশি গাছ ছিল। গাছগুলো অধিক ছায়া দিত। বনখেকোরা গাছগুলো বিনষ্ট করেছে। পরিবেশ বিজ্ঞানীদের দাবি, মধুপুর বনে গহীন অরণ্য ছিল। ঝোপঝাড়ও ছিল। প্রাকৃতিক দুর্যোগে পশুপাখিরা ঝোপঝাড়ে আশ্রয় নিত। বনে জলাশয় ছিল। পশুপাখিরা এসব জলাশয়ের পানি খেত। কিন্তু প্রাকৃতিক সেই বন উজাড় হয়ে গেছে প্রভাবশালীদের দখলে। অন্যদিকে সামাজিক বনায়নের নামে বনের আসল প্রাকৃতিক পরিবেশ বিপন্ন করা হচ্ছে। সামাজিক বনায়ন বন্ধ করে প্রাকৃতিক বন বাড়াতে হবে।

বনে পশুপাখিদের পানীয় জল ও খাদ্য সমস্যা প্রকট আকার ধারণ করার কথা স্বীকার করেছেন মধুপুর বন সংরক্ষক।

আমরা বলতে চাই, যখন বন উজাড় হচ্ছিল, তখন সেটা বন্ধ করা গেলে আজ এই পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে হতো না। তাই স্থায়ীভাবে কর্তৃপক্ষকে বনের গাছপালা রক্ষার ব্যবস্থা করতে হবে। প্রাকৃতিক বন রক্ষা পেলে বাড়বে ঝোপঝাড়। তখন নিরাপদ আবাসস্থল ফিরে পাবে বন্যপ্রাণীরা। বাড়বে খাদ্যের জোগানও। বনের দখল হওয়া জলাশয়গুলো উদ্ধার করে আগের মতো মুক্ত করে দিতে হবে।

এক খ্রিস্টান পরিবারের জমি দখলের চেষ্টা: ব্যবস্থা নিন

অবৈধ ইটভাটা: প্রশাসন কী করছে

পথ হারাচ্ছে রেলপথে পণ্যপরিবহন

মেডিকেল টেকনোলজিস্ট ও ফার্মাসিস্টদের আন্দোলন: আলোচনায় সমাধান খুঁজতে হবে

জয়ন্তীপুর ঘাটে সেতু নির্মাণে বিলম্ব কাম্য নয়

শিক্ষকদের আন্দোলন, সরকারের কঠোরতা এবং শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যৎ

রায়গঞ্জের ক্ষতিগ্রস্ত বেইলি ব্রিজ দ্রুত সংস্কার করুন

সওজের জমি দখল : ব্যবস্থা নিন

পার্বত্য চুক্তি: পাহাড়ে শান্তি কি ফিরল?

রাজধানী কি অগ্নিকাণ্ডের ঝুঁকি মোকাবিলায় প্রস্তুত?

সেতু নির্মাণের কাজ কবে শেষ হবে

খুলনায় আদালতের সামনে হত্যাকাণ্ড

মীরসরাইয়ে বন রক্ষায় ব্যবস্থা নিন

পুরান ঢাকায় রাসায়নিক ঝুঁকি

মহেশপুরে অনুমোদনহীন করাত কল

বিদ্যালয়ের মাঠ দখলমুক্ত করুন

থমকে আছে সেতু নির্মাণের কাজ

হাকালুকি হাওরে মাছ লুট: প্রশাসন কী করছে

রাঙ্গাবালীর সংরক্ষিত বন ধ্বংসের সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

টিসিবির পণ্য নিয়ে অনিয়ম-দুর্নীতি কাম্য নয়

কক্সবাজারে পাহাড়ের মাটি কাটা বন্ধ করুন

দারিদ্র্যের নতুন ঢেউ

তাজরীনের ১৩ বছরের ক্ষত ভুক্তভোগীর ন্যায়বিচার কোথায়?

