alt

opinion » editorial

কালীহাতির খরশীলা সেতুর সংযোগ সড়ক সংস্কারে আর কত অপেক্ষা

: শনিবার, ১১ মে ২০২৪

টাঙ্গাইলের কালীহাতির পাইকপাড়ার খরশিলা সড়কে পাঁচ বছর আগে সেতু নির্মাণ করা হয়েছে। এতে সরকারের ব্যয় হয়েছে ২০ লাখ টাকা। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তর ২০১৯ সালে খরশিলা সড়কে ২৪ ফুট দীর্ঘ ও ১৪ ফুট উঁচু এ সেতুটি নির্মাণ করেছিল। সেতু নির্মাণ করা হলেও দু’পাশের সংযোগ সড়ক সংস্কার না করায় মানুষ সেতুর সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। এতে এলাকার জনগণের দুর্ভোও বাড়ছে।

সেতুর সংযোগ সড়কটি তিন যুগ ধরে মানুষের ব্যবহার অনুপোযোগী। সড়কটি সংস্কারেরও প্রশাসন কালক্ষেপণ করছে। এতে এলাকার মানুষের দুর্ভোগ বাড়ছে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা এর দায় ওর ঘাড়ে, ওর দায় এর ঘাড়ে চাপিয়েই কালক্ষেপণ করছেন। শুধু কর্তৃপক্ষের গাফিলতির কারণেই সেতুটি আজও চালু হয়নি বলে অভিযোগ করেছে এলাকার জনগণ। তারা দ্রুত সেতুর সড়ক সংস্কারের ব্যবস্থা নেয়ার জন্য কর্তৃপক্ষের কাছে দাবি জানিয়েছে।

সেতুর দুদিকে খরশিলা ও রোয়াইল গ্রাম। সেতুর সংযোগ সড়ক সংস্কার না করায়, এ দুটি গ্রামের হাজারো মানুষকে যারপরনাই দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। কৃষকরা তাদের উৎপাদিত ফসল ঘরে তুলতে পারছেন না। শিক্ষার্থীদের বিদ্যালয়ে যেতেও কষ্ট হচ্ছে। মানুষ নিত্যদিনে জিনিস কিনতে হাট-বাজারেও যেতে পারছে না। জেলা এবং উপজেলায় যেতে হলে পাঁচ কিলোমিটার রাস্তা ঘুরে যেতে হচ্ছে। সেতুটি চালু হলে এখানকার মানুষের জীবন-জীবিকার নতুন পথ সৃষ্টি হবে। শহরের দূরুত্ব কমে আসবে দুই কিলোমিটার। মানুষের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে। এসব আক্ষেপের কথা জানিয়েছেন স্থানীয়রা।

এলাকার জনগণ সেতু পেয়েছে ঠিকই কিন্তু সেতুর রাস্তা সংস্কারের ব্যবস্থা করা হয়নি। পূর্ণাঙ্গ সড়ক না থাকলে সেতু দিয়ে মানুষ কী করবে, এ প্রশ্ন এসে যায়। সেতুর ঠিকাদারেরও কোনো হদিস নেয়। আবার প্রকল্প কর্মকর্তাও নতুন যোগদান করেছেন বলে দায় এড়াচ্ছেন। চেয়ারম্যান বলছেন স্থানীয় সংসদ সদস্যের কাজ এটি। সংসদ সদস্যও বারবার ‘ঠিক করা হবে’ বলে আশ্বাস দিচ্ছেন। প্রশ্ন হচ্ছে, এভাবে আর কতদিন পার হবে? এলাকার মানুষ কি বছরের পর বছর ধরে সেতুর সুবিধা বঞ্চিতই থেকেই যাবে? শুধু দায় চাপিয়ে ও আশ্বাস দিয়ে পার পেয়ে যাওয়ার অপসংস্কৃতি বন্ধ করতে হবে।

অ্যান্টিভেনম সংকট দূর করুন

বিলাসবহুল গাড়ি কেনার ‘অতিআগ্রহ’ নিয়ে প্রশ্ন, উত্তর কি মিলবে?

তাপমাত্রা বাড়ার মূল্য

গাছে পেরক ঠোকার নিষ্ঠুরতার অবসান হোক

আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি : দায় চাপানোর সংস্কৃতি নয়, ব্যবস্থা নিন

কবর থেকে লাশ তুলে আগুন: কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করুন

বর্জ্য ব্যবস্থাপনার অচলাবস্থা ও নাগরিক দুর্ভোগ

ঈদে মিলাদুন্নবী : মহানবীর আদর্শ অনুসরণ করা জরুরি

নীলফামারীতে শ্রমিকের প্রাণহানি: এই মৃত্যু কি এড়ানো যেত না

বিশ্ববিদ্যালয়ে নির্বাচন: নারী সহপাঠীকে ‘গণধর্ষণের’ হুমকি, নারী প্রার্থীদের সাইবার হয়রানি

নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণার পর কেন এই নৈরাজ্য

খাদ্যবান্ধব কর্মসূচিতে দুর্নীতির অভিযোগ আমলে নিন

নারী ও শিশু নির্যাতনের উদ্বেগজনক চিত্র

ভবদহের জলাবদ্ধতা: শিক্ষা ও জীবনযাত্রার উপর অব্যাহত সংকট

সৈয়দপুরে মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রের দুর্দশা

জমি রেজিস্ট্রিতে ঘুষের বোঝা: সাধারণ মানুষের ভোগান্তি

মবের নামে মানুষ হত্যা : সমাজ কোথায় যাচ্ছে?

