alt

সম্পাদকীয়

কাজ না করে প্রকল্পের টাকা তুলে নেয়ার অভিযোগ সুরাহা করুন

: রোববার, ০৫ মে ২০২৪

কাজ শেষ না করেই একাধিক প্রকল্পের বরাদ্দের সম্পূর্ণ টাকা তুলে নেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এসব প্রকল্পের কোনো কোনোটির আংশিক কাজ হলেও বাকি প্রকল্পের কাজ শুরুই হয়নি। ঘটনাটি ঘটেছে নাটোরের বাগাতিপাড়ায়।

কাজের শুরুতে বরাদ্দের অর্ধেক টাকা এবং প্রকল্প বাস্তবায়নের ছবি জমা দিয়ে বাকি অর্থ উত্তোলনের সরকারি নির্দেশনা রয়েছে। তবে, উপজেলা চত্বরে গৃহীত প্রকল্পগুলোর ক্ষেত্রে সরকারি নির্দেশনা মানা হচ্ছে না বলে অভিযোগ উঠেছে। প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটির সভাপতিদের অধিকাংশই এসব প্রকল্পের ব্যাপারে জানেন না কিছুই। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষও দেয়নি সদুত্তর। এ নিয়ে গতকাল সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।

নিয়ম অনুযায়ী, কোন প্রকল্পের কার্যাদেশ দেয়ার পরে কাজ শুরু করলে আংশিক বিল ছাড় দেয়া হয়। সাধারণত কাজ শেষ হওয়া পর্যন্ত ধাপে ধাপে বিলের বাকি অর্থ ছাড় দেয়া হয়। প্রকল্পের কাজ কীভাবে বাস্তবায়ন হচ্ছে সেটা সংশ্লিষ্টদের দেখভাল করার কথা। শুধু অর্থ বরাদ্দ দেওয়া বা অর্থ ছাড় করাই তাদের দায়িত্ব নয়। প্রকল্প এলাকায় গিয়ে কাজের অগ্রগতি পরিদর্শন করার কথা উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার (পিআইও)।

প্রশ্ন হলো, প্রকল্পের কাজ ঠিকঠাক তদারকি করা হয়েছে কিনা। ঠিকমতো মনিটর করা হলে বিনা কাজে অর্থ তুলে নেয়ার সুযোগ সংশ্লিষ্টরা নাও পেতে পারত। কাজ না করে সংশ্লিষ্টরা টাকা উঠাল কীভাবে সেটা একটা প্রশ্ন। বাস্তবতা হচ্ছে, দেশে প্রায়ই এমন ঘটনা ঘটে। গণমাধ্যমের বদৌলতে এমন খবর প্রায়ই জানা যায় যে, কাজ না করেই বরাদ্দের টাকা তুলে নেয়া হয়।

অভিযোগ আছে, সংশ্লিষ্ট এক শ্রেণীর কর্মকর্তা-কর্মচারীর যোগসাজশে ঠিকাদাররা এমন অন্যায় করেন।

আমরা বলতে চাই, নাটোরে কাজ না করে বিল তোলার যে অভিযোগ পাওয়া গেছে সেটা আমলে নেয়া হবে। তদন্ত করে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে এমনটাই আমরা দেখতে চাই।

কাজ না করে বিল তুলে নেয়ার পেছনে সংশ্লিষ্ট কর্তাব্যক্তিদের কী ভূমিকা ছিল সেটাও খতিয়ে দেখা দরকার। এক্ষেত্রে কেউ ঠিকাদারদের অন্যায় মদত দিলে তার বা তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেয়া জরুরি।

শিক্ষার্থী আত্মহত্যার উদ্বেগজনক চিত্র

গাজায় যুদ্ধবিরতি চুক্তি : শান্তির চেষ্টা কতটা সফল হবে?

জাজিরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ভবন সংস্কার করুন

বনাঞ্চলের ধ্বংসের দায় কার

নির্মাণ কাজের প্রভাবে শিক্ষার্থীদের পড়াশোনায় ব্যাঘাত

খাল-বিল দখল : পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্য হুমকির মুখে

ইটভাটার দৌরাত্ম্যের লাগাম টেনে ধরতে হবে

আদিবাসী শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা : গণতান্ত্রিক চেতনার পরিপন্থী

বোয়ালখালী রেললাইন বাজার : জীবন ও নিরাপত্তার চরম সংকট

রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে দুর্নীতি

আঠারোবাড়ী হাওরের সংকট : দ্রুত সমাধান প্রয়োজন

পাঠ্যবই বিতরণে বিলম্ব : শিক্ষাব্যবস্থার প্রতি আঘাত

কৃষিজমিতে কারখানা: ঝুঁকিতে জনস্বাস্থ্য

ওরস বন্ধ রাখাই কি একমাত্র সমাধান?

জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব থেকে শিশুদের ভবিষ্যৎ সুরক্ষা করুন

নদী তীর সংরক্ষণ প্রকল্পে গাফিলতি

ফসল রক্ষা বাঁধে অনিয়ম কাম্য নয়

রিওভাইরাস: আতঙ্ক নয়, চাই সতর্কতা

শুল্ক-কর এখন বাড়ানো কি জরুরি ছিল

নওগাঁর বর্জ্য পরিশোধনাগার প্রসঙ্গে

সড়ক দুর্ঘটনা : বেপরোয়া গতি আর অব্যবস্থাপনার মাশুল

সংরক্ষিত বনের গাছ রক্ষায় উদাসীনতার অভিযোগ আমলে নিন

চালের দাম বাড়ছে: সংকট আরও বাড়ার আগেই ব্যবস্থা নিন

বারইখালী ও বহরবুনিয়ার মানুষের দুর্ভোগ কবে দূর হবে

রেলক্রসিংয়ে দুর্ঘটনার পুনরাবৃত্তি : সমাধান কোথায়?

সময়ের সমীকরণে বেকারত্বের নতুন চিত্র

বরুড়ায় খালের দুর্দশা

টেকনাফে অপহরণ: স্থানীয় নিরাপত্তা ব্যবস্থার চ্যালেঞ্জ ও সমাধানের প্রয়োজনীয়তা

স্কুল মাঠে মাটি কাটার অভিযোগ

কিশোর গ্যাং : আইনশৃঙ্খলার ব্যর্থতা ও সামাজিক সংকট

বই বিতরণে স্বচ্ছতা প্রয়োজন

পরিবেশ রক্ষায় আইনের যথাযথ প্রয়োগ নিশ্চিত করুন

হাসপাতালের লোকবল সংকট দূর করুন

প্রাথমিক শিক্ষা : উন্নত জাতি গঠনে অপরিহার্য ভিত্তি

খেলার মাঠে কারখানা : পরিবেশ দূষণ ও জনস্বাস্থ্যের বিপদ

শীতের তীব্রতা : বিপন্ন মানুষ এবং সরকারের কর্তব্য

tab

সম্পাদকীয়

কাজ না করে প্রকল্পের টাকা তুলে নেয়ার অভিযোগ সুরাহা করুন

রোববার, ০৫ মে ২০২৪

কাজ শেষ না করেই একাধিক প্রকল্পের বরাদ্দের সম্পূর্ণ টাকা তুলে নেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এসব প্রকল্পের কোনো কোনোটির আংশিক কাজ হলেও বাকি প্রকল্পের কাজ শুরুই হয়নি। ঘটনাটি ঘটেছে নাটোরের বাগাতিপাড়ায়।

কাজের শুরুতে বরাদ্দের অর্ধেক টাকা এবং প্রকল্প বাস্তবায়নের ছবি জমা দিয়ে বাকি অর্থ উত্তোলনের সরকারি নির্দেশনা রয়েছে। তবে, উপজেলা চত্বরে গৃহীত প্রকল্পগুলোর ক্ষেত্রে সরকারি নির্দেশনা মানা হচ্ছে না বলে অভিযোগ উঠেছে। প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটির সভাপতিদের অধিকাংশই এসব প্রকল্পের ব্যাপারে জানেন না কিছুই। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষও দেয়নি সদুত্তর। এ নিয়ে গতকাল সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।

নিয়ম অনুযায়ী, কোন প্রকল্পের কার্যাদেশ দেয়ার পরে কাজ শুরু করলে আংশিক বিল ছাড় দেয়া হয়। সাধারণত কাজ শেষ হওয়া পর্যন্ত ধাপে ধাপে বিলের বাকি অর্থ ছাড় দেয়া হয়। প্রকল্পের কাজ কীভাবে বাস্তবায়ন হচ্ছে সেটা সংশ্লিষ্টদের দেখভাল করার কথা। শুধু অর্থ বরাদ্দ দেওয়া বা অর্থ ছাড় করাই তাদের দায়িত্ব নয়। প্রকল্প এলাকায় গিয়ে কাজের অগ্রগতি পরিদর্শন করার কথা উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার (পিআইও)।

প্রশ্ন হলো, প্রকল্পের কাজ ঠিকঠাক তদারকি করা হয়েছে কিনা। ঠিকমতো মনিটর করা হলে বিনা কাজে অর্থ তুলে নেয়ার সুযোগ সংশ্লিষ্টরা নাও পেতে পারত। কাজ না করে সংশ্লিষ্টরা টাকা উঠাল কীভাবে সেটা একটা প্রশ্ন। বাস্তবতা হচ্ছে, দেশে প্রায়ই এমন ঘটনা ঘটে। গণমাধ্যমের বদৌলতে এমন খবর প্রায়ই জানা যায় যে, কাজ না করেই বরাদ্দের টাকা তুলে নেয়া হয়।

অভিযোগ আছে, সংশ্লিষ্ট এক শ্রেণীর কর্মকর্তা-কর্মচারীর যোগসাজশে ঠিকাদাররা এমন অন্যায় করেন।

আমরা বলতে চাই, নাটোরে কাজ না করে বিল তোলার যে অভিযোগ পাওয়া গেছে সেটা আমলে নেয়া হবে। তদন্ত করে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে এমনটাই আমরা দেখতে চাই।

কাজ না করে বিল তুলে নেয়ার পেছনে সংশ্লিষ্ট কর্তাব্যক্তিদের কী ভূমিকা ছিল সেটাও খতিয়ে দেখা দরকার। এক্ষেত্রে কেউ ঠিকাদারদের অন্যায় মদত দিলে তার বা তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেয়া জরুরি।

back to top