অ্যান্টিবায়োটিকের অপব্যবহার বন্ধে কার্যকর ব্যবস্থা নিন

চরাঞ্চলের বিদ্যালয়ে নিয়মিত পাঠদান নিশ্চিত করুন

অসহিষ্ণুতার সংস্কৃতি থামাতে হবে

কাঠ পাচার বন্ধে ব্যবস্থা নিন

ফিরে এল তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা

বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধে জিও ব্যাগ ব্যবহারে অনিয়মের অভিযোগ

দুই দফা ভূমিকম্প: এখনই প্রস্তুতির সময়

অবৈধ ইটভাটার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া জরুরি

গভীর রাতে সাংবাদিককে তুলে নেয়ার প্রকৃত কারণ উদঘাটন করতে হবে

সাময়িকী কবিতা

ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্র ভাড়া দেওয়ার অভিযোগ

স্কুল ফিডিং কর্মসূচিতে অনিয়ম কাম্য নয়

ছবি

শীতজনিত রোগ প্রতিরোধে চাই সচেতনতা

tab

মতামত » সম্পাদকীয়

মধুপুর বন রক্ষায় ব্যবস্থা নিন

শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪

প্রাকৃতিকভাবেই একটি বন গড়ে ওঠে। আর সেই বনের প্রাকৃতিক ভারসাম্য রক্ষার জন্য থাকে গাছপালা ও অসংখ্য জলাশয়। জন্ম নেয় নানা প্রজাতির প্রাণিকুল। সেসব প্রাণিকুলের টিকে থাকার বনে যথেষ্ট গাছপালা ও জলাশয় থাকা অপরিহার্য। এ নিয়ম বেঁধে দিয়েছে প্রকৃতি। এ নিয়মের ব্যত্যয় ঘটলে প্রকৃতিও বেপরোয়া হয়ে ওঠে। তখন বনের জীববৈচিত্র্যের টিকে থাকা কঠিন হয়ে পড়বে।

টাঙ্গাইলের মধুপুর শালবনে চৌরাবাইদ, মুনারবাইদ, গুইলমারি, জিকুশি, শইলমারি, দিগলাকোনাসহ অনেক জায়গায় জলাশয় ছিল। বনের ভেতর প্রাকৃতিকভাবে গড়ে ওঠা জলাশয়গুলো ভূমিখেকোরা ভরাট করে কৃষিকাজ করছে। ফলে বন্যপ্রাণীরা পানি সংকটে ভুগছে। গাছপালা কেটে ফেলার দরুন বনের খাদ্যবৈচিত্র্যও কমে গেছে। চলমান তাপমাত্রা বৃদ্ধিতে বনের পরিবেশ বিপন্ন হচ্ছে। তাই পানি ও খাদ্য না পেয়ে চরম কষ্ট পোহাতে হচ্ছে তাদের। কর্তৃপক্ষের কাছে মধুপুর বন ও জলাশয়গুলো উদ্ধার করে প্রাকৃতিক পরিবেশ ফিরিয়ে আনার জন্য দাবি জানিয়েছেন পরিবেশবিদরা।

বনে পরিবেশসম্মত শাল, সেগুন, জারুল, আজুলি, আমলকিসহ নানা প্রজাতির দেশি গাছ ছিল। গাছগুলো অধিক ছায়া দিত। বনখেকোরা গাছগুলো বিনষ্ট করেছে। পরিবেশ বিজ্ঞানীদের দাবি, মধুপুর বনে গহীন অরণ্য ছিল। ঝোপঝাড়ও ছিল। প্রাকৃতিক দুর্যোগে পশুপাখিরা ঝোপঝাড়ে আশ্রয় নিত। বনে জলাশয় ছিল। পশুপাখিরা এসব জলাশয়ের পানি খেত। কিন্তু প্রাকৃতিক সেই বন উজাড় হয়ে গেছে প্রভাবশালীদের দখলে। অন্যদিকে সামাজিক বনায়নের নামে বনের আসল প্রাকৃতিক পরিবেশ বিপন্ন করা হচ্ছে। সামাজিক বনায়ন বন্ধ করে প্রাকৃতিক বন বাড়াতে হবে।

বনে পশুপাখিদের পানীয় জল ও খাদ্য সমস্যা প্রকট আকার ধারণ করার কথা স্বীকার করেছেন মধুপুর বন সংরক্ষক।

আমরা বলতে চাই, যখন বন উজাড় হচ্ছিল, তখন সেটা বন্ধ করা গেলে আজ এই পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে হতো না। তাই স্থায়ীভাবে কর্তৃপক্ষকে বনের গাছপালা রক্ষার ব্যবস্থা করতে হবে। প্রাকৃতিক বন রক্ষা পেলে বাড়বে ঝোপঝাড়। তখন নিরাপদ আবাসস্থল ফিরে পাবে বন্যপ্রাণীরা। বাড়বে খাদ্যের জোগানও। বনের দখল হওয়া জলাশয়গুলো উদ্ধার করে আগের মতো মুক্ত করে দিতে হবে।

back to top