‘জুলাই জাতীয় সনদ’ : কেন প্রশ্ন তোলা যাবে না

সুন্দরবন রক্ষায় টেকসই ব্যবস্থা নিন

মামলা, গ্রেপ্তার, জামিন : প্রশ্নবিদ্ধ আইনের শাসন

শিক্ষার্থীদের স্বেচ্ছাশ্রমে সাঁকো নির্মাণ : ঐক্য ও উদ্যমের উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত

বন্যা ও ভাঙন : দ্রুত ব্যবস্থা নিন

অ্যান্টিভেনমের সরবরাহ নিশ্চিত করুন

ভূমি অফিসে ঘুষ বন্ধে দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নিন

জন্ম নিবন্ধনে জটিলতা দূর করা জরুরি

‘সাদা পাথর’ লুটের সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিন

সার বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ আমলে নিন

তরুণদের জন্য আলাদা বুথ! সিদ্ধান্ত কার? কেন?

চিকিৎসক সংকটে জীবননগরের স্বাস্থ্যসেবা ব্যাহত

গণপিটুনির সংস্কৃতি রুখতে হবে এখনই

সাংবাদিক হত্যা-নির্যাতনের ঘটনার বিচার করে দৃষ্টান্ত স্থাপন করুন

ইউনিয়ন পরিষদে নাগরিক সেবায় ভোগান্তির অবসান ঘটান

সড়কে মৃত্যু : দুর্ঘটনা নাকি অব্যবস্থাপনার ফল?

অন্তর্বর্তী সরকারের এক বছর

নির্বাচনের ঘোষণায় স্বস্তি, তবে আছে অনেক চ্যালেঞ্জ

‘জুলাই ঘোষণাপত্র’: কিছু জিজ্ঞাসা

tab

opinion » editorial

কালীহাতির খরশীলা সেতুর সংযোগ সড়ক সংস্কারে আর কত অপেক্ষা

শনিবার, ১১ মে ২০২৪

টাঙ্গাইলের কালীহাতির পাইকপাড়ার খরশিলা সড়কে পাঁচ বছর আগে সেতু নির্মাণ করা হয়েছে। এতে সরকারের ব্যয় হয়েছে ২০ লাখ টাকা। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তর ২০১৯ সালে খরশিলা সড়কে ২৪ ফুট দীর্ঘ ও ১৪ ফুট উঁচু এ সেতুটি নির্মাণ করেছিল। সেতু নির্মাণ করা হলেও দু’পাশের সংযোগ সড়ক সংস্কার না করায় মানুষ সেতুর সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। এতে এলাকার জনগণের দুর্ভোও বাড়ছে।

সেতুর সংযোগ সড়কটি তিন যুগ ধরে মানুষের ব্যবহার অনুপোযোগী। সড়কটি সংস্কারেরও প্রশাসন কালক্ষেপণ করছে। এতে এলাকার মানুষের দুর্ভোগ বাড়ছে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা এর দায় ওর ঘাড়ে, ওর দায় এর ঘাড়ে চাপিয়েই কালক্ষেপণ করছেন। শুধু কর্তৃপক্ষের গাফিলতির কারণেই সেতুটি আজও চালু হয়নি বলে অভিযোগ করেছে এলাকার জনগণ। তারা দ্রুত সেতুর সড়ক সংস্কারের ব্যবস্থা নেয়ার জন্য কর্তৃপক্ষের কাছে দাবি জানিয়েছে।

সেতুর দুদিকে খরশিলা ও রোয়াইল গ্রাম। সেতুর সংযোগ সড়ক সংস্কার না করায়, এ দুটি গ্রামের হাজারো মানুষকে যারপরনাই দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। কৃষকরা তাদের উৎপাদিত ফসল ঘরে তুলতে পারছেন না। শিক্ষার্থীদের বিদ্যালয়ে যেতেও কষ্ট হচ্ছে। মানুষ নিত্যদিনে জিনিস কিনতে হাট-বাজারেও যেতে পারছে না। জেলা এবং উপজেলায় যেতে হলে পাঁচ কিলোমিটার রাস্তা ঘুরে যেতে হচ্ছে। সেতুটি চালু হলে এখানকার মানুষের জীবন-জীবিকার নতুন পথ সৃষ্টি হবে। শহরের দূরুত্ব কমে আসবে দুই কিলোমিটার। মানুষের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে। এসব আক্ষেপের কথা জানিয়েছেন স্থানীয়রা।

এলাকার জনগণ সেতু পেয়েছে ঠিকই কিন্তু সেতুর রাস্তা সংস্কারের ব্যবস্থা করা হয়নি। পূর্ণাঙ্গ সড়ক না থাকলে সেতু দিয়ে মানুষ কী করবে, এ প্রশ্ন এসে যায়। সেতুর ঠিকাদারেরও কোনো হদিস নেয়। আবার প্রকল্প কর্মকর্তাও নতুন যোগদান করেছেন বলে দায় এড়াচ্ছেন। চেয়ারম্যান বলছেন স্থানীয় সংসদ সদস্যের কাজ এটি। সংসদ সদস্যও বারবার ‘ঠিক করা হবে’ বলে আশ্বাস দিচ্ছেন। প্রশ্ন হচ্ছে, এভাবে আর কতদিন পার হবে? এলাকার মানুষ কি বছরের পর বছর ধরে সেতুর সুবিধা বঞ্চিতই থেকেই যাবে? শুধু দায় চাপিয়ে ও আশ্বাস দিয়ে পার পেয়ে যাওয়ার অপসংস্কৃতি বন্ধ করতে হবে।

back